নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ (সদর) আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। মনোনয়ন পেয়ে তিনি বলেছেন, সংসদ নির্বাচনে আমি নৌকার প্রার্থী, আমিই আওয়ামী লীগের অরিজিনাল প্রার্থী।
সুতরাং যারা আওয়ামী লীগপন্থি এবং যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থায় বিশ্বাস করেন; তারা অবশ্যই আমার পাশে থাকবেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহিদ ফারুক বলেন, আমার ওপর আস্থা রাখায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনিই আমাকে ২০১৮ সালে মনোনয়ন দিয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। আমিও চেষ্টা করেছি আমার দায়িত্ব-কর্তব্য, সততা-নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করতে। আর এ কারণে প্রধানমন্ত্রী আমার ওপর আস্থা রেখেছেন বিধায় আমাকে আবারও মনোনয়ন দিয়েছেন।
জয় আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, আমার সম্পর্কে বরিশালের সাধারণ মানুষের ভালো ধারণা রয়েছে। আমার সততা-নিষ্ঠা এবং আন্তরিকতার জন্য তারা আমাকে ভালোবাসেন। তাই আমি মনে করি আপামর জনসাধারণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।
নির্বাচিত হলে বরিশালকে সমৃদ্ধশালী শহরে রূপান্তরিত করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি। জাহিদ ফারুক, এবার জিতলে সদর উপজেলাসহ বরিশালকে উন্নয়নশীল সমৃদ্ধশালী একটি শহরের রূপ দেব। এর মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের পথে আমরা এগিয়ে যেতে সক্ষম হব এবং তার হাতকে আরও শক্তিশালী করব।
জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটির নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে থাকবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা উপজেলা ও মহানগরের যারা রয়েছেন, তারা এরইমধ্যে ফোন দিয়ে বলতে শুরু করেছেন আমরা নৌকায় ভোট দেব, ব্যক্তি কাউকে দেব না। সুতরাং ম্যাসেজ ক্লিয়ার।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া ও তার পক্ষে নেতাদের অবস্থানের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত সিটি নির্বাচনের সময়ও সমস্যা হয়েছিল।
তখনও মহানগর আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে সঠিকভাবে সহায়তা করেনি। কিন্তু আপামর সাধারণ মানুষ যারা আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন, যারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বকে বিশ্বাস করেন এবং আস্থা রাখেন তারা ঠিকই কাজ করেছে। আর সেজন্যই খোকন সেরনিয়াবাত বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন।
স্বতন্ত্র বা আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের নিয়ে মহানগরের দায়িত্বশীল নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বলতে চাওয়াটা গণতান্ত্রিক অধিকার। মেয়র নির্বাচনের সময় লোকজন অনেক কথা বলেছি। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি। আমরা গল্প বলি না, রেজাল্ট দেখে বলি।
এর আগেও অনেকে বলেছিল আমরা মনোনয়ন পেয়ে গেছি এবং আগে মিছিলও নামিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মনোনয়ন প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি আমি নৌকার প্রার্থী, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন এবং বরিশালের উন্নয়নের জন্য আমার ওপর জনগণের বিশ্বাস আছে। তারা আমাকে ভালোবাসে বিধায় ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত করে ওদেরকে সমুচিত জবাব দেবে।এসময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কেবিএস আহমেদ কবির, বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট লষ্কর নুরুল হক, বরিশাল জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান হাওলাদার, বরিশাল মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মো. নিজামুল ইসলাম নিজাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধু, বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান বিপ্লব, এনামুল হক বাহার, সানজিদুল বাবু, ইসরাত জাহান লাভলী, বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ, বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগ এর সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রমুখ।