বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন, অকারনে থানায় কোন মামলা পেন্ডিং রাখা যাবেনা।যথা সময়ে ওয়ারেন্ট তামিল করার জন্য অভিযান বৃদ্ধি করতে হবে।আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা।কোন অবস্থাতেই যেন আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।কোন কিছুর বিনিময়ে প্রলুব্ধ হয়ে কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবেনা।মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখে যথাযথ ভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে।বিটপুলিশিং কার্যক্রমকে আরও জোরদার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পুলিশি সেবা পৌছে দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার(০৮অক্টোবর) বেলা ১১ টায় বিএমপি উত্তর বিভাগের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেছেন,প্রত্যক এলাকার বিট অফিসারকে যথাযথ ভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।যেই জনগনের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন দেয়া হয়,সেই জনগনের প্রতি ন্যায় বিচার করে তাদের আস্থাভাজন হতে হবে।আমরা জনগনকে সাথে নিয়ে সমাজ থেকে সকল প্রকার অপরাধ মূলক কার্যকলাপ দূর করতে চাই।অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে,এক্ষেত্রে কোন নিরাপরাধ ব্যাক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে।সততার সাথে কাজ করলে জনগন সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবেনা।সমাজে কোন ঘটনাকে আমরা বড় বা ছোট করবোনা।মামলার চার্জশীট দেয়ার ক্ষেত্রে সংঘঠিত ঘটনার সঠিক চিত্র তুলে ধরতে হবে।

উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) জনাব মোঃ খাইরুল আলম বলেন,করোনা কালে সঠিক ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জনগনের দোড়গোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে জবে।জনগনের সেবার মান বৃদ্ধির কথা শুধু মুখে বললেই হবেনা, সত্যিকারার্থে জনগনের সেবা দিয়ে প্রমান করতে হবে।মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।মাদকের করাল গ্রাস থেকে আমাদের যুব সমাজকে বাচাতে হবে।।সমাজের সকল প্রকার অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।তাহলেই আমরা সত্যিকারার্থে জনগনের জনবান্ধব পুলিশ হতে পারবো।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,এয়ারপোর্ট থানার সহকারী কমিশনার নাসরিন জাহান,কাউনিয়া থানার অফিসার ইসচার্জ মোঃ আজিমুল করিম,এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ বিন আলম,এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ মোঃ ফয়সাল,কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)মোঃ ছগির হোসেন প্রমুখ।

 

ঝালকাঠিতে নির্যাতনকারীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে বসে অনশন করেছে এক কিশোরী। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে অনশনে বসে সে। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় গত ২ অক্টোবর দুপুরে ঘরে ঢুকে স্বর্ণকিশোরী খেতাবপ্রাপ্ত কলেজছাত্রী নাছরিন আক্তার সারার (১৭) ওপর হামলা চালায় জুবায়ের আদনান নামে এক যুবক।

এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্টো বিষয়টি মীমাংসার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে চাপ দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কিশোরী প্লাকার্ড হাতে নিয়ে থানার সামনেই অনশনে বসে। তাকে দেখে থানার সামনে ভিড় করে অসংখ্য মানুষ। মীমাংসা নয়, নির্যাতনের বিচার দাবি জানান সারা।
খবর পেয়ে সারার বোন ও ভগ্নিপতি এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারাও ঘটনার বিচারের দাবি জানান। পরে পুলিশ এসে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অনশন তুলে নেয় সারা। সারা ঝালকাঠি আকলিমা মোয়াজ্জেম ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।

সারা জানায়, ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের একটি মসজিদের ইমাম জাকির হোসেনের ছেলে জুবায়ের আদনান বেশকিছুদিন ধরে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে আদনান তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত শুক্রবার দুপুরে ফকিরবাড়ি সড়কের সারার বড় বোন আখিনুরের ভাড়া করা বাসার গিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। মারধরের একপর্যায়ে সারা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আদনান পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বড় বোন ও প্রতিবেশীরা সারাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

অনশনে বসে সারা অভিযোগ করেন, মামলা তুলে নিতে আমার পরিবারকে জুবায়ের ও তার সহযোগীরা চাপ প্রয়োগ করছে। এমনকি আমাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর মধ্যেই কয়েকটি ফেসবুক আইডি দিয়ে আমার নামে অপপ্রচার করা হয়। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। মীমাংসা নয়, নির্যাতনের বিচার দাবি করছি আমি। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি আসামি গ্রেপ্তার না হয়, তাহলে আমি থানার সামনে এসে আত্মহত্যা করব।
সারার বোন আখিনুর আক্তার বলেন, আমার বোনকে নির্যাতনের এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমরা অসহায় বিধায় মামলা তুলে নিতে চাপ দেওয়া হচ্ছে। জুবায়ের আদনানের বাবা আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা নালিশি অভিযোগ করেছে। আমরা সারার ওপর নির্যাতনের বিচার চাই। আসামিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

