# সেপ্টেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলার
# তিন মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ৪৯ শতাংশ

বিশ্বজুড়ে করোনার চলমান সঙ্কটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। একক মাস হিসেবে যা দেশের ইতিহাসে এযাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।

এর আগে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল চলতি বছরের জুলাইয়ে। ওই মাসে রেমিট্যান্স আসে ২৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। তার আগের মাস জুনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।

বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ধরে), যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ৪৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ১৪৭ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।

এদিকে চলতি অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ৬৭১ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় রেমিট্যান্স এসেছিল ৪৫২ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৪৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এদিকে রেমিট্যান্সের প্রবাহ চাঙ্গা থাকায় ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমকি ৪৬ বিলিয়ন ডলার।

জানা গেছে, গত অর্থবছর রেমিট্যান্সের ওপর ঘোষিত ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণা করে সরকার। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়তে থাকে। চলতি (২০২০-২১) অর্থবছরেও রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এরপর থেকেই বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়তে থাকে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট এক হাজার ৮২০ কোটি ৪৯ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ এক লাখ ৫৪ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। এর আগে কোনো অর্থবছরে এত অর্থ দেশে আসেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স আহরণে রেকর্ড হয়। ওই সময় প্রবাসীরা এক হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। সেই হিসাবে আগের অর্থবছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার কোটি টাকা।

করোনা ভাইরাস মহামারিতে ছয় মাস বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) থেকে সিঙ্গাপুরে পুনরায় ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। প্রাথমিকভাবে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে রাষ্ট্রায়ত্ত এ উড়োজাহাজ সংস্থাটি।

 

 

 

বিমানের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ থেকে সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ঢাকা রুটে নিয়মিত শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বিমানের মোবাইল অ্যাপ, ট্রাভেল এজেন্ট কিংবা বিমানের সেলস কাউন্টার থেকে টিকিট কেনা যাবে। শুধু প্রবাসী শ্রমিক, চিকিত্সাপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও অনুমতির সঙ্গে একগাদা শর্তও জুড়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার।

 

 

 

সিঙ্গাপুর সিভিল অ্যাভিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ফ্লাইটের টিকিট কেনার পূর্বশর্ত হিসেবে প্রবাসী শ্রমিকদের এজেন্সি বা স্পন্সরের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রণালয়ের (এমওএম) কাছ থেকে অনুমতিপত্র নিতে হবে। অনুমতিপত্র পেলেই কেবল তারা টিকিট কিনে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হতে পারবেন। তবে বাংলাদেশিদের সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য করোনা ভাইরাস টেস্ট রিপোর্ট দেখাতে হবে না। কিন্তু সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পর তাদের সতর্কতা হিসেবে ১৪ দিনের জন্য একটি হোটেলে আইসোলেশনে থাকতে হবে। হোটেলে থাকার জন্য আনুমানিক ২ হাজার ২০০ সিঙ্গাপুরি ডলার খরচ করতে হবে প্রবাসীদের।

 

 

 

আইসোলেশনের জন্য বাংলাদেশ থেকে হোটেল বুকিং করেই কেবল সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করতে পারবেন তারা। প্রবাসীদের ভাষ্য, বাংলাদেশি প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা আইসোলেশন খরচ তাদের জন্য বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা’।

 

 

 

এদিকে আগামী ৩ অক্টোবর শনিবার থেকে সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট চালু করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। আপাতত এ রুটে সপ্তাহে একটি ফ্লাইট চালাবে উড়োজাহাজ সংস্থাটি। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

 

 

এতে বলা হয়, ইউএস-বাংলা প্রতি শনিবার রাত ১০টা ১০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ছেড়ে গিয়ে পর দিন রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরে অবতরণ করবে। অপরদিকে সিঙ্গাপুর থেকে রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে উড্ডয়ন করবে ও সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।

টাকার লোভে নিজের স্ত্রীকে বন্ধুর কাছে ধর্ষণ করতে দিলেন স্বামী। এমন জঘন্য ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায়।

২২ বছরের সেই তরুণী পুলিশের কাছে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) অভিযোগ দায়ের করেন। তবে তিনি জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ২২ সেপ্টেম্বর। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নারীর স্বামী ও তার বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

ওই নারীর বয়ান অনুযায়ী, তার স্বামী প্রায়ই রাতে মদ খেয়ে বাড়িতে ঢুকত। গত ২২ সেপ্টেম্বর মদ খেয়ে এক বন্ধুকে নিয়ে বাড়িতে ঢোকে সে। ওই বন্ধু তার স্বামীর সামনেই তাকে ধর্ষণ করে বলে জানান ওই গৃহবধূ । পরে তিনি জানতে পারেন, তার স্বামীকে এজন্য ১০ হাজার টাকা দিয়েছে ওই বন্ধু।

এরপরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষিতা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি ৪১ লাখ ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আর এ মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ ১৮ হাজার।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ১৮ হাজার ৭৬৯ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৩৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ কোটি ৫৪ লাখ ২৬ হাজার ৪১১ জন।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ১১ হাজার ৭৪০ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। এ নিয়ে ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ২৮২ জন এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় এবং মৃতের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ লাখ ১০ হাজার ২৬৭ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৮ হাজার ৭০৮ জন।

বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারির স্থলাভিষিক্ত হলেন।

সভাপতি মনোনীত হওয়ার পরদিনই চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা করেছেন। সোমবার বিকালে বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ অফিসে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় নতুন সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন কাবাডির উন্নয়নে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

নতুন সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘কাবাডি আমাদের জাতীয় খেলা। আমরা চাই দেশের সকল জেলায় কাবাডি নতুন করে জেগে উঠুক। সে লক্ষ্যে আমরা ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবো, প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে শুধু ফেডারেশনের উদ্যোগেই সর্বোচ্চ সফলতা পাওয়া যাবে না, সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করি দেশের কাবাডিকে এগিয়ে নিতে সবাই আমাদের পাশে থাকবেন।’

নির্বাহী কমিটির সভায় করোনাভাইরাসের মধ্যে সারাদেশের কাবাডি খেলোয়াড়দের নিজেদের মতো করে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে এবং দেশের কাবাডির মানোন্নয়ণে ফেডারেশনের উদ্যোগে স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুন কোচেস কোর্স ও নতুন রেফারি প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার ফটকের প্রধান সাইনবোর্ড কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতের কোনো এক সময় ভান্ডারিয়া উপজেলার পৌর শহরের লঞ্চঘাট সড়কে অবস্থিত এ মাদ্রাসার প্রধান ফটকের গেটের প্রতিষ্ঠাতার নাম সম্বলিত সাইনবোর্ডটি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আসাদুজ্জামান ফারুকী ভান্ডারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানা গেছে, ১৯৫৫ সালের ৩ জানুয়ারি ভান্ডারিয়ার লঞ্চঘাট এলাকার আলহাজ্ব আনসার উদ্দিন আহম্মেদ তার বাড়ির পাশে নিজস্ব জমি দান করে ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে চালু করে। পরবর্তীতে মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের জন্য স্থানীয় শাহাবুদ্দিন ২৫ হাজার টাকা মাদ্রাসায় দান করলে স্থানীয় মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ ওই ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার নাম শাহাবুদ্দিন ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা নামকরণ করেন যা বর্তমানে এই নামেই চলছে।

কিন্তু একটি মহল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আনসার উদ্দিন আহম্মেদের নাম পরিবর্তনের জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে একটি ভুয়া রেজুলেশন করে এবং এই বিষয় মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে এই বিষয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আনসার উদ্দিন আহম্মেদের পুত্র মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আল আমিন আহম্মেদ রেজুলেশন বাতিলের দাবি জানিয়ে এবং প্রতিষ্ঠাতার নাম আলহাজ্ব আনসার উদ্দিন আহম্মেদ রাখার জন্য চলতি বছরের ২৩ আগস্ট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

এরপরই একটি পক্ষ প্রতিষ্ঠাতার নাম সম্বলিত মাদ্রাসার প্রধান ফটকের মেইন সাইবোর্ডটি কেটে নেয়।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি গোলাম সরোয়ার জমাদ্দার জানান, মাদ্রাসার সাইনবোর্ড কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তারা পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন।

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ৪ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

তবে রায়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে মিন্নির বাবা বাবা মো. মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। কিন্তু মিন্নির প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।

এর আগে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ১০ আসামির মধ্যে মুসা পলাতক এবং মিন্নি জামিনে রয়েছেন। মুসা ব্যতীত বাকিরা রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ৬ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ৪ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ভূবন চন্দ্র হালদার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

এছাড়া এ মামলায় চার আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর এবং কামরুল ইসলাম সাইমুন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ১০ আসামির মধ্যে মুসা পলাতক এবং মিন্নি জামিনে রয়েছেন। মুসা ব্যতীত বাকিরা রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের ভিড়ে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

ঘটনার পরদিন ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

১ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এরপর ৮ জানুয়ারি থেকে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। এ মামলায় মোট ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

১৬ সেপ্টেম্বর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান রায়ের জন্য বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেন।

বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামানের আদালতে চলছে রায় পড়া।

জানা গেছে, বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির সবার মৃত্যুদণ্ড চান রিফাতের বাবা-মা।

সকালে ‌ক‌ঠোর নিরাপত্তার মধ্যদি‌য়ে বেলা ১১টা ৪০ মি‌নি‌টে কারাগার ‌থে‌কে আসামি‌দের আদাল‌তে আনা হয়।

মামলার বাদী রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মিন্নিসহ সব আসামির শাস্তি চাই আমরা। দেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর আমাদের আস্থা আছে। আদালত রিফাতের খুনের সঙ্গে জড়িতদের এমন শাস্তি দিক যাতে আমরা স্বস্তি পাই। ‘

 

এদিকে চোখে মুখে চিন্তার ছাপ থাকলেও পরিবারের লোকজনকে আশার বাণী শুনিয়েছেন মিন্নি। বাবার সঙ্গে আদালতের উদ্দেশে বের হওয়ার সময় বাবা-মাকে বলেছেন, তিনি নির্দোষ, খালাস পাবেন। মা-বাবাকে চিন্তা করতে বারণ করেছেন রিফাতের স্ত্রী মিন্নি।

বুধবার বরগুনা জেলা জজ আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে মিন্নি একটা কথাই আমাকে বারবার বলছে, বাবা আমি নির্দোষ, আমি খালাস পাব। তুমি চিন্তা করো না। আমিও বিশ্বাস করি, মিন্নি অপরাধ করেনি, সে খালাস পাবে।’

১০ আসামির ৮ জনকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে। এখনও পলাতক আসামি মুসা বন্ড। বাকি আসামি রিফাত ফরাজী, রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, টিকটক হৃদয়, হাসান বন্ড, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, সাগর ও কামরুল ইসলাম সায়মুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ রয়েছে।

১৫ মাস আগের নৃশংসভাবে রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার বহুল আলোচিত এ মামলায় পুলিশ যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছিল, তাদের মধ্যে ১০ জনের বিচার চলে জজ আদালতে। বাকি ১৪ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার চলছে বরগুনার শিশু আদালতে আলাদাভাবে।

ভোলার চরফ্যাশনের দুলারহাটে এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী মোস্তফা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নীলকমল ইউনিয়নের চরযমুনা গ্রামে মাকসুদুর রহমান একাডেমি (কেজি স্কুল)’র নির্জন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুপুরে শিশুর মা বাদী হয়ে একজনকে আসামি করে দুলারহাট থানায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।

শিশুর মা’র অভিযোগ, অভিযুক্ত মোস্তফা এবং তারা একই বাড়িতে বসবাস করেন। সম্পর্কে মোস্তাফা শিশুর চাচা হন। ঘটনার দিন দুপুরে তার শিশুকন্যা বাড়ি সংলগ্ন মাকসুদুর রহমান একাডেমি (কেজি স্কুল) পাশে খেলছিলও। এসময় মোস্তফা তার শিশুকন্যাকে ফুসলিয়ে স্কুলের নির্জন কক্ষে নিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন। শিশুর ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশী এক নারী ছুটে এলে মোস্তফা পালিয়ে যায়। শিশুটির মাকে বিষয়টি জানালে তিনি দুলারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

দুলারহাট থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেন জানান, শিশুর মা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।