#

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজের জন্য এখনও দল ঘোষণা করা হয়নি। একের পর এক তারিখ বলা হচ্ছে, জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, দল জমা দিয়ে দিলেন বিসিবির কাছে। বিসিবি সভাপতি অনুমোদন দেয়ার পরই সেটা প্রকাশ করা হবে।

#

তবে কোয়ারেন্টাইন বিষয়ক জটিলতার কারণে যদিও সফর নিয়ে কিছুটা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সূচিও প্রকাশ করেনি।

কিন্তু তাই বলে তো প্রস্তুতি নেয়া বন্ধ রাখা যাবে না। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আগামী মাসের (অক্টোবর) শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়ার কথা বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজ।

যে কোনো সফরের আগেই সরকারের অনুমতি (জিও বা অনাপত্তি পত্র) নিতে হয়। এই কার্যক্রম আগে থেকেই সেরে রাখে সংশ্লিষ্ট বোর্ড বা ফেডারেশন। শ্রীলঙ্কা সফর নিয়েও আগে থেকে ২৭ জন ক্রিকেটারের বিষয়ে অনুমতি নিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। যদিও জাগো নিউজে আগেই সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, শ্রীলঙ্কা সফরের দল হতে পারে ২০ বা ২১ জনের। ২৭জন খেলোয়াড়ের জিও করে রাখার অর্থ, কয়েকজনকে রিজার্ভে রাখা হবে।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে যে জিও করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে ২৭ খেলোয়াড়ের সঙ্গে ১৫ কর্মকর্তার নাম। মোট ৪২ জনের (খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা-কর্মচারি মিলিয়ে) নামে সরকারের কাছ থেকে সফরের অনুমতি নেয়া হয়েছে।

তবে, একটা সমস্যা রয়েছে এতে। আগে থেকে জানা, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে সেপ্টেম্বরের শেষ অংশে। আর সিরিজ শুরু করবে অক্টোবরের শেষ অংশে। কিন্তু জিও তথা সরকারি অনুমতি পত্রে দেখা যাচ্ছে সফরের অনুমতি দেয়া হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

এখন যদি অক্টোবরের শেষ অংশে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হয়, তাহলে সেই সিরিজ কি ১৩ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব? এখনও পর্যন্ত কোনো সূচি প্রকাশ না হওয়ায়- এ বিষয়ে আসলে উত্তর পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার জিও’তে উল্লেখ করা হয়েছে, সফরকালে বাংলাদেশ দল তিনটি তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে।

অর্থ্যাৎ, ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর- মোট ৪৬ দিনের সফর। এর মধ্যে অন্তত সাতদিনের কোয়ারেন্টাইন। বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি, তিনটি তিনদিনের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ এবং সর্বশেষ তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। কিভাবে সম্ভব? আপাতত সূচি প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এর সমাধান জানাও সম্ভব নয়।

যে ৪২ জনের নামে (২৭ খেলোয়াড়, ১৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী) সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে, তারা হলেন…

ক্রিকেটার
১. মুমিনুল হক, ২, লিটন কুমার দাস, ৩. মোহাম্মদ মিঠুন, ৪. মুশফিকুর রহীম, ৫. মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ৬. তামিম ইকবাল, ৭. সৌম্য সরকার, ৮. মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, ৯. আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী, ১০. মোস্তাফিজুর রহমান, ১১. রুবেল হোসেন, ১২. মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ১৩. মেহেদী হাসান মিরাজ, ১৪. নাঈম হাসান, ১৫. ইমরুল কায়েস, ১৬. তাইজুল ইসলাম, ১৭. এবাদত হোসেন চৌধুরী, ১৮. সাদমান ইসলাম, ১৯. মোহাম্মদ আল আমিন হোসেন, ২০.সানজামুল ইসলাম, ২১. নাজমুল হোসেন শান্ত, ২২.হাসান মাহমুদ, ২৩. মেহেদী হাসান, ২৪. শফিউল ইসলাম, ২৫. ইয়াসির আলি চৌধুরী, ২৬. তাসকিন আহমেদ, ২৭. কাজী নুরুল হাসান সোহান।

কর্মকর্তা-কর্মচারী
২৮. জালাল ইউনুস (বিসিবি পরিচালক), ২৯. আকরাম খান (চেয়ারম্যান, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি, বিসিবি), ৩০. নাসির আহমেদ (পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট), ৩১. সাব্বির খান শাফিন (টিম অপারেশন্স ম্যানেজার), ৩২. রাবিদ ইমাম (মিডিয়া ম্যানেজার), ৩৩. ইমাম হোসাইন (সিকিউরিটি ম্যানেজার), ৩৪. আবু মোহাম্মদ হুমায়ুন মোর্শেদ (সিকিউরিটি ম্যানেজার), ৩৫. মিনহাজুল আবেদিন নান্নু (প্রধান নির্বাচক), ৩৬. কাজী হাবিবুল বাশার সুমন (নির্বাচক), ৩৭. দেবাশীষ চৌধুরী (ডাক্তার), ৩৮. মনজুর হোসেন চৌধুরী (ডাক্তার), ৩৯. মোহাম্মদ সোহেল (সাপোর্ট স্টাফ), ৪০. বুলবুল আহমেদ (সাপোর্ট স্টাফ), ৪১. রমজান আলি (ট্রেইনিং অ্যাসিস্ট্যান্ট), ৪২. রতন আলফ্রেড গোমেজ (ফটোগ্রাফার)।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here