বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বলেছেন, বরিশাল বিভাগের পুলিশ বিভাগকে আরও দায়িত্বশীল ও কৌশলী ভূমিকা রাখতে ‘কুইক রেসপন্স অ্যান্ড রিপোর্ট (কিউআরআর) সমাজে ব্যাপক প্রতিফলন ঘটাবে।

অপরাধ দমন ও নাগরিক সেবাকে আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে বরিশাল বিভাগের মধ্যে পিরোজপুর জেলাকে এই প্রথম মডেল হিসেবে কিউআরআর এর আওতায় আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান পিরোজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হল রুমে এ কিউআরআর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

জেলা পুলিশ সুপার মো. সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা -৯৯৯ এর আদলে কুইক রেসপন্স এন্ড রিপোর্ট অত্র জেলায় এই প্রথম যাত্রা শুরু করল। পুলিশ ও জনগণের সম্পর্ক এমন হতে হবে; যাতে জনগণ পুলিশকে যে কোনো তথ্য দিতে স্বাচ্ছন্দ্য ও আস্থা তৈরি করতে পারে। আগে থানার সেবা পেতে অনেক কষ্ট-ভোগান্তি হত, কিন্তু এ কার্যক্রম চালুর পর থেকে সে ভোগান্তি অনেকাংশেই কেটে যাবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা আজাদ হোসেন, প্রেস ক্লাবের আহবায়ক গৌতম নারায়ণ চৌধুরী, সাংবাদিক এসএম পারভেজ, এসএম রেজাউল ইসলাম শামীম, রশিদ আল মুনান সুজন ও হাসিবুল ইসলাম হাসান প্রমুখ।

এসময় জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, জেলার ৫৩টি ইউনিয়ন, ৪টি পৌরসভা ও ৬৭টি বিট এলাকাকে মোট ২৪টি টিমে ভাগ করা হয়েছে এবং এ কার্যক্রমের জন্য যানবাহন, মোবাইল ফোন সেট, মোবাইল সিম ও ওয়ারলেস সরবরাহ করা হয়েছে।

বরিশালে ৬ কোটি টাকা মূল্যের তিনটি তক্ষক উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এ সময় একজনকে আটকও করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরীর কালিজিরা ব্রিজ এলাকা থেকে তক্ষকগুলো উদ্ধার করা হয়।

তক্ষকসহ আটককৃত বাবুল হাওলাদার পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার ঘোপেরখাল এলাকার বাসিন্দা।

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. এসএম তাহসিন রহমান জানান, বন্যপ্রাণী পাচারের খবরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উদ্ধারকৃত তক্ষক বনে অবমুক্ত করার জন্য বন কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তক্ষকসহ আটককৃতকে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় সোপর্দ ও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধ হয়ে যায় ঝালকাঠি পৌরসভার অনেক সড়ক। এসব সড়কে প্রতিদিন শত শত লোক যাতায়াত করে। এছাড়া কোনো কোনো সড়কের দু’পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এসব সড়কের বাসিন্দারা।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কগুলোর এই বেহাল দশা বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার দুর্ভোগের কথা জানিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি এলাকাবাসী। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ বলছেন, জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য যে সড়কগুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই, সেগুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করা হবে।

ঝালকাঠি শহরের শহীদ স্মরণী সড়ক। খোদ পৌরসভার সামনেই সড়কটির অবস্থান। এই সড়ক দিয়েই যেতে হয় পৌরসভার খেয়াঘাট। প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করে এই সড়কে। অথচ বৃষ্টি হলে এই সড়কে আর হেঁটে চলা যায় না। খানাখন্দে ভরা থাকায় যান চলাচলও এখানে ঝুঁকিপূর্ণ।

 

এলাকাবাসী জানান, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই সড়কটির পানি নেমে যেতে পারে না। তাই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। শুধু সড়কে যাতায়াতকারীরা নয় সড়কের পাশে ব্যবসায়ীরাও জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু শহীদ স্মরণী সড়ক নয়, পৌরসভার পুরাতন কাপুড়িয়া পট্টি সড়কও বৃষ্টি হলে তলিয়ে যায়।

