ফারজানা নাদিরা||
ঝালকাঠির কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় এক পরিবারের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে পাশে দাড়িয়েছেন শহরের আলোকিত সেই যুবক সবির হোসেন। কর্মহীন শ্বশুর ও জামাতাকে কিনে দেয়া হয়েছে সবজি বোঝাইি ভ্যানগাড়ি। আর তা ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে এখন থেকে চলবে অসহায় পরিবাটির জীবন-জীবিকা।
ঝালকাঠির উপজেলার বাসন্ডা ও নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত গ্রাম বাড়ইগাতি। এ গ্রামের ৭০ উর্ধ্বো বৃদ্ধ মোবাক্ষের মীরের দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে বিয়ে দিয়ে বৃদ্ধ স্ত্রীকে নিয়ে সীমাহীন দারিদ্রতার সাথে দিন কাটছিল। মাঝেমধ্যে এক মেয়ে-জামাতা তাকে আর্থিক সাহায্য করতেন। কিন্তু খুলনার জুটমিলের চাকরী চলে যাওয়ায় পর সেই মেয়ে-জামাতাও উঠেছেন শ্বশুর বাড়িতে। এ যেন মরার উপর খড়ার ঘা। বৃদ্ধের অপর দুই ছেলে-মেয়েরও আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের কাছ থেকে কোন সাহায্য জোটেনা। ফলে চরম অনাটনে দিশেহারা হয়ে পড়ে এ পরিবারটি। আর তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ঝালকাঠির সমাজ সেবক ও যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন। শ্বশুর ও জামাতার জন্য সবজি ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেন। সাজানো ভ্যানে করে এখন থেকে সবজি বিক্রি করে চলবে এ অসহায় পরিবারটির জীবিকা। বুধবার সকালে শহরের পূর্বচাঁদকাঠি বাজার এলাকায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে একটি তরকারী বোঝাই ভ্যান কিনে তা বৃদ্ধের হাতে তুলে দিয়েছেন সমাজের এই আলোকিত ছবির হোসেন। জীবিকায় কর্মসংস্থানের নতুন ঠিকানা পেয়ে অসহায় বৃদ্ধ দারুণ খুশি। আর সমাজ সেবক যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন বলেন, এক মাসের চাল ডাল কিনে দিলে অভাব দূর হত না। তাই স্থায়ী ভাবে অসহায় পরিবারটির দারিদ্রতা দূর করার জন্য সবজি ব্যবসার ব্যবস্থা করেছি। সমাজের বিত্তবানদের এমন কাজে এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান আলোকিত এই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির এই সমাজ সেবক এর আগেও গৃহহীন পরিবারকে ঘর তুলে দেয়া, ফুটপাতের নারী মুচিকে দোকান ঘর জুতা স্যান্ডেলের ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেয়াসহ করোনায় কর্মহীন হয়ে ঝালকাঠির শহরের পরিবারকে সহযোগিতার করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।