রমজান মাসকে সামনে রেখে বরিশালের বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। করোনার এমন পরিস্থিতির মধ্যে নগরীর বাজারগুলোতে তেমন কাউকেই স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। শনিবার (৩ এপ্রিল) নগরীর পোর্টরোড, বড় বাজার, চৌমাথা বাজারে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, এক ধরনের অতিমুনাফা লোভী ব্যবসায়ীরা রমজানকে সামনে রেখে কিছু কিছু সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা ক্রেতাদের ওপর।
পোর্টরোড বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, মুরগি ও ডিমের দাম আগের থেকে কিছুটা বাড়তি। তবে আগের থেকে সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে অনেক সবজি পাওয়া গেলেও এখন তা ৪০-৫০ টাকা।
বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা কবির বলেন, শীতের সিজন শেষ। সবজির দাম একটু বাড়বেই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সবজির দাম বেশ কম ছিল। সামনে রমজান আসছে, এখন কিছুটা দাম বেড়েছে। তবে এখন বাজারে কোনো সবজির অভাব নেই।
বরিশালের চৌমাথা বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা কলা হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। প্রতিকেজি কাঁচা পেঁপে ৩০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মটরশুঁটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি লেবু ৩০ থেকে ৪০ টাকা ও কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
তবে কেজিতে ৩০ টাকা দাম কমে কক মুরগি ২৯০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে অপরিবর্তিত আছে খাসি ও গরুর মাংসের দাম। ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে খাসি আর গরুর মাংস ৫৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রুই কেজিপ্রতি ৩০০-৩৫০ টাকা, বড় কাতল ৩৫০-৪০০ টাকা, বড় চিংড়ি ১০০০ টাকা, মাঝারি ৬০০ টাকা ও বাতাসি মাছ ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতিকেজি বিআর-২৮ চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, স্বর্ণা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা ও পোলাওয়ের চাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খোলা ভোজ্যতেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়।
বাজার করতে আসা মো. সাইদুল ইসলাম জানান, করোনা পরিস্থিতির পর থেকেই আয় কমে গেছে। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেরও দাম বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তা নাগালের বাইরে। আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম খাবারে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে।