হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কর্মসূচি চলাকালে হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এবং গ্রেফতারদের মুক্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বরিশালে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
শুক্রবার (০২ এপ্রিল) হেফাজতের কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী বিকেল ৩টায় বরিশাল নগরের বাজাররোডস্থ জামিয়া আরাবিয়া খাজা মঈন উদ্দিন মাদরাসা ময়দানে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর জামিয়া আরাবিয়া খাজা মঈন উদ্দিন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা আব্দুল হালীম সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় বক্তব্য রাখেন- মাওলানা আব্দুল খালেক হরিণাফুলিয়া, মাওলানা শেখ সানাউল্লাহ মাহমুদী, মাওলানা মোখলেছুর রহমানসহ অন্যান্য ওলামায়ে কেরামরা।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন দেশের ইসলামপ্রিয় জনগনের ওপর হামলার ঘটনা এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। দেশপ্রেমিক, ইসলামপ্রিয় তাওহিদী জনতার ওপর হামলা ও হত্যার দায় সরকারকে বহন করতে হবে।
২৭ মার্চ সারাদেশে নজিরবিহীন হরতাল পালিত হয়েছিলো। ২৭ মার্চ হরতাল থেকে অনেক নির্দোষ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং যারা আন্দোলন করেছে তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হচ্ছে ।
এ সময় বক্তারা ৫ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- ছাত্রলীগ-যুবলীগের মধ্যে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা, যাদের ইশারায় ও যাদের মাধ্যমে ইসলাম প্রিয় মুসুল্লিদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, সরকারের সন্ত্রাসী লীগ বাহিনীকে সবধরনের জাতীয় অনুষ্ঠান থেকে বিরত রাখা, সরকার বাংলাদেশের মাটিতে ইসলাম ও মুসলমানদের মতামতের বাইরে কোন ইসলামী বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না, অন্যায়ভাবে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে অনতিবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়া এবং গণগ্রেফতার করে নিরাপরাধ মানুষদের হয়রানি বন্ধ করা।
এ সময় বক্তারা তাদের ৫ দফা দাবি অনতিবিলম্বে মেনে নিয়ে বাস্তবায়ন করার দাবি জানান। অন্যথায় রাজপথে আবারও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
সমাবেশ শেষে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নগরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সমাবেশে উপস্থিত হেফাজতের নেতাকর্মীরা।