বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, সেবা দেওয়ায় আরও স্বচ্ছতা, দক্ষতা, পারদর্শিতা বাড়িয়ে অনাগ্রহ দূরীকরণে উদ্দীপনামূলক কর্মশালাসহ যে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কোনো মামলা পেন্ডিং থাকবে না।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও সাধারণ গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্টের ক্ষেত্রে আরও আন্তরিক হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকালে পুলিশ কমিশনার কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, মামলা তদন্ত ও নিষ্পত্তিতে কারো কোনো গাফিলতি রয়েছে কি না বা কোনো নিরীহ সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকি করতে হবে।
তিনি বলেন, মাদক নির্মূল তৎপরতা তথা চুরি বন্ধে গোয়েন্দা বিভাগের পাশাপাশি সকল বিভাগের থানা ও ফাঁড়িগুলোতে আরও তৎপরতা বাড়াতে তাগিদ দেন।
চুরি ডাকাতিসহ যেকোন অপরাধ প্রতিরোধে জনসাধারণকে উজ্জীবিত করে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
সকলের আন্তরিক সদিচ্ছা, স্বচ্ছতা ও নির্ভেজাল সেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি নিরাপদ নগরী উপহার দেওয়া সম্ভব বলে তিনি এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সহকারী পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অপারেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) মো. নাসির উদ্দীন মল্লিকের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর-দপ্তর) আবু রায়হান মুহাম্মদ সালেহ্, উপ-পুলিশ কমিশনার (সাপ্লাই অ্যান্ড লজিস্টিকস) মো. জুলফিকার আলি হায়দার, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোকতার হোসেন পিপিএম সেবা, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন মজুমদার পিপিএম, উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. খাইরুল আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অপারেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) খান মুহাম্মদ আবু নাসের, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. মনজুর রহমান পিপিএম-বারসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ।