ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন হাওলাদার (৬০) নামে এক কলেজশিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ছিলেন।

বুধবার (৩১ মার্চ) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন শহীদ রাজা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবুল বসার বাদশা। তিনি জানান, কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জয়খালী গ্রামের বাসিন্দা মহিউদ্দিন হাওলাদার।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি শারীরীকভাবে অসুস্থ ছিলেন। সর্বশেষ করোনা আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, গত বুধবার (১০ মার্চ) বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিন নেন মহিউদ্দিন সরকার। ভ্যাকসিন নেওয়ার চার দিনের ব্যবধানে শরীরে জ্বর আসে। একই সঙ্গে করোনার অন্যান্য উপসর্গও দেখা দেয়।

২৪ মার্চ করোনা পরীক্ষা করালে ২৫ মার্চ রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ক্রমে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার ২১ দিন পর তার মৃত্যু হয় বলে পরিবার জানায়।

পটুয়াখালীর গলাচিপায় আলোচিত আবদুর রব সিকদার হত্যা মামলায় ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল করিম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মো. ইদ্রিস মীর, মো. শাহজাহান মীর, মো. সিদ্দীক মীর, মো. জালাল মীর, মো. বেলাল মীর, মো. নূরুল ইসলাম মীর, মো. ওয়াজেদ মীর, মো. আতহার মীর, মো. হাবিব মীর ও মো. বাবুল মীর।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ১৪ মে গলাচিপার মুরাদনগরে চাষযোগ্য জমির মধ্যে রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে আবদুর রব সিকদারকে হত্যা করেন আসামিরা। এ ঘটনায় আবদুর রব সিকদারের স্ত্রী সালেহা বেগম বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় হত্যা মামলা করেন।

দীর্ঘ শুনানি ও ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ মামলার রায় দেন। রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে আসামিদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বাদীপক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কমল দত্ত ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আবুল কাসেম মামলাটি পরিচালনা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ নগরীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৯ মার্চ (সোমবার) দুপুর ২ টার সময় কাউনিয়া সোবাহান মিয়ার পুল এলাকায় এ নির্মম হামলার ঘটনা ঘটে।

 

এ সময় নগরীর পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা আয়নাল ব্যাপারীর ছেলে জহিরুল ইসলাম আলামিন নামের যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এ ঘটনায় বরিশাল কাউনিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, নগরীর পলাশপুর ১নং গলির বাসিন্দা আয়নাল ব্যাপারীর ছেলের সাথে কাউনিয়া থানাধীন রোকেয়া আজিম সড়কের বাসিন্দা হারুনের ছেলে শাওনের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। অপরদিকে শাওনের অপর ২ বন্ধু রোকেয়া আজিম সড়কের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে বাবু ও সুরুজের ছেলে আরাফাত। এই আরাফাত ও বাবুর বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক বিক্রীর অভিযোগ। কিছুদিন পূর্বে শাওনের ২ বন্ধু বাবু ও আরাফাতের সাথে জহিরুল ইসলাম আলামিনের কথা কাটাকাটি হয়।

এরই জেরে গত ২৯ মার্চ (সোমবার) দুপুরে শাওন কথা শুনার জন্য মোবাইল ফোনে কল দিয়ে আলামিনকে কাউনিয়া সোবাহান মিয়ার পুল এলাকায় আসতে বলে। আলামিন বন্ধু শাওনের কথা মতো সোবাহান মিয়ার পুল এলাকাতে গেলে হঠাৎ করে বাবু ও আরাফাত হাতুড়ি দিয়ে আলামিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় আলামিনের কানের গোড়ালিসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে তার সাথে থাকা স্বর্নের চেইন, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে যায়।

এদিকে ছিনিয়ে নেয়া আলামিনের মোবাইল ফোন থেকে বিভিন্ন অশ্লীল ও আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে আহত আলামিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও তার মাথায় গুরুতর আঘাতের কারনে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হবে বলে জানাগেছে। এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে কাউনিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

আসন্ন বাকেরগঞ্জ উপজেলা ৮ নং নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চার প্রার্থী। তবে স্থানীয়দের ধারণা, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের সাথে। জনসমর্থন ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে থাকা এই দুই প্রার্থী হলেন- সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জিয়াউর রহমান মিরন (লড়ছেন আনারস প্রতিক নিয়ে), দলীয় প্রার্থী ফিরোজ আলম খান (লড়ছেন নৌকা প্রতিক নিয়ে) । দেশব্যাপী ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনের আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাকেরগঞ্জ ৮ নং নলুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা লক্ষ্য করা গেছে। এলাকাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা ও চুলচেরা বিশ্লেষণ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ভোট নিয়ে আলোচনা।

তবে কোথাও কোথাও প্রচার মাইক ভাঙচুর ও কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারদলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বললেও এ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন স্বতন্ত্র ও বিরোধীদলীয় প্রার্থীরা। বিরোধীপক্ষের প্রার্থীর প্রচার মাইক,মোটরসাইকেল ভাঙচুর, প্রচারণায় বাধা এবং হুমকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই এলাকার অভি নামের এক বাসিন্দা জানান, ‘আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফিরোজ আলম খান সমর্থকরা অন্য সকল প্রার্থীর, কর্মী ও সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভীতি প্রদর্শন করছেন। এছাড়া, প্রচার মাইক ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। সব মিলিয়ে অন্য প্রার্থীর কর্মীরা প্রচারণা চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনা জানার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফিরোজ আলম খান এর মুঠোফোনে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। সরজমিনে গিয়ে আরো জানাযায়,সাধারণ জনগণ মোঃ জিয়াউর রহমান মিরন কে এবারের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাচ্ছে। কারণ হিসেবে নয়ন নামের এক বাসিন্দা জানান,মিরন ভাই দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রথম ২০১১ সালে নির্বাচিত হন।

চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো,পুরো ইউনিয়নের বেরিবাদের কাজ,প্রত্যেক বাড়িতে গভীর নলকূপ বসিয়ে দেওয়া,গরিবদের জন্য পাকা স্যানিটেশন লেপটিন,পাকা রাস্তা ঘাট করা, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা মসজিদ মন্দিরের উন্নয়নমূলক কাজ করা। সরকারের কাছে আবেদন করে দুইটি ব্রিজ ও অসংখ্য কালবাট করে দিয়েছে। এছাড়াও ধর্মীয় মূলক কাজ, বাল্যবিবাহ বন্ধ, মাদক নির্মূল, বয়স্ক ভাতা সহ জনগণের জানমাল নিরাপত্তায় জন্য সে জীবন বাজি রেখে কাজ করে গিয়েছেন। শাওন নামের আরেক বাসিন্দা জানান, এবারে নৌকা যাকে দিয়েছে তার নেই এলাকায় কোন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের ছোয়া। এলাকার উন্নয়নমূলক কোন কর্মকান্ডে তাকে দেখা যায়নি। এলাকায় দলীয় কোন প্রোগ্রামে তাকে তেমন একটা দেখা যায় না। এলাকার আ’লীগ নেতা তপন মোল্লা জানান, এবারের নৌকার প্রতিকের তাকে আ’লীগৈর কোন কর্মকান্ডে দেখা যায় না। অন্যদিকে সাধারন জনগন চায় চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে সাবেক চেয়ারম্যান মিরনকে । তাই সাধারণ জনগণের ইচ্ছা রক্ষার্থে সে নির্বাচন করে। আওয়ামী লীগ পরিবারে তার জন্ম। জন্মের পর থেকেই আওয়ামী লীগকে মনেপ্রাণে ভালোবেসে এসেছে। সাবেক চেয়ারম্যান থাকাকালীন অবস্থায় আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছেন।এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ জিয়াউর রহমান মিরন বলেন, আমি আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান,আমি বাকেরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সদস্য। আমার কোন পোস্ট দরকার নেই আমি আওয়ামী লীগের সদস্য হয়ে থাকতে চাই। সাধারণ মানুষের ইচ্ছা এবং চাওয়া পূরণ করার জন্য এবারের নির্বাচন আমি করছি।আমি শতভাগ আশাবাদী নির্বাচনে আমি জয়যুক্ত হব।কারণ সাধারণ জনগণের পাশে আমি পূর্বে ছিলাম, এখনো আছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি তাদের পাশে থাকতে চাই।

বরিশালে ছেলের সঙ্গে অভিমান করে রুমা বেগম (৪৫) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (২৮ মার্চ) রাতে বরিশাল নগরের পলাশপুরের গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

রুমা বরিশাল নগরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশপুর ৮ নম্বর গলির দিনমজুর নাসির খাঁর স্ত্রী। মৃত রুমা তিন সন্তানের জননী ছিলেন।

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানান, মারা যাওয়া নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

মরদেহ উদ্ধার করে রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি আজিমুল করিম।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি জানান, সংসার চালানোর জন্য একটি সমিতি থেকে ঋণ নেন রুমা। ঋণের কিস্তি পরিশোধের টাকা নিয়ে গত দুই দিন আগে এক ছেলের সঙ্গে রুমার বাগ-বিতণ্ডা হয়। বাগ বিতণ্ডার পর তার ওই ছেলে মায়ের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন। এতে অভিমান করে রোববার (২৮ মার্চ) রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন রুম। তবে কোন ছেলের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডা হয়েছে বা তার নাম জানাতে পারেনি কাউন্সিলর রনি

 

লিটন বাইজিদঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ড পরেশ সাগর মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে বিসিক উদ্যোক্তা মেলা। মেলা শুরু হয়েছে গত ২২ শে মার্চ বিসিসি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (বিএমপি) প্রলয় চিসিম। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেলার প্রবেশদ্বারে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে ফ্রী মাক্স বিতরণ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও রয়েছে করোণা সুরক্ষা বুথ এবং দর্শনার্থীদের মাঠে প্রবেশকালীন সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা -চলের জন্য বার বার মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। যাহা স্বাস্থ্যবিধি মানতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া মেলার উল্লেখযোগ্য বিষয় হল সকল শ্রেণী-পেশার মানুষদের জন্য ফ্রি প্রবেশের ব্যাবস্থা । মেলায় বরিশাল সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে প্রায় ৬০ টি দোকান রয়েছে তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে জুতার দোকান, ব্যাগের দোকান, জামা কাপড়ের দোকান, শাড়ির দোকান, আচারের দোকান, বিভিন্ন তাঁত শিল্পের দোকান, গহনার দোকান,বাচ্চাদের খেলনার দোকান, ক্রোকারিজ এর দোকান সহ অনেক রকমের ব্যতিক্রমী পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন উদ্যোক্তারা। মেলার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সার্বক্ষণিক প্রশাসনের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। মেলার মূল আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য রাইডিং এর ব্যবস্থা যেমনঃ জাম্পিং জোন, বল হাউজ, ট্রেন, নৌকা দোলনা, চড়ক বাজি, হানি সিং, সুপার চেয়ার, পানির ফোয়ারা, বেলুন সুট সহ আরো অনেক কিছু। মেলায় ঘুরতে আসা এক দম্পতি বলেন করোনা মহামারী প্রকোপ কাটিয়ে দীর্ঘ ১ বছর পরে বরিশালে মেলা শুরু হওয়ায় মেলায় আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে, এখানে দেখা ও কেনার মতো অনেক কিছু আছে, বিশেষ করে বাচ্চাদের বিনোদনের আয়োজনটি বেশি ভালো লেগেছে । সার্বিক বিষয় নিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষ বলেন, আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি মেলায় আগত সকল দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, তাই সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলায় আসুন এবং নতুন নতুন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রধান করুন।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
২৫ মার্চ কালো রাত । ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীরা গভীর রাতে হামলা চালায় নিরস্ত্র বাঙ্গালিদের উপর করা হয় গনহত্যা । এই দিনটিকে গভীর ভাবে স্মরণ করে সকল স্তরের মানুষ । একদিকে চলছে বরিশাল মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত ওয়াপদা কলোনীর টর্চার সেলে জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন অন্যদিকে সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাতের আধারে সরকারী গাছ লুট করেছে এক ছাত্রলীগ নেতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগ সহ সভাপতি শওকত হোসেন অপু বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সফল মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ’র নাম বলে সরকারের লাগানো শিশু গাছ লুট করে। এ যেনো ছাত্রলীগ নেতা নয় গাছের ব্যাপারি।

কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে গভীর রাতে সরকারি রাস্তার পাসের শিশু গাছ কাটার সময় চোখ পড়ে যায় গণমাধ্যমকর্মীদের। জানতে চাওয়া হয় কারা গাছ কাটছে এবং এত রাতে কেন? এসময় পাশের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে ওই ছাত্রলীগ নেতা। বলে উঠেন ভাইয়ের বাসার ফার্নিচারের কাজে লাগবে তাই। কোন ভাই জানতে চাইলে তিনি রেগে উঠে বলেন, সাংবাদিকতা করেন আর ভাইকে চিনেন না এটা কেমন কথা? এর পরেও জানতে চাওয়া হয় কে সেই ভাই তিনি উচ্চস্বরে বলেন সাদিক ভাই।

এরপরে গণমাধ্যম কর্মীরা বরিশালের সফল মেয়রের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি বলেন আপনারা চেষ্টা করে দেখেন। এসময় মেয়েরের নাম বলায় সাংবাদিকদের তোপের মুখে পরেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। হঠাৎ গাছ কাটা লেবারসহ দৌড়ে পালিয়ে যায় ওই ছাত্রলীগ নেতা। সাংবাদিকরা বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি তার একটি মোবাইল টিম ওখানে পাঠায়। সেখানে হাজির হন বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার চৌকস উপ-পুলিশ পরির্দশক(এসআই) পিন্টু পাল।

তিনি গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে সরকারী গাছ ভর্তি নছিমন ও গাছ কাটায় ব্যবহৃত কুরাল, শাপল, গাছ কাটা করাত সহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করে জব্দ করেন। রাতে আটককৃত নছিমন থানায় নিয়ে যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা বরিশাল মহাসড়েকর চাঁদপুরা ইউনিয়নের রায়পুরা গ্রামের সোনালী পােল ও পণ্ডিত বাড়ির মাঝ খানে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমিতে রোপিত সরকারী শিশু গাছ কাটা অবস্থায় পড়ে আছে এবং বেশ কয়েকটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চলছে সড়ক উন্নয়নের কাজ।

সড়কের জায়গা সরকার অধিগ্রহন না করায় স্থানীয়রা কাজে বাধা এবং মামলা দায়ের করেছে। যার ফলে রাস্তার উত্তর পাশে পরিধি বাড়ানোর কাজ চলছে। কিন্তু রাতের আধারে ওই ছাত্রলীগ নেতা সড়কের দক্ষিনপাশ দিয়ে গাছ কেটে নিয়ে যায়। এবিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা লেখেন সব ভাই দেখবে বলে ফোনের লাইন কেটে দেয়।

সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতার ঘটনা নিয়ে কথা হয় বরিশাল সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান সুজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের পরিচয়ে কেউ অপকর্ম করে তার দায়ভার আমার নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেবে না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে আমাদের কোন সহযোগীতা তিনি পাবে না।

এব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার জানান, গভীর রাতে আমাদের টহলগাড়ি সরকারী গাছসহ নছিমন যাচ্ছিল পুলিশের গাড়ি দেখে পালায়ি যায় দুবৃত্তরা।এসময় আমাদের অফিসার নছিমন থানায় নিয়ে আসছে। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নিজ ঠিকানা গোপন করে নিয়োগ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। নিজ ঠিকানা বরিশাল সদর হওয়ার পরও শিক্ষিকা খালেদা আক্তার রিনা আত্মীয়র বাড়ি বাকেরগঞ্জ নিজ এলাকা দেখিয়ে এ চাকরি নিয়েছেন।

এ নিয়ে উপজেলার কাফিলা কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের মধ্যে চলছে গুঞ্জন।

জানা গেছে, ওই শিক্ষিকার নাম খালেদা আক্তার রিনা, বাবার নাম মো. আবুল কালাম। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দাওকাঠী গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ২৫ মার্চ ২০২০ সালে উপজেলার কাফিলা কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগদান করেন।

তবে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে গ্রাম/রাস্তা খাদেম হোসেন সড়ক, ডাকঘর বরিশাল সদর দেখানো হয়েছে। নিয়োগপত্রে দেখানো ঠিকানায় যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই এলকার বাসিন্দা না বলে জানা যায়।

জানতে চাইলে দাওকাঠী (৫ নম্বর ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য কবির হাওলাদার জানান, খালেদা আক্তার রিনা বা তার বাবা মো. আবুল কালাম নামে কাউকে তিনি চিনেন না। তারা এলাকার ভোটারও না।

একটি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা আক্তার রিনা দাওকাঠী গ্রামের ওয়ারিচ মুন্সির ছেলে মো. সুমন মুন্সির ঠিকানায় চাকরি নিয়েছেন। সুমন মুন্সি খালেদা আক্তার রিনার সম্পর্কে দুলাভাই।

এ বিষয়ে স্কুলশিক্ষিকা খালেদা আক্তার রিনা বলেন, আমার সম্পর্কে অনেক ইনভেস্টিগেশন হয়েছে, দরকার হলে তাদের কাছ থেকে জেনে নিয়েন।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই; তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গত ২২ মার্চ সোমবার বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক দখিনের বার্তা, দৈনিক সাহসী সংবাদ অনলাইন পত্রিকায় “দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়ম ভেঙে এখন ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত” শিরোনাম সহ বিভিন্ন শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূন্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

 

আমার ভাই দীর্ঘদিন সুনামের সাথে পটুয়াখালী এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলো। সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী পটুয়াখালী থেকে পিরোজপুরে তাকে বদলি করে । পিরোজপুর এলজিডিতে যোগদান করার পর হঠাৎ করে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ছুটি নিয়ে বরিশাল রাহাত আনোয়ার হাসপাতালের ৯১২ নম্বর রুমে ভর্তি হয়।ও সেখান থেকেই আমার ভাই দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেই।

সংবাদে উল্লেখিত আমার অন্য ভাই ও যথেষ্ট ভালো মানুষ। এলাকায় তাদের সুনাম রয়েছে।
প্রকৃত পক্ষে এক শ্রেনীর কূচক্রী মহল আমার ও আমার পরিবারের দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করতে সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নিবেদক-
মনিরুল ইসলাম মনি,
আমতলী গুলশাখালী ইউনিয়ন।

বাসের যন্ত্রাংশ চুরি ও বাস শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে এবং মহাসড়কে মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে বরিশাল-ঝালকাঠিসহ ৮টি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো টানা ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী সাধারণ। দাবিসমূহ সুরাহা ও টার্মিনালে যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলেও জানান ঝালকাঠি জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর চৌধুরী।

ঝালকাঠি জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২২ মার্চ) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনালে থাকা ঝালকাঠি মালিক সমিতির বেশকয়েকটি বাসের বাহিরের যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে বাসের চাকা ছিঁদরো করে দেয় মাহিন্দ্রার মালিক ও চালকরা।

তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে বাস শ্রমিকদের মারধর ও জীবননাশের হুমকি দেওয়া মাহিন্দ্রা চালক ও মালিকরা।

এ ঘটনার বিচার ও মহাসড়কে অবৈধ মাহিন্দ্রা চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিভিন্ন রুটের লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা করে ধর্মঘটের ডাক দেন বাস ও মিনিবাস শ্রমিক এবং শ্রমিক ইউনিয়ন।

প্রথম দিন অন্যান্য যানবাহন চলাচল করলেও বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে এসব জেলা শহরের সাথে মাহিন্দ্রা ও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলেও জানান ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ।

বাস চলাচল বন্ধ থাকা রুটগুলো হল- বরিশাল-ঝালকাঠি, ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া, বরিশাল-খুলনা, বরিশাল-পিরোজপুর, বরিশাল-মঠবাড়িয়া, বরিশাল-পাথরঘাটা, ঝালকাঠি-রাজাপুর ও ঝালকাঠি-কাঁঠালিয়া এই ৮টি রুটের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

দেখা গেছে, চরম দুর্ভোগের শিকার অনেক যাত্রী সময় মতো গন্তব্যে যেতে না পেরে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার বেশি ভাড়া দিয়ে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলসহ বিকল্পভাবে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

ভুক্তভোগী রুহুল আমীন নামে ঝালকাঠিগামী এক যাত্রী জানান, ভোলা থেকে আসছি। বরিশাল হয়ে ঝালকাঠি যাবো। রূপাতলি এসে শুনি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখন মোটরসাইকেলে দুইজনে ৩০০ টাকায় ঝালকাঠি যাচ্ছি।

বরিশাল রূপাতলী বাসস্ট্যান্ডের (বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস) মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জানান, মাহিন্দ্রা চালকরা অবৈধভাবে মহাসড়কে মাহিন্দ্রা চালায়। এতে বাস শ্রমিকরা বাঁধা দিলে উল্টো তাদের ওপর মারধর করে মাহিন্দ্রা মালিক ও চালকরা। বাসে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে আজ মাহিন্দ্রা চলাচলের জন্য বাস মালিকরা লোকসানের মুখে পড়ছে। এছাড়াও মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে মাহিন্দ্রা চলাচলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে৷ তাই এসমস্যা সমাধানে স্থায়ী সমাধান দরকার বলেও মনে করছেন তিনি।