নিজস্ব প্রতিবেদক :: টানা ১৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন দক্ষিণাঞ্চল আওয়ামী লীগের অভিভাবক আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি। রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতাল থেকে সোমবার দুপুরে প্রাইভেটকারযোগে তিনি সংসদ ভবন এলাকার বাসভবনে চলে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব হোসেন খান। বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসানাত আব্দুল্লাহ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বাসিত নেতাকর্মীরা। অনেকেই তার বাসায় ফেরার খবরটি ব্যক্তিগত ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

জানা যায়- রাজধানী ঢাকার বাসায় অবস্থানকালে গত ২৯ সেপ্টেম্বর আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ’র বুকে ব্যাথাসহ শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে স্বজনেরা উদ্ধার করে পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষক কেন্দ্রে রেখে পরীক্ষা নিরীক্ষায় তার হৃদপিন্ডে দুটি ব্লক ধরা পড়ে। একদিন বাদে হৃদযন্ত্রে দুটি রিং বসানো হয়। এর পরে ধীরে ধীরে হাসানাতের শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটতে থাকে।

হাসানাত আব্দুল্লাহ’র ব্যক্তিগত সহকারি খাইরুল বাশার মুঠোফোনে জানান, তার নেতা এখন পুরোপুরি সুস্থ আছেন। এবং কথা বলাসহ হাঁটা-চলাও করতে পারছেন। চিকিৎসকেরা তার শারীরিক উন্নতি পর্যবেক্ষণ করে বাসায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। তবে বাসায় থাকলে তাকে আপাতত কিছু দিন বেড রেস্ট করা এবং কোন ধরনের চিন্তামুক্ত থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

পরে বিকেলের কিছুটা আগে হাসানাত আব্দুল্লাহ প্রাইভেটকারযোগে স্বজনদের সাথে সংসদ ভবন এলাকার বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে যান।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার বলেছেন, সত্যিকার অর্থে নারী ও শিশু বান্ধব পুলিশ হয়ে অধিক গুরুত্ব ও সতর্কতার সাথে নির্যাতন-নীপিড়ন সংক্রান্ত বিষয়ে দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সোমবার (১২ অক্টোবর) পুলিশ কমিশনার কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অপরাধ পর্যালোচনা সভার একপর্যায় পুলিশ কমিশনার বলেন, আমাদের নারীবান্ধব হতে হবে। নগরীতে কোন বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষের দ্বারা কোন নারী, শিশু, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী সহিংসতার শিকার না হয় সে বিষয়ে জন সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে বিট পুলিশিং কার্যক্রম আরও জোরদারের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় নির্ভেজাল ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা দিতে হবে। প্রতিটি মামলা পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নিজেদের ভূত তাড়াতে হবে সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যকে আকস্মিকভাবে ডোপ টেষ্ট করাতে হবে। সেবা প্রদানে আরও দক্ষতা, পারদর্শিতা বাড়াতে আমরা যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি, সেগুলোর প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে । সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও সাধারণ গ্রেপ্তারী ওয়ারেন্ট তামিলে আরও আন্তরিক হতে হবে। মামলা তদন্ত ও নিষ্পত্তিতে কারো কোন গাফিলতি রয়েছে কি-না বা কোন নিরীহ সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি করতে হবে।

মাদক নির্মূল তৎপরতা তথা আবাসিক হোটেলগুলোতে অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধে সাধুবাদ জানিয়ে থানা ও ফাঁড়িগুলোতেও অস্ত্র, মাদক উদ্ধারে আরও তৎপরতা বাড়াতে তাগিদ প্রদান করেন পুলিশ কমিশনার।

সকলের আন্তরিক সদিচ্ছা, স্বচ্ছতা ও নির্ভেজাল সেবা প্রধানের দ্বারা একটি নিরাপদ নগরী উপহার দেয়া সম্ভব মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সহকারী পুলিশ কমিশনার (ফোর্স এন্ড কাউনিয়া থানা) মোঃ মাসুদ রানা’র সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর-দপ্তর) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোঃ মোকতার হোসেন পিপিএম সেবা, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (নগর বিশেষ শাখা) মোঃ জাহাঙ্গীর মল্লিক, উপ-পুলিশ কমিশনার (সাপ্লাই এন্ড লজিস্টিকস) খান মুহাম্মদ আবু নাসের, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ মনজুর রহমান পিপিএম-বারসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও সভায় উপস্হিত ছিলেন বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর থেকে আসা প্রতিনিধিবৃন্দ।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের উজিরপুর পৌর এলাকায় বিয়ের প্রলোভনে এক তরুণীকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ফলে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর জানাজানি হলে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন যুবক স্বপন হাওলাদার (২০)।

স্বপন হাওলাদার উজিরপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মাদার্শী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের ছেলে। ভুক্তভোগী তরুণীর বাড়ি একই এলাকায়। ওই তরুণী স্থানীয় কলেজের এইচএসসি প্রথমবর্ষের ছাত্রী।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সনাতন ধর্মাবলম্বী ওই তরুণীকে কলেজে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতেন স্বপন হাওলাদার। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন। পরে ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন স্বপন। বিয়ের কথা বলে ধর্ষণে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ছাত্রী।

শারীরিক পরিবর্তন দেখে তরুণীর পরিবারের সন্দেহ হয়। পরে পরিবারকে বিষয়টি খুলে বলেন। তরুণীর পরিবারের সদস্যরা ঘটনা জানাতে ৯ অক্টোবর স্বপন হাওলাদারের বাড়ি যান। বাড়িতে তরুণীর উপস্থিতি টের পেয়ে স্বপন হাওলাদার পালিয়ে যান।

এরপর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে আসছেন স্বপন হাওলাদারের স্বজনরা। এ ঘটনায় তরুণীর বাবা মামলা করার উদ্যোগ নিলে তাকে হুমকি দিচ্ছেন স্বপন হাওলাদারের বাবা বাবুল হাওলাদার।

স্বপন হাওলাদারের বাবা বাবুল হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে কয়েকদিন আগে বেড়াতে গেছে। ছেলে ফিরে এলে তার কাছে সঠিক ঘটনা জানা যাবে। অভিযোগ সত্য হলে ওই মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিয়ে সমস্যা সমাধান করব।

উজিরপুর মডেল থানা পুলিশের ওসি জিয়াউল আহসান বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সক্রিয় দুই সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।

সোমবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় র‌্যাব-৮ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা লোকমান হোসেন সাফিন (২৪) ও কাজী রাইয়ান রহমান (২১) আটক করা হয়। সাফিন ও রাইয়ান র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেএমবির দাওয়াতি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত বলে স্বীকার করেছেন। তারা বেশ কয়েক বছর ধরে জেএমবি কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তারা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা ও চাঁদা সংগ্রহ করতেন বলেও প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।

আটকদের বরিশাল সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব-৮ তৎপর রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক :: একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের সময় ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ এলাকায় বোমা হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহত করে পাকা রাস্তা কেটে বিচ্ছিন্ন ও সন্ত্রাস ও নাশকতা অভিযোগে সরিকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মেজবা উদ্দিন আকনের দায়ের করা মামলায় সোমবার গৌরনদী উপজেলার ২৭ বিএনপি নেতাকর্মীর কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

দীর্ঘদিন আসামিরা পলাতক থাকার পরে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বরিশাল স্পেশাল ট্রাইবুনাল নম্বর-১ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক (বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক) মো. রফিকুল ইসলাম জামিনা নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।

স্থানীয় ও গৌরনদী মডেল থানার মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৭টার দিকে গৌরনদী হোসনাবাদ সড়কের স্টীমারঘাট চকিদার বাড়ি এলাকায় রাস্তা কেটে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা। যাওয়ার সময় ৫/৭টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপি ও ধানের শীষের পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। এ ঘটনায় পরের দিন ৩ নভেম্বর সরিকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুুিক্তযোদ্ধা মো. মেজবা উদ্দিন আকন বাদী হয়ে ৫০ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২শতাধিক আসামি করে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে অসামিরা পলাতক থাকে।

মামলার এজাহারে বাদী মেজবা উদ্দিন আকন উল্লেখ করেন, ২ নভেম্বর রাত ১১টায় বাড়ি ফেরার পথে হোসনাবাদ গ্রামের স্টীমারঘাট চকিদার বাড়ির কাছে পৌছলে মোটরসাইকেলের লাইটের আলোতে দেখি বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীরা রাস্ত কেটে বিচ্ছিন্ন করে ক্ষতি সাধন করছে। এ সময় আমরা প্রতিবাদ করলে বিএনপি জামাতের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর ৭/৮টি বোমা হামলা ও গুলি করে আমাদের আহত করেছে। আমরা প্রাণ রক্ষায় পিছু হঠি এবং থানায় খবর দেই। পুলিশ পৌছলে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সরিকল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর মৃধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিপ্লব, প্রচার সম্পাদক মো. মজনু খান, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সুজন বেপারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্কুল শিক্ষক মো. তৈয়ব আলী আকন, ১নং ওয়ার্ড সভাপতি আনিচ হাওলাদার, ৪নং ওয়ার্ড সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. বাবুল হাওলাদার, ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. জামাল হাওলাদার, ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ মৃধা, সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের চাচাতো ভাই সদস্য পান্নু সরদারসহ ২৭ আসামি বরিশাল স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল নম্বর-১ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক (বিজ্ঞ জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক) মো. রফিকুল ইসলাম জামিনা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।

