ভোল‍া প্রতিনিধি ‍॥ ভোলায় দুই কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে ইলিশা তদন্ত পুলিশের একটি টিম। সোমবার দুপুর দেড়টায় সদর উপজেলা ইলিশালঞ্চঘাট ও ইলিশা বাজার থেকে পুলিশের একটি বিশেষ অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃত দুই মাদক ব্যবসায়ি হলেন, ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের গুপ্তমুন্সি গ্রামের শফিকুল ইসলাম মাষ্টারের ছেলে মো. ইয়াসিন আরাফাত ও চাঁদপুর উপজেলা হাইমচর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলগী গ্রামের আব্দুল কাদের মিঝির ছেলে মো. জুয়েল মিঝি।

এরমধ্যে ইয়াছিন আরাফাতের কাছ থেকে দৈনিক ভোলা দর্পণ নামে একটি পত্রিকার মেয়াদোত্তীর্ণ একটি সাংবাদিক কার্ড জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় মাদক অভিযানে যাওয়া ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সুজন মাঝিসহ পুলিশের দুই সদস্য গুরুতর আহত হন।

ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শেখ ফরিদ উদ্দিন জানান, বেলা ১২টার দিকে ইলিশালঞ্চঘাট থেকে জুয়েল মিঝিকে দুই কেজি গাঁজাসহ আটক করা হয়। আটকের পর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় ওই গাঁজা সে ইয়াছিন আরাফাতের কাছে হস্তান্তর করবে। পরে পুলিশের টিমটি সাদা পোশাকে জুয়েলকে নিয়ে ইয়াছিনের ঠিকানায় যায়। পরে ইয়াছিন জুয়েলের কাছ থেকে গাঁজার ব্যাগটি হাতে নিয়ে চলে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকেও আটক করে।

পুলিশ আরও জানায়, জুয়েল প্রায়ই ইয়াছিনের কাছে মাদকদ্রব্য সরবরাহ করতো এমনটি জুয়েল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

আহত দুই পুলিশ সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আটককৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দাবিকৃত যৌতুকের টাকা ও স্বর্ন লংঙ্কা না পেয়ে ঝালকাঠির মেয়ে এক সন্তানের জননী সুমাইয়া আফরিনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করার জন্যই ঢাকায় নিয়েছিলেন তার স্বামী ওমর ফারুক।

এমনই একটি অভিযোগ দায়ের করে থানায় মামলা করেছেন নিহত সুমাইয়ার বাবা মনিরুজ্জামান তালুকদার। সেই মামলায় আসামী করা হয়েছে তার স্বামী ওমর ফারুক ও শ্বাশুরী,শ্বশুরসহ আরো দুই জনকে। মামলায় নিহতর বাবা উল্লেখ করেন, ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ঝালকাঠির খাগুটিয়া গ্রামের মনিরুজ্জামান তালুকদারের মেয়ে সুমাইয়া আফরিন (১৯) এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়েছিলো ঝালকাঠির সুগন্ধিয়া গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক এর সাথে।

বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী ওমর ফারুক যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় সুমাইয়াকে শারীলিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করতেন। স্বামী ও শ্বাশুরীর নির্যাতন সইতে না পেয়ে প্রায় সময় তার মেয়ে শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে আসতেন। পরে তাকে বুঝিয়ে কয়েকবার পূর্নরায় তার শ্বশুর বাড়িতে দিয়েও এসেছিলেন তিনি।

নিহতর বাবা মনিরুজ্জামান আরো বলেন, সুমাইয়ার জামাই ওমর ফারুক ঢাকার সদর ঘাটে কাপুড়ের ব্যবসা করার সুবাদে সুমাইয়াকে পরিকল্পনা ভাবে মারা জন্য মৃত্যুর ১৯ দিন পূর্বে যাত্রাবাড়ী থানাধীন ৭৬/১/এ/৪, উত্তর যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসা রোড, ইয়াছিন হাওলাদারের ৪র্থ তলা বাড়ীর ৪র্থ তলায় বাসায় ভাড়া উঠেন ৬ মাসের সন্তানকে নিয়ে সুমাইয়-ওমর ফারুক দম্পতি।