ঝালকাঠি থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. ফারুক হোসেন বলেন, মামলার পরে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অনশন তুলে নেন সারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ চরমোনাই ইউনিয়নের বাসিন্দা দলিল লেখক রিয়াজ খুন হয়েছে দেড় বছর অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে ৩ জন। প্রথম তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে খুন হবার পর আটক মামলার প্রধান আসামী রিয়াজের স্ত্রী লিজা আদালতে ১৬৪ ধারায় পরকীয়া প্রেমিক মাসুম মিলে স্বামী রিয়াজকে হত্যা করার জবানবন্দি দেয়। দ্বিতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তার সময়ে কোন আসামী গ্রেফতার বা মামলার কোন অগ্রগতি হয়নি। তবে হত্যার প্রায় দেড় বছরের মাথায় হত্যাকারী সন্দেহে ৩ ছিচকে চোর গ্রেফতার ও রিয়াজ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেন মামলার বর্তমান তথা তৃতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা। কিন্তু রহস্যজনকভাবে মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তার একটা বিষয়ে অদ্ভুত ও বিস্ময়কর মিল রয়েছে। আর সেটা হচ্ছে মামলার অপর প্রধান আসামী লিজার স্বীকারোক্তিতে হত্যাকারী হিসাবে উঠে আসা মাসুমকে গ্রেফতারের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া। আর উভয়ই বলেছেন ও বলছেন মাসুম আতœগোপনে রয়েছে তার কোন সন্ধান মিলছে না। অথচ মাসুমের এলাকার গিয়ে মিলেছে ভিন্ন তথ্য। মাস কয়েক আগেও মাসুম চরমোনাইর নিজ বাড়িতে এসে অবস্থান করেছেন। এলাকার একাধিক ব্যক্তির সামনেও পড়েছেন তিনি। এছাড়া জানা গেছে স্ত্রী সন্তানদের সাথে মোবাইলে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হচ্ছে তার। কিন্তু রহস্যজনকভাবে মাসুমের অবস্থান সনাক্ত বা তাকে গ্রেফতারে কোন অভিযানও পরিচালনা করছে না পুলিশ। মাসুমের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ পুলিশের ভুমিকা বা অবস্থান এমন যে মামলায় লিজা ছাড়া অন্য কোন আসামীই নেই। এদিকে মামলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সুত্র থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে মাসুমকে গ্রেফতারের বাইরে রেখেই মামলার প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিষয়টি নিজের বক্তব্যে স্পষ্ট করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ সগীর হোসেন। তিনি জানান, চেষ্টা করছি এ মাসের শেষের দিকে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য। তবে মাসুমকে গ্রেফতারে অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রচেষ্টা চালানো ছাড়া কিছুই জানাতে পারেননি তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে দলিল লেখক রিয়াজকে নিজ ঘরে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এর পরের দিনই রিয়াজের বড় ভাই রিপন বাদী হয়ে স্ত্রী লিজা ও তার পরকিয়া প্রেমিক রিয়াজের সহকারী মাসুমসহ ৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরপরই আটক হওয়া লিজাকে পরবর্তীতে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। বাকি থাকে মাসুম ও তার এক সহযোগী। সেই মাসুম এখনো অধরাই থেকে গেছে। দেড় বছরে পুলিশের একাধিক বিভাগের ৩ তদন্তকারী কর্মকর্তা মিলেও তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি ।

 

গতকাল সকালে মাসুমের বিষয়ে খোজ খবর নিতে তার চরমোনাইর বাড়িতে যায় পরিবর্তন পত্রিকার একটি টিম। নাম ও পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয় দুই বাসিন্দা জানিয়েছেন মাস কয়েক আগেও মাসুমকে নিজ বাড়ি ও এলাকায় দেখেছেন তারা। তারা বলেছেন মাঝে মধ্যে হলেও বাড়িতে যাতায়াত রয়েছে মাসুমের।
এ দিকে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দলিল লেখক রিয়াজের সাথে কাজ করার আগে বিএনপি নেতা সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল হক আক্কাসের সহকারী হিসাবে কাজ করেছেন মাসুম। এছাড়া স্থানীয় বিএনপির বড় নেতাও ছিলেন সে। পরে লঞ্চেও কাজ করেছেন তিনি। স্থানীয়রা আরো জানান মাসুম খুব বুদ্ধিমান ও বেপরোয়া স্বভাবের ছিলো। তার দ্বারা হত্যাকান্ড সংগঠিত করা অস্বাভাবিক নয় বলেও মন্তব্য করেন অনেকের।

