#

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীতে বিড়ালের বাচ্চা নিয়ে বাক-বিতণ্ডার জেরে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত আলতাফ খান পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার হাজীখালী গ্রামের মৃত হরমুজ খানের ছেলে।

#

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাজীখালী গ্রামের খান বাড়ির বাসিন্দা নিহত আলতাফ খানের ভাইয়ের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের ঘরে প্রতিবেশী অন্য কারও ঘর থেকে একটি বিড়ালের বাচ্চা আসে। ওই বাচ্চাটি নিজের বলে দাবি করেন মরিয়মের সাত বছর বয়সী শিশুপুত্র। অপরদিকে বিড়ালের বাচ্চাটি দেখে পছন্দ হয় আলতাফ খানের আট বছর বয়সী ছেলের। তিনিও বিড়ালের বাচ্চাটি নিজের বলে দাবি করেন। এ নিয়ে ওই দুই শিশুর মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে আলতাফ খানের শিশুপুত্র মরিয়মের ছেলেকে ঘুষি মারে। ঘটনা দেখে মরিয়ম আলতাফ খানের ছেলেকে শাসিয়ে একটি থাপ্পর দেন। এই ঘটনা দেখে প্রতিবাদ জানান মরিয়মের ভাসুর আলতাফ খান।

এ নিয়ে মরিয়ম ও আলতাফ খানের মধ্যে সোমবার বিকেলে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার জের ধরে পরের দিন মঙ্গলবার সকালে মরিয়ম ও আলতাফ খানের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। তখন মরিয়ম তার ভাসুর আলতাফ খানকে উঠানে পড়ে থাকা একটি কোদাল দিয়ে আঘাত করেন। আঘাতে আলতাফ খানের মাথা ফেটে যায়।

শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়- আহত আলতাফ খানকে প্রথমে পটুয়াখালী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন বিকেলে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। দুদিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন আলতাফ খান। বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম।

হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ময়নাতদন্ত শেষে বৃহষ্পতিবার বিকেলে নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার মোর্শেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের বাড়িতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু মারামারির ঘটনার পর অভিযুক্ত মরিয়ম পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।

এই ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, জানান ওসি।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here