পিরোজপুর প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের নাজিরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়গ্রুপের অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার হাসপাতাল ব্রিজের ঢালের বুইচাকাঠী টেম্পু স্ট্যন্ডের এই সংঘাতে ভাঙচুর করা হয়েছে ১৪টি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করলেও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়- শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শ্রীরামকাঠী বন্দরের সোনালী ব্যাংকের সামনের একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান মিঠুর নেতৃত্বে ৫-৬ জন যুবলীগ কর্মী ছাত্রলীগ নেতা নুরে আলম প্রিয়ংকার ওপর হামলা করে। এসময় তাদের প্রতিরোধ করতে গিয়ে গুরুতর আহত হয় স্মরণ শিকদার (১৮) ও তারেক জামিল তাজ (১৯)। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা শ্রীরামাকাঠী বন্দরের পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন।

এই খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপসের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী একত্রিত হয়ে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিঠুসহ তার লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা করে। এসময় উভয়গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুরো শহরজুড়ে এক উত্তপ্তকর পরিবেশ বিরাজ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়গ্রুপের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে করে।

এর আগে পাল্টা পাল্টি হামলায় তারেক জামিল রানা তাজ (১৯), রাজিব শেখ (১৮), মানবিন্দু মিস্ত্রী (১৮), রানা বিশ্বাস (১৮), মধু খান (৩২), বেল্লাল হাওলাদার (১৯), রানা হাওলাদার (২২), হৃদয় খান (১৬), হৃদয় মোল্লা (১৬), মিলন (৩৪), কাওছার মৃধা (২২), বাপ্পি খান (৩৫), রায়হান সর্দার (১৮), মিরাজ মৃধা (১৭), প্রিন্স হাওলাদার (১৯), নুরুল আমীন (২৫), নয়ন ফরাজী (২০), জোবায়ের হিমেল (২৫), শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম প্রিয়ংকা (২৫), স্মরন শিকদার (১৮) এবং কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবসহ (২০) উভয়গ্রুপের ২০জন আহত হয়েছেন।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান মিঠু বলছেন, গত বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) ছাত্রলীগ কর্মীরা দক্ষিণ শ্রীরামাকাঠীর একটি জমি দখল করিয়ে দিতে সেখানে যায়। এ নিয়ে স্থানীয়রা তাদের মারধর করা হলে সেই ঘটনাকে আমাদের দায়ী করে উপজেলা ছাত্রলীগ আহ্বায়ক তাপস চৌধুরী। সেই আক্রোশের সূত্র ধরেই তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে উল্টো অভিযোগ আনেন, ছাত্রলীগ নেতা তাপসের বিরুদ্ধে।

পাল্টাপাল্টি হামলার কারণ কি এ সংক্রান্তে নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনিরুল ইসলাম মুনির তাৎক্ষণিক ভাবে কোন মন্তব্য না করলেও আভাস দিয়েছেন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এমনটি হতে পারে। সংঘাতের পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেছে। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ১৩ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে সফিকুল ইসলাম ও মো. নাগর মাল নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত সফিকুল ইসলামকে বোরহানউদ্দিনের দেউলা ইউনিয়ন থেকে এবং মো. নাগরকে একই উপজেলার কুঞ্জেরহাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার সফিকুল ইসলাম লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং মো. নাগর মাল একই উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে লালমোহন উপজেলার ওই এক স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সফিকুল ইসলাম ও নাগর মাল নিয়ে যায়। এর পর ওই স্কুলছাত্রীকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের পদ্মামনসা গ্রামের সবুজ হাজীর সুপারির বাগানের উত্তর পাশের পুকুর পাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্কুলছাত্রীকে ওই এলাকার ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন সরকারি আবাসন প্রকল্পের সামনে ফেলে রেখে সফিক ও নাগর পালিয়ে যান।

এ অবস্থায় খবর পেয়ে ওই দিন রাত পৌঁনে ১২টার দিকে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের একটি দল ওই এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। পরে তাকে চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।

এ ঘটনায় শুক্রবার স্কুলছাত্রীর মা সফিকুল ইসলাম ও মো. নাগর মালের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ বোরহানউদ্দিন ও লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, ভিকটিমের মায়ের মামলার আলোকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই অপহরণ ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

শারিরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ কমিটির আহবায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) ও গৌরনদী-আগৈলঝাড়া থেকে নির্বাচিত এমপি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর সুস্থাতা কামনায় বরিশালের ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর আলহাজ্ব দলিলউদ্দিন স্কুলের হলরুমে দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল আছর বাদ দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ছাত্রলীগ নেতা কাবিউল ইসলাম সুজন ।

দোয়া-মিলাদে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপির দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করা হয়।

দোয়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৫ নং ওয়ার্ড আওমীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আলী,
শ্রমিকলীগ সভাপতি মালেক,যুবলীগ সভাপতি আমির,আওমীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ সেচ্ছাসেবকলীগ, ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন পলাশপুর রহমানিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা ফিরোজ হাওলাদর ।

বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় গত সেপ্টেম্বর মাসে ২৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩২ জন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরো ২৫ জন।

এর আগে আগস্ট মাসে এই বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে ২২টি। এতে মারা গেছেন ১৯ জন। আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে দুর্ঘটনার পাশাপাশি বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, বরিশাল জেলায় ৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১২ এবং আহত হয়েছেন ১০ জন। দুর্ঘটনার মধ্যে কাভার্ডভ্যান, এ্যাম্বুলেন্স-বাস মুখোমুখি সংঘর্ষ, মোটরসাইকেল, ট্রলি, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক রয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে মহাসড়কে সাতটি আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়কে একটি করে দুইটি।

ভোলায় সাতটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাত এবং আহত হয়েছেন পাঁচজন। দুর্ঘটনার মধ্যে মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও বাস রয়েছে। জেলার মহাসড়কে একটি, আঞ্চলিক সড়কে দুইটি ও গ্রামীণ সড়কে চারটি দুর্ঘটনা ঘটে।

পটুয়াখালীতে পাঁচটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছয় এবং আহত হয়েছেন চার জন। বিভাগের আরেক জেলা ঝালকাঠিতে, তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তিন এবং আহত হয়েছেন চারজন। এছাড়া বরগুনায় তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। পিরোজপুরে গ্রামীণ সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়।

বরিশাল বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান জানান, বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে একের পর এক ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়কগুলোতে পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহনের বেপরোয়া গতি এবং মোটরসাইকেল ও স্বল্পগতির যানবাহনের অবাধ চলাচলের জন্যই এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং গণ-পরিবহন খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করছেন এই নির্বাহী পরিচালক।

বরিশালের উজিরপুরের গুঠিয়ায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলার আসামি ধরতে গিয়ে এক উপপরিদর্শক (এসআই) সহ থানা পুলিশের দুই কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

তাদেরকে উদ্ধার করে বৃহষ্পতিবার (০৮ অক্টোবর) রাতে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় উজিরপুর উপ‌জেলার গু‌ঠিয়া ইউ‌নিয়‌নের গ্রা‌মে ঘ‌টে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপু‌রে কাকরধারী গ্রা‌মের বা‌সিন্দা ও গু‌ঠিয়‌া আই‌ডিয়াল ক‌লে‌জের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষ‌ণের চেষ্টা চালানোর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার ভিকটিমের বাবা ওই এলাকারই বাসিন্দা স্বপন ওরফে সুমন এবং তার ভাই সুজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় মামলার আসামি‌দের গ্রেফতা‌রের উদ্দেশ্যে ওই গ্রামে যায় থানা পুলিশের সদস্যরা। গ্রেফতার করার সময় আসামিপক্ষের লোকজন থানা পুলিশের সদস্যদের ওপর আকস্মিক হামলা চালায় এবং আসামি‌দের ছি‌নি‌য়ে নিয়ে যায়। এসময় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুই কনেস্টাবলও হামলার শিকার হন বলে দাবি স্থানীয়দের।

তবে হামলায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নুরুল ইসলাম আহত হয় বলে জানিয়েছেন উজিরপুর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান।

তিনি আরো জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে, পাশাপাশি হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

