TT Ads

 

চেয়ারম্যানের পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা মামলায় বাদীর নারাজি মঞ্জুর করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম এ আদেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, বাদী রাশেদা বেগম ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট বরগুনা থানায় বরগুনা সদর ইউনিয়নের আবদুর রব মিয়ার ছেলে গোলাম আহাদ সোহাগসহ ১২ জনকে আসামি করে অভিযোগ করেন। গোলাম আহাদ সোহাগ চেয়ারম্যান থাকাকালে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বাদীর ছেলে আল আমীন দেখতে পেয়ে বাধা দেন। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ ও তার লোকজন নিয়ে আল আমীনকে খুন করার পরিকল্পনা করে।

পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ আগস্ট সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৬টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার চালিতাতলী পাকা সড়কের দক্ষিণে হেউলিবুনিয়া ব্রিজের পাশে সোহাগ চেয়ারম্যানের নির্দেশে আল আমীনকে বাদীর বাসা থেকে চেয়ারম্যানের লোক জাহাঙ্গীর ডেকে নেয়। প্রথমে জাহাঙ্গীর আল আমীনের চোখে মরিচের গুঁড়ো দেয়।

পরে অন্যরা রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে আল আমীনের পায়ের হাড় গুঁড়ো করে দেয়। আসামি মিজান, মাসুদ, জাহাঙ্গীর, মনির, রাবেয়া ও সেলিম মুন্সি আল আমীনের দুটি চোখ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। আল আমীনের মা রাশেদা বেগম তার ছেলের ডাক-চিৎকার শুনে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। আল আমীনের অবস্থা গুরুতর হলে বরিশাল প্রেরণ করা হয়। পরের দিন ১৩ আগস্ট বেলা আড়াইটার সময় আল আমীন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২০ জানুয়ারি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাদী অভিযোগের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করলে আদালত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হোসেনের ওপর তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। জুডিশিয়াল প্রতিবেদনে গোলাম আহাদ সোহাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

বাদী জুডিশিয়াল রিপোর্টের বিরুদ্ধে আবারো নারাজি দিলে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার নারাজি মঞ্জুর করে সোহাগের বিরুদ্ধে হত্যার অপরাধ আমলে নিয়েছেন।

বাদী রাশেদা বেগমের আইনজীবী আবদুল মোতালেব মিয়া যুগান্তরকে বলেন, ঘটনার সময় সোহাগ বরগুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এখন চেয়ারম্যান নেই। সোহাগ ইতোমধ্যে জামিনে ছিলেন। দুইবার ফাইনাল দেওয়ার পর বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম সার্বিক বিবেচনায় সোহাগের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আমলে নিয়েছেন।

সোহাগ অন্য একটি মামলায় বরগুনা কারাগারে থাকায় সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।

TT Ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *