প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড কোষ্টাল বরফকল এলাকার ফাহিমের নয়া কৌশল।এবার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের স্ত্রীকে ঢাল বানিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন ফাইম।বেশ কিছুদিন আগ থেকে নগরীর মুক্তিযোদ্ধা পার্ক হতে ওপারের চরকাউয়া অ্যাডামস রেস্টুরেন্ট ট্রলারের মাধ্যমে যাতায়াত করতো দর্শনার্থীরা।যখন দর্শনার্থীদের চাপ বাড়তে থাকে অ্যাডামস রেস্টুরেন্টে।তখনি ট্রলার ব্যবসার উপর চোখ পড়ে ফাহিম বাহিনীর।ট্রলার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলনের জন্য এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাংদের নিয়ে একটি বেআইনি কমিটি গঠন করে।আর তখন থেকে ঝামেলা শুরু হয় ট্রলার ব্যবসায়ীদের সাথে।ওই লাইনে নতুন করে কোন ট্রলার যুক্ত করতে চাইলে দিতে হবে তাদের ২০ হাজার টাকা।না হয় কোন ধরনের নতুন ট্ররার যুক্ত করতে পারবে না ওই লাইনে।এছাড়াও ট্রলার সিরিয়ালের নামে প্রতিটি ট্রলার থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে এই বাহিনী।
এটা নিয়ে বিপত্তি বাধে তলার ব্যবসায়ীদের সাথে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদার টাকা দিতে ব্যবসায়ীরা অস্বীকার জানালে ফাহিম বাহিনীর সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।ফাহিম ও তার ভাই নাঈম ও তাদের বাহিনী নিয়ে ট্রলার ব্যবসায়ী রিপনের কাছে চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার জানালে রিপনকে প্রথমে মারধর করেন। রিপন কে বাঁচাতে রাসেল ও তার বোন আসলে তাদের মারধর করেন ওই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। ততপর নিজেরা বাঁচার জন্য এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে এই বাহিনী।প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করার অভিযোগ এনে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।অতঃপর বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় প্রতিপক্ষের নামে একটি সাধারন অভিযোগ করেন।এ ঘটনায় এলাকার সিরাজ মিয়া জানান, ফাহিম একজন প্রতারক। মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং নিয়ে তার চলাফেরা?এছারা বিভিন্ন প্রশাসনের সোর্স পরিচয় সাধারণ কর্মজীবী মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করাই এর কাজ।এই ঘটনায় রয়েছে একাধিক কল রেকর্ড। যার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের একটি বাহিনী এ ঘটনা শুনলে তাকে আটক করে উওম মাধ্যম দিয়ে ছেড়ে দেয় যাতে করে ভবিষ্যতে এই ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড না করে।কিন্তু বেশ কিছুদিন ঠান্ডা থাকার পর আবারো বেপরোয়া হয়ে ওঠে এই ফাইম।আবারও প্রশাসনের সোর্স পরিচয় বিভিন্ন অপরাধ করে যাচ্ছে। এ ঘটনায় সাধারণ ট্রলার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ অভিযোগ করেন।ফাহিমের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে এলাকাবাসী ও সাধারণ ট্রলার ব্যবসায়ীরা।