 

মাসুমকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সগীর বলেন, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলার সব আসামী গ্রেফতার হবে এমন কোন কথা নেই। আর মামলার কার্যক্রম থেমে যায় তাও না। আমরা খুব সর্তক ও স্বতন্ত্র থেকে মামলার তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

 

এ বিষয়ে পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহবুদ্দিন খান বলেন, আমি মামলাটির উপর দৃষ্টি রাখছি। যেহেতু মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করতে করনীয় সব কিছু করা হবে।

মাত্র পাঁচশত টাকার জন্য চিকিৎসা পায়নি কিশোর মৎস শ্রমিক ইয়ামুন মুন্না। ঘটনাটি গতকাল বরিশাল সদর হাসপাতালের চিত্র।

সূত্রে জানা যায়, নগরীর পলাশপুর ৭নং এম হোসন গলির সিরাজ হাওলাদারের ছেলে কিশোর মুন্না পোর্ট রোডে বিভিন্ন মৎস আড়তে নিয়মিত শ্রমিকের কাজ করে। গতকাল বুধবার সকালে কাজ করার সময় অসাবধানবশত তার শরীরের পেটের বামপাশে একটি মাছের কাঁটা ঢুকে যায়। অনেক চেষ্টা করেও মুন্না’র পেটের কাঁটা বের করা সম্ভব হয়নি। একপর্যায়ে কাঁটাটির একমাথা ভেঙ্গে তার পেটের ভিতর থেকে যায়। পরে কাঁটার ব্যাথায় অবস্থা গুরুতর হলে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় তাকে বরিশাল সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে কর্তব্যরত ব্রাদার চঞ্চল জানায়, পাঁচ শত টাকা না হলে কাঁটা উঠানো সম্ভব নয়। মৎস্য শ্রমিক মুন্না জানায় তার কাছে কোন টাকা পয়সা নেই। এতে ব্রাদার চঞ্চল তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যেতে বলে। আমি গরীব, টাকা পয়সা নাই তাই সরকারি হাসপাতালে এসেছি বলে অনুরোধ করার পরও মন গলেনি ব্রাদার চঞ্চল’র। ব্রাদার চঞ্চল পুনরায় তাকে চলে যাওয়ার হুমকি দিতে থাকে।

তখন অসহায় দরিদ্র মৎস শ্রমিক কিশোর মুন্না কাঁটার ব্যাথায় কাঁদতে থাকলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি ব্রাদার চঞ্চলকে চিকিৎসার জন্য টাকার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনাদের এতো মায়া লাগলে টাকা আপনারা দেন। এখানে টাকা ছাড়া তার কাঁটা উঠানো সম্ভব নয়।

এদিকে পুরো ঘটনাটি স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী তার মুঠোফোনে ভিডিও ধারন করেন।

ব্রাদার চঞ্চল’র এহেন সেচ্ছাচারিতা বরিশাল সদর হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। পরে কিশোর মুন্নাকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পেটের ভিতর ঢুকে যাওয়া মাছের কাটাটি বিনামূল্যে উঠিয়ে দেন।

পিরোজপুরে নির্মানাধীন ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুতে (বেকুটিয়া সেতু) কর্মরত প্রধান টেকনিশিয়ান চীনা নাগরিক মি. লাওফা (৫৮) দুর্বৃত্তদের ছুিরকাঘাতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার বেকুটিয়া সেতু সংলগ্ন কুমিরমারা এলাকায় তার উপর হামলা করে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। তাকে আহত অবস্থায় পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে রাত পোনে ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নিজাম উদ্দিন চায়না নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

পিরোজপুরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল এবং ঘটনাস্থলে গিয়েছে। হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান চলছে।এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ বাংলাদেশী শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।

পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন জানান, ঘটনার সময় মি. লাওফা নির্মানাধীন সেতু সংলগ্ন চায়না কর্মকর্তাদের আবাসিক ব্যারাক থেকে শ্রমিকদের টাকা দেওয়ার জন্য বাই সাইকেলে করে সেতুর কাজের স্থলে যাচ্ছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।

বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) মাদক বিরোধী অভিযানে ইয়াবাসহ এক ব্যবসায়ী আটক হয়েছে।

গতকাল ৭ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত মেইল বার্তায়।

সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ পরির্দশক (এস আই) দেলোয়ার হোসেন ও এস আই নজরুল ইসলাম।

