নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, প্রচলিত গনতন্ত্রকে বিশ্বাস করলে ঈমান থাকবে না। প্রচলিত গনতন্ত্রে বলা হয় সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ যা স্পষ্ট শিরক।ধর্মনিরপেক্ষতা বলতে নাস্তিক্যবাদকে বুঝায়। আমরা (ইসলামী আন্দোলন) রাজনীতি করি একমাত্র আল্লাহকে রাজি খুশি করার উদ্দেশ্যে। এমপি মন্ত্রীত্ব পাওয়ার জন্য নয়। সাড়াদেশে আগত ইউপি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী দেয়া হবে। ইসলামী আন্দোলন আল্লাহ ও রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আদর্শ বাস্তবায়নের জন্যই রাজনীতি করে। তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বয়ানে কুরআনের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, আল্লাহ বলেন আক্বিমুদ্দীন অর্থাৎ দ্বীন প্রতিষ্ঠা কর। শুধু ব্যক্তি জীবনে দ্বীন মানলেই দ্বীন প্রতিষ্ঠা হয়না। আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়ন করতে হলে, ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সাংসারিক জীবনে, সমাজ জীবনে, এবং রাষ্ট্রীয় জীবনেও দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ইসলামী আন্দোলন আল্লাহর এ হুকুম পালন করতেই রাজনীতি করে দুনিয়ার স্বার্থ হাসিল করতে নয়। দুনিয়ার স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করলে আল্লাহ কাউকেই ছাড় দেবেনা। যে যতবড় ক্ষমতাশালী হোকনা কেন মৃত্যুর হাত থেকে কেহ রেহাই পাবেনা। তখন বেঈমানদের জন্য কবরে কঠিন শাস্তি দিবেন।শেষ বিচারের দিনে মহান আল্লাহ জীবনের প্রত্যেকটা কর্মের পুংখানুপুংখ হিসেব নিবেন। সেদিন কে পীর আর কে মুরিদ সেই হিসাব থাকবেনা। যার আমল ভালো হবে সে জান্নাতে যাবে আর যার আমল খারাপ হবে তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি। এসময় তিনি জান্নাত ও জাহান্নামের কিছু বর্ননা দেন। হাশরের ময়দানের ভয়াবহতার বর্ননা দেন। এছাড়া সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর ও নায়েবে আমীরুল মুজাহিদীন মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম জুম্মা পূর্ব বয়ানে বলেন ভোট মানে সহযোগিতা করা, সমর্থন দেয়া। যাকে ভোট দেয়া হয় সে বিজয়ী হয়ে ভালো কাজ করলে তার সওয়াবও ভোটার পাবে ঠিক তেমনি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে যদি কেউ কেউ খারাপ কাজ করে, জিনা ব্যভিচারের সমর্থন দেয় তার পাপেরও সমান ভাগী হতে হবে। মৃত্যুর আগেই নিজেকে আল্লাহর জন্য সংশোধন করতে হবে। মানুষের নৈতিক চরিত্র পরিশুদ্ধ নয় বিধায় মানুষ অপরাধে জড়িয়ে সমাজকে কলুষিত করছে। কলুষমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য পরিশুদ্ধ আত্মার মানুষ প্রয়োজন। চরমোনাই দাদা হুজুর রহ. চরমোনাই মাহফিল প্রতিষ্ঠা করেন পরিশুদ্ধ আত্মা ইমানদার মানুষ গড়ার জন্যই। শায়েখে চরমোনাই আরো বলেন, উলামায়ে ক্বিরামদেরকে তাদের স্বাতন্ত্র রক্ষা করে দ্বীনের খিদমত করে যেতে হবে। আবহমানকাল ধরে উলামায়ে ইসলামগণ সত্যের পক্ষে আপোষহীনভাবে কাজ করে গেছেন। তাদের অবদানকে সামনে রেখে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ইসলামের জন্য কাজ করার আহবান জানান তিনি। শায়েখে চরমোনাই বলেন, চরমোনাই মাহফিল শুধুমাত্র বার্ষিক উৎসব নয় বরং মানুষের নৈতিক চরিত্রের আমূল পরিবর্তনের একটি কারখানা। এখানে যারা এসেছেন, তারা প্রত্যেকটি বয়ান গুরুত্বসহকারে শ্রবণ করবেন এবং বাকী জীবনে তার উপর আমল করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাবেন। বয়ান শেষে জিকিরের তালীম ও বিশ্বের সকল নির্যাতিত মুসলিমদের জন্য দোয়া করা হয়। শনিবার সকালে আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে তিনদিন ব্যাপী এ মাহফিলের সমাপ্তি হবে।