করোনা ভাইরাসের মহামারি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের মধ্যেই ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণপরিবহন সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার ( ৬ এপ্রিল) বিকালে নিজের সরকারি বাস ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বুধবার সকাল ৬টা থেকে এটা শুরু হবে। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সকল সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন সেবা চালু থাকবে।

ঢাকা, চট্টগ্রাম মহানগরসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রাজশাহী, খুলনা,সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকাধিন সড়কগুলোতে অর্ধেক আসন খালি রেখে গণপরিবহন চলাচল করবে।

লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার গণপরিবহনে চলাচলের বিষয়টি শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের জানান, বাসে প্রতি ট্রিপের শুরু এবং শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ী জীবাণুমুক্ত এবং পরিবহন সংশ্লিষ্ট ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

 

কোনভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবেনা বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দুরপাল্লায় গণপরিবহন চলাচল যথারীতি বন্ধ থাকবে বলেও জানান তিনি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী করোনা সংক্রমণ বিস্তাররোধে সরকারের নির্দেশনাসমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালনে পরিবহন মালিক শ্রমিক ও যাত্রীসাধারণের সহযোগিতা কামনা করেন।

মো:রাজিবুল হক(বরগুনা প্রতিনিধি):

প্রথিতযশা সাংবাদিক জাতীয় প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য, দৈনিক ইত্তেফাকের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার, সাপ্তাহিক পূর্বাণী পত্রিকার সাবেক সম্পাদক, বাংলাদেশ অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাবেক চেয়ারম্যান, ঢাকাস্থ বামনা সমিতির এককালীন সভাপতি এবং বামনার চির স্মরণীয় সন্তানদের অন্যতম খন্দকার শাহাদাৎ হোসেন (সালু মিয়া)র। স্মরণে বামনা প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল ১০.৪৫ মিনিটে বামনা প্রেস ক্লাব এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ।
এতে উপস্থিত ছিলেন বামনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোল্লা দৈনিক মতবাদ, প্রভাষক মোঃ হাবিবুর রহমান দৈনিক ইত্তেফাক ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বামনা শাখার সভাপতি, মাসুদ রেজা ফয়সাল দৈনিক সাগরকুল ও সহ সভাপতি বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বামনা শাখা, ওমর ফারুক সাবু দৈনিক আমাদের সময় ও সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশে মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বামনা শাখা, মোঃ জসীম উদ্দীন সংবাদ সারাদিন উপজেলা প্রতিনিধি ও তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বামনা শাখা, মোঃ সিদ্দিকুর রহমান মান্না ক্রাইম রিপোর্টার সংবাদ সারাদিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বামনা শাখা, রাসেল চৌধুরী দৈনিক আমাদের নতুন সময়, বাছির মোল্লা দৈনিক জনতা, জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাব সহ অন্যন্য সাংবাদিক বৃন্দ।
মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন মোঃ জাকির হোসেন।
উল্লখ্য যে, প্রথিতযশা সাংবাদিক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার জেনারেল ম্যানেজার, সাপ্তাহিক পূর্বানী পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক, জাতীয় অন্ধ কল্যান সমিতির সাবেক সভাপতি জনাব খন্দকার মোঃ শাহাদাত হোসেন দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ এপ্রিল ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটের সময় ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রজিউন)।

হঠাৎ করেই গত কয়েকদিন ধরে কীর্তনখোলা নদীর ওপর নির্ভরশীল মানুষরা পানি লবণাক্তের কথা বলে বেড়াচ্ছেন। নদী তীরবর্তী মানুষ কয়েকদিন আগেও দৈনন্দিন কাজে এ নদীর পানি ব্যবহার করলেও এখন তা স্বাভাবিকভাবে সম্ভব হচ্ছে না।

আর মিঠাপানির কীর্তনখোলা নদীতে বর্তমানে যে কিছুটা লবণাক্ততা রয়েছে তা নিশ্চিত করেছেন পরিবেশবিদরাও। বিশেষ করে ২০২০ সাল থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কীর্তনখোলা নদীর পানিতে তড়িৎপরিবাহিতা (Electrical Conductivity-EC) অনেক কম থাকলেও মার্চ মাসে বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

এমনকি গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চে পানির তামপাত্রাও বেড়েছে। আর এসব হিসাবে গেলো বছর করোনাকালে বেশ ভালো ছিলো নদীর পানি।

বিশেষজ্ঞদের মতে শুষ্ক মৌসুমে উজানের পানি কম প্রবাহিত হওয়া এবং সঠিক সময়ে সঠিক পরিমানে বৃষ্টিপাত না হওয়া, দুষণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই কীর্তনখোলার মতো মিঠা নদীর পানিও এখন লবণাক্ত হয়ে উঠেছে। এতে করে জীববৈচিত্র্যের ওপরও বিরুপ প্রভাব পড়বে, ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কাও রয়েছে।

বরিশাল নগরের ভাটারখাল কলোনীর বাসিন্দা যারা কীর্তনখোলা নদীর পানির ওপর নির্ভরশীল তাদের মতে, সপ্তাহখানেকেরও বেশি সময় ধরে কীর্তনখোলা নদীর পানিতে লবণের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মুক্তিযোদ্ধা পার্ক সংলগ্ন নদীতে গোসল করতে গিয়ে অনেকেই পানি মুখে দিয়ে লবণের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে কেউ ভ্রুক্ষেপ না করলেও, ডিসি ঘাট থেকে স্থানীয় দোকানিরা চায়ের পানি সংগ্রহ করতে গেলে তাতেও লবণের উপস্থিতি লক্ষ্য করেন। আর এরপর থেকেই কীর্তনখোলা নদীর পানি হঠাৎ করেই লবণাক্ত হওয়ার বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পরে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ শোরগোল শুরু হয়ে যায়। কোস্টগার্ড জেটি সংলগ্ন এলাকার চায়ের দোকানি সোহেল রানা জানান, প্রথমে নদীর পানি লবণাক্ত হয়ে ওঠার কথা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে শুনেছেন। পরে তিনি নিজেও মুখে নিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হন।

স্থানীয় বাসিন্দা জসিম জানান, প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিলো শহরের ভেতর থেকে বয়ে আসা খালের মুখের পাশের জায়গাতে নদীর পানি লবণাক্ত। তাই এটা স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলো অনেকে। পরে বিভিন্নস্থান থেকে নদীর পানি লবণাক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরে। এমনকি এক চায়ের দোকানি একদিন নদী থেকে পানি এনে চা বানাতে গিয়ে তাতে লবণের উপস্থিতি পেয়ে ফেলে দিতে বাধ্যও হন।

স্থানীয় যুবকরা বলছেন, শুধু পানি লবণই নয়, গোসল করার পর চুলগুলো কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে, যা আগে হয়নি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ও বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলন বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী রফিকুল আলম জানান, ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তারা একটি সার্ভে করেছিলেন, যেখানে দেখতে পান শুষ্ক মৌসুমে সাগরের পানি তেঁতুলিয়া নদী পর্যন্ত চলে আসছে। তখন পরিবেশ অধিদপ্তরসহ দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে বিষয়টি নিয়ে ভাবার জন্য বলা হয়েছিলো।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বেশ কিছু মাধ্যমে শুনতে পারছি কীর্তনখোলা নদীর পানিতে লবণাক্ততা আসছে। এজন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে কীর্তনখোলা নদীর পানি পরীক্ষা করতে হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ যেটুকু নেওয়া প্রয়োজন তা নিতে হবে। তা না হলে আমাদের জলজ সম্পদের ক্ষতি হবে, পাশাপাশি মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর বিরুপ প্রভাব পড়বে এবং জীব-বৈচিত্র্যের ওপর বিরুপ প্রভাব পরবে।

তিনি বলেন, এখন থেকে ১০ বছর আগে উজান থেকে যে পানি আসতো নদীগুলোতে এখন তা কমে আসছে। আর আমাদের এখানে যখন পানির পরিমানটা কমবে তখন সাগর থেকে ওই পানির চাপটা ঠিকই আসবে। এটা কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বিরুপ প্রভাব। ফলে উজানের পানির প্রবাহ বাড়াতে হবে। পাশাপাশি জলবায়ু অভিযোজনের জন্য যা যা করা দরকার সেটা করতে হবে। সেইসঙ্গে আমাদের মানুষদেরও সচেতন হতে হবে।

তবে সবকিছুর আগে কীর্তনখোলায় লবণ পানির যে বিষয়টি শোনা যাচ্ছে সেটিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা করতে হবে। আর এটা নিয়মিত পরিবেশ অধিদপ্তর করে থাকে। তারা পরীক্ষা করে পানির মানের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে।

প্রতিমাসেই নদীর পানি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি বায়োকেমিস্ট মো. মুনতাসির রহমান। তিনি বলেন, পরীক্ষার হিসেব অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাসে কীর্তনখোলা নদীর পানির অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে কীর্তনখোলা নদীর ৬টি স্পট থেকে পানি সংগ্রহ করা হয়। যার পরীক্ষা করে পানিতে তড়িৎপরিবাহিতা ৩১৪ থেকে ৩৪০ মাইক্রোসিমেন্স পার সেন্টিমিটার পাওয়া গেছে। এরআগে ৩ থেকে ৪ শত মাইক্রোসিমেন্স পার সেন্টিমিটারের মধ্যেই পাওয়া যায়। সেখানে মার্চ মাসে পাওয়া গেছে ১৩৩১-১৩৬২ পর্যন্ত। যা মানদণ্ডের থেকেও অনেক বেশি। এটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়, তাই নিয়মিত মনিটরিং রাখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে অধিকতর বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

এদিকে পরীক্ষায় ফেব্রুয়ারি মাসের থেকে মার্চ মাসে তাপমাত্রা বেশি থাকলেও, অম্লতা এবং ক্ষারের পরিমান নির্দেশ করা পিএইচ এর পরিমান ঠিক ছিলো।

পরিবেশ অধিদপ্তরের রিপোর্টের বরাত দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল স্ট্যাডিজ অ্যান্ড ডিজস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে লবণাক্ততা কয়েকগুণ বেড়েছে। নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তন। এ কারণেই উপকূলীয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দক্ষিণাঞ্চলের সমস্ত এলাকার নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে গেছে। আর এ বছর সেসঙ্গে যোগ হয়েছে এখনো বৃষ্টি না হওয়া। বৃষ্টিপাত হলে স্বাভাবিকভাবেই স্যালাইনিটি লেভেল কমে যেতো।

তিনি বলেন, উজান থেকে যে পরিমান পানি প্রবাহিত হওয়ার কথা সে পরিমান না আসলে সমুদ্রের পানিটা বাইব্যাক করে নদীতে চলে আসে। তখন লবণাক্ততার পরিমান স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যাবে। তবে দুই মাসের পরীক্ষার ফলাফল এটা নিশ্চিত করে বোঝায় না যে এটা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। আমাদের আর একটু সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি তড়িৎ পরিবাহিতা (Electrical Conductivity-EC) বেড়ে যাওয়াতে কি ধরনের ক্যামিক্যাল কম্পোজিশনগুলো বেড়েছে সেগুলোও জানতে হবে, তাহলে বোঝা যাবে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ।

তবে লবণাক্ততা বেড়ে গেলে নদীতে বসবাসকারী প্রাণীর গ্রোথ হ্যাম্পার হবে। পাশাপাশি অনেক প্রজাতি হারিয়ে যেতে পারে। ইলিশসহ নানা ধরনের মাছের উৎপাদনেও প্রভাব ফেলতে পারে, তবে সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাবে না।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক কামরুজ্জামান সরকার জানান, প্রতি মাসেই কীর্তনখোলাসহ বরিশাল বিভাগের ১৫টি নদীর পানি পরীক্ষা করা হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পানির পরীক্ষার প্রাপ্ত ফলাফলে তড়িৎপরিবাহিতা ও স্যালাইনিটির প্যারামিটারগুলো সীমার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু মার্চ মাসে ড্রামাটিক্যালি তড়িৎ পরিবাহিতার মান অনেক বেড়ে গেছে। আমরা বিষয়গুলো লক্ষ করছি, ঘন ঘন পানির স্যাম্পল সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হবে। তবে এখনই বলা যাবে না যে, অর্থনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ কীর্তনখোলা নদীতে সেধরণের বিশাল কিছু হয়ে গেলো। আর আমরাও বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো।

তবে এমন সমস্যা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলেও হতে পারে বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখার আহবান তাদের।

মহামারি করোনা প্রতিরোধে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের আয়োজনে সচেতনতামূলক র‍্যালী ও প্রচারণা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (৫ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় নগরীর জিলা স্কুল মোড় থেকে র‍্যালীটি বের হয়।

বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএমবার এর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে গোটা নগরীতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক মোটরযান র‍্যালী ও লকডাউন কার্যকর কর্মসূচি শুরু হয়।

বর্ণাঢ্য এ র‍্যালীটি নগরীর জেলাস্কুল মোড় থেকে শুরু হয়ে জেলখানা মোড়, নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।

এর আগে বিএমপি কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম-বার বলেন, করোনা প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্যই এ প্রচারণা। তিনি বলেন, বিএমপির প্রত্যেকটি সদস্য অতীতের ন্যায় করোনা প্রতিরোধে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৭ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।

লকডাউনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের গণপরিবহন চলাচল করছে না। আর তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। লকডাউনে অনেকেই গত দুইদিন ধরে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। আজকেও কিছু যাত্রী রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে এসেছেন। বাস না ছাড়ায় হতাশা নিয়ে তারা বাসায় চলে যাচ্ছেন।

সোমবার (৫ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ব্যস্ততম গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার কোনো বাসই ঢাকা থেকে ছেড়ে যায়নি। তবে ঢাকার বাইরে থেকে যে সকল বাস গতকাল রাতে রওনা দিয়েছে সেগুলো বাস টার্মিনালের আশেপাশের এলাকায় এসে যাত্রীদের নামিয়ে টার্মিনালের ভিতর পার্কিং করে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে পুলিশের তৎপরতায় আমিনবাজার ব্রিজের আশেপাশের এলাকায় যাত্রীদের বেশি নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে সেখান থেকে বাসগুলো ঘুরিয়ে নিজ নিজ কোম্পানির নির্দিষ্ট স্থানে রাখার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

গাবতলী বাস টার্মিনালে বাসের টিকিট কাটতে আসা যাত্রী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি থাকি উত্তরা। বরিশাল যাবো বলে এখানে এসেছি কিন্তু এসে দেখি কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না। লকডাউনের কারণে বাস ছাড়বে না সেটা আগেই জানতাম তার পরেও কষ্ট করে এসেছি। এই ভেবে যে কোনো উপায়ে বরিশাল যাওয়া যায় কিনা। কিন্তু এখানে এসে যা দেখলাম তাতে গাবতলী থেকে বরিশাল যাওয়ার কোনো উপায় দেখছি না। আবার সদরঘাট থেকেও কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। কি করবো ভাবছি, লকডাউনে ঢাকা থেকেও তো কোনো লাভ নেই।’

অপর এক যাত্রী যাবেন আরিচা। তিনি বলেন, ‘গতবছর লকডাউনে গাবতলী থেকে প্রাইভেট কার বা মোটরসাইকেলে করে গিয়েছিলাম। কিন্তু আজ কোনো পরিবহন ছেড়ে যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে এখন আবার বাসায় চলে যাচ্ছি।’

এদিকে, সকাল থেকে গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, বাস কাউন্টারের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাউন্টার বন্ধ করে বসে আছেন। কেউ কেউ আড্ডা দিচ্ছেন আবার কেউ কেউ একসঙ্গে মিলে তাস খেলছেন।

গাবতলী এলাকায় মোহাম্মদ রাসেল হোসেন নামে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সকাল থেকেই আমরা এখানে ডিউটি করছি। সরকারের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী রাজধানী থেকে কোনো বাস যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ঢাকার বাইরে থেকে যে সকল বাস যাত্রী নিয়ে আসছেন, সকালে সেগুলোকে নির্দিষ্ট স্থানে বা সুবিধাজনক স্থানে পার্কিং করে রাখার জন্য অনুরোধ করছি। আগামী সাত দিন লকডাউনের কারণে কোনো ধরনের বাস চলাচল করতে পারবে না। তাছাড়া যাত্রীদের বা সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তায় আমরা সর্বদা সজাগ রয়েছি।

 

