'Sadiq against boat to test popularity'
#

 

#

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রিয়তা যাচাই করার সুযোগ দিয়েছেন। তাই জনপ্রিয়তা যাচাই করতেই নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। নেত্রী সুযোগ দিয়েছেন, প্রার্থী সংগঠনের যেখানেই থাকুক না কেন সে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছি।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশে এসব কথা বলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল নগরীর সোহেল চত্বর সংলগ্ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ দেশব্যাপী বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও হরতালের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আরও বলেন, সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও দক্ষ নেতৃত্বের ফলে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত বরিশাল নগরীকে শান্তির নগরীতে রূপান্তর করা সম্ভব হয়েছে। বরিশালে আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। বিগত পাঁচ বছর সাদিক আব্দুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হয়ে বরিশাল নগরীকে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত করেছেন। সাদিক আবদুল্লাহ সিটি করপোরেশন ছাড়ার পরপরই নগরীতে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য শুরু হয়ে গেছে।

দলীয় নেতকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবার মনে একটি প্রশ্ন জাগতে পারে, কেন আমরা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছি। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা দলকে দীর্ঘদিন ধরে সুসংগঠিত করে আসছি। আমরা পরিশ্রম করে ফসল রোপণ করি। ফসল পাকা পর্যন্ত পরিশ্রম করে যাই। সেই পাকা ফসল অন্য আরেকজন এসে কেটে নিয়ে ঘরে তুলবে, এটা আমরা হতে দেব না। আমাদের কষ্টার্জিত ফসল আমাদের ঘরে রাখতে চাই। আমরা কোনো বহিরাগতকে বরিশালে স্থান দেব না।’

শান্তি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু, সহ-সভাপতি ও সাবেক প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটুসহ মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ শেষে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে নগরীতে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সদর রোডে সোহেল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here