এই মামলায় সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন মিলনসহ ৫ আসামি আগেই জামিনে রয়েছেন।’

(বরগুনা) প্রতিনিধি :: বরগুনার গরুচোর চক্রের চার সদস্যকে বরিশাল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১১ অক্টোবর) রাতে এদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (১২ অক্টোবর) গ্রেফতারকৃত চারজনকে বরগুনার আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, বরগুনায় একটি গরু চোর চক্র দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলার আমতলী উপজেলার ঘটখালী গ্রামের খলিলুর রহমান হাওলাদারের তিনটি গরু ওই চোর চক্র চুরি করে নিয়ে যায়। শুক্রবার সকালে গরুর মালিক খলিলুর রহমান আমতলী থানায় গরু চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ দেন। পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল জেলার কাউনিয়া থানার পূর্ব হরিনগর গ্রামের জাকির সিকদারের বাড়ীতে অভিযান চালায়। ওই সময় জাকিরের বাড়ী থেকে তিনটি গরু উদ্ধার ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়। চোর চক্রের সদস্য জাকিরের তথ্যমতে বরগুনার আমতলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের সদস্য মো: মজিবুর রহমান, আল-আমিন ও সেলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ গ্রেফতারকৃত চার চোরকে সোমবার আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেন। আদালতের বিচারক মো: সাকিব হোসেন তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

আমতলী থানার ওসি মো: শাহ আলম হাওলাদার বলেন, চোর চক্রের চার সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাদের আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।’

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের বাকেরগঞ্জ এবং উজিরপুরে অভিযান চালিয়ে ১৮২ পিস ইয়াবাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৮। এ ঘটনায় বাকেরগঞ্জ ও উজিরপুর থানায় পৃথক মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের দায়ের হয়েছে।

সোমবার র‌্যাবের পৃথক পেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রবিবার রাতে বাকেরগঞ্জের দক্ষিন দুধল মৌ গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮৬পিস ইয়াবা সহ মো. সাখাওয়াত হোসেন সেতুকে (২৭) আটক করে। আটক সেতু ওই এলাকার মো. শামসের হোসেনের ছেলে।

এ ঘটনায় র‌্যাবের ডিএডি মো. জিল্লুর রহমান বাদী হয়ে সেতুর বিরুদ্ধে বাকেরগঞ্জ থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে র‌্যাবের আরেকটি দল রবিবার রাতে উজিরপুরের সাকরাল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৯৬ পিস ইয়াবা সহ মো. রোমান হাওলাদার (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে। সে ওই গ্রামের মো. শামসুল হক হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় র‌্যাবের ডিএডি মো. আল-মামুন শিকদার বাদী হয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উজিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে আগামী বুধবার (১৪ অক্টোবর) থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ থাকবে।

সোমবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা নিয়ে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে মৎস্য সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময়সীমা ২২ দিন করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে কোনোভাবেই দেশের জলসীমায় ইলিশ আহরণের অবৈধ প্রচেষ্টা সফল হতে দেয়া হবে না। এ সময় ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে কোনোভাবেই মা ইলিশ আহরণ করতে দেয়া হবে না। মা ইলিশ থাকতে পারে এমন নদীতে কোনো নৌকাকে মাছ ধরতে দেয়া হবে না। নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের টহলের পাশাপাশি অত্যাধুনিক উপায়ে মনিটর করা হবে যেন কোনো নৌকা বা জাহাজ ইলিশ ধরতে না পারে। এমনকি বিদেশ থেকে কোনো মাছ ধরার যান্ত্রিক নৌযান আসলে সেটাকেও আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আটক করা হবে।’

ইলিশের প্রাচুর্য, স্বাদ ও সহজলভ্যতার বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনতে চান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর বিশ্বে উৎপাদিত মোট ইলিশের ৮০ ভাগের বেশি বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়েছে। ইলিশের আকার ও স্বাদ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভালো। ইলিশ একটা সময় দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছিল, সেই ইলিশ এখন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন বিভিন্ন দফতর-সংস্থা, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, মাঠপ্রশাসন সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

সামগ্রিক ব্যবস্থাপনায় অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে এ বছর ইলিশ উৎপাদন হয়েছে জানিয়ে রেজাউল করিম বলেন, ‘এ উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা পরিকল্পনা নিয়েছি। ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত মা ইলিশ ধরা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য অধিদফতর সম্মিলিতভাবে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’

