TT Ads

 

বরিশালে দত্তকের আড়ালে শিশু নির্যাতন ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের ভয়াবহ অভিযোগে এডলিন বিশ্বাস নামে এক বিতর্কিত নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে গোপনে চলা এই মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে আদালতের কার্যক্রমে।
৩০ ডিসেম্বর বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার এসআই মাজেদের নেতৃত্বে পুলিশ নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ রোড এলাকা থেকে এডলিন বিশ্বাসকে আটক করে।
থানা সূত্র জানায়, নগরীর পোর্ট রোডের একটি হোটেলে কর্মরত শ্রমিক ময়িয়মের কন্যা এনজেল ওরফে মিমকে পড়াশোনার কথা বলে দত্তক নেওয়া হয়। শর্ত ছিল—শিশুটিকে লেখাপড়া করানো হবে এবং কোনো অবস্থাতেই ধর্মান্তর করা হবে না। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ভেঙে নোটারির মাধ্যমে শিশুটিকে খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তর করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, পড়াশোনার সুযোগ না দিয়ে মিমকে গৃহকর্মে বাধ্য করা হয়। কাজ করতে অস্বীকৃতি জানালে চালানো হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একপর্যায়ে মিম এডলিন বিশ্বাসের বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনার ভয়াবহতা আরও বেড়ে যায় যখন অপরাধ আড়াল করতে উল্টো শিশুটিকে ‘নিখোঁজ’ দেখিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এডলিন বিশ্বাস। পরে পুলিশ মিমকে উদ্ধার করে আদালতে হাজির করে। আদালতে ২২ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে মিম স্পষ্টভাবে নির্যাতন ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের অভিযোগ তুলে ধরে।
মিমের জবানবন্দি আমলে নিয়ে আদালত এডলিন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়ন করে পুলিশ তাকে আটক করে।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, এডলিন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মুসলিম নারীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি শিল্পপতি, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের ব্ল্যাকমেইল করে নগদ অর্থ ও সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
শিশু নির্যাতন ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মতো গুরুতর অভিযোগে এই ঘটনায় নগরজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহলের দাবি—এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শুধু একজন নয়, এর পেছনে জড়িত পুরো চক্রকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

TT Ads