#

 

#

নিজস্ব প্রতিবেদক : যৌতুক দাবিতে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে কাশিপুর হাইস্কুল ও কলেজের লাইব্রেরীয়ান বহু অপকর্মের হোতা আহসান সম্প্রতি হাজতবাস হলেও নিয়মানুযায়ী এখনো বরখাস্ত করেনি কর্তৃপক্ষ। রয়েছে বহাল তবিয়তে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীরা ভেতরে ভেতওে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে,একদিকে মানষিক রোগের বিষয়টি গোপন রেখে লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ নেওয়া অন্যদিকে যৌতুক দাবিতে হাজত বাস করা কর্মচারি এখনো প্রতিষ্ঠানে থাকে কি করে?। গনকর্মচারী অধ্যাদেশ-১৯৮৫ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি সাজাপ্রাপ্ত বা হাজতবাস করলে তাকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কাশিপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ চলছেন আইনের উর্ধে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৫লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখ বরিশার নগরীর কাশিপুর হাইস্কুল ও কলেজ’র লাইব্রেরীয়ান আহসান হাবিবকে এক বছরের কারাদন্ড দেয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গনকর্মচারী অধ্যাদেশ-১৯৮৫ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি সাজাপ্রাপ্ত বা হাজতবাস করলে তাকে দ্রæততম সময়ের মধ্যে স্থায়ী বরখাস্ত/বহিস্কার করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। খোজ নিয়ে জানা গেছে ওই লাইব্রেরীয়ানকে এখনো বহিস্কার করা হয়নি। এদিকে এই লাইব্রেরীয়ান’র মানষিক রোগ আছে বলে তথ্য মিলেছে। এ বিষয়টি ২০১৬ সালে নিয়োগের সময় গোপন রেখে ছিলেন। লাইব্রেরীয়ান আহসান হাবিব শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মানষিক চিকিৎসক ডা:স্বপন কুমার দাসের কাছে চিকিৎসা নিতেন। ওই ডাক্তারের একটি পেসক্রিপশন হাতে পেয়ে এ প্রতিবেদক নিশ্চিত হন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মানষিক সমস্যায় থাকা আহসান হাবিব’র উৎভট আচার আচরনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো নারী শিক্ষিকাদের। এ নিয়ে অধ্যক্ষ মামুন অর রশিদ একাদিকবার সমোঝতা বৈঠক করেছেন। তাই এধরনের লাইব্রেরীয়ানকে বরখাস্ত না করার কারনে নানান কথা উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে লাইব্রেরিয়ান আহসান হাবিব জানান,কর্তৃপক্ষ কি করবেন সেটা তাদের বিষয়। আমার কিছু বলার নেই।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here