#

 

#

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি //বরগুনার তালতলীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমিতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগে-পরে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ আগষ্ট) বেলা ১ টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমাজ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশের সহযোগীতায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিফাত আনোয়ার টুম্পা।

জানা যায়, গত ৫ ই আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে-পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের নির্ধারিত সীমানা না থাকায় প্রায় ১ একর জমি দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা চায়ের দোকান, মুদি দোকানসহ প্রায় ৩০ থেকে ৪০টি স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। অবৈধ স্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে নেওয়ার জন্য একাধিকবার নোটিশ করলে তার গুরুত্ব না দিয়ে অবৈধ দখলদাররা তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। হাসপাতালের জমিতে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা দোকানগুলোর বর্জ্যরে কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। পরে হাসপাতালের জমিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান কর্তৃপক্ষ। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমাজ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ পুলিশের সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে প্রশাসন। এ সময় অনেক দখলদার নিজেরাই তাদের স্থাপনা সরিয়ে নেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ কে এম মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের জমি বেদখল হয়ে যাওয়াতে আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে তিনি অবৈধভাবে দখল হওয়া জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম হক উচ্ছেদ অভিযান কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, অবৈধ দখলদাররা যে দলেরই হোক না কেন তাদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারী জমি ছাড়াও যাতে অন্য কোনো কিছুই অবৈধভাবে কেউ দখল দিতে না পরে সে জন্য উপজেলা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা সক্রিয় থাকবে ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সিফাত আনোয়ার টুম্পা বলেন, একাধিকবার নোটিশ দেওয়ার পরেও অবৈধ দখলদাররা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। হাসপাতালের জমি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here