এখানকার ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, পৌর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। শুধু এ দুটি সড়কই নয়, ঝালকাঠি শহরের মুন্সি জাহাঙ্গীর সড়ক, মনু সড়ক, বিকনা সড়ক, নেছারাবাদ সড়ক, কাঠপট্টি বাকলাই সড়ক, পুলিশ লাইনের পেছনে বেদে পল্লী সড়ক, কবিরাজ বাড়ি সড়কসহ আরো কিছু সড়কে বৃষ্টি হলে পানি জমে যায়।

ঝালকাঠি পৌরসভায় বটুমিন, আরসিসি, হ্যারিংবন ও কাঁচা রাস্তা মিলিয়ে মোট ৬৮ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে মাত্র ২৬ কিলোমিটার সড়কে। বাকি সড়কগুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শহরবাসীকে।

ঝালকাঠি পৌরসভার প্যানেল মেয়র তরুন কুমার কর্মকার বলেন, যেসব সড়কে জলাবদ্ধতা রয়েছে, সেগুলো উপকূলীয় শহর প্রকল্পে দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান করা যাবে। এদিকে, জলাবদ্ধতা নিরসনে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী।

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলে নৌকায় জুয়ার আসর থেকে একজন আওয়ামী লীগ নেতা ও দুইজন বিএনপি নেতাসহ ১১ জনকে আটক করেছে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকালে আটককৃত ১১ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃত হলেন, ব্রহ্মপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও হলুদ ঘর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আলিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ তাজুল উদ্দিন (৫৫), পিপরুল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঠাকুর লক্ষীকোল গ্রামের মৃত করিম শিকদরের ছেলে মোঃ আসরাফুল ইসলাম হুমায়ূন শিকদার(৫৪), পিপরুল ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ইউপি সদস্য ও শ্যামনগর গ্রামের মৃত নাজির উদ্দিন ছেলে মোঃ জনাব আলী(৫৬), ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও ঠাকুর লক্ষীকোল পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত খোকন সরদারের ছেলে মোঃ ছাইদুর রহমান সরদার(৫৫)। ভূজনগাছা গ্রামের আনোয়ার ব্যাপারী ছেলে মনিরুল ইসলাম(১৯), জসমত আলী ছেলে জাহিদুল ইসলাম(২৩), হোসেন আলী ছেলে আলা-আমিন(২৪), ইউনুস আলী ছেলে মোঃ হেলাল হোসেন (২৪), মোঃ সামাদ খলিফা ছেলে মোঃ মাসুম খলিফা। নৌকা মাঝি খোলাবাড়ীয়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে শাহানুর আলম(২৮) ও খোলাবাড়ীয়া গ্রামের মৃত লবাইয়ের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫)।

 

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বুধবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নৌকায় জুয়া খেলা অবস্থায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাসহ ১১জনকে নগদ টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ আটক করা হয়। আটককৃতদের আজ সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী এক হাজতির সঙ্গে মামলার বাদিনীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কারাগারের ভেতরে তাদের বিয়ে হয়। হাজতি ওই বরের নাম কে এম আক্কাস (৪৫)। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানাধীন পূর্ব খাটিয়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, ঢাকার পল্টন থানায় দায়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলায় গ্রেফতার কে এম আক্কাস এ কারাগারে বন্দী রয়েছেন। হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই মামলার বাদিনীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার দুপুরে কারাগারের ভেতর হাজতি কে এম আক্কাসের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। উভয়পক্ষের একজন করে অভিভাবকের উপস্থিতি ও সম্মতিতে ২০ লাখ ১ টাকা দেনমোহর ধার্য করে মামলার বাদী ও আসামির বিয়ে সম্পন্ন হয়। চলতি বছরের প্রথম থেকে কে এম আক্কাস কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, মামলার বাদিনীর বাড়িও চট্টগ্রামে। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে প্রেমিকাকে বিয়ে না করে আক্কাস অন্য এক নারীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনার পর আক্কাসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন তার প্রেমিকা (৩৫)। এ মামলায় গ্রেফতার হন আক্কাস। পরবর্তীতে আক্কাসকে ডিভোর্স দেন তার স্ত্রী। হাইকোর্ট ডিভিশনের স্মারক নং-৩৮২৯১ তারিখ ১৯/৯/২১ মূলে এ বিয়ে সম্পন্ন করা হয়।

এর অংশ হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক-ইউনিটে ৩ হাজার ৪২৫ জন, খ-ইউনিটে ১ হাজার ৭৪১ জন, গ-ইউনিটে ৪৭০ জন, ঘ-ইউনিটে ৩ হাজার ১৩ জন এবং চ-ইউনিটের ৪৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল, আমরা সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় ব্যবস্থাপনাগত সহযোগিতা করব আমরা। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করবেন।’

পরীক্ষার তারিখ ও মানবণ্টন

আগামী ১ অক্টোবর বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ক ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এরপর ২ অক্টোবর কলা অনুষদভুক্ত খ ইউনিট, ৯ অক্টোবর চারুকলা অনুষদভুক্ত চ ইউনিট (বহুনির্বাচনী), ২২ অক্টোবর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত গ ইউনিট ও ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ঘ ইউনিটের পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ১১টা থেকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ইউনিটে এবার মোট ১২০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে। সেখানে মূল পরীক্ষায় (বহুনির্বাচনী ও লিখিত) ১০০ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ১০ করে মোট ২০ নম্বর থাকবে। ক, খ, গ ও ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের বহুনির্বাচনী ও ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকবে। উভয় অংশের জন্য ৪৫ মিনিট করে সময় থাকবে। তবে চ ইউনিটের ৪০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট আর ৬০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষার জন্য ৪৫ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের কেন্দ্রে নির্ধারিত তারিখে বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

আসন ও আবেদন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এই ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল গত বছর। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে যায়। প্রথম দফায় ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ২১ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের কথা থাকলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ২৯ এপ্রিল তা পরিবর্তন করা হয়। সেদিন ৩১ জুলাই থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৩ জুলাই সেটিও পরিবর্তন করে অক্টোবরে পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি ইউনিটে ৭ হাজার ১৪৮টি আসনের বিপরীতে এবার মোট আবেদন করেছেন ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৪০ জন। সে হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৪৫ জন।

ক ইউনিটে ১ হাজার ৮১৫ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ১৭ হাজার ৯৫৭ জন আবেদন করেছেন। খ ইউনিটে ২ হাজার ৩৭৮ আসনের বিপরীতে ৪৭ হাজার ৬৩২ জন, গ ইউনিটে ১ হাজার ২৫০ আসনের বিপরীতে ২৭ হাজার ৩৭৪ জন, ঘ ইউনিটে ১ হাজার ৫৭০ আসনের বিপরীতে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮৮১ জন আবেদন করেছেন। অন্যদিকে চ ইউনিটে ১৩৫টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ১৫ হাজার ৪৯৬টি৷ সেই হিসাবে প্রতি আসনের জন্য ক ইউনিটে ৬৫ জন, খ ইউনিটে ২০ জন, গ ইউনিটে ২২ জন, ঘ ইউনিটে ৭৪ জন ও চ ইউনিটে ১১৫ জন লড়বেন৷

ঢাকা বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ ছাড়া অন্য যে সাতটি বিভাগীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষা হবে, সেগুলো হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর)৷

এর মধ্যে ৫ ইউনিটের ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০৬ জন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেবেন৷ সবচেয়ে কম ৭ হাজার ৯১ জন পরীক্ষা দেবেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে৷

 

বরিশালে সোনালী ব্যাংকের (অবসরপ্রাপ্ত) এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর পশ্চিম কাউনিয়া হাওলাদার সড়কে মৃতের নিজ বাসভবন “শুভ্র নীর” থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সালেহা বেগম (৬৭) নামের ওই নারী সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল (অবঃ) অফিসার ছিলেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এনামুল হক এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার। ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিমুল করিম।

 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত সালেহা বেগম সোনালী ব্যাংকে ২৫ বছর চাকরি করার পর তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে দেখাশোনা করার জন্য ২০০৫ সালে সেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি পশ্চিম কাউনিয়া হাওলাদার সড়কে ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে সেখানেই বসবাস করতেন। তার স্বামী ও প্রতিবন্ধী ছেলে মারা যাওয়ার পর দুই মেয়ে সূচী ও সুমাকে নিয়ে থাকতেন। বড় মেয়ে সুমার বিয়ে হয়ে গেলে তিনি তার স্বামীর সাথে ঢাকায় বসবাস করেন। আর ছোট মেয়ে ডাক্তার সূচী তার সাথেই থাকতেন। গত দুদিন পূর্বে অফিসিয়াল কাজে মেয়ে সূচী ঢাকায় যান। গতকাল বাসায় ফোন দিয়ে তার মাকে না পেয়ে পাশ্ববর্তী বাসিন্দা রশিদের স্ত্রী হেলেনাকে ফোন করে খোঁজ নিতে বলেন। কিন্তু গভীর রাত হওয়ায় হেলেনা তখন খোঁজ না নিয়ে সকালে পার্শ্ববর্তী আরেক বাসিন্দা ব্যাংকার হাকিমকে সাথে নিয়ে ওই বাসায় যান। বাসার বাহিরে গেট বন্ধ থাকায় কলিং বেল দিয়েও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে পরে মই এনে দেয়াল টপকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে জানালা দিয়ে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিক তারা ৯৯৯ এ ফোন করলে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাংক কর্মকর্তা সালেহার লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।

 

এদিকে খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এনামুল হক এবং উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

 

কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিমুল করিম জানান, সকাল ৭টার দিকে তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটা স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তারা। তিনি আরো জানান, তার মেয়েরা আসার পর আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: অবশেষে সকল বাধাঁ বিপত্তি পেরিয়ে স্বপ্ন পুরন করলো মাতৃছায়া সুপারশপ। গতকাল বাদ আছর দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বরিশাল শায়েস্তাবাদ বাজারে উদ্বোধন করা হয় এই সুপারশপের। এসময় ৪নং শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মুন্না সহ স্থানীয় গন্য মান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে মাতৃছায়া সুপার শপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন তরুন উদ্বোক্তা নাছরীন সুলতানা। আর তার এই কাজে অনুপ্রেরনা ও সাহস দিয়েছেন বন্ধু শাওন চৌধুরী ও বোন নাজমীন নাহার।

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ভরন পোষন দীবিতে তিন বিরুদ্ধে অাদালতের দ্বারস্থ হতভাগ্য পিতা।গতকাল বরিশাল নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ড তাজকাঠীর মোঃ কাজেম অালী সরদার তিন ছেলেকে অাসামী করে অতিরীক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অাদালতে মামলাটি দায়ের করেন।অাদালতের বিচারক মামলাটি অামলে নিয়ে তিন ছেলের বিরুদ্ধে সমন জারী করেন।অাসামীরা হল,বর্তমানে ঢাকা বি, অাই,ডব্লিউ, টি সিতে কর্মরত মোঃ হুমায়ন কবির সরদার,চট্রগ্রাম বি,অাই,ডব্লিউ টি,সিতে মোঃজসিম উদ্দিন সরদার বাবু ও মোঃ ওয়াসিম উদ্দিন সরদার অপু বর্তমানে বরিশাল বি,অাই,ডব্লিউ টিসিতে অাছে।বাদী পক্ষের অাইনজীবি ত্র্যাডঃ শেখ অাবদুল্লাহ নাসির জানান,বাদী কাজেম অালী বি, অাই,ডব্লিউ, টিসিতে গাড়ী চালক হিসেবে কর্মরত ছিল।তিনি ২০১৭ সালে অবসর গ্রহন করে।অবসর যাওয়ার অাগে তার তিন ছেলেকেই বি,অাই,ডব্লিউ, টিসিতে বিভিন্ন পদে চাকরীর পাইয়ে দেনা।অবসারে যাওয়ার পর বাদী কিছু সম্পত্তি মসজিদ-মাদ্রাসা ও কবরস্থানে জন্য ওয়াকফা করে দেয়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অাসামীরা তার পিতাকে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং বাড়ি থেকে বেড় করে দেয়।দান করা জমি পুনঃরায় অাসামীদের নামে করে দিতে বলে।বাদী এর অাগে থানায় জিডি করেন।কাজেম অালী বাদী হয়ে এর অাগে গত ৫ সেপ্টেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অাদালতে মারধরে অভিযোগে মামলা করেন।মামলা সি.অার নং৭৫৬।এতে অাসামী করা হয় ওয়াসিম উদ্দিন অপু ও রুপাতলি এলাকার মৃত মজিদ মীর ছেলে মোঃ শাহিনুর মীর।অাদালতের বিচারক মামলাটি অামলে নিয়ে অাসামী ওয়াসিম উদ্দিন অপুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরয়ানা জারী করেন।

 

শাওন ইসলাম  ||নগরীর পলাশপুর বউ বাজার এলাকা থেকে একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি সহ দুজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। গতকাল রাত ৮ টার সময় তার নিজ ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি পলাশপুর মৃত মীর আহমেদ এর ছেলে লুৎফর ও বাকেরগঞ্জ এলাকার আজাহার আলীর ছেলে বকুল । সূত্র জানা যায় ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে লুৎফরের বাসায় একটি পাথরের মূর্তি রয়েছে। লুৎপর এই মূর্তিটি দেখিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।ডিবি পুলিশ এ ঘটনা জানতে পারে লুৎফরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে সহ কষ্টিপাথরের মূর্তিটি উদ্ধার করেন।তাকে আটকের পর সে জানান মূর্তিটি তার না? অন্য এক ব্যক্তি মূর্তিটি তাকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে দিয়েছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সে মূর্তিটি তার বাসায় রেখেছেন বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। তাকে ছেড়ে দিলে মূর্তির মূল মালিককর ধরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন ডিবি পুলিশকে,কিন্তু তার কথায় সে ব্যর্থ হন।অতঃপর ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। ওই এলাকার ইউনুস নামের এক বাসিন্দা জানান,এই কষ্টিপাথরের মূর্তি টি কুয়াকাটার আমতলী মকপাড়া মন্দির থেকে চুরি করে নিয়ে আসেন বরিশালে। বরিশালে এনে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে এই মূর্তিটি দেখিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেন এই প্রতারক। আমার(তার)কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা সে নেয় আমার(তার) কাছে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। কিছুদিন পর আমার টাকা আত্মসাৎ করেন এই ব্যক্তি। প্রতিবেদক এর অফিসে এসে এই কথা বলে ইউনুস সমস্ত কথার অডিও রেকর্ড রয়েছে প্রতিবেদক এর কাছে। তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই কষ্টি পাথরের মূর্তি আমতলী থেকে আনা এবং বিক্রির সাথে ইউনুস নিজেও জড়িত।ইউনূসের সাথে বনাবনি না হলে সে ব্যাপারটা ফাঁস করে দেয়। ইউনূসের নামে রয়েছে একাধিক চুরির মামলা।
এ ব্যাপারে ডিবির এ এস আই ইসাহাক এর কাছে জানতে চাইলে সে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে শিকার করেন একটি মূর্তিসহ একজনকে আটক করা হয়েছে।এই কষ্টি পাথরের মূর্তির সাথে ইউনূস জড়িত আটক কিন্তু ইউনুস কে আটক  না করায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার সাথে এক যুবতী নারী জড়িত রয়েছে। বিস্তারিত থাকছে পরবর্তী পর্বে।