‘৩৬ জেলার ১৫২ উপজেলায় আমাদের কর্মসূচি থাকবে। যারা ইলিশ আহরণ বা বিক্রয় করতে পারবেন না, তাদের আমরা পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। যাতে মৎস্যজীবী, মৎস্য আহরণকারী বা এ প্রক্রিয়ায় জড়িতে একজন মানুষও খাবারের সংকটে না থাকে। এ বছর আমরা সশরীরে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ অন্যদের সঙ্গে মাঠে থাকব, যাতে ইলিশ উৎপাদনের সাফল্য কোনোভাবে ব্যাহত না হয়। ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বরফকল খুলতে দেয়া হবে না।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই ইলিশ এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছাবে যাতে আমাদের সকল মানুষ ইলিশ খেতে পারে। ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত ইলিশ উৎপাদন হওয়ার পর আমরা বাণিজ্যিকভাবে রফতানির চিন্তা করব। এই মুহূর্তে বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রফতানির কথা আমরা ভাবছি না। আশা করি অদূর ভবিষ্যতে আমাদের ইলিশের উৎপাদন ও সফলতা এমন জায়গায় পৌঁছে যাবে যেদিন ইলিশ রফতানি করে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে আমরা সক্ষম হব।’

সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, সুবোল বোস মনি ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ ও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

 

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ওটরা ইউনিয়নের মধ্য কেশবকাঠী মৃত. মন্নান বেপারীর ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম(৩২)’র ৪ বছরের কন্যা শিশু মাফিয়া ‘ বাড়ির সামনে খেলার ছলে পুকুরের জলে পরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে।

১২ অক্টোবর সোমবার বেলা ১১টার সময়ে মাফিয়া’কে না দেখে প্রতিবেশীরা খোজা খুজির পরে পুকুরে ভাসমান দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে সাথে সাথে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে ডাঃ দ্বীলীপ কুমার ব্রহ্ম মাফিয়া(৪)’কে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্বজনরা জানান শিশু টির পিতা মোঃ নজরুল ইসলাম বেপারী(৩২) বর্তমানে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে, তাই শিশুটির মা ও নজরুলের স্ত্রী মাহমুদা বেগম স্বামীকে জেল থেকে ছাড়াতে সকালে উকিলের সাথে পারার্মশ করতে বরিশাল গেলে, শিশু মাফিয়াকে বাসায় রেখে যায়। এঘটনায় স্থানিয় সকলে শোক প্রকাশ করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক :: হাইব্রীডদের কারণে বিভক্তিসহ বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগে। এদের দাপটে দলের পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা হয়ে পড়েছে কোটঠাসা। একাধিক মামলায় আসামী হয়েছে অনেকে ত্যাগী নেতাকর্মী। আসন্ন পৌর নির্বচনকে কেন্দ্র করে এ বিভক্তি আরও বেশি প্রকট হচ্ছে। উড়ে এসে জুড়ে বসা এসব হাইব্রীডদের নেতিবাচক কর্মকান্ডে বিব্রত মাঠপর্যায়ের সাধারণ কর্মীরা। এখনই সাংগঠনিক উদ্যোগ না নিলে পৌর নির্বাচনসহ স্থানীয় রাজনীতিতে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। এমন শংকা ও দাবি স্থানীয় নেতাকর্মীদের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতাসহ স্থানীয় সূত্র জানায়, পর্যটন নগরী কুয়াকাটার উন্নয়নের জন্য ২০১০ সালের ১৫ ডিসেম্বর জেলার মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়কে বিভক্ত করে কুয়াকাটা পৌরসভা ঘোষণা করা হয়। ফলে আওয়ামী লীগের দুর্গখ্যাত এ এলাকার রাজনীতিতে আসে ভিন্ন রূপ। সুযোগ বুঝে দলে প্রবেশ করে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী। এসব অনুপ্রকেবশকারীদের অনেকেই সরকারী খাস জমির ভুয়া খতিয়ান তৈরি করে বিক্রির সাথে জড়িত। জমির দালাল ও দখলকারী এসব হাইব্রীডরা কালো টাকার মালিকদের টাকা সাদা করে নিজেরাও হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। এসব বাণিজ্যসহ নিজের অবৈধ কাজের সুরক্ষায় যে ক্ষমতায় তারা সে দলে যোগদান করে।

বিএনপি থেকে জাতীয়পার্টি হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগে যোগদানকারী আনোয়ার হাওলাদার ২০১৫ সালে জাতীয়পার্টির টিকিট নিয়ে নির্বাচন করেছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের টিকিট প্রাপ্তির প্রত্যাশায় দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।

সূত্রটির দাবি, আগামী পৌর নির্বাচনে টিকিট প্রাপ্তিতে ব্যর্থ হলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দলীয় প্রার্থী দিয়ে নিজে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করার পরিকল্পনা করেছেন।
কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান হাওলাদার, জাফর মুন্সী বলেন, আওয়ামী লীগে যোগ দিলেও দলীয় সদস্য পদ না পাওয়া হাইব্রীডরা নিজের আধিপত্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। পৌর নির্বাচনে নৌকার টিকিট পাওয়ার আশায় দলের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করছে।