বরিশাল নগরী থেকে তিন মাদক ব্যবসায়ী আটক করেছেন মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর। গত মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।আটকৃত মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন ভাটিখানা এলাকার চিহ্নিত একে এম আব্দুল্লাহ(ইফতি), মোঃ সাইফুল ইসলাম, ইব্রাহিম খান টিপু।মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,গোপন সম্পদের ভিত্তিতে জানতে পারেন ভাটিখানা এলাকায় একদল কিশোর মাদক সেবন ও বিক্রি করছেন। মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের চৌকস টিম
ভাটিখানা কাজি বাড়ি মসজিদের পাশে একেএম আবদুল্লাহ(ইফতি) বাসায় অভিযান চালিয়ে এই তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেন।পরবর্তীতে তাদের বয়স বিবেচনা করেনপ্রত্যেক কে ৫০০০(পাঁচ হাজার) টাকা করে অর্থদন্ড ও ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তারা এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ী এবং এলাকার কিশোর গ্যাং এর সদস্য।এলাকার ছোট ছোট বিষয় নিয়ে এলাকার অনেক কিশোর একসাথে হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়ান।তাদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ এলাকায় থাকতে পারছেন না।
বর্তমানে এই কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে প্রতিদিনই এলাকায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, জমিদখল, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ধর্ষণ এবং খুন-খারাবি ইত্যাদি অপরাধের ঘটনা ঘটছে। এদের অত্যাচার নির্যাতনে সমাজ বিষিয়ে উঠেছে। মানুষ অস্বস্তিকর অশান্তির মধ্যে দিনাতিপাত করছে। সমাজের নিরীহ অংশ বিশেষ করে যাদের কোনো প্রভাব প্রতিপত্তি নেই বা প্রভাবশালী মহলের সাথে কোনো ধরনের সম্পর্ক ও যোগাযোগ নেই তাদের আতঙ্কই বেশি। তারা তাদের সহায়-সম্পদ ও উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন কাটায়; কখন কারা জায়গা-জমি দখল করতে আসে বা চাঁদা দাবি করে অথবা স্কুল-কলেজে পড়–য়া মেয়েটিকে কখন কোন বখাটে বিরক্ত করে বা স্কুলে যাওয়া ছেলেটিকে তাদের গ্যাংয়ের দলে ভিড়িয়ে ফেলে। এ ছাড়া এসব গ্যাংয়ের উৎপাতে পাড়ায় পাড়ায় মারামারি কাটাকাটি তো লেগেই আছে। এই কিশোর গ্যাং সংস্কৃতি বর্তমানে তরুণদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। হিরোইজম বা বাহাদুরি, কাঁচা টাকা-পয়সা, মাদকাসক্তি, সাংস্কৃতিক চর্চার নামে সস্তা ছেলে-মেয়েদের অবাধে মেলামেশার তীব্র আকর্ষণ ইত্যাদি হাতছানি দিয়ে ডাকায় দ্রুত এ সমস্ত গ্যাং এবং তাদের সদস্যসংখ্যা বাড়ছে। সেই সাথে টিকটক, লাইকি ইত্যাদি নানান ধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও পথভ্রষ্ট হয়ে তরুণরা কিশোর গ্যাংয়ে নাম লেখাচ্ছে। ফলে সমাজকে ভেতরে ভেতরে উইপোকার মতো খুবলে খেয়ে ফেলছে এই অশুভ চর্চা। উঠতি বয়সের, স্কুল-কলেজগামী কিশোরদের একটি অংশ লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে ওই দিকেই ঝুঁকছে। ফলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সুড়ঙ্গের অপরপ্রান্তে জমা হচ্ছে নিকষকালো অন্ধকার। যারা এই জাতিকে আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে তারা যদি এই আগ্রাসী কিশোর গ্যাং সংস্কৃতির চর্চা করে বেড়ে ওঠে তবে আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ সত্যিই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়বে। সুতরাং আজকের কিশোর গ্যাং কালচার দেশ, জাতি ও সমাজের জন্য এক মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শহুরে জীবনের পাড়ায় পাড়ায় কিশোর-তরুণরা প্রথমে ছোট ছোট গ্রুপ করে ‘স্টার বন্ড’, ‘সাইজ কইরা দে’, ‘আমিই বস’ ইত্যাদি উদ্ভট অথচ রোমাঞ্চকর গ্রুপের নামে আড্ডারাজি শুরু করে। ধীরে ধীরে শুরু হয় ছোট ছোট দলগত অপরাধকর্ম ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার বা দলগত সেরা হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া। অন্য দল বা অন্য এলাকার কিশোরদের ওপর প্রভাবশালী হয়ে উঠার এক রোমাঞ্চকর স্বাদ তারা পেয়ে যায় কাউকে মারধর করে বা অপমান করে।

