#

 

#

 

পটুয়াখালীর দশমিনায় নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন সুমি (৩০) নামে এক গৃহবধূ। তিনি দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলমের স্ত্রী। মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে থানাসংলগ্ন ওই পুলিশকর্তার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত সুমির শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে বলে যুগান্তরকে জানিয়েছেন চিকিৎসক। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দশমিনা থানাসংলগ্ন বাড়ির মালিক হারুন ফরেস্টার যুগান্তরকে জানান, তার তৃতীয়তলা ভবনের নিচতলায় স্ত্রী নিয়ে থাকতেন দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলম। বিয়ের পর দীর্ঘদিন ধরে বাচ্চা না হওয়ার কারণে প্রায়ই দুশ্চিন্তা ও পাগলামি করতেন সুমি।

এ নিয়ে অনেক চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তবে সহিদুল তার স্ত্রীর প্রতি সব সময় সন্তুষ্ট ছিলেন ও পারিবারিক কোনো কলহ ছিলনা বলে বাড়ির মালিকের দাবি।

তিনি বলেন, ঘটনার দিন সহিদুলের স্ত্রী নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তিনিসহ সুমির স্বামী ও থানার পুলিশরা তাকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে যান।

দশমিনা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মিঠুন চন্দ্র হাওলাদার জানিয়েছেন, ওই পুলিশ কর্তার স্ত্রী সুমির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৫০ শতাংশের বেশি আগুনে পুড়ে গেছে। তাকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করা হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয় দশমিনা থানার এএসআই সহিদুল আলমের নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। দশমিনা থানার ওসি (তদন্ত) অনুপ দাস বলেন, এএসআই সহিদুলের স্ত্রী ঢাকায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তাদের পারিবারিক কোনো কলহ ছিল না।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here