এয়ারপোর্ট থানাধীন ২৮নং ওয়ার্ডস্থ নথুল্লাবাদ বাস ষ্টান্ড ”আলম ওয়ার্কশপ” এর সামনে পাঁকা রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করা হয় ।

এ সময় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ নথুল্লাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিজানুর রহমানেক সন্দেহ হলে পরে তার দেহ তল্লাশী করে ৬শত পিচ ইয়াবাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

 

মাদক ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান (৪৫) ,ঝালকাঠি জেলার কীর্তিপাশা ইউনিয়নের তারপাশা গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী হাওলাদারের পুত্র সে। এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের রূনসী গ্রামে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে চার শিশুকে আটক করেছে পুলিশ। গত রবিবার বিকেলে সংঘটিত এই ঘটনায় মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবার) রাতে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

আটক ৪ শিশুকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার (০৭ অক্টোবার) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করে পুলিশ। বিচারক মো. এনায়েতুল্লাহ তাদের (৪ শিশু) যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরনের নির্দেশ দেন বলে জানান আদালতের জিআরও এসআই মো. রাশেদুল।

মামলার বাদী জানান, খেলার কথা বলে গত রবিবার বিকেলে ওই ৪ শিশু তার শিশু কন্যাকে ডেকে বাড়ি সংলগ্ন বাগানে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। পরদিন সোমবার রাতে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানতে পারেন অভিভাবকরা। পরদিন মঙ্গলবার সকালে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তারা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শিশুটিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ইসরাত জেরিন জুঁই জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থা এবং ঘটনার বর্ননা শুনে ধর্ষণের সন্দেহ হয়। পরে তাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন।

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম জানান, আটক ৪ শিশু জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে তাদের মধ্যে একজন ওই শিশুটিকে ধর্ষন করেছে। অপর ৩জন তাকে সহযোগীতা করেছে। এ ঘটনায় বাদীর দায়েরকৃত মামলায় আটক ৪জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের যশোর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

বাকেরগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার জানান, ভিকটিম এবং অভিযুক্ত সবাই শিশু। তাই প্রচলিত আইনে অভিযুক্তদের বিচার হবে।

মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিবেদক : মেহেন্দিগঞ্জ চানপুর ইউনিয়নের পাটনিঘাটা বাজার থেকে ৫পিচ ইয়াবা সহ মিজানুর রহমান সোহাগ (১৯) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ওই যুবকের অতর্কিত হামলায় এস,আই মেহেদী হাসান আহত হয়েছে।

এস,আই মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে জানান, আজ বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাটনিঘাটা বাজারে অভিযান চালিয়ে বেল্লাল হোসেন হাওলাদারের ছেলে সোহাগকে আটক করা হয়।

এসময় সোহাগ এস,আই মেহেদী হাসানকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং সাথে থাকা ইয়াবাগুলি পুকুরে ছুরে মারেন। তখন এস,আই মেহেদী হাসান ও এ,এস,আই অনিমেষ সোহাগকে আটক করে ৫ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করেন।

এবিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আবিদুর রহমান জানান, সোহাগকে ইয়াবা সহ আটক করা হয়েছে। তার হামলায় এস আই মেহেদী হাসান আহত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

অনলাইন ডেস্ক :: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জেলার সুবর্ণচরে নূর জাহান বেগম (৪২) নামে এক গৃহবধূকে চার টুকরো করে কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

 

বুধবার (৭ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের উত্তর জাহাজমারা গ্রামের প্রভিটা ফিডের পেছনের একটি ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত নূর জাহান বেগম উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল বারেকের স্ত্রী।

চরজব্বার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই গৃহবধূর মরদেহের দুই টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তার মাথা আর কোমরের অংশ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই গৃহবধূকে কেটে চার টুকরো করে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার শরীরের বুক ও পায়ের অংশ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নিহতের ছেলে হুমায়ন কবির (২৮) জানান, বুধবার ভোর থেকে তার মা নিখোঁজ ছিল। পরে স্থানীয় এক নারী বিকেলের দিকে ধানক্ষেতের আইলে শামুক খুঁজতে গিয়ে টুকরো টুকরো মরদেহ দেখতে পায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তিনি মরদেহের পাশে শামুকের ব্যাগ দেখে মায়ের মরদেহ শনাক্ত করেন।

ওসি সাহেদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় পানিতে পরে এক বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী রামশীল গ্রামের সঞ্চিত বাড়ৈর এক বছরের মেয়ে হিয়া বাড়ৈ বুধবার সকালে ঘরের সামনের উঠানে খেলতে গিয়ে সবার অজান্তে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায়।

পরে খোঁজাখুঁজি করে পুকুর থেকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৈকত জয়ধর তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে ওই পরিবারসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।