তবে স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়েও প্রায় দিনই যৌতুকের টাকা ও সন্তানকে স্বর্ণের চেইন না দেওয়ার কারনে স্ত্রী সুমাইয়াকে মানষিকভাবে অত্যাচার করতেন স্বামী ওমর ফারুক। এমনকি সুমাইয়া মারা যাওয়ার আগের দিনও তার স্বামী তাকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে সুমাইয়া তার মাকে ফোন করে জানিয়েছিলেন বলে সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন নিহতর বাবা মনিরুজ্জামান। গত ১৩/০১/২০২২ তারিখ অনুমান রাত ১১ টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ করে সুমাইয়ার মাকে ফোন করেন ওমর ফারুক। ফোন করে তাদের জানানো হয় আপনার মেয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

আমি তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি। আপনারা এখনই ঢাকায় আসেন। আপনার মেয়ের অবস্থা বেশি একটা ভালো না। পরবর্তীতে আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় এসে তাদের ভাড়া বাসায় গিয়ে জানতে পারি আমার মেয়ে সুমাইয়া ও তার স্বামী ওমর ফারুকের সাথে সাংসারিক কলহে তর্ক নিয়ে প্রতিদিনই তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হতো বলে নিহতর পরিবারকে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রতিবেশিরা।

এবং কি মারা যাওয়ার দিনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। সেই জের ধরে সুমাইয়া তার ওড়না দিয়ে ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়েছে আত্মহত্যা করেছে বলে জানান স্বামী ওমর ফারুক।

পরে পাশ্ববর্তী রুমের লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে ভর্তি করে আইসিইউতে রেফার করেন। পরে ১৪/১/২০২২ তারিখ সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে চিকিৎস্বাধীন অবস্থায় সুমাইয়ার মৃত্যু হয়। তবে সুমাইয়ার পরিবারের দাবি তার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। সুমাইয়াকে হত্যা করার জন্যই তার স্বামী ওমর ফারুক পরিকল্পিত ভাবেই স্ত্রীকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছেন।

সুমাইয়ার মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহ হলে তারা বাবা মনিরুজ্জামান তালুকদার বাদী হয়ে ১৫/০১/২০২২ তারিখ ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানায় ৩০৬/৩৪ ধারায় স্বামী ওমর ফারুক সহ ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২৪৩(৭)/১। মামলা দায়ের পরে অভিযুক্ত ১ নং আসামী ওমর ফারুককে যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ আটক করে আদালতে প্রেরন করেন। এবিষয়ে অভিযুক্ত ওমর ফারুকের বড় ভাই ফোরকান বলেন, যৌতুকের জন্য তাকে শারীলিক অথবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি।

এবং কি তাকে হত্যাও করা হয়নি। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের কারনে আত্মহত্যা করেছে বলে তাদের দাবি। তিনি আরো বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের রির্পোটে যদি আসে আমার ভাই তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। তাহলে আদালত যে বিচার করবে সেটাই আমরা মেনে নিবো। কিন্তু তার আগে আমার ভাইকে আপরাদী বলা যায় না।

এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকতা (সাব-ইন্সপেক্টর) মাহমুদা রহমান বলেন, হত্যার অভিযোগ এনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার ১ নং আসামীকে আটক করে আদালতে প্রেরন করেছি। এবং কি আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। মামলার বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টাও চলছে।

 

বরগুনার পাথরঘাটার গহরপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় আরো দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এই ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনার দিন আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বরিশালের চরমোনাই এলাকার সুজন, একই জেলার চন্দ্রমোহন গ্রামের মাছুম ও পাথরঘাটা উপজেলার বড়ইতলা গ্রামের মিজান। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সাংবাদিকদের সামনে গ্রেপ্তারদের আনুষ্ঠানিকভাবে হাজির করে পুলিশ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল আহমেদ, পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার এবং পাথরঘাটার গণমাধ্যমকর্মীরা।

বরগুনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল আহমেদ জানান, গত ১৫ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৩টার দিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামের খান বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওইসময় সুজন (২৮) নামের সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দলের ১ সদস্যকে তখন আটক করতে সক্ষম হয়। ওই ডাকাত সদস্য জানায় তার বাড়ি রাজাপুর উপজেলার চারাপাড়া এলাকায়। পরে পুলিশ অভিযুক্ত সুজনের দেয়া তথ্যসহ নানাভাবে তদন্ত করে আরও ২ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। ডাকাতির ঘটনায় গুরুতর আহত হন সোহেল ও তার বড় ভাই রাসেল।

 

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন-উল-আহসান ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্যের নিশ্চিত করেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে উদ্বোধন এই সম্মেলনের করবেন। পরবর্তী সেশনগুলো ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি জানিয়েছেন, শুধু বরিশাল ও পটুয়াখালী নন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার করোনা আক্রান্ত। এছাড়া কক্সবাজার, রাজশাহী, লক্ষ্মীপুর, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

 

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ ব্যবসায়ীক সংগঠন বরিশাল ফেব্রিকেটরস কল্যান সমিতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তরুন ব্যবসায়ী মাহিদ অাকন।গত ১৪ জানুয়ারি প্রধান শুক্রবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে জমা দেন।আগামী (২০শে জানুয়ারি) বরিশাল জেলা ফেব্রিকেটরস কল্যাণ সমিতির নির্বাচন ২০২২ ইং প্রচার সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। মাহিদ অাকন জানান,আমাদের এই সংগঠনটি বরিশাল জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সদস্যদের নিয়ে গঠিত । আমার সহকর্মী ও ব্যবসায়ী ভাইয়েরা আমাকে প্রার্থী হওয়ার অনুরোধ করেছেন তাই আমি এই সংগঠনকে শক্তিশালী ও বেগবান করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব এবং আমার সকল সহকর্মী ভাইদের সুখে-দুখে পাশে থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করব। তাই আমি সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।মাহিদ অাকনের মনোনয়নপত্র জমা দানের সময় ফেব্রিকেটরসের অনেক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠি এলাকায় জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সদস্যসহ ৫ জুয়ারিকে আটক করেছে রাজাপুর থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে আটককৃতদের সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে শনিবার সকালে ঝালকাঠি জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেন।

আটকরা হলেন- উপজেলার বামনখান এলাকার জগবন্দু হালদারের ছেলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত কনেষ্টবল পুলক হালদার (৪৬), বাগড়ী এলাকার মৃত. শামসুল সিকদারের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫), রোলা এলাকার আ: রশিদ খানের ছেলে আ: সালাম খান (৫৫), সাংগর গ্রামের মৃত. নুরুল হক মৃধার ছেলে বাবুল মৃধা (৫৯) ও সাতুরিয়া এলাকার আ: সোবাহান এর ছেলে পলাশ হাওলাদার (২৫)। অভিযানের সময় এক আওয়ামী লীগের নেতাসহ চারজন পালিয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানায়, নৈকাঠি এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে এখানে মাদক ও জুয়ার আসর বসায়। দেখলে মনে হচ্ছে এ যেন এক মাদক, জুয়ার রমরমা বাজার।

নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শুক্তাগড় ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান পুত্র তারেক শাহিন মৃধা লোকজন নিয়ে প্রায়ই এ এলাকায় জুয়ার আসর বসান। গতকাল পুলিশের অভিযানের সময় তিনিও খেলতে ছিলেন কিন্তু ভাগ্যক্রমে পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় রাজাপুর থানা পুলিশের একটি দল উপজেলার নৈকাঠি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই এলাকার পলাতক আসামী আবুল কালাম মোল্লার বসতঘরে জুয়া খেলারত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে ৫ জুয়ারিকে আটক করা হয়। আটকদের নামে মামলা রুজু করে ঝালকাঠি জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ নগরীর বাজার রোড সাগর গলির এক অসহায় পরিবারের সন্তান রাকিব হোসেন সাকিব।পরিবারটি অসহায় হওয়ায় এক সময় রাকিবের শিক্ষা জীবন বন্ধ হয়ে যাওয়া পথে চলে যায়।এসময় রাকিবের পিতা সাইদ মিয়া দিশাহারা হয়ে পরে।উপায় অন্ত না পয়ে দ্বারস্হ হন বরিশাল সিটি করর্পোশনের জনপ্রিয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক অাবদুল্লাহর কাছে।মেয়র সাদিক অাবদল্লাহ অসহায় পিতা সাইদ মিয়ার কথা শুনে তার ছেলে রাকিব হোসেন সাকিবের সকল শিক্ষাকার্যক্রমে ভার গ্রহন করেন মেয়র।ছেলে রাকিবের শিক্ষাকার্যক্রম শেষে বরিশাল সিটি করর্পোশনের গত মাসে চাকরিও প্রদান করেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।গত জুমা বাদ স্ব-রোড বায়তুল্লাহ জামে মসজিদে মেয়র ও তারা পরিবারের জন্য দোয়ার ব্যবস্থা করে সাইদ মিয়া। দোয়া উপস্হিত ৮নং ওয়ার্ড অাওয়ামীলিগে সাধারন সম্পাদক তারিকুল ইসলাম মাইনুল সহ ওয়ার্ড অাওয়ামীলিগে নেতৃবৃন্দ।

 

বরিশাল নগরীর অন্যতম নিরাপত্তা জোন আমতলা মোড় বলে থাকে নগরবাসী। আর এই নিরাপত্তা জোনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে রমরমা ইয়াবার ব্যবসা পরিচারণা করছে কে এই মেহেদী। নিজেকে সরকার দলের লেভাজ লাগিয়ে অনেকটা বীরত্বের সাথে ডিজিটাল পদ্ধতিতে তার এই মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আমতলার মোড় তোরাব আলী খান সড়কের ফকরুল আলমের ছেলে মেহেদী। ছোট বেলা থেকে বেপরায় জীবন জাপন করতে অভ্যস্ত মেহেদী। এক সময় মাদক সেবনে জড়িয়ে পরেন এখন নিজেই মাদক ব্যবসার বড় একটি মাদক সেন্টিগেট গড়ে তুলেছেন।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তার এই মাদকের রমরমা ডিজিটাল হাট। নাহিদ অনেকটাই চালাক চতুর হওয়ায় মোবাইল ডিবাইজের মাধ্যেমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মাদক বিক্রি করায় অনেকই বুঝতে পারছে না সে কি করছে।গত এক বছর যাবৎ পুলিশ প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার এই ডিজিটাল পদ্ধতির ইয়াবা বানিজ্যে। মরনব্যধি ট্যাবলেট ইয়াবা ওই এলাকায় অনেকটা সহজ লাভ্য হওয়ায় এই এলাকা সহ আসে পাশের এলাকার স্কুল- কলেজ ছাএ ছাএীরা সহ অনেকই এ মাদকে ঝুকে পড়ছে।এবং ক্রমশই ওই এলাকায় মাদকাসক্ত মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এলাকাবাসি মনে করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যলয়ে থাকায় নিরাপত্তার চাদের থাকে এই সুযোটাই নিচ্ছে এ মাদক ব্যবসীয়ি।যাতে এলাকাবাসি ও প্রশাসন কিছু না বুঝতে পারে।মেহেদী এর আগেও বরিশাল ডিবি পুলিসের কাছে ইয়াবা সহ আটক হয়ে ছিল।এলাকাবাসির দাবী অচিরেই এ মাদক ব্যবসায়ী বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্হা নেবে প্রশাসন।