ভিকটিমরাও তখন প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ফলে ঘটে যায় খুনের ঘটনা। জড়িত হয়ে পড়ে স্থানীয় নেতারাও। তারা ‘বড় ভাই’ হিসেবে আগলে রাখেন গ্যাংগুলোকে। বিনিময়ে নিজেদের আর্থরাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে থাকেন এসব গ্যাংকে। গ্যাংয়ের সদস্যরাও ‘বড় ভাই’দের শেল্টারে থেকে নির্বিঘ্নে করে যায় নানা অপরাধ। ‘বড় ভাই’য়েরাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর স্পর্শ থেকে আগলে রাখে গ্যাংয়ের সদস্যদের। এভাবে একটি কিশোর গ্যাং জন্ম নিয়ে দাপটের সাথে এলাকায় বিস্তার করে ‘অপরাধ সাম্রাজ্য’।
প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসী এই কিশোর গ্যাংয়ের হাত থেকে মুক্তি চাই।না হয় এলাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই এবং সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় রাজধানীর গুলশান-২ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বরিশালে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনসহ পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় মামলা রয়েছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, শেখ পরিবারের সদস্য হাসানাত আব্দুল্লাহর ছেলে মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহকে গুলশান-২ থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, :: সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ইংরেজি বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশন নতুন নেতৃত্ব পেয়েছেন তরিকুল ইসলাম এবং মো. হাফিজুর রহমান মিলন। সোমবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এইচএম শাহাজালাল নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করেছিলেন।

সংগঠনটির সাবেক নেতৃবৃন্দ জানান, নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা হলেও সভাপতি পদে তরিকুল ইসলাম তারেক, সাধারণ সম্পাদক পদে হাফিজুর রহমান মিলন, সাংগঠনিক পদে শহিদুল ইসলাম রায়হান, কোষাধ্যক্ষ পদে মাজহারুল ইসলাম এবং দপ্তর সম্পাদক পদে তানিম মাহামুদ খান ব্যতিত কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। এবং নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কেউ আগ্রহও প্রকাশ করেননি। ফলে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারী তরিক-হাফিজসহ উল্লেখিত ৫ জনকে সর্বসম্মতিক্রমে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

সংগঠনটির সাবেক আহ্বায়ক বাহাউদ্দিন গোলাপ এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সকলে নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবং তাদের সম্মতিক্রমেই তরিকসহ সকলে আলোচিত সংগঠনটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন।

জানা গেছে, বিএম কলেজসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষার প্রত্যয় নিয়ে অর্ধযুগ আগে এই সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এতে বাহাউদ্দিন গোলাপ সভাপতি এবং রাহাত সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনের মাধ্যমে সংগঠনে প্রত্যাশিত পদপ্রাপ্তিতে তরিক এবং হাফিজসহ সকলে কমিটির সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবং এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বিএম কলেজ ইংরেজি বিভাগ এলামনাই এসোসিয়েশন একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এই সংগঠনের মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ হচ্ছে, বিএম কলেজসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করা, নতুন নেতৃত্ব সেটিই করবে, মন্তব্য করেন সভাপতি তরিকুল ইসলাম

 

শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে রাজশাহী জেলা পরিষদের পক্ষ হতে রাজশাহী মহানগরী এবং রাজশাহী জেলার বিভিন্ন পূজামন্ডপে অনুদান প্রদান করা হয়েছে।
৮ অক্টোবর মঙ্গলবার ২০২৪ তারিখ সকাল ১১:০০ টায় রাজশাহী জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন মন্দির ও পূজামন্ডপের অনুকূলে এ অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রশাসক ও রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল। এসময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুঃ রেজা হাসানসহ পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। রাজশাহী মহানগরীর ৭৭ টি এবং জেলার ