#

 

#

বরিশালে একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে চন্দন সরকার (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি শারীরিক নির্যাতনের পর চন্দনকে হত্যা করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে নগরীর নবগ্রাম রোডের ‘হলি কেয়ার’ নামে একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টার দিকে চন্দনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

চন্দন সরকার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের চিত্তরঞ্জন সরকারের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, বছর দেড়েক আগে চন্দন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ২০ দিন আগে তাকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে পুলিশ তাদের ফোন করে জানায় চন্দন আত্মহত্যা করেছে। মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এরপর পরিবারের সদস্যরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে চন্দনের মৃতদেহ দেখতে পান।

স্বজনদের অভিযোগ, চন্দন আত্মহত্যা করেনি। নির্যাতনের কারণে চন্দনের মৃত্যু হয়েছে। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজাতে মৃতদেহ বাথরুমের ভেন্টিলেটরের গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন হলি কেয়ারের ব্যবস্থাপক মাইনুল হক। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে চন্দন বাথরুমে যান। এরপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি বের হচ্ছিলেন না। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে চন্দনকে বাথরুমে ভেন্টিলেটরের গ্রিলের সঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখা যায়। পরে থানায় খবর দেয়া হয়।

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, গলায় দাগ ছাড়া চন্দনের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে বলা সম্ভব ন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here