#

 

#

পরিবারের ৩ সদস্য নিয়ে ৪৮৬ কিলোমিটার পথ যেতে লাখ টাকারও বেশি যাতায়াত বিল নিয়েছেন ঝালকাঠির সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শামিম আহমেদ। এখানেই শেষ নয়, অচল জেনারেটর আর বসে থাকা অ্যাম্বুলেন্সের বিপরীতেও তেল কিনে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

যোগদান করার পর থেকেই সদর হাসপাতালকে টাকা আয়ের মেশিন বানিয়েছেন আরএমও শামিম-এমনই আলোচনা এখন পুরো ঝালকাঠিজুড়ে। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডা. শামিম। অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে একটি চক্র এসব অপ-প্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি তার।

ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বরাবর দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আরএমও ডা. শামিম চলতি বছরের ৭ মার্চ রংপুর থেকে ঝালকাঠিতে বদলি হন। ১১ মার্চ তিনি যোগদান করেন।

রংপুর থেকে ঝালকাঠি আসতে বদলি ভ্রমণ বিল বাবদ ১ লাখ ১০ হাজার ২শ টাকা খরচ দেখিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রংপুর সদর থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কপথে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩৫শ টাকা।

এরপর ঢাকা হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (ডমেস্টিক) বিমান বিল দেখানো হয়েছে ১১ হাজার ৭শ টাকা ও ২৯ হাজার ২৫০ টাকা।

পরে বরিশাল বিমানবন্দরে বিমান বিল দেখানো হয়েছে ৯ হাজার টাকা ও ২২ হাজার ৫শ টাকা। সেখান থেকে ঝালকাঠি সদরে সড়কপথে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩ হাজার টাকা। এছাড়া রংপুর সদর থেকে ঝালকাঠি পর্যন্ত মালামাল আনার ব্যয় দেখানো হয়েছে ৩১ হাজার ২৫০ টাকা।

গর্ভবতী বহনের ভুয়া ঠিকানা দেখিয়ে আরএমও নিজের ভ্রমণে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতি মাসে ২৫-৩০টি ভুয়া গর্ভবতী রোগী বহন দেখিয়ে অ্যাম্বুলেন্স জ্বালানির সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করছেন তিনি। এ ছাড়াও হাসপাতালের জেনারেটর মেরামতের চিঠি ইস্যু করে তিনিই আবার জেনারেটরের তেল ক্রয়ের ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।

ডা. শামিমের প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তিনি চলতি বছরের ১১ মার্চ যোগদান করে এ পর্যন্ত ৮০ দিন অবৈধ ছুটি ভোগ করেন। তিনি লাভবান না হওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সরকারি ওষুধ সরবরাহ খাতের প্রায় ১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ফেরত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

যথাসময়ে এ টাকার ওষুধ ক্রয়ে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারি সরবরাহের ওষুধ সংকটের কারণে বঞ্চিত রোগীরা। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানের খরচ দেখিয়ে ৬৫ হাজার টাকা বিল তুলেছেন তিনি। যদিও শোক দিবস অনুষ্ঠানে ৪টি সংগঠন (সিভিল সার্জন, সদর হাসপাতাল, বিএমএ, সাচিব) মিলে উদ্যাপন করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শামিম আহমেদ বলেন, বদলির ভ্রমণ বিল সরকারি নিয়মেই নিয়েছি। অভিযোগে ১ লাখ ১০ হাজার ২শ টাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে আমি ব্যয়ভার নিয়েছি ৯৫ হাজার টাকা। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা। এ ব্যাপারে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, এমন অভিযোগের কোনো চিঠি আমার কাছে এখনো আসেনি। এলে তদন্ত করে দেখব। যদি প্রমাণ হয় তবে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here