TT Ads

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর গ্রামের এক শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৫) ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।

অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম (৫০) উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাটাজোর গ্রামের আরজ বেপারীর ছেলে। তিনি এ পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করেছেন। সিরাজুল ইসলাম চার সন্তানের জনক। তবে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে সব স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।

স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা দিনমজুর। প্রতিদিন সকালে দিনমজুর বাবা কাজে বেরিয়ে যান। এই সুযোগে প্রতিবেশী সিরাজুল ইসলাম কয়েক মাস ধরে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

কিশোরীর বাবা অভিযোগ করেন, আমার মেয়ে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। কয়েকদিন আগে আমার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বুধবার তাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাই। চিকিৎসক বলেন আপনার মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা।

চিকিৎসকের কাছ থেকে বাড়ি ফিরে মেয়ের কাছে বিষয়টি জানতে চাই। তখন সিরাজুল ইসলামকে দেখিয়ে দেন। মেয়ে জানায় টাকা দেয়ার কথা বলে সিরাজুল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনা জানার পর মামলা করার উদ্যোগ নিলে বিষয়টি গোপন রাখার জন্য সিরাজুল ইসলাম ও তার লোকজন দিয়ে হুমকি দিচ্ছেন। এলাকার প্রভাবশালী কয়েকজন সিরাজুলের পক্ষে থাকায় এবং আমরা গরিব হওয়ায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছি না।

বাটাজোর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি আমার কানে এসেছে। বর্তমানে আমি এলাকায় নেই। দুপক্ষকে অপেক্ষা করতে বলেছি। এলাকায় ফিরে এসে উভয়পক্ষের কথা শুনে মীমাংসা করা হবে।

বাটাজোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল রব হাওলাদার বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ সালিশে মীমাংসার যোগ্য নয়। এটি আইন আদালতের বিষয়। এ ধরনের ঘটনা সালিশ করে মীমাংসা করা যাবে না।

গৌরনদী মডেল থানা পুলিশের ওসি আফজাল হোসেন বলেন, আমি দুপুরে এ থানায় যোগদান করেছি। এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমি পাইনি। তারপরও যখন শুনলাম, বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *