#

নিজস্ব প্রতিবেদক|| বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল থেকে ফিরোজ হাওলাদার নামে একজন
এতিমখানার পরিচালকের মোবাইল এবং টাকা চুরির অভিযোগ পাওয়া
গেছে। ভুক্তভোগী ফিরোজ হাওলাদার মোবাইল এবং টাকা ফেরত পেতে
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ডায়েরি সুত্রে জানা যায়, গত ৭ ই জুলাই সকালে শেবাচিমে চিকিৎসাধীন
পুত্রবধুকে দেখতে যান পলাশপুর রহমানিয়া ক্বিরাতুল কুরআন পাবলিক
মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক নুরুল ইসলাম ফিরোজী।
এক পর্যায়ে তার পরিধানে থাকা পাঞ্জাবির পকেটে থাকা মোবাইল এবং
টাকা নিয়ে চম্পট দেয় অজ্ঞাত চোর। পরবর্তীতে অনেক খোজাখুজি
করেও চোরের সন্ধান পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে, ভুক্তভোগী নুরুল
ইসলাম ফিরোজী হারানো মোবাইল এবং টাকা ফেরত পেতে কোতোয়ালি
মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
তিনি জানান, আমি পুত্রবধূকে দেখতে হাসপাতালের ৫ ম তলায়
অবস্থানকালে কৌশলে আমার পকেট থেকে মোবাইল এবং টাকা
চুরি হয়ে যায়। মোবাইলে আমার মাদ্রাসার অনেক গুরুত্বপূর্ণ
ডকুমেন্ট ছিল। এছাড়াও ২০২৩ সালের ১২ মার্চ নগরীর ৫ নং
ওয়ার্ড পলাশপুর কাজির গোরস্থান এর পূর্ব পাশে ভাড়াটিয়া বাসা
রাঢ়ি বাড়ি থেকে তার ছেলে রাসেলে’র ব্যাবহারকৃত স্মার্ট ফোন,
কাগজপত্র এবং ৪/৫ টি পাঞ্জাবি ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়
অজ্ঞাত চোরচক্র। চুরি হওয়া ফোনের নাম্বারঃ-০১৩০৮৭২৩৫৪৬
ও ০১৯২৪-২০৬৭৮৮। আইএমই নম্বর ৮৬২০৬০০৫৯৫৫৪৮৯০,
862060059554৮৮২ ব্র্যান্ড ভিভো। ভুক্তভোগী রাসেল হারানো
মোবাইল এবং টাকা ফেরত পেতে পরে দিন ১৩/০৩/২০২৩ তারিখ
বরিশাল কাউনিয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়। জিডি
নং: ৫২১। এবিষয়ে ফিরোজী বলেন, একটি চক্র দীর্ঘ দিন ধরে
মাদ্রাসার ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এবং কি চক্রটি
কৌশলে কিছু দিন পূর্বে আমার বাসা থেকে ছেলে মোবাইল ও টাকা
চুরি করে নিয়ে যায়। আমি হাসপাতালের রোগী দেখতে গেলে
কৌশলে ওই চক্রটি আমার পকেট থেকে মোবাইল এবং টাকা চুরি
করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া মোবাইল ফোনে আমার মাদ্রাসা ও
বাসার অনেক ফোন রেকর্ড ও গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ছিল। যা চক্রটি
চুরি করে নিয়ে বিভিন্ন কৌশলে আমাকে ব্লাকমেইল করা চেষ্টা
চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি যাতে
চক্রটিকে ধরা হয়।

#
#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here