ঝালকাঠির নলছিটি পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. পলাশ তালুকদারের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেয়া অষ্টম শ্রেণির শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ জাল ও দুই মামলায় পাঁচ বছরের সাজার তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা জজ প্রথম ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. হুমাযুন কবির। তিনি কাউন্সিলরের গেজেট বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, বর্তমান কাউন্সিলর পলাশ তালুকদার ঝালাকাঠির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চুরি মামলায় দুই বছর ও ঝালকাঠি সেশন জজ আদালতের চাঁদাবাজি মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এ তথ্য তিনি নির্বাচনী হলফনামায় গোপন করেছেন। হলফনামার শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে অষ্টম শ্রেণি পাস উল্লেখ করেছেন। মনোয়নপত্রের সঙ্গে তিনি জাল সনদপত্র সংযুক্ত করেছেন। সনদপত্রে থাকা সিদ্ধকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরটিও জাল। পলাশ তালুকদার কোনোদিন ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন না মর্মে প্রধান শিক্ষক আব্দুল জলিল হাওলাদার প্রত্যায়নপত্র দিয়েছেন। এসব প্রমাণাদি নির্বাচন কমিশন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ও ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কাছে গত ৪ মার্চ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।

একই দিন নলছিটি পৌরসভা নির্বাচন-২০২১ এর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সির কাছে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এরপরেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলর পলাশ তালুকদারের গেজেট বাতিল করে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ায় তিনি (হুমায়ুন কবির) গত ২১ মার্চ আদালতে মামলা করেন। জানতে চাইলে কাউন্সিলর পলাশ তালুকদার বলেন, মামলাগুলোতে দণ্ডপ্রাপ্ত হলেও উচ্চ আদালত থেকে নিষ্পত্তি হয়েছে। আর সনদ সঠিকই আছে। প্রতিপক্ষরা মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও ঝালকাঠি >> ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় চল্লিশোর্ধ্ব এক গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে ওই নারীর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ঘরছাড়া করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোববার (০৪ এপ্রিল) কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী।

এর আগে গত বুধবার রাতে উপজেলার শৌলজালিয়া আবাসনে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, আবাসনের ঘরে বসবাস করছেন স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় গৃহবধূ। ঘরে লোক আছে এমন অজুহাতে ৩১ মার্চ বুধবার রাত ২টার দিকে মাইদুল খলিফা পরিচয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। পরিচয় পেয়ে ঘরের দরজা খুললে রফিক ও মাইদুল ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে। রফিক (৫০) দরজা বন্ধ করে দিয়ে প্রথমে মাইদুল ও পরে রফিক ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ডাক-চিৎকার দিলে নগ্ন ভিডিও ধারণ করা হয়। এ কথা কাউকে বললে এ ঘটনা ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং কারও কাছে যাতে ফোনে যোগাযোগ করতে না পারে এজন্য ভুক্তভোগীর মোবাইলটিও নিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে বিভিন্নভাবে ওই নারীকে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।

অভিযুক্ত রফিক উপজেলার কচুয়া গ্রামের আব্দুল সত্তারের ছেলে এবং মাইদুল শৌলজালিয়া গ্রামের আব্দুল মালেক খলিফার ছেলে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সেন্টারের হাট-বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী মো. শামসুল আলম সাংবাদিকদের জানান, রফিক আমার হোটেলে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। রফিকও একই আবাসনের বাসিন্দা। ওই নারীর সঙ্গে হোটেল কর্মচারী রফিকের দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। রফিক মাঝে মধ্যে আমার হোটেল থেকে পুরি, মুগলাই ও অন্যান্য খাবারসামগ্রী নারীর বাসায় নিয়ে যেত। এমনকি ওই নারীর নাতিকেও খাদ্যসামগ্রী কিনে দিতো সে।

শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান রিপন সাংবাদিকদের জানান, আমি ঘটনাটি শনিবার বিকালে শুনেছি। আমার কাছে কেউ কিছু আগে থেকে বলেনি। মাইদুল আমাদের একই বংশের হলেও তার সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ ও সম্পর্ক নেই। এছাড়া ভিকটিমও আমার আত্মীয় এবং অসহায় হওয়ায় আমি তাকে আবাসনের ঘর দিয়েছি।

এ ঘটনায় অপরাধী যেই হোক প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করাসহ এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন এ জনপ্রতিনিধি।

কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগ পেয়ে ভুক্তভোগীকে থানায় পাঠানো হয়েছে, ওসি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, ইউএনও আমার কাছে ভিকটিমসহ অভিযোগ পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রফিক নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

করেনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে সরকার সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করেন। তারি ধারাবাহিকতায় সারাদেশের মতো বরিশালেও চলছে লকডাউন বরিশালের বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দার এর নির্দেশনায়  ৫ এপ্রিল, সোমবার সকাল ১০ টায় বরিশাল নগরীতে তিনটি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তারা নগরীর লঞ্চ ঘাট, সদর রোড, হাসপাতাল রোড, নতুন বাজার, নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড, কাশিপুর বাজার, চৌমাথা বাজার, বটতলা বাজার, জিলা স্কুল মোড়, মেডিকেল মোড় আমতলার মোড় ইত্যাদি স্থানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রাব্বী ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মারুফ দস্তগীর। মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা কালে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য জনসাধারণেরকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয় পাশাপাশি তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য কথা বলেন সহকারী কমিশনার বৃন্দ। এসময় সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা রেখে এবং মাস্ক ব্যবহার না করে অযথা বাইরে ঘোরাফেরা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৬ টি প্রতিষ্ঠান ও ৭ জন ব্যক্তিকে ১১৮৮০ টাকা জরিমানা আদায় করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা। পাশাপাশি অন্য একটি অভিযানে ৫ জন ব্যক্তিকে ৩২০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রাব্বী। এসময় অন্য একটি মোবাইল কোর্টে ১৩ জন ব্যক্তিকে ২১০০ টাকা জরিমানা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মারুফ দস্তগীর। অভিযানে বরিশাল র‌্যাব-৮ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের দুইটি টিম আইন-শৃংখলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান করেন।

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ একমাসের মধ্যেই আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দীদের সাথে স্বজনদের সাক্ষাত বন্ধ করা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেল সুপার শাহ আলম।

তিনি বলেন, দেশে করোনার প্রার্দুভাব বেড়ে যাওয়ায় সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা হাজতী ও কয়েদীর স্বজনদের স্বাক্ষাত বন্ধ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পুনরায় দেখা করার কোন সুযোগ থাকবে না। জেল সুপার আরও বলেন, কারা অধিদফতর থেকে আদেশের কপি শনিবার বরিশালে এসে পৌঁছানোর পর রবিবার থেকেই তা কার্যকর করা হয়েছে। তবে আগের মতো নিয়ম অনুয়াযী সাধারণ বন্দিরা তাদের স্বজনদের সাথে টেলিফোনে কথা বলতে পারবেন। সেটা আট থেকে বাড়িয়ে ১০মিনিট করা হয়েছে।

সূত্রমতে, এর আগে গত বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্দীদের সাথে স্বজনদের সাক্ষাতকার বন্ধ করা হয়েছিলো। যা প্রায় একবছর বলবৎ ছিলো। পরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে একবছর পর চলতি বছরের মার্চ মাসে সাক্ষাত শুরু হয়েছিলো।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় বরিশাল নগরীতে দুটি এবং জেলার বানারীপাড়ায় একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এ সময় মাস্ক না পরায় ২৭ ব্যক্তি এবং মাস্কবিহীন লোকজনকে দোকানে প্রবেশ করতে দেয়ায় ৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অপরদিকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে একটি বাস থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

‘নো-মাস্ক নো-সার্ভিস’ বাস্তবায়ন ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা এবং শরীফ মো. হেলাল উদ্দিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অপরদিকে জেলার বানারীপাড়া উপজেলা সদরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত শারমীন। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত মাস্ক বিহীন জনসাধারণের মধ্যে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেন এবং জনগণকে মাস্ক পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন।

পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে মাস্ক না পরে ঘোরাফেরা করার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ২৭ জন ব্যক্তি এবং মাস্ক বিহীন মানুষকে দোকানে প্রবেশ করতে দেয়ায় ৮টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ সময় বাসে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করায় নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে মাওয়াগামী বিএমএফ পরিবহনের একটি বাস থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা।