TT Ads

 

বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম—এই নামটি এখন দুর্নীতি, তদবির, কমিশন বাণিজ্য আর সন্ত্রাসী-রাজনীতির এক ভয়ংকর মিশ্রণ। এক কথায়—দপ্তরের ভেতরে এক রাষ্ট্রীয় লেবাস পরা দুর্নীতির দানব। তার অপকর্মের তালিকা এত বিশাল যে পুরো অফিসই আজ তার ‘কালো শাসন’-এর সামনে পঙ্গু।তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির পাহাড় তো বহু আগেই জমে ছিল; এবার সেই পাহাড়ে যোগ হলো সন্ত্রাসী দিয়ে ঠিকাদারকে হত্যার হুমকি। এটি কোনো সাধারণ অপরাধ নয়—এটি রাষ্ট্রবিরোধী দুঃসাহস, প্রশাসনিক ক্ষমতার নগ্ন অপব্যবহার।
হুমকির বিস্তারিত—যা পড়লেই বোঝা যায় শহিদুল কতটা ভয়ংকর
গত ৩০ নভেম্বর, ঠিকাদার ফারুক হোসেন কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (নং–২০৭৬) করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়—
নগরীর বখাটে ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী মুন,
ঝালকাঠির রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় বড় হওয়া জুয়েল,
দু’জনই নিজেদের শহিদুলের “ছায়া-গুন্ডা” পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারকে ফোন করে অকথ্য গালাগাল, রক্ত ঝরানোর হুমকি, এবং মেরে ফেলার আল্টিমেটাম দেয়।
এই ভয়ংকর ফোনকলগুলো শহিদুলের অভয়ারণ্য কতটা হানাদারি হয়ে গেছে—তার প্রমাণ।

ফারুক জানান—টেন্ডারের মাধ্যমে বৈধভাবে পাওয়া কাজ শহিদুল অনৈতিকভাবে বিক্রি করে দেন। ফারুক মামলার কথা বলতেই শহিদুলের দুশ্চরিত্র সিন্ডিকেট তাকে ‘গায়েব করার’ ঘোষণা দেয়।
এ যেন রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা নয়—এক সন্ত্রাসী গডফাদারের মতো আচরণ।

কোতোয়ালি থানার ওসি জানান—তদন্ত চলছে; আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর শহিদুল?
তার চিরাচরিত নাটক—
“কিছু জানি না, ঢাকায় আছি, পরে জানাবো।”
এমন অভিনয় দুর্নীতিবাজদের মুখস্থ সংলাপের মতো।
বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশলে শহিদুলের দানবীয় দুর্নীতি—যা ফাইল খুললেই দুর্গন্ধ বের হয়

শহিদুল দপ্তরে যোগদানের পরই তৈরি করেন অপরাধের ‘সোনালি যুগ’—
যেখানে প্রতিটি প্রকল্প, প্রতিটি ফাইল, প্রতিটি বিল তার কমিশনের চাবিতে তালাবদ্ধ।

✔ ২৬ কোটি টাকার প্রকল্প নিজের নামে তুলে নিয়ে ৭% কমিশনে বিক্রি

✔ ফাইল নাড়াতে চাই কমিশন, বিল ছাড়তে চাই কমিশন, চেক দিতে চাই কমিশন

✔ ৩৫ লক্ষ টাকা কমিশন হিসেবে তুলে নেওয়ার পর অপারেটর রাশেদের পলায়ন

✔ ঢাকার সাবেক প্রধান প্রকৌশলীকে সাপ্তাহিক ইলিশের ঘুষ—অসাধু আঁতাতের চরম উদাহরণ

✔ উপ-সহকারী প্রকৌশলী আশিককে দিয়ে দুর্নীতির ‘যুগ্ম শাসন’—দপ্তরকে রূপ দেন মাফিয়া কার্যালয়ে

সব মিলিয়ে শহিদুল আজ বরিশাল ইপিআই দপ্তরে এককেন্দ্রিক দুর্নীতি-রাষ্ট্র গড়ে তুলেছেন।

দপ্তরের ভেতরে ভয়াবহ রামরাজত্ব

সূত্র জানায়—

শহিদুল-আশিক জুটি মিলে পুরো দপ্তরকে ‘কমিশন ট্যাক্স অফিস’ বানিয়ে ফেলেছে।

৬–৮ জন ঠিকাদার সিন্ডিকেট তার পা চাটিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটছে।

সাধারণ ঠিকাদাররা দপ্তরে ঢুকলেই অপমান, ভয়, হুমকি, অপদস্থতা—এটাই তাদের নিয়তি।

এ যেন সরকারি প্রতিষ্ঠান নয়—দুর্নীতির কসাইখানা।
দুদক তদন্তে নামলে কী বের হবে?

একটির পর একটি ভয়ংকর অধ্যায়।প্রকল্প বিক্রির লুকায়িত ডিল।ফাইল আটকে কমিশন আদায়ের রসিদ।রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা।সন্ত্রাসীদের বেতন তালিকা।দুর্নীতির টাকার অবৈধ প্রবাহ।

দুদক তদন্তে নামলে শহিদুলের দুর্নীতি-সাম্রাজ্য ভেঙে পড়বে ভূমিকম্পের মতো।

শহিদুল আজ বরিশালের সবচেয়ে ভয়ংকর প্রশাসনিক অপরাধী

যে ব্যক্তি—

সন্ত্রাসী দিয়ে ঠিকাদারকে মৃত্যুহুমকি দেয়,

কোটি কোটি টাকার প্রকল্প নিজের নামে নিয়ে বেচাকেনা করে,

দপ্তরকে দুর্নীতির দুর্গ বানিয়ে ফেলে,

অভিযোগে পর পর অভিযুক্ত হয়েও বেপরোয়া থাকে—

সে কেবল দুর্নীতিবাজ নয়, প্রশাসনের অন্তরে লুকিয়ে থাকা এক মহাদুর্বৃত্ত।
এমন কর্মকর্তার হাতে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প নয়—
রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ পর্যন্ত জিম্মি হয়ে পড়ে।

TT Ads