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ নগরীর ১০নং ওয়ার্ড মুক্তিযোদ্ধা পার্ক ও বরফকল এলাকায় এলিট ফোর্স র‍্যাব ও বাংলাদেশ কোষ্টগার্ডের সোর্স পরিচয় দিয়ে চাদাঁ তুলছে কে এই ফাহিম।অভিযোগে সূত্রে জানাযায়,চানমারী স্টুডিয়াম গের্ট সংলগ্ন পশুপাখি ব্যবসায়ী ফারুক মিয়ার ছেলে ফাহিম।ছোট থেকেই বখাটে ও উশৃংখল জীবন জাপনে অভ্যস্থ এরই মধ্যে এলাকায় গড়ে তুলেছে নিজেস্ব কিশোর গং বহিনী।বর্তমানে এলিট ফোর্স (র‍্যাব) বাংলাদেশ কোষ্টগার্ডের সোর্স পরিচয় দিয়ে করছে মাদক ব্যবসা,অবৈধ ঝাটকা ইলিশ গাড়ি থেকে দুই বাহিনির নাম করে চাঁদা আদায়,এলাকার নিরীহ মানুষকে ভয়ভিতী দেখিয়ে টাকা আধায় করছে দুই বাহিনির সোর্স পরিচয় দানকারী ফাহিম।এরই মধ্যে ফাহিমের সাথে ঝাটকা ইলিশ মাছ পাচারকারীদের মধ্যে কথোপকথনের ১০ রেকর্ড পাওয়া গেছে কোস্টগার্ড ও কালা বাহিনিকে ম্যানেজ করবে তা বলতে শুনা যায়।১০টি কথোপকথন কল রেকর্ড শুনা যায় ফাহিম মহিপুর,আলীপুর,ভোলা সহ দক্ষিন অঞ্চলের বিভিন্ন অবৈধ ঝাটকা ইলিশ পাচারকারীদের সাথে দুই বাহিনীকে ম্যানেজ করবে বলে টাকা দাবি করছে ফাহিম।যাতে করে পাচারকারীরা নির্বিঘ্নে অবৈধ ঝাটকা ইলিশ স্ব -স্ব স্হানে পৌছে যাতে পাড়ে।এ ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন দিনমজুর লোকদের র‍্যাবে সোর্স পরিচয় দিয়ে ভয়ভিতী দেখায় ফাহিম।তার এই কর্মকান্ডের কারনে র‍্যাব ও কোস্টগার্ডের ভাবমূর্তি প্রশ্নবৃদ্ধ হয়ে উঠচ্ছে ওই এলাকার মানুষের কাছে। সন্ধ্যায় নামার সাথে সাথে দলবল নিয়ে গাজাঁর আড্ডা নিয়ে বসেন।কেউ কিছু বলার সাহস ও পায় না।বেশ কিছু দিন অাগে ফাহিম ইয়াবা সহ আটক হয় ওই মামলায় জামিনে রয়েছে।

 

সদ্য সম্পন্নকৃত ইউ পি নির্বাচনে চরকাজল ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য পদে মো: শিহাব হাওলাদার তালা মার্কা প্রতীক নিয়ে জনগণের ভোটে সদস্য পদে নির্বাচিত হয়। তিনি সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী,বিজয়ী মিছিল শেষ করে বর্ণাঢ্য আয়োজনে স্থানীয়রা ফুল দিয়ে বরণ করেন নির্বাচিত জনপ্রিয় সদস্য মো: শিহাব হাওলাদারকে ।

তিনি এসময় স্থানীয় জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হন । তার বক্তব্যে বলেন, এই আনন্দের দিনে যারা আমাকে সমর্থন করে নির্বাচিত করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই এবং আমাকে এতভালোবাসা দেখিয়েছেন, আপনাদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রতিদান দিতে চেষ্টা করে যাবো ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলেন, আমার বাবা আ:রাজ্জাক হাওলাদার দ্বীর্ঘদিন আমার এই পদে নিয়োজিত ছিলেন, আমিও আমার বাবার মতো আপনাদের সেবক হয়ে থাকার চেষ্টায় নিয়োজিত থাকবো। আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব আল্লাহর রহমতে আমি সাধ্যমত সৎ নিরপেক্ষভাবে পালন করব ইনশাল্লাহ