নিজস্ব প্রতিবেদক । বরিশাল সদর উপজেলার তালতলি বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরা এখনও কোণঠাসা প্রভাবশালীদের দাপটে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের শাসনামলে যারা প্রভাব খাটিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করতেন, তারা এখন খোলস পাল্টে বিএনপির অনুসারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার এক বছর তিন মাস পার হলেও এসব নেতার প্রভাব এখনও বাজারে অটুট রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পলাতক বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ অনুসারীরা এখনও তালতলি বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক খাজনা আদায় অব্যাহত রেখেছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও এসব প্রভাবশালী নেতা ও তাদের অনুসারীরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে প্রভাব বিস্তার অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি ওই গোষ্ঠীর নেতা কালু সিকদার ও তার অনুসারীরা উপজেলা বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম আব্বাস আকন—এর সঙ্গে ফুলের তোড়া দিয়ে দেখা করে নিজেদের বিএনপি অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। এমনকি কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেতার হাতেও ফুল দিয়ে ‘নতুন পরিচয়ে’ আত্মপ্রকাশ করেছেন তারা।
স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কালু সিকদার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সাবেক সিটি মেয়র ও সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার সঙ্গে থাকা মিরাজ, মজিবুর, নাইম, সেলিম, সবুজ, লোকমান, নিজাম, ইয়ারসহ অর্ধশতাধিক সহযোগী তালতলির মাছ ব্যবসা থেকে চাঁদা আদায় করতেন। বর্তমানে তাদের মধ্যে কয়েকজন আত্মগোপনে এবং কয়েকজন কারাগারে রয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতা বলেন,“ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর টাকার জোরে ও ফুলের রাজনীতির আশ্রয় নিয়ে কালু এখন বিএনপির কাঁধে ভর করেছে। অথচ এদের হাতেই আগে বিএনপি–জামায়াতের অনেক কর্মী হয়রানির শিকার হয়েছেন।”
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ নুরুল আমিন। তিনি বলেন,“আমার জানা মতে আওয়ামী লীগের কেউ আমাদের সঙ্গে চলতে পারে না। যদি এমন কেউ থেকে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম আব্বাস আকন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন,আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি, পরে কথা বলব।”







