বরিশাল নগরের ১৩নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ আলেকান্দার কাজীপাড়া এলাকায় তামান্না আফরিন (১৫) নামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
তামান্না আফরিন আলেকান্দার কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম টিপুর বড় মেয়ে।
দক্ষিণ আলেকান্দা এআরএস বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে দক্ষিণ আলেকান্দা এলাকায় নানা হাফেজ আলমগীরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তামান্নার মায়ের সঙ্গে প্রায় ৩ বছর আগে তার বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তামান্না তার মায়ের সঙ্গে নানা হাফেজ আলমগীরের বাড়িতে থাকতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে ঘুম থেকে উঠে তামান্ন বাসার দোতলায় যান। এসময় তার মা বাসার বাইরে ছিলেন।
বেলা সোয়া ৩টার দিকে তার মা বাসায় ফিরে দোতলায় মেয়ের খোঁজ নিতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন তামান্না গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এসময় তার চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যরা গিয়ে তামান্নাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মেয়ের আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ দেখছেন না জানিয়ে মা জাকিয়া বেগম জানান, তামান্না খুব ইমোশনাল ছিলো। ফেসবুক কিংবা ইউটিউব চালানোর পাশাপাশি রাত জেগে কার সঙ্গে যেন মোবাইলে কথা বলতো। এ কারণে কয়েকদিন আগে তার মোবাইলের হেডফোন ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। পরে আবার পুরনো একটা হেডফোন দেনও তিনি। এরপর আর মেয়েকে কোনো বকাঝকা করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, বাবা রফিকুল ইসলাম টিপুর অভিযোগ মেয়েকে তার নানাবাড়ির লোকজন হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, তামান্নার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।