৫ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে নৌকা প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।

আজ শনিবার বেলা ১১ টায় গণভবনে দলের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের প্রায় অধিকাংশ সদস্যই উপস্থিত ছিলেন। চুলচেরা বিশ্লষণ শেষে এ প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়।

খুলনায় তালুকদার আবদুল খালেক, সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, রাজশাহীতে খায়রুজ্জামান লিটন, বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত, গাজীপুরে আজমত উল্লাহ খান। বিভিন্ন জরিপের ভিত্তিতে এই প্রার্থীতা চূড়ান্ত করা হয়

 

নিজস্ব প্রতিবেদক || প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা’ নামক শিরোনামে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি বরিশালের স্থানীয় এক পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপণ দিয়ে নগরীর রুপাতলি নগর প্লাজা মার্কেটের ৬ টি দোকান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে জসিম স্যানেটারি নামক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটার মোঃ জসিম খান।
গত পাঁচ বছর ধরে দোকান মালিককে ভাড়া না দিয়ে কূটকৌশলে দোকানগুলো দখল করে উল্টো দোকান মালিকের কাছে চাঁদা দাবী করছে জসিম।উকিল নোটিশ পূর্বক দোকান ছাড়ার নোটিশ দেয়া হলেও জসিম তা তোয়াক্কা না করে উল্টো দোকান মালিক আব্দুল মান্নান ও তার ডাক্তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।এমনকি জসিম তাদের উপর হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
দোকান মালিক আব্দুল মান্নান বলেন,২০১৩ সালে নগরীর রুপাতলী নগর প্লাজা মার্কেটের ৪ টি দোকানের বিপরীতে জামানত বাবদ ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে ৩ বছর মেয়াদে জসিম খান নামের এক স্যানিটারী ব্যবসায়ী দোকানগুলো ভাড়া নেয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে আরো ২টি স্টল জসিমকে দেড় লক্ষ টাকা জামানত বাবদ ৩ বছর মেয়াদে ভাড়া দেয়া হয় সুসম্পর্কের কারণে আমার (দোকান মালিক আব্দুল মান্নান) নগর প্লাজা মার্কেটের সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয় জসিমকে । এবং অনান্য দোকানগুলোর ভাড়াসহ জামানতের টাকা উত্তোলন করত সে।
কিন্তু ২০১৯ সাল থেকে ভাড়াটিয়া জসিম দোকান ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেয়।অনান্য উত্তোলনের টাকার হিসেবেও ব্যাপক গরমিল করে।এর প্রতিবাদসহ সালিশ মিমাংশা করতে গেলে জসিম তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার (দোকান মালিক আব্দুল মান্নান) বসতঘরে ঢুকে হামলা চালায়।পরে জসিম স্থানীয় কতিপয় কিছু ব্যক্তির যোগসাজসে আমাকে জামায়াতের নেতার অপবাদ দিয়ে সমাজে হেও পতিপন্ন করার পাঁয়তারা চালায়।এবং পত্রিকায় ওই বিজ্ঞাপন দিয়ে নানা অপকর্ম শুরু করে জসিম।
নগরীর রুপাতলী নগর প্লাজা মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন,জসিম স্যানেটারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটার মোঃ জসিম খান ও নগর প্লাজা মার্কেটের মালিক আব্দুল মান্নান এর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।জসিম অদৃশ্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে এ সব কার্যক্রম সম্পন্ন করছে।
দোকান মালিক আব্দুল মান্নান এর ছেলে ডা. জিয়াউল হক বলেন,গত ২৮/০২/২৩ তারিখে জসিম খান ও তার ভাগিনা নয়ন ও রাশেদ খানসহ ২০/২৫ জন আমার বসতঘরের সামনে এসে বাবা ও আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার আমি কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী দায়ের করি।এ ঘটনায় জসিম ক্ষিপ্ত হয়ে গত ০১/০৪/২৩ইং তারিখে আমার বাবা আব্দুল মান্নান ও ছোট ভাইকে বেদম মারধর করে।স্থানীয়রা বাবাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে।এবং ছোট ভাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,এই জসিমের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজী,প্রতারণা,মারামারি,হত্যার হুমকি ও দোকান দখলসহ একাধিক মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী জসিম ও তার সহযোগী নয়ন,রেজা।দু’পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জসিম স্যানেটারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটার মোঃ জসিম খানরে ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।
বরিশাল কোতয়ালি মেডেল থানার অফির্সাস ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন,উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় বসা হয়েছিল।কিন্ত কোন সমাধান হয়নি।তারা মামলা নিয়ে রয়েছে।

 

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নাকাল মানুষ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সংকটে এতিমখানার শিশুরাও। মানুষের দান এবং সদকায় চলে এমন এতিমখানাগুলোর শিশুদের জন্য সংকট তৈরি হয়েছে। প্রভাব পড়েছে দান-সদকা করা মানুষের ওপর। কমেছে সহায়তার পরিমাণ। প্রতি বছর রমজানে এ সকল শিশুদের মুখে হাসি ফুটলেও দু’বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কষ্টের ছাপ। খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে দিন কাটছে এতিম ও দুস্থ শিশুদের। এতিমখানার দায়িত্বরতদের পোহাতে হচ্ছে বেগ।

পলাশপুর রহমানিয়া এতিমখানায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, রমজানে বন্ধ নেই এ সকল এতিমখানা। এই দুস্থ এতিম শিশুদের কোথাও যাওয়ার জায়গাও নেই। তবে কিছুসংখ্যক শিশু যাদের বাবা-মা ছাড়া অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন আছেন তারা ঈদে গ্রামে যাবে। রমজান মাস কাটবে এতিমখানায়। আর যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তারা সারা বছর এই এতিমখানায় দিনযাপন করেন। মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে এ সকল শিশুরা। সংকট তৈরি হলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন দিয়ে খাবার এবং পড়াশোনার খরচ চালায়। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের এ সকল শিশুদের মুখে খাবার জোটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা ফিরোজি বলেন, এখানে এতিম ও দুস্থ শিশু আছে ৬৫ জন। সবাই এখানে থাকে। সবাইকেই আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়। এখন নিজেদের চেষ্টায় তাদের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মানুষের দান সদকার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো চলে। এসব এতিম শিশুদের চালাতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। এরমধ্যে আবার নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গিয়েছে। রমজানে তাদের সেহ্‌রি এবং ইফতার যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সাহায্য প্রয়োজন পরিচালক ফিরোজি ০১৯২৪৬১২৯১৮ বিকাশ