নিজস্ব প্রতিবেদক ||একের পর এক বিতর্কর জড়াচ্ছেন বরিশাল মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সদস্যরা।বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাদের।
বরিশাল মাদকদ্রব্যন নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিমের এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, মহিলাকে মারধর ও মাদক যা পেয়েছে তা রেখে দিয়ে অল্প পরিমাণ সাথে দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর রসূলপুর কলোনিতে। এ ব্যাপারে মাদক ব্যবসায়ী হাফিজুল শেখ এর স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) জানান, গত ২৬ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচাল এনায়েত হোসেনের নেতৃত্ব এ এস অাই ফারুক ও আজিজ সহ তাদের টিমের সদস্যরা ভোর ৪ টায় রোজীনার ভাড়াটিয়া বাসায় অভিযান চালান।এই সময় আমার স্বামীর কাছ থেকে দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন তারা। আমার স্বামী অপরাধী হলেও আমি তো আর অপরাধী নই। কিন্তু মাদ্কদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ,এস অাই ফারুক ও সদস্য আজিজ আমার চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করে তখন। আমাকে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাহেঁচড়া করেন ঘরে বসে।তখন আশেপাশের ভাড়াটিয়া ঘরের লোকজন আমাদের এই দৃশ্য দেখতে থাকে।আমাকে ও আমার স্বামীকে ছেড়ে দেবার জন্য আমাদের কাছে তখন ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ফারুক আজিজ ও তাদের টিমের সদস্যরা।ওই সময় আমি আমার প্রতিবেশী লোকজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের দেই।যা প্রতিবেশী প্রতিটি সদস্যই সাক্ষী রয়েছে।আমাকে ওই সময় ছেড়ে দিলেও আমার স্বামীকে ছেড়ে দেবে পরে এই বলে তারা চলে যান। আমাকে বলে যান আমার স্বামী কে দেড় কেজি গাঁজা বাদ দিয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে চালান দিবে।ততপর আমার স্বামীকে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ তারা চালান দেন।এ ব্যাপারে মাদ্কদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ এস অাই ফারুকের কাছে অভিযান সর্ম্পকে জানতে চাইলে ব্যস্ত অাছেন বলে ফোন কেটে দেন।সে আরো জানান,আমার স্বামী অপরাধী তা আমি স্বীকার করি। তারাও তো অপরাধী (সমস্ত কথার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে)।
পেয়ারা ব্যবসায়ী জসিমের স্ত্রী মুক্তা বেগম জানান,যারা মাদক ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান তা আমরা চাই। বিনা কারণে ওই দুই জন ও তাদের টিমের সদস্যরা সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।ঐদিন মাদক ব্যবসায়ী হাফিজুল শেখ এর বাসায় অভিযান চালিয়েছে তারা।তার সাথে সাথে সাধারণ মানুষের ভাষা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে তারা। আমার স্বামী পেয়ারা ব্যবসা করে কিন্তু ঐদিন ভোর রাতে আমার বাসা ভাঙচুর করে আমাকেও আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।শুধু আমার বাসাই নয়, সবার বাসাই তারা ভাঙচুর চালান ঐদিন।এ বিষয় মাদ্কদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃস্টি দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।সূত্রঃ দৈনিক আলোকিত বরিশাল