নিজস্ব প্রতিবেদক || প্রকাশ্যে জনসম্মুখে ফিল্মি স্টাইলে দোকান ঘর দখল করতে গিয়ে একই পরিবারের নারীসহ ৪ জনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে ভোলা জেলার, দৌলতখান উপজেলার, উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মধ্য জয়নগর বাংলাবাজার এলাকায়। এ ব্যাপারে আহতর বড় বোন সামিয়া জানান,আমার বাবা শফিজুল ইসলাম ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। বাংলাবাজার এলাকায় আমাদের তিনটি দোকান রয়েছে। ওই দোকানগুলো ভিপি সম্পত্তি। আমার বাবা দীর্ঘ চল্লিশ বছর যাবত লিজ নিয়ে ওই দোকানগুলো পরিচালনা করে আসছেন। এই দোকানগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে দখল করতে চান সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াসিন লিটন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।আমার(সামিয়া) পরিবারকে দীর্ঘদিন যাবৎ দোকান ছাড়ার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে ওই সন্ত্রাসী বাহিনী।আমাদের কাছে তারা বলে ওই দোকানগুলোতে আওয়ামী লীগের ক্লাব করবে কিন্তু বাংলাবাজার আওয়ামী লীগের ক্লাব রয়েছে। তারা মূলত দোকানগুলো দখল করার জন্য আওয়ামী লীগের ক্লাবের নাম করে দোকান গুলো দখল করতে চান।যার পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার রাতে সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াসিন লিটন এর নেতৃত্বে ৪ নং ওয়ার্ডের কাজল মেম্বার,৫ নং ওয়ার্ডের ফরহাদ মেম্বার,সোহাগ মেম্বার, মিজান বিশ্বাস, সিহাপসহ অনেকেই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র এবং আওয়ামী লীগের ব্যানার নিয়ে আমাদের দোকানের সামনে হাজির হয়ে দোকানে থাকা লোকজন দের মারধর শুরু করেন।এই ঘটনার খবর পেয় আমার ছোট বোন মুন্নী এবং মা বাধা দিলে মরিচের গুঁড়া চোখে মেরে তারা প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আমার বোন এবং মাকে রাস্তায় ফেলে মারধর করেন(সমস্ত ঘটনার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে)।অতঃপর পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতিসনিয়ন্ত্রণে আনেন।
আমার বোন মুন্নী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় জনগণ তাকে উদ্ধার করে ভোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।তার অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখানকার ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।এখন আমার বোনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।এই ব্যাপারে জানার জন্য সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াসিন লিটনের মুঠোফোনে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।এই ঘটনার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আহত পরিবার।