শাওন ইসলাম ||নগরীর পলাশপুর বউ বাজার এলাকা থেকে একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি সহ দুজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। গতকাল রাত ৮ টার সময় তার নিজ ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি পলাশপুর মৃত মীর আহমেদ এর ছেলে লুৎফর ও বাকেরগঞ্জ এলাকার আজাহার আলীর ছেলে বকুল । সূত্র জানা যায় ডিবি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে লুৎফরের বাসায় একটি পাথরের মূর্তি রয়েছে। লুৎপর এই মূর্তিটি দেখিয়ে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।ডিবি পুলিশ এ ঘটনা জানতে পারে লুৎফরের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে সহ কষ্টিপাথরের মূর্তিটি উদ্ধার করেন।তাকে আটকের পর সে জানান মূর্তিটি তার না? অন্য এক ব্যক্তি মূর্তিটি তাকে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে দিয়েছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে সে মূর্তিটি তার বাসায় রেখেছেন বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। তাকে ছেড়ে দিলে মূর্তির মূল মালিককর ধরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন ডিবি পুলিশকে,কিন্তু তার কথায় সে ব্যর্থ হন।অতঃপর ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে তাদের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। ওই এলাকার ইউনুস নামের এক বাসিন্দা জানান,এই কষ্টিপাথরের মূর্তি টি কুয়াকাটার আমতলী মকপাড়া মন্দির থেকে চুরি করে নিয়ে আসেন বরিশালে। বরিশালে এনে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে এই মূর্তিটি দেখিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেন এই প্রতারক। আমার(তার)কাছ থেকে দেড় লক্ষ টাকা সে নেয় আমার(তার) কাছে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। কিছুদিন পর আমার টাকা আত্মসাৎ করেন এই ব্যক্তি। প্রতিবেদক এর অফিসে এসে এই কথা বলে ইউনুস সমস্ত কথার অডিও রেকর্ড রয়েছে প্রতিবেদক এর কাছে। তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এই কষ্টি পাথরের মূর্তি আমতলী থেকে আনা এবং বিক্রির সাথে ইউনুস নিজেও জড়িত।ইউনূসের সাথে বনাবনি না হলে সে ব্যাপারটা ফাঁস করে দেয়। ইউনূসের নামে রয়েছে একাধিক চুরির মামলা।
এ ব্যাপারে ডিবির এ এস আই ইসাহাক এর কাছে জানতে চাইলে সে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে শিকার করেন একটি মূর্তিসহ একজনকে আটক করা হয়েছে।এই কষ্টি পাথরের মূর্তির সাথে ইউনূস জড়িত আটক কিন্তু ইউনুস কে আটক না করায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার সাথে এক যুবতী নারী জড়িত রয়েছে। বিস্তারিত থাকছে পরবর্তী পর্বে।