#

ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: যৌবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করলেও বৃদ্ধ বয়সে দরিদ্রতা পিছু ছাড়েনি ঝালকাঠির মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মান্নান সিকদারের (৬৫)। সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের ভাঙা ঘরেই পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। অর্থকষ্টে ভাঙা ঘরটিও সংস্কার করতে পারছেন না। চরম দরিদ্রতার কষাঘাতে দিন পার করছেন তিনি। বৃদ্ধ বয়সে তার মাসিক সম্মাতি ভাতার ১২ হাজার টাকা দিয়ে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন। স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে ২ মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বড় ছেলে ঢাকায় ছোট একটি চাকরি করে নিজের খরচ বহন করে। আর ছোট ছেলে বিএম কলেজে লেখাপড়া করে।

#

জানা যায়, সংসার চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মান্নান সিকদার। তাইতো ভাঙা ঘরে বসবাস করছেন দেশের এই শ্রেষ্ঠ সন্তান। অর্থাভাবে সংস্কার করতে পারছেন না বসতঘরটি। দুই কক্ষবিশিষ্ট জরাজীর্ণ একটি টিনশেড ঘরে বসবাস করছেন। একটু বৃষ্টি হলেই ছিদ্র টিনের চালা থেকে পানি পড়ে ঘরের আসবাবপত্র ভিজে যায়।

মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মান্নান সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। দেশ স্বাধীনের পরে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেছি। ২০০৪ সালে চাকরি থেকে অবসরে যাবার সময়ে কোনোমতে থাকার জন্য একটি টিনশেড ঘর করেছি। নগদ টাকা বলতে কিছুই নেই, যার কারণে ঘর মেরামত করতে পারছি না। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। আবাসন নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে আমার উপকার হবে, আমাকে আর ভাঙা ঘরে থাকতে হবে না।

ঝালকাঠি সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে মাত্র শতকরা ৬ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা প্রথম পর্যায়ে গৃহ নির্মাণের এ অর্থ পাবেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় এপর্যন্ত ১৮৬টি আবেদন পড়েছে ঘর নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার জন্য। এর মধ্য থেকে কয়েক দফায় যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত যারা অস্বচ্ছল তাদেরকেই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।

#

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here