শারদীয় দুর্গাপূজার মহাঅষ্টমীর দিন গত বুধবার ভোরে কুমিল্লা শহরের নানুয়াদিঘির উত্তরপাড়ে দর্পণ সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত অস্থায়ী পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন দেখা যায়। এরপর কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়।

এ ঘটনার জের ধরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা করতে যাওয়া একদল ব্যক্তির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানে নিহত হন চারজন। পরদিন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাংচুর চালানো হয়। সেখানে হামলায় নিহত হয়েছিলেন দুইজন। এরপর রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দু বসতিতে হামলা করে ভাংচুর, লুটপাট ও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দুদের মন্দির–মণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা হয়েছে দেশের আরও অনেক এলাকায়।

কুমিল্লা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গত বুধবারের ওই ঘটনার পর গত এক সপ্তাহে ঢাকা ও কুমিল্লা পুলিশের কয়েকটি দল তদন্তে নামে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর ইকবাল হোসেনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশ বলছে, ইকবাল হোসেন ভবঘুরে। তাঁর কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেছেন, আগামীকাল এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরার কুডির ”খা” পোল সংলগ্ন ২ নং মুকুন্দপট্টি গ্রামের মল্লিক বাড়ির পুকুর থেকে জুম্মান মল্লিক (৩২) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছেন কাউনিয়া থানা পুলিশ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমরান হোসেন সোহাগ জানায়, নিহত ব্যাক্তি ২ নং মুকুন্দপট্টি গ্রামের ইউসুব মল্লিকের ছেলে জুম্মান মল্লিক।

সকালে জুম্মানের মা মঞ্জুরা বেগম পুকুরে মুখ ধুতে গেলে হঠাৎ তার চোখে পড়ে তার ছেলে জুম্মান পানিতে ভাসমান অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তিনি ডাক চিৎকার শুরু করলে বাড়ির লোক জন ছুটে এসে জুম্মানের লাশ উদ্ধার করেন।

তবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন কাউনিয়া থানা পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা । বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন খবর শুনে এসি স্যারসহ আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে তদন্ত শেষ না হাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না মৃত্যুর রহস্য। নিহতর লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তর জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ মঙ্গলবার(১২ অক্টোবর) বরিশাল খাদ‍্য বিভাগের কর্মরত মোঃ জসিম উদ্দিন ওসি এল এস ডি আগৈলঝাড়া এর একমাএ কন‍্যা সন্তান জুয়েনা বিনতে জসিম এর প্রথম জন্মদিন।তিনি ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর বরিশাল নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা জসিম উদ্দিন শুভ জন্মদিনে তাদের প্রিয় সন্তানের জন্য দোয়া চেয়েছেন দেশবাসীর কাছে।

। তার বাবার স্বপ্ন জুয়েনা একদিন বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হয়ে দেশ এবং জাতির সেবায় নিজকে নিয়োজিত করবেন।

মো: জসীম উদ্দিন বলেন, আমার মেয়ে জুয়েনার শুভ জন্মদিনে বরিশালের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানা দোয়া ও মিলাদ এর আয়োজন করেছে।এতিম শিশুদের জন্য দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

এই খাদ্য কর্মকর্তা মনে করেন জন্মদিনে নিজেরা বিলাসিতা না করে সেই টাকা দিয়ে এতিম শিশুদের কিছু করাটাই উত্তম।তাই তিনি বরিশালের বিভিন্ন এতিমখানায় খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক ||রাজাপুর শুক্তাগড় ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আলমগীর হায়দারের কবর জিয়ারত করলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম।আজ বিকেলে নেতাকর্মীদের নিয়ে এই কবর জিয়ারত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর থানা বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান তালুকদার অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।

 

বরিশাল সদর উপজেলায় কলাবাগান থেকে সাকিব (১৯) নামের এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাকে হত্যার পর মরদেহ বাগানে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার রাজারচর গ্রামের চরকান্দা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত সাকিব রাজারচর গ্রামের মো. আনোয়ারের ছেলে। সে রাজারচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

