ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা রাখার স্ট্যান্ড নির্ধারণ ও নীতিমালা চূড়ান্ত করে অবিলম্বে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্সের দেওয়ার দাবিতে বরিশালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রিকশা শ্রমিকরা। এতে নগরীজুড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যেগে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নগরীর অশিনী কুমার হলের সামনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ বরিশাল জেলা সমন্বয়ক মানিক হাওলাদারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বজলুল রশিদ ফিরোজ, বরিশাল জেলা শাখার আহবায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন, সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী প্রমুখ।
মানিক হাওলাদার বলেন, ‘যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেই ৫ টাকা, আর আমাদের মামলা দেওয়া হয় ৫ হাজার টাকার। প্রতিবাদ করলে মামলার পরিমাণ অহেতুক বাড়িয়ে দেয় পুলিশ। আমরা এর থেকে নিস্তার চাই। রাস্তায় যাত্রী নামানোর জন্য রিকশা বা ইজিবাইক দাড় করালেই পুলিশ হাজির হয়। আমাদের হয়রানি করে। আমাদের নিয়ে এত সমস্যা থাকলে কেন রাস্তায় নামতে দিয়েছে সরকার। নগরীতে রাস্তা ছাড়া কোনো স্থান নেই যেখানে গাড়ি দাড় করানো যায়। যদি স্ট্যান্ড থাকতো তাহলে আমাদের গাড়ি রাখতে সুবিধা হতো। আর এতে পুলিশি হয়রানিতেও পড়তে হতো না আমাদের।’
কেন্দ্রীয় সভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, ‘বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে সরকার যদি ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয় তাহলে চালকরা চুপ থাকবে না। ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক বন্ধ করে দেওয়া হলে ১ কোটি মানুষ বেকার হয়ে পড়বে।’
সমাবেশ শেষে ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত রিকশা শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে।