সালাম না দেওয়ার দ্বন্দ্বে সরকারি বরিশাল কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম টিপুকে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় টিপুকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টিপু সরকারি বরিশাল কলেজের পেছনের এলাকার বাসিন্দা জিয়াউদ্দিন বাবুলের ছেলে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় সরকারি বরিশাল কলেজ সংলগ্ন এলাকায় টিপুকে কুপিয়ে সড়কে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা। রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসা চলছিল টিপুর। হামলাকারীরা হচ্ছে নগরীর কালিবাড়ি রোডের বাসিন্দা জামাল উদ্দিনের ছেলে তাসিন ও রাজিনসহ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টিপু সরকারি বরিশাল কলেজ সংলগ্ন শ্রীনাথ চ্যাটার্চী লেনের মুখে একটি হোটেলে বসে ছিলেন। এ সময় তাসিন ও রাজিনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ সেখানে এসে টিপুকে টেনে-হিঁচড়ে বের করার চেষ্টা চালায় এবং দোকানটি ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র উঁচিয়ে টিপুকে সড়কে এনে মাথার ওপর ৫টি কোপ দিয়ে ফেলে রাখে। সন্ত্রাসীরা সরে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন টিপুকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে যান।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আসাদুজ্জামান জানান, কিছুদিন পূর্বে রাজিনের সঙ্গে আহত টিপুর দেখা হয়। এ সময় টিপু তাকে দেখে কেন সালাম দেয়নি রাজিন জিজ্ঞাসা করে। এ নিয়ে টিপুর সঙ্গে রাজিনের বাকবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে রাজিনকে চড়-থাপ্পড় মারে টিপু। ওই সময় টিপুকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় রাজিন। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনার জের ধরে টিপুকে কোপানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম টিপু আমাদের সাথে রাজনীতি করে না। তার সাথে আমাদের কোনও ওঠাবসা নেই। তাকে কারা কী কারণে কুপিয়েছে তা আমার জানা নেই। আপনারা সাংবাদিক খুঁজে দেখুন।’
২০১১ সালের ২৩ মার্চ একই স্থানে টিপুর ভাই সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি রাফসান আহমেদ জিতুকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রয়াত জিতু ও টিপু দুইজনই মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এবং সাবেক সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামালের অনুসারী।