পুলিশ সূত্র জানায়, রোববার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে সাকিবের সমবয়সী এক কিশোর এসে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে সাকিব আর বাড়ি ফেরেনি। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কলাবাগানের একটি ঝোপের মধ্যে একটি মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন।

স্থানীয়রা জানান, সাকিবের সঙ্গে এক কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই কিশোরীকে গ্রামের আরেক কিশোর ভালোবাসতো। এ নিয়ে ওই কিশোরের সঙ্গে সাকিবের দ্বন্দ্ব চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই কিশোর তার সহযোগীদের নিয়ে সাকিবকে হত্যা করেছে।

ঘটনাস্থলে থাকা কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন জানান, রোববার সন্ধ্যা থেকে ভোরের মধ্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে কে বা কারা এবং কেন হত্যা করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, সন্দেহভাজন কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে ।

 

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ ডিজিটাল প্ল্যাটফরম ফেইজবুকে মুসলমানদের নবী রসূলদের নিয়ে কূটক্তি করার অভিযোগে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।গত ৩ আক্টবর দক্ষিন কড়াপুর চেয়ারম্যান বাড়ী মোঃইব্রাহিম হাওলাদার বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।মামলা আসামী করা হয় ভোলা সদরের কাচিয়া কলোনী সড়ক এলাকার মৃতঃ পাচু লাল দে পুত্র গৌরঙ্গ চন্দ্র দে সহ আরো ৫ টি ফেইজবুক আইডি নাম দেয়া হয়। বাদীর আইনজীবী ত্র্যাডঃ শেখ আবদুল্লাহ নাসির জানান, গৌরঙ্গ চন্দ্র দে একজন ফেইসবুক ব্যাবহারকারী বটে। উল্লেখিত আসামী এবং তার অজ্ঞাতনামা সহযােগীগন মিলে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনিয়া  বাংলাদেশের সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করিয়া বিশৃংখল অরাজক  পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পায়তারায় সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। নিজের নাম গােপন করে ছদ্মবেশ ধারন করে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দর্মীয় মূল্যবােধে আঘাত করে তথ্য প্রকাশ করিয়া ভােলা জেলাসহ বাংলাদেশের আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটানাের অপরাধ করে। বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করিয়া হয়তবা অন্য কোন অবস্থার সৃষ্টি করিয়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে নিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘােলাটে করিয়া সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিনত করিয়া বাংলাদেশের ব্যাবসা- বানিজ্য আর্থ-সামাজিক অবস্থা নষ্ট করার পায়তারায়  লিপ্ত রহিয়াছে। আসামী গৌরঙ্গ এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে আসামি  ও তার সহযোগী সহ বিভিন্ন সময়ে আসামি গৌরঙ্গ চন্দ্র দে, তার সহযােগীদের নিয়া পূর্ব পরিকল্পনামতে আসামীর নিজ নামের ফেইসবুক আইডি হইতে মেসেঞ্জার  মাধ্যমে ঘটনাস্থলে বসিয়া ইসলামী মূল্যবােধ ও ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার জন্য “হেক এবা (মুসলমানেরা) শিবের পুজা করে” মর্মে আসামীর মােবাইল হইতে তার অজ্ঞাতনামা সহযােগীদের সাথে চ্যাটিং এর মাধ্যমে উক্ত নােংরা শব্দগুলাে দ্বারা বাক্য বিনিময় করেন। এবং চ্যাটিংয়ে লেখার মাধ্যমে একইভাবে আরাে লেখেন যে, “মুসলমানদের নবী ত লুচ্চা” এবং “মুসলমানরা লুচ্চা নবীর বংশধর” মর্মে আসামী তাহার ফেইসবুক আইডি এর মাধ্যমে মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে এবং নিজের নাম গােপন করে ছদ্মবেশ ধারন করে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে দৰ্মীয় মূল্যবােধে আঘাত করে তথ্য প্রকাশ করিয়া ভােলা জেলাসহ বাংলাদেশের আইন-শৃংখলার অবনতি ঘটানাের অপরাধ করে। চ্যাটিং করিয়া (ইলেকট্রনিক বিন্যাসে) উক্ত বিকৃত তথ্য প্রস্তুত প্রকাশ ও প্রচার করিযা ইচ্ছাকৃতভাবে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভুতি ও মুল্যবােধের উপর আঘাত হানে আসামি গৌরঙ্গ চন্দ্র দে তাহার ফেইসবুক আইডি এর ম্যাসেঞ্জার এর মাধ্যমে তাহার অনুগত ও সহযােগী সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়া অস্বস্তিকর  কথাবার্তা লেখিয়া  মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করিয়া এবং মুসলমানদের এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যকার ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করিয়া বাংলাদেশকে ব্যার্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার পায়তারায় লিপ্ত হয়।

