অনলাইন ডেস্ক :: প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গোলজার হোসেন (৩৫) নামে নাটোরের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতে পাবনার চাটমোহর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) গোলজারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম।
গ্রেফতার গোলজার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে ও জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ওই প্রবাসী দুই বছর আগে ইরাকে পাড়ি জমান। সেখান থেকে তিনি তার স্ত্রীর কাছে নিয়মিত টাকা পাঠাতেন। এরই মধ্যে পাশের নাজিরপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা গোলজার হোসেন ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা প্রচারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন গোলজার হোসেন।
গত এক মাস আগে ওই প্রবাসী দেশে ফিরে আসেন এবং টাকা-পয়সার হিসাব চান। তার স্ত্রী জানান- গোলজারের কাছে পাঁচ লাখ ২০ হাজার টাকা রাখা আছে। তিনি টাকা চাইলে গোলজার তালবাহানা করতে থাকেন। গত ২ অক্টোবর তার স্বামী আবারও টাকা চাইতে গেলে গোলজার ও তার লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করেন। এ নিয়ে থানায় তিনি একটি অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
তিনি আরও জানান, বুধবার বিকেলে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সালিশে ওই গৃহবধূ ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করেন। কিন্তু ধর্ষণের বিষয়টি আপসযোগ্য না হওয়ায় সালিশ ভন্ডুল হয়ে যায়। পরে ওই গৃহবধূ থানায় ধর্ষণের মামলা করলে রাতেই পুলিশ আসামি গোলজার হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
জোনাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানান, গোলজার যে কাজ করেছে তাতে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা তাকে দল থেকে বহিষ্কারের প্রস্তুতি নিচ্ছি।