হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রোগীর স্বজনকে মারধরের প্রতিবাদ করায় উল্টো প্রতিবাদকারী ববি শিক্ষার্থী রাজুর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ৫ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। পরে হাসপাতালের পরিচালক বরাবর অভিযোগ দিতে তার রুমে গেলে ডা. মুহিত আহত রাজুকে প্রাণনাশের হুমকি দেন ও ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় জড়িত চিকিৎসকসহ অন্যান্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে হাসপাতালের পরিচালক এইচএম সাইফুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভূক্তভোগীর চার সহপাঠী। আহত শিক্ষার্থী রাজু ববির ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
ঘটনার অন্যান্য প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই সময় দায়িত্বরত চিকিৎসকরা খাবার খাচ্ছিলেন। তখন মৃত রোগীর স্বজন গিয়ে বলেন, ‘আমার রোগী মরে যাচ্ছে। আর আপনাদের ভাত খেতে হবে?’। এরপরই দুইপক্ষের তর্কাতর্কি শুরু হয়।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, শেবাচিমের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন গৌরনদীর রিজিয়া বেগম অসুস্থ হয়ে পরে। তখন ব্যক্তিগত কাজের অজুহাত দেখিয়ে চিকিৎসা প্রদানে অসম্মতি জানায়। পরে বিনাচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হলে রোগীর স্বজন ত্রিশ বছর বয়সী এক যুবক ডাক্তারের রুমে কথা বলতে যায়। এসময় আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় দায়িত্বরত চিকিৎসকরা হামলা চালায়।
এই ঘটনার নেতৃত্বে ছিলেন চিকিৎসক মুহিত। এই ঘটনা দেখতে পেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তামিম ইকবাল রাজু ও তার বন্ধু মুজাহিদ প্রতিবাদ করেন। এসময় রাজুকে ৫ জন চিকিৎসক আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় মারধর করে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ জানাতে হাসপাতালের পরিচালকের রুমে গেলে সেখানে ডা. মুহিত রাজুকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে অনুমতি ছাড়াই ভিডিও ধারণ করে। এরপর ববির শিক্ষার্থীরা মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে দায়িত্বরত ইন্টার্নি নারী চিকিৎসক অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করেন। তাই ঘটনার সময় ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এই বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি, যা তদন্তাধীন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাবো। তখন প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।