চট্টগ্রামে নালায় পড়ে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় নগর জুড়ে নালা-খাদার আতংক বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে সাবেক মেয়র ও ব্যবসায়ী এম মনজুর আলম এক ট্রাক ঢাকনা নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে টাইগার পাসে নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যযালয়ে ট্রাকভর্তি স্ল্যাব নিয়ে হাজির হন মনজুর।

এ বিষয়ে মনজুর একটি গণমাধ্যমকে বলেন, শহরের নালায় স্ল্যাব নেই। মানুষ পড়ে মারা যাচ্ছে। লোকজন নানা কথা বলছে। শুনলে তো আমারও খারাপ লাগে। তাই গিয়ে সবাইকে বলেছি স্ল্যাব বসাতে ও আলোর ব্যবস্থা করতে।

এর আগে সোমবার রাতে আগ্রাবাদে নবী টাওয়ারের কাছে নাছির ছড়া খালে পড়ে মারা যান সাদিয়া। আগেও এমন কয়েকটি মৃত্যু ঘটেছে। এসব ঘটনায় একে অন্যকে দুষছেন নগরের ‍দুই সেবা সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (সিসিসি) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

সাবেক এ মেয়র বলেন, মেয়র সাহেবকে বলেছি, আসলে মানুষ চিনে জনপ্রতিনিধিকে। আপনি জনপ্রতিনিধি। জলাবদ্ধতা তো আসলে আপনার কাজ। সিডিএ বা সেনাবাহিনী জলাবদ্ধতা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ঠেলাঠেলি করে লাভ কী। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সবাইকে তো মিলেমিশে কাজ করতে হবে।

২০১০ সালে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রায় এক লাখ ভোটে হারিয়ে মেয়র হয়েছিলেন মনজুর। আগে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও মেয়র হন বিএনপিতে যোগ দিয়ে।

২০১৫ সালের নির্বাচনে আবার আওয়ামী লীগের আ জ ম নাছিরের কাছেই হারেন মনজুর। এরপর তিনি আবার পুরনো দল আওয়ামী লীগে ফিরে যান। গত সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মেয়র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন মনজুর। তবে মনোনয়ন পান রেজাউল।

স্ত্রীর বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সেই গোলাম রাব্বী জামিনে বেরিয়ে ফের ভুয়া কাবিন নামা দেখিয়ে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাব্বীর বিরুদ্ধে বুধবার মামলা করেছেন ওই স্কুলছাত্রর পরিবার।

রাব্বী বরগুনা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ও পৌরসভার কর্মরত জেসমিন সুলতানা দম্পতির সন্তান।

জানা যায়, রাব্বীর দখল থেকে উদ্ধার হওয়া স্কুলছাত্রী এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। রাব্বী একটি ভুয়া কামিন নামা তৈরি করে স্কুলছাত্রীকে বিয়ের নাটক করে অপহরণ করে তার বন্ধু মামুনের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে যাচ্ছে। স্কুলছাত্রর পরিবার জানতে পারে তার মেয়েকে রাব্বী বিয়ে করেনি। ভুয়া কাবিন নামা সৃষ্টি করেছে।

ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রর মা বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর রাব্বী তার বন্ধু মামুনের বাসায় আমার মেয়েকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এমনকি আমার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের ভুয়া কাবিন নামাও তৈরি করে রাব্বী। আমার মেয়ে চলে আসতে চাইলে রাব্বীর নিজের বাসায় নিয়ে নির্যাতন চালায়। বিষয়টি বরগুনা থানায় জানালে পুলিশ আমার মেয়েকে রাব্বীর দখল থেকে উদ্ধার করে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে রাব্বী আমার মেয়েকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছে।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট রাব্বী তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে স্ত্রীর বান্ধবীকে বাসায় ডেকে এনে দুদিন আটক রেখে ধর্ষণ করে। পরে তার স্ত্রী বিষয়টি জানতে পেরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বরগুনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন রাব্বীর বিরুদ্ধ। পুলিশ রাব্বীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। রাব্বী ২২ আগস্ট জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে।

বরগুনা থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে গোলাম রাব্বীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। ঘটনার পর থেকেই রাব্বী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক :: মা-বাবাকে পান দেয়ার কথা বলে পান বরজের ভেতরে ডেকে নিয়ে ৮ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ হাওলাদারকে (৬৫) পুলিশ বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার তাকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের বিচারক মো: সাকিব হোসেন তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আমতলী উপজেলার রায়বাল গ্রামে বুধবার বিকেলে অভিযুক্ত বৃদ্ধ প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা ও বিভিন্নভাবে যৌন নির্যাতন চালান। এ সময় শিশুটির ডাক চিৎকারে অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ পালিয়ে যান। পরে শিশুটিকে স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: সুমন খন্দকার শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় বুধবার রাতে আব্দুর রশিদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মেয়েটির বাবা মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ আরো জানায়, বুধবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার আব্দুর রশিদকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হাজির করেন। একই দিনে শিশুটিকে জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক মো: সাকিব হোসেন শিশুটির জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন আর অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠান।

শিশুটির বাবা কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, আব্দুর রশিদ হাওলাদার আমার মেয়েকে পান দেয়ার কথা বলে বরজের ভেতরে একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা চালিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

আমতলী থানার এসআই মোসা: নাসরিন বলেন, ‘শিশুটির যৌনাঙ্গ রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত। মামলার তদন্ত করে দ্রুত চার্জশিট দেয়া হবে।

বিভিন্ন পণ্য নিলামে বিক্রি হলেও জাম্বুরা নিলামে বিক্রি করার সংবাদ সচরাচর শোনা যায় না। তাও আবার শুধুমাত্র একটি জাম্বুরা। এমনই এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে ঝালকাঠিতে। নিলামে সাড়ে তিন কেজি ওজনের একটি জাম্বুরা বিক্রি হয়েছে ৬০০০ টাকায়।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঝালকাঠি পৌর মিনি পার্কে করোনা আক্রান্তদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদানকারী দলের স্বেচ্ছাসেবক ইমাম হোসেন বিমান জাম্বুরাটি নিলামে তোলেন। এসময় শাহ আলম নামে একজন ছয় হাজার টাকায় কিনে নেন জাম্বুরাটি। জাম্বুরা নিলামে বিক্রির খবর পেয়ে ভিড় জমান উৎসুক জনতা।

জানা যায়, এর আগে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জাম্বুরাটি বিক্রির ঘোষণা দেন স্বেচ্ছাসেবক ইমাম হোসেন বিমান। এখান থেকে পাওয়া অর্থ করোনা আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবায় ব্যয় করা হবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। ফেসবুকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে ওই জাম্বুরার। পরে বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আরেকবার জাম্বুরাটি সরাসরি নিলামে তোলেন তিনি। এসময় ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হয় জাম্বুরাটি।

নিলামের আয়োজক ইমাম বিমান জানান, মঙ্গলবার স্বরূপকাঠির মাহমুদকাঠি থেকে মো. সুলতান নামে এক বিক্রেতা ঝালকাঠির নবগ্রাম বাজারে জাম্বুরা বিক্রি করতে আসেন। তখন তাকে এই জাম্বুরাটি উপহার দেন মো. সুলতান। পরে অন্য স্বেচ্ছাসেবীদের পরামর্শে আর্ত মানবতার সেবায় তহবিল গঠনে জাম্বুরাটি নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তিনি।