শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় সেখান থেকে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৭ দালালকে আটক করেছেন তারা।

 

 

আজ সোমবার (৫ই অক্টোবর) সকালে দুই ঘন্টাব্যাপি অভিযান চালিয়ে ডিবির এসআই হেলালুজ্জামান এর নেতৃত্বে হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

 

 

আটককৃত দালালরা হলো- নাদিম (৪০), তানজিলা (১৮), সনিয়া (২৪), আসমা (৩২), মনিরুল ইমলাম (৩০), জহিরুল ইসলাম (৩০) ও বাবুল (৪০)।

 

 

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলালুজ্জামান জানিয়েছেন, শের-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ঘিড়ে এসকল দালাল চক্র গড়ে উঠে বিভিন্ন সময়ে গ্রাম-গঞ্জের অসহায় সাধারন মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্ন ডায়েগস্টিক সেন্টারে নিয়ে তাদের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

 

আটককৃত দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নিজ ঘরে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার ৩৩ দিন পর নয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। রোববার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নির্যাতিতা গৃহবধূ (৩৫) বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই দফায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক আসামিকে রোববার বিকেল ৪টায় এবং অপর আসামিকে রাত ১১টায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তারা হলেন- একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহ (৪১)।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হারুন উর রশীদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পুলিশের ৫টি ইউনিট ৭ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

অপরদিকে, ঘটনার পর ভয়ে বাড়িছাড়া নির্যাতিতা গৃহবধূকে সদর উপজেলার মাস্টার পাড়ার তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।

ওসি মো. হারুন উর রশীদ জানান, পুলিশ অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। গ্রেফতার আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা জানান, আমি নিরীহ লোক। সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোনো কথা বলার সাহস পাই না। আমি শুধু আল্লাহর কাছে বিচার চাই।

এ জঘন্য ঘটনার সাথে জড়িতদের রাতের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানান একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম ভুঁইয়া।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে আইনি সহযোগিতা দিতে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে।

সাতক্ষীরার কা‌লিগ‌ঞ্জে সড়কের পাশ থেকে গাছে ঝোলানো বাজারের ব্যাগ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দি‌কে উপ‌জেলার গোলখালী শ্মশানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা নবজাতককে সার্জিক্যাল ক্লি‌নি‌কে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘের মালিক ইসরাইল গাজী, আবদুস সাত্তার ও পঞ্চানন মণ্ডল জানান, গোলখালী বিলে তাদের মাছের ঘের রয়েছে। বিকেলে তারা মৎস্য ঘেরে যাচ্ছিলেন। শ্মশানঘাট থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে পৌঁছলে সড়কের পাশে গাছে বাজারের ব্যাগ ঝুলতে দেখেন। কৌতূহলবশত ভেতরে কী আছে, স্থানীয়দের সেটি দেখতে বলেন। এ সময় তারা বাজারের ব্যাগ খুলে দেখতে পায় সদ্যভূমিষ্ঠ হওয়া এক নবজাতক ছেলেশিশু। এ সময় তারা তড়িঘড়ি করে নবজাতক শিশুকে সদরের সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করেন।ওই ক্লিনিকের ডাক্তার শেখ মাসুদুর রহমান জানান, বর্তমানে শিশুটি সুস্থ র‌য়ে‌ছে। আমরা সব ধরনের চিকিৎসা দিয়েছি।

খবর পেয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন ক্লিনিকে উপস্থিত হয়ে নবজাতক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তিনি ব‌লেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সাংগঠনিক ব্যর্থতা, অসাংগঠনিক কার্যক্রম এবং নানা অনিয়মের অপকর্মের কারণে বিলুপ্ত করা হচ্ছে বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের সুপারফাইভ কমিটি। পাশাপাশি তাদের অধীনস্ত ইউনিট কমিটিগুলোর কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেছেন বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই সাথে আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শনিবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দর সাথে অলনাইনে জুম কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তারেক রহমান এই নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে যুবদলের একাধিক সূত্র।

দলীয় সূত্রে জানাগেছে, ‘সম্প্রতি যুবদলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বরিশাল বিভাগ সফরে আসেন। এসময় উত্তর জেলা যুবদলের অধীনস্ত বিভিন্ন ইউনিট থেকে উত্তর জেলা যুবদলের কার্যক্রম নিয়ে তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিনিধি দল কেন্দ্রে অভিযোগ করেন। এরপর সাংগঠনিক সম্পাদক বাদে শোকজ করা হয় সুপার ফাইভ কমিটির চার নেতাকে।

যুবদলের একাধিক নেতা-কর্মী জানিয়েছেন, ‘২০১৭ সালে মোল্লা মাহফুজকে সভাপতি এবং সলাউদ্দিন পিপলুকে সাধারণ সম্পাদক করে সুপার ফাইভ কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এদেরকে তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন।

কিন্তু উত্তর জেলা যুবদলের কমিটির মেয়াদ দুই বছর পেরিয়ে তিন বছর অতিক্রম করলেও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি সাংগঠনিক কার্যক্রমেও তারা রীতিমত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। তার মধ্যে উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক পিপলুর বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ।

ইতিপূর্বে অর্থাৎ ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই রাতে কুয়াকাটা থেকে ফেরার পথে লেবুখালীতে ৪৫ পিস ইয়াবা এবং এক বোতল মদসহ আটক হয়েছেন পিপলু। এসময় একই মাইক্রোবাস থেকে আটক করা হয় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানকে। ওই ঘটনায় স্থানীয় থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয় এবং পুলিশ ওই দু’জনসহ ছয় জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে।

এর বাইরেও পিপলুর বিরুদ্ধে নিজ দলীয় অর্থাৎ ছাত্রদলের বরিশাল জেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লাভলুকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। পিপলু ছাড়া তার অপর তিন ভাই আওয়ামী রাজনীতির সাথে সরাসরিভাবে সম্পৃক্ত। তাছাড়া সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অপরাধে ২০০৪ সালে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো পিপলুকে। কিন্তু নানা অপকর্মের অনুঘটক পিপলু তার বন্ধু ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজিব আহসানের আশীর্বাদে উত্তর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন।

অপরদিকে কমিটির সভাপতি মোল্লা মাহফুজের বিরুদ্ধে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে নিজ দলের প্রতিপক্ষকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা। অর্থের বিনিময়ে কামিটি বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ। এছাড়া তিনি উত্তর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুস এর ঠিকাদারী কোম্পানির ম্যানেজার হিসেবে ঢাকায় কর্মরত রয়েছেন। এ কারণে তার ঢাকায় থাকতে হয় নিয়মিত।

কমিটির অপর নেতা অর্থাৎ সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট দেওয়ান মনির বরিশালে থাকেন না। তিনি ঢাকায় থেকে আইনপেশার নিয়জিত রয়েছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ দেওয়ান এর বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে মাদক সম্পৃক্ততা ও নেতা-কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণের কারণে শো-কজ করা হয়। যদিও কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহআলম হাওলাদার এর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ খুঁজে পায়নি কেন্দ্রীয় কমিটি। যে কারণে তিনি বিতর্কের ঊর্ধ্বে রয়েছেন।

কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, সারাদেশে যুবদলের কার্যক্রম নিয়ে শনিবার বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। ওই বৈঠকে বরিশাল উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি-সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগুলো উত্থাপন করেন। এসময় তারেক রহমান উত্তর জেলা যুবদলের বিতর্কিত ওই কমিটি বিলুপ্তির নির্দেশ দেন।

এ প্রসঙ্গে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. দুলাল গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে পাঁচ সদস্য’র কমিটি আজ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে পাঠাতে পারেনি। এছাড়াও কমিটির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ রয়েছে। তাই দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ওই কমিটি ভেঙে দিতে বলেছেন।

একই সাথে আগামী ২১ অক্টোবরের মধ্যে উত্তর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পাশাপাশি আপাতত এই কমিটির অধীনস্ত আটটি ইউনিট কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেছেন। ভাইস চেয়ারম্যানের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় কমিটি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় ওই নেতা।

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণ করে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করেছে স্থানীয় বখাটে একদল যুবক। এখানেই শেষ নয়, শেষে নির্যাতিতা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে তার ভিডিও চিত্র ধারণ করে।

রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ঘটনার ৩২দিন পর গৃহবধূকে নির্যাতনের ঐ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ পেলে ইতিমধ্যে তা ভাইরাল হয়ে গেলে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। ঘটনার পর থেকে গত ৩২ দিন অভিযুক্ত স্থানীয় দেলোয়ার, বাদল, কালাম ও তাদের সহযোগীরা গণধর্ষিতা গৃহবধূর পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখলে, পুরো ঘটনা থেকে যায় স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে।
বর্তমানে নির্যাতিতা ওই পরিবারের বসত ঘরে তালা ঝুলছে,ভুক্তভোগি পরিবার নিখোঁজ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ রোববার বিকেল ৪টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযুক্ত এক যুবককে আটক করে। আটককৃত, আব্দুর রহীম (২৭) একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের হাড়িধন বাড়ির বাসিন্দা।
স্থানীয়রা বলছে, গত মাসের (২ সেপ্টেম্বর) উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। ভয়ে গণধর্ষিতার পরিবার এ নিয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করে। তাই ঘটনার ৩২ দিন অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগি পরিবার এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি।

বেগমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হারুন উর রশীদ জানান, পুলিশ বতর্মানে ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমের ঘরে তালা ঝুলছে, ওই গৃহবধূকে তার বসত ঘরে পাওয়া যায়নি। ভিকটিমকে পাওয়া গেলে জানা যাবে এটি গণধর্ষণ না নির্যাতনের ঘটনা।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন জানান, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে উদ্ধারে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : যৌতুক দাবিতে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে কাশিপুর হাইস্কুল ও কলেজের লাইব্রেরীয়ান বহু অপকর্মের হোতা আহসান সম্প্রতি হাজতবাস হলেও নিয়মানুযায়ী এখনো বরখাস্ত করেনি কর্তৃপক্ষ। রয়েছে বহাল তবিয়তে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীরা ভেতরে ভেতওে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে,একদিকে মানষিক রোগের বিষয়টি গোপন রেখে লাইব্রেরীয়ান পদে নিয়োগ নেওয়া অন্যদিকে যৌতুক দাবিতে হাজত বাস করা কর্মচারি এখনো প্রতিষ্ঠানে থাকে কি করে?। গনকর্মচারী অধ্যাদেশ-১৯৮৫ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি সাজাপ্রাপ্ত বা হাজতবাস করলে তাকে স্থায়ী ভাবে বহিস্কার করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কাশিপুর স্কুল কর্তৃপক্ষ চলছেন আইনের উর্ধে।
তথ্য সূত্রে জানা যায়, ৫লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখ বরিশার নগরীর কাশিপুর হাইস্কুল ও কলেজ’র লাইব্রেরীয়ান আহসান হাবিবকে এক বছরের কারাদন্ড দেয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গনকর্মচারী অধ্যাদেশ-১৯৮৫ আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারি সাজাপ্রাপ্ত বা হাজতবাস করলে তাকে দ্রæততম সময়ের মধ্যে স্থায়ী বরখাস্ত/বহিস্কার করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। খোজ নিয়ে জানা গেছে ওই লাইব্রেরীয়ানকে এখনো বহিস্কার করা হয়নি। এদিকে এই লাইব্রেরীয়ান’র মানষিক রোগ আছে বলে তথ্য মিলেছে। এ বিষয়টি ২০১৬ সালে নিয়োগের সময় গোপন রেখে ছিলেন। লাইব্রেরীয়ান আহসান হাবিব শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের মানষিক চিকিৎসক ডা:স্বপন কুমার দাসের কাছে চিকিৎসা নিতেন। ওই ডাক্তারের একটি পেসক্রিপশন হাতে পেয়ে এ প্রতিবেদক নিশ্চিত হন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, মানষিক সমস্যায় থাকা আহসান হাবিব’র উৎভট আচার আচরনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হতো নারী শিক্ষিকাদের। এ নিয়ে অধ্যক্ষ মামুন অর রশিদ একাদিকবার সমোঝতা বৈঠক করেছেন। তাই এধরনের লাইব্রেরীয়ানকে বরখাস্ত না করার কারনে নানান কথা উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে লাইব্রেরিয়ান আহসান হাবিব জানান,কর্তৃপক্ষ কি করবেন সেটা তাদের বিষয়। আমার কিছু বলার নেই।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরগুনায় করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরন করেছে ডিসএবল ডেভেলপমেন্ট এন্ড এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন (ডিডিইএফ)। গেøাবাল গিভিং এর সহযোগিতায় শনিবার(০৩.১০.২০২০) বিকাল ৪টায় জেলার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুরস্থ নিজস্ব কার্যালয় প্রাঙ্গনে সুবিধা নিতে আসা প্রায় ৬শত হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের চাল-ডাল-তেল-সাবান-আটাসহ ৭ আইটেমের খাদ্য পণ্য, হুইল চেয়ার,সেলাই মেশিন ও স¦াস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক বিতরন করা হয়। ডিডিইএফ এর নির্বাহি পরিচালক ড.রেজাউল কবির’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন,বিশেষ অতিথি ছিলেন,বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর জমাদ্দার,রায়হানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান,ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদ মুরাদ,ডিডিইএফ’র উপ-পরিচালক মাসুম বিল্লাহ,ম্যানেজার স্বপন জমাদ্দার প্রমূখ। উল্লেখ্য,দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের প্রতি এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ডিডিইএফ কর্তৃপক্ষ।

বরগুনায় করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরন করেছে ডিডিইএফ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বরগুনায় করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরন করেছে ডিসএবল ডেভেলপমেন্ট এন্ড এডুকেশনাল ফাউন্ডেশন (ডিডিইএফ)। গেøাবাল গিভিং এর সহযোগিতায় শনিবার(০৩.১০.২০২০) বিকাল ৪টায় জেলার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুরস্থ নিজস্ব কার্যালয় প্রাঙ্গনে সুবিধা নিতে আসা প্রায় ৬শত হতদরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের চাল-ডাল-তেল-সাবান-আটাসহ ৭ আইটেমের খাদ্য পণ্য, হুইল চেয়ার,সেলাই মেশিন ও স¦াস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাস্ক বিতরন করা হয়। ডিডিইএফ এর নির্বাহি পরিচালক ড.রেজাউল কবির’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন,বিশেষ অতিথি ছিলেন,বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর জমাদ্দার,রায়হানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান,ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদ মুরাদ,ডিডিইএফ’র উপ-পরিচালক মাসুম বিল্লাহ,ম্যানেজার স্বপন জমাদ্দার প্রমূখ। উল্লেখ্য,দরিদ্র ও প্রতিবন্ধীদের প্রতি এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ডিডিইএফ কর্তৃপক্ষ।

বরিশাল সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ভুয়া বিলে সরকারি টাকা আত্তসাতের অভিযোগ।

লিটন বাইজিদঃ বরিশাল সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নকল নবীশদের নামে ভুয়া বিল তৈরি করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে অফিসের নকল নবিশ আসাদ সহ কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানান জেলা রেজিস্ট্রার পথিক কুমার সাহা।

সরকারের টাকা আত্মসাতের মাধ্যেমে অনেকে যেমন আগুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে, তেমনি নকল নবীশরা চাকুরী হাড়াতে বসেছে। দফায় দফায় নকল নবীশদের নিয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের রুমে চলছে বৈঠক। তবে বরিশাল সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অনিয়মের ব্যাপারে সোচ্চার অফিসের কর্মকর্তারা।

নকল নবীশদের নামে ভুয়া বিলের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নকল নবীশরা তারা বলেন, আমাদের নামে ভুয়া বিল করে বছরের পর বছর লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে অফিসের কিছু দুর্নীতিবাজরা। তারা বলেন, আমাদের নামে ভুয়া বিল হয় আমরা জানিনা। যখন এমন নকল নবীশদের নামে ভুয়া বিলের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছি তখন সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পূর্বের বছরগুলোর বিলের কাগজ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি জেলা রেজিস্ট্রার স্যারকে।

অনিয়মের অভিযুক্ত নকল নবীশ আসাদ হোসেন (সোহেল) পলাতক। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার বাবাও সাংবাদিকদের সামনে কোন কথা বলেননি।

পেশকার শাহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি অফিস করেন। তিনি বলেন, আমার কোনো বিল বা কাগজে স্বাক্ষর নেই। আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা।সকল অনিয়মের অভিযোগ মানতে নারাজ পেশকার শাহিন।

জেলা রেজিস্ট্রার পথিক কুমার সাহা বলেন, আমরা দ্রুত তদন্ত কমিটি করেছি। দুর্নীতির সাথে জরিতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।

 

অনলাইন ডেস্ক :: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা মহামারি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের জন্য আত্মত্যাগ করলেও অন্য কোনো দল মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে শুধু সমালোচনা করছে।’

শনিবার (৩ অক্টোবর) গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। সভায় দলের নেতাদেরও বিভিন্ন সাংগঠনিক নির্দেশনাও দেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাংগঠনিক শক্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে বড়। আওয়ামী লীগের এই তৃণমূল পর্যায়ের সাংগঠনিক শক্তি যে আছে, এই মহামারি মোকাবিলার সময় তারা যখন মাঠে নেমেছে, তখনই সেটা প্রমাণিত হয়েছে। আজকে যে কারণে আমার প্রায় ৫২২ জন নেতাকর্মী মৃত্যুবরণ করেছে। এই যে এত বড় স্যাকরিফাইস (ত্যাগ) আর কোনো দল তো বোধহয় করেনি। তারা লিপ সার্ভিস দিয়েছে।’

সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে তো এখন ভালো ভালো মিডিয়া আছে। আমি তো প্রাইভেটে টেলিভিশন দিয়েছি, প্রাইভেটে রেডিও দিয়েছি, অনেক পত্রিকা। যে যার মতো আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে বলেই যাচ্ছে। তাদের কিন্তু মাঠে মানুষের পাশে দেখা যায়নি। তারা কেউ আবার বিচার করে আওয়ামী লীগের… কতটুকু করল আর কতটুকু করল না। কিন্তু তারা নিজের আয়না দিয়ে চেহারা দেখে না।’

‘এই দুঃসময়ে মানুষের পাশে শুধু আওয়ামী লীগই আছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন। আওয়ামী লীগ জনগণের স্বার্থে কাজ করে। এই বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নতির জন্যই জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। সেই স্বাধীনতার সুফলটা যেন প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছায়, আমরা যেন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারি, জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারি, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

এ সঙ্কটকালে সাংগঠনিক কার্যক্রমও চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।

‘আমি মনে করি খুব বেশি যাতায়াত না করলেও সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলো আমাদের একটু অব্যাহত রাখতে হবে। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের হয়তো সম্মেলন হয়েছে, কিন্তু করোনার কারণে আর আমরা কমিটিও করতে পারিনি বা কারও খোঁজও নিতে পারিনি। আমার মনে হয় এখন ধীরে ধীরে আমরা এগুলো করতে পারব।’

কেন্দ্রীয় নেতাদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।

দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। সেটা এবারও এই করোনা মহামারির সময়েও প্রমাণ হয়েছে। জনগণের আস্থা, বিশ্বাসটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র সম্বল। সেটাই আমাদের শক্তি।’

আওয়ামী লীগের কাজের বিপরীতে বিএনপি-জামায়াত জোটের ‘অগ্নিসন্ত্রাসের’ কথাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘তাদের ওই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ আমরা দেখেছি। সেগুলো আমরা মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। সবাইকে আমরা সহযোগিতা করেছি। যারা ক্ষতিগ্রস্ত আমরা এখনও তাদের খোঁজ নিচ্ছি। যেখানে যতটুকু পারি, তাদের সাহায্য আমরা করে যাচ্ছি’।

বরিশালের বানারীপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে শ্বশুর ও স্বামীর বিরুদ্ধে গৃহবধুর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল ৯টার দিকে বানারীপাড়া পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ডে দুলাল বালীর বাসার সামনের রাস্তায় প্রকাশ্যে এ বর্বর ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় গৃহবধু হ্যাপীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের হাওড়াবাড়ি এলাকার হাসান বালীর ছেলে ধান ব্যবসায়ী রাসেল’র সঙ্গে একই এলাকার আ. রাজ্জাক হাওলাদারের মেয়ে হ্যাপীর ১০ বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রিমি (৯) ও রাতুল (সাড়ে ৩) নামের দু’টি সন্তান রয়েছে।

আহত হ্যাপীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিন লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে হ্যাপীকে দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলো রাসেল। স্বামীর যৌতুকের চাহিদা মেটাতে হ্যাপী তার স্বর্নালঙ্কার বন্ধক রেখে ৩৬ হাজার টাকা দিলেও বাকী টাকার জন্য তার ওপর নির্যাতন অব্যাহত থাকে।

হ্যাপী জরায়ু সমস্যার কারনে চিকিৎসা করানোর জন্য স্বামী রাসেলকে বার বার অনুরোধ করার পরে ২ অক্টোবর শুক্রবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে শুধু আলট্রাসনোগ্রাম করিয়ে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন রাতে অসহ্য যন্ত্রনায় কাতর হ্যাপী উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বামীকে অনুরোধ করার পরেও সে চিকিৎসা করাতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ সময় বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে চিকিৎসা করাতে বলায় এ নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। ৩ অক্টোবর শনিবার সকালে অসুস্থ হ্যাপী শিশু সন্তান রাতুলকে নিয়ে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেল ও তার পিতা হাসান বালী হ্যাপীর পিছু নেয়।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বানারীপাড়া পৌর শহরের হাইস্কুল সংলগ্ন দুলাল বালীর বাড়ির সামনের রাস্তায় রিক্সার গতিরোধ করে তারা হ্যাপীকে টেনেহিচড়ে নামিয়ে বেদম মারধর করে এবং একপর্যায়ে শ্বশুর হাসান বালী জাপটে ধরে রাখে এবং স্বামী রাসেল ধারালো চাকু দিয়ে তার বাম পায়ের রগ কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।

এসময় হ্যাপী ও তার শিশু পুত্রের আর্তচিৎকারে পথচারিরা জড়ো হলে তারা দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।

এদিকে অভিযুক্ত রাসেল দাবি করেন তার স্ত্রী একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত। শনিবার সকালে ব্যাগ ভর্তি কাপড়চোপড় নিয়ে হ্যাপী বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে তাকে ছেড়ে অন্য পুরুষের সঙ্গে যাতে সুখের ঘর বাঁধতে না পারে সেজন্য পঙ্গু করার লক্ষে পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে।

যৌতুকের কথা অস্বীকার করে পরকীয়ার বিষয়টি সামনে এনে তার বাবা নয় সে একাই ধারালো চাকু দিয়ে স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার কথা অকপটে স্বীকার করেন স্বামী রাসেল বালী।