#

 

#

বরিশালের কেউ চিনত না খোকন সেরনিয়াবাতকে। বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে কে পাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন তা নিয়ে যখন চলছিল আলোচনা-হঠাৎ করে নৌকার মাঝি হিসাবে কেন্দ্র থেকে ঘোষিত হয় তার নাম। অনেকটাই হতবাক হয়ে পড়েন বরিশালের মানুষ। কে এই খোকন সেরনিয়াবাত তা জানতে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন সবাই। পরে জানা যায়, দলের প্রভাবশালী নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর একমাত্র ভাই ও শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট ছেলে এই খোকন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই।
দলীয় রাজনীতিতে কোনো অবদান না থাকলেও শেখ পরিবারের কোটায় ওই বছরের ১২ জুন অনুষ্ঠিত প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে জয়ী হন খোকন। মেয়রের দায়িত্ব নেন ১৪ নভেম্বর। মাত্র সাড়ে ৮ মাস ছিলেন এ দায়িত্বে। এ সময়েই নগর ভবনের ঠিকাদারির পার্সেন্টেজ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে প্রায় শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনার ভাই হিসাবে প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষকে তটস্থ করে রেখেছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত তার কথায় উঠতে আর বসতে হতো বরিশালের প্রায় সবাইকে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন বরিশাল ৫ সংসদ আসনের সাবেক এমপি জেবুনেচ্ছা আফরোজ । সেখানে তিনি সাবেক মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের শত কোটি টাকা হাতানোর বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-

আলহামদুলিল্লাহ

 

খোকন সেরনিয়াবাত মাত্র ৮ মাসেই হাতিয়েছে শতকোটি টাকা! সেই টাকার কিয়দংশ অর্থাৎ স্বাধীনতা পরবর্তী সর্বাধিক সফল সাবেক মেয়র মরহুম শওকত হোসেন হিরনের মালিকানাধীন শিশু পার্ক (প্লানেট পার্ক) নবায়নের জন্য তাকে দিতে হয়েছে কোটি টাকার একটা অংক। হিরন সাহেবের মৃত্যুর পরে আমি পার্কের দেখভাল করেছি সেই সাথে আমার দুইজন সহযোগীও আছেন। খোকন সেরনিয়াবত শপথ গ্রহনের পরই তার প্রথম জবাই হলাম আমি। অথছ খোকন সেরনিয়াবাত নমিনেশন পাওয়ার পর মরহুম হিরনের নেতা-কর্মী সমর্থকদের সহযোগিতা নিয়েই নির্বাচন পরিচালনা করেছে এবং হিরনের নামের উপরেই সে মেয়র নির্বাচিত হয়েছে। এটা বরিশাল সহ অন্যান্য স্হানের বিশেষ করে দক্ষিন বাংলার সর্বস্তরের জনগনও জানেন। সেটার পুরস্কার সরুপ হিরন পরিবারকে (আমি এবং আমার মেয়ে ও ছেলে) মান সম্মানে ধুলায়

লুন্ঠিত করাই ছিলো তার (খোকনের) প্রথম

এবং প্রধান কাজ। সেই সাথে টাকা কামানোর মিশনেও তো সে পরিপূর্ন সফল হয়েছে।কারো অভিশাপের প্রয়োজন নেই,দীর্ঘনিশ্বাসটাই অনেক বড় কিছু কথা বলে দেয়।প্রকৃতির বিচারই সঠিক হয়।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here