বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় নিজ ঠিকানা গোপন করে নিয়োগ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। নিজ ঠিকানা বরিশাল সদর হওয়ার পরও শিক্ষিকা খালেদা আক্তার রিনা আত্মীয়র বাড়ি বাকেরগঞ্জ নিজ এলাকা দেখিয়ে এ চাকরি নিয়েছেন।
এ নিয়ে উপজেলার কাফিলা কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের মধ্যে চলছে গুঞ্জন।
জানা গেছে, ওই শিক্ষিকার নাম খালেদা আক্তার রিনা, বাবার নাম মো. আবুল কালাম। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দাওকাঠী গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ২৫ মার্চ ২০২০ সালে উপজেলার কাফিলা কৃষ্ণনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগদান করেন।
তবে তার জাতীয় পরিচয়পত্রে গ্রাম/রাস্তা খাদেম হোসেন সড়ক, ডাকঘর বরিশাল সদর দেখানো হয়েছে। নিয়োগপত্রে দেখানো ঠিকানায় যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই এলকার বাসিন্দা না বলে জানা যায়।
জানতে চাইলে দাওকাঠী (৫ নম্বর ওয়ার্ড) ইউপি সদস্য কবির হাওলাদার জানান, খালেদা আক্তার রিনা বা তার বাবা মো. আবুল কালাম নামে কাউকে তিনি চিনেন না। তারা এলাকার ভোটারও না।
একটি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা আক্তার রিনা দাওকাঠী গ্রামের ওয়ারিচ মুন্সির ছেলে মো. সুমন মুন্সির ঠিকানায় চাকরি নিয়েছেন। সুমন মুন্সি খালেদা আক্তার রিনার সম্পর্কে দুলাভাই।
এ বিষয়ে স্কুলশিক্ষিকা খালেদা আক্তার রিনা বলেন, আমার সম্পর্কে অনেক ইনভেস্টিগেশন হয়েছে, দরকার হলে তাদের কাছ থেকে জেনে নিয়েন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোন্দকার জসিম উদ্দিন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই; তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।