ব‌রিশাল: হাই‌কো‌র্টের আদেশের পর ব‌রিশা‌লের বা‌কেরগ‌ঞ্জে ধর্ষ‌ণের অভিযো‌গে দা‌য়েরকৃত মামলার ৪ নাবালক শিশু আসামি‌কে নিজ নিজ বা‌ড়ি‌তে পৌঁছে দি‌য়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) সকাল ৭টা ৫০ মি‌নি‌টে একটি মাইক্রোবাস যো‌গে ওই ৪ শিশু‌কে বা‌কেরগ‌ঞ্জের রুনশী গ্রা‌মে নি‌য়ে আসেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।এ সময় সেখা‌নে হৃদয় বিদারক দৃ‌শ্যের অবতারণা হয়। গা‌ড়ি থে‌কে নামার সঙ্গে সঙ্গে শিশু‌দের বু‌কে টে‌নে নি‌য়ে স্বজনরা কান্নায় ভে‌ঙে প‌ড়েন।
স্বজন‌দের হা‌তে ওই ৪ শিশু‌কে বু‌ঝি‌য়ে দেওয়ার সময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায়, জেলা প্রশাসক কার্যাল‌য়ের প্রবেশন অফিসার সাজ্জাদ পার‌ভেজ, বা‌কেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালামসহ প্রশাস‌নের স্থানীয় কর্মকর্তারা।

এর আগে উচ্চ আদাল‌তের নি‌র্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দিবাগত রা‌তে বরিশা‌লের শিশু আদালত ওই ৪ শিশু‌কে জামিন দেন। এরপর রা‌তেই ব‌রিশাল কেন্দ্রীয় কারাগা‌রের সি‌নিয়র জেল সুপার য‌শোর কি‌শোর উন্নয়ন কে‌ন্দ্রের সহকারী প‌রিচাল‌ককে তা‌দের মু‌ক্তির জন্য মেই‌লে বার্তা পাঠান। সেই বার্তা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দি‌কে মাইক্রোবাস যো‌গে ৪ শিশু‌কে নি‌য়ে ব‌রিশা‌লের বা‌কেরগ‌ঞ্জের উদ্দেশে যাত্রা ক‌রেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

শুক্রবার সকা‌লে শিশু‌দের হা‌তে পে‌য়ে স্বজনরা আদাল‌তের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ক‌রেন। পাশাপা‌শি মি‌থ্যা অভি‌যোগকারী‌দের বিরু‌দ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দা‌বি জানান।

উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধবী রায় ব‌লেন, আমরা উচ্চ আদাল‌তের নির্দেশনা পালন ক‌রে‌ছি। আর গোটা বিষয়‌টি নি‌য়ে তদন্ত চল‌ছে। তদন্ত শে‌ষে ঘটনার মূল্য রহস্য উদঘাটন হ‌বে।

গত ৪ অক্টোবর বরিশালের বাকেরগঞ্জের রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে এক কন্যা শিশু চার ছেলে শিশুর সাথে খেলাধুলা করছিল। এরপর কন্যা শিশুর বাবা গত ৬ অক্টোবর বাকেরগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৪ নাবালক শিশুকে গ্রেফতার করে ৭ অক্টোবর আদালতে সোপর্দ করা হয়।

করোনার মধ্যেও থেমে নেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রোগী ভর্তিতে অতিরিক্ত ‘ফি’ আদায়। প্রতি রোগীর কাছ থেকেই নির্ধারিত ভর্তি ‘ফি’র বাইরে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে নিচ্ছে তারা। এ নিয়ে বহুবার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এবং প্রশ্ন ওঠা সত্ত্বেও জরুরী বিভাগে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধ করতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছেন সচেতন মহল।

জানাগেছে, শেবাচিমে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রথমেই দরকার হয় সরকার নির্ধারিত ১১ টাকা মূল্যের ব্যবস্থাপত্র। পরে ভর্তি হওয়ার জন্য নিতে হয় সরকার নির্ধারিত ১৫ টাকা মূল্যের আরেকটি ফরম। সব মিলিয়ে সরকারিভাবে ভর্তি হতে একজন রোগীকে দিতে হবে ২৬ টাকা।

কিন্তু কাগজে কলমে নিয়ম এমনটি হলেও বাস্তবতা ভিন্ন। সরকার নির্ধারিত টাকার বাইরেও প্রতি রোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে আরও ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ব্রাদাররা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে তা ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সূত্রে জানাগেছে, ‘বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রতিদিন গড়ে আড়াইশত রোগী ভর্তি হচ্ছে এ হাসপাতালে। সে হিসেবে বছরে কয়েক লাখ রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন দক্ষিণ বঙ্গের সর্ববৃহৎ এই হাসপাতালে। বাৎসরিক হিসাব অনুযায়ী এসব রোগীদের কাছ থেকে বছরে লাখ লাখ টাকা অবৈধ পন্থায় হাতিয়ে নিচ্ছেন জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ব্রাদাররা।

গত চার অক্টোবর রোববার থেকে বৃহস্পতিবার ৮ অক্টোবর পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরী বিভাগে গিয়ে এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। ৪ অক্টোবর দেখাগেছে, ‘রোগীদের কাছ থেকে প্রকাশ্যেই অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন জরুরী বিভাগে রোগী ভর্তির দায়িত্বে থাকা রোগীরা। ভাংতি টাকা না থাকার অজুহাতে রোগী বা তাদের স্বজনদের কাছ থেকে দুই দফায় অতিরিক্ত ২০-৩০ টাকা আদায় করছেন ব্রাদাররা।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, ‘টিকেট কাউন্টার থেকে ভর্তি ফি অতিরিক্ত নিলেও আমাদের কিছু করার নেই। আমরা অসহায়, আমাদের কাছে পাঁচ টাকার মূল্যও অনেক বেশি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব কিছু জেনেও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ রয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ব্রাদারদের সাথে আলাপকালে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা কারোর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছি না। অনেক সময় ভাংতি না থাকায় কিছু রোগী টাকা না নিয়েই চলে যাচ্ছে। আবার কোন কোন সময় ভুলবশত বেশি টাকা রাখা হচ্ছে। তবে স্মরণে আসলে বা কোন রোগী দাবি করলে তাকে ফেরত দেয়া হচ্ছে।

তবে এ প্রসঙ্গে কোন বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসাররা। আলাপকালে একজন ইএমও বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। তাই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। তিনি জরুরী বিভাগের ইনচার্জ এর সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন।

জরুরী বিভাগের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স (ব্রাদার) হরেকৃষ্ণ সিকদার বলেন, ‘অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমার জানামতে এখান থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় হয় না। অভিযোগের সত্যতা পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলেন হরে কৃষ্ণ সিকদার।

অপরদিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেনের সাথে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি অবগত নই। তবে কেউ লিখিতভাবে আমার কাছে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে দেখা হবে। আর সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরের কাউখালীতে অসোহায় আশ্রয়হীন নারী ধর্ষণের প্রধান আসামী শাহজালাল(৪৮)কে মংলা থানা পুলিশের সহায়তায় বৃহস্পতিবার রাতে কাউখালী থানা পুলিশ আটক করে। শাহজালাল উপজেলার বাশুরী গ্রামে নবীর উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার নেছারাবাদ উপজেলার গোনম্যান গ্রামের এক তরুনীর সাথে গত এক বছর আগে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার এক নবমুসলিম যুবকের (৩০) সাথে প্রেম করে বিয়ে হয়। ওই যুবক নবমুসলিম হওয়ায় তরুনীর পরিবার এ বিয়ে মেনে নেন নি। কিন্তু গত ২২দিন আগে ওই নব মসুলিম যুবক তার স্ত্রী সহ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাশুরী গ্রামের জনৈক নাছির মাস্টারের বাড়িতে ওই বাড়ির তত্ত¡াবধায়ক নেহেরু বেগমের সহায়তায় ভাড়ায় থাকার কথা বলে থাকতে শুরু করেন। আর ওই বাড়ির মালিক নাছির মাস্টার থাকেন উপজেলা সদরের বাড়িতে। এ সময় নবমুসলিম ওই দম্পত্তির মধ্যে কলহ হয়। এর জের ধরে নবমুসলিম যুবক স্ত্রীকে ফেলে কয়েক দিন গা ঢাকা দেন। এ সুযোগে স্থাণীয় নবীর উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে জালাল হোসেন হাওলাদার (৪৫) ওই নবমুসলিম দম্পত্তির মধ্যে কলহ মীমাংসার কথা বলে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে ওই তত্ত¡াবদায়ক নেহারু বেগমের কাছ থেকে কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু পরে ওই গৃহবধুকে নাছির মাস্টারের নির্মানাধীন একটি ভবনে নিয়ে জোর করে ধর্ষন করে। এ সময় ওই গৃহবধুর ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ধর্ষক জালাল হোসেন এ সময় পালিয়ে যায়। ভূক্তভোগী ওই গৃহবধু ঘটনার দিন শাহ জালালের নামে ধর্ষণের অভিযোগে কাউখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এব্যপারে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, অত্যাধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে ৪৮ ঘন্টা মংলায় কাউখালী ও মংলা থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ২ সন্তানের জনক শাহ জালালকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, তজুমদ্দিন:: ভোলার তজুমদ্দিনে বিএনপি’র পকেট কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলসিকদার বাজারের উত্তর মাথায়।
জানা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীদের কিছু না জানিয়ে হঠাৎ গত ২৩ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সাংসদ মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের বাসায় বসে জাহাঙ্গীর আলম সভাপতি, আবুল কালাম নিরব সাধারণ সম্পাদক ও রুহুল আলম সিকদারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৪ নম্বর চাঁচড়া ইউনিয়ন বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে একটি পকেট কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটি ঘোষণার সংবাদ চাঁচড়া ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে ত্যাগী নেতাকর্মিদের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এলাকায় তেমন একটা থাকেন না ঢাকায় থাকেন। কমিটি ঘোষণার পর তিনি এলাকায় এসে বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে সভাপতি ঘোষণা করেন। এতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে আরও ক্ষোভ দেখা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলসিকদার বাজারের উত্তর মাথায় নুরউদ্দিনের চায়ের দোকানে বসলে ত্যাগী নেতাকর্মীরা কমিটি গঠন সম্পর্কে তার কাছে জানতে গেলে তিনি নেতাকর্মীদের ধাক্কা মারেন। একপর্যায়ে দুগ্রুপের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে দুগ্রুপকে দুদিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাকে সাবেক মন্ত্রী মহোদয় চাঁচড়া বিএনপির সভাপতি করেন। সে-সুবাদে আমি এলাকায় অবস্থান করছি। গতকাল মঙ্গলসিকদার বাজারে গেলে নোমান, নুরে আলাম, জসিম মেম্বার, নুরউদ্দিন ও জসিমের নেতৃত্বে ১০/১২ জন আমার ওপর হামলা চালায়।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নুরউদ্দিন বলেন, সুবিধাবাদী ও ঢাকায় অবস্থান করা নেতাদের দিয়ে কমিটি করায় ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়ে। জাহাঙ্গীর বাজারে আসলে নেতাকর্মীরা তার কাছে কমিটি বিষয়ে জানতে গেলে সে তাদের সাথে অশোভন আচারণ করে। এতে দুগ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও অভিযোগ করেন গত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জাহাঙ্গীর ধানের শীষের প্রার্থী হয়েও তিনি নৌকা মার্কায় ভোট চেয়েছেন যে কারণে সে মাত্র ১৫৯ ভোট পেয়ে জামানত হারান। তিনি প্রশ্ন রাখেন চাঁচড়া ধানের শীষের মাত্র ১৫৯ ভোট আছে ?

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ জাকির হোসেন হাওলাদার বলেন, চাঁচড়া ইউনিয়নের কমিটি গঠন বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলাপ আলোচনা হয়েছে। এখনো কোন কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে চাঁচড়া হাতাহাতির যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা মাত্র।’

 

বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি (বিআরইউ)’র ২০২০-২১ অর্থ বছরের নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় টায় বিআরইউ কার্যালয়ে সংগঠনের বিদায়ী কমিটির সভাপতি সুশান্ত ঘোষ এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মিথুন সাহার সঞ্চালনায় যৌথ সভা শেষে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে পুরাতন কমিটি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন (বিআরইউ)’র সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান খান স্বপন, মো. আলী খান জসিম, নবনির্বাচিত সভাপতি নজরুল বিশ্বাস , নবনির্বাচিত যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মুশফিক সৌরভ, কোষাধ্যক্ষ বশির আহম্মেদ, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক রাসেল হোসেন, সদস্য অলিউল ইসলাম, বিপ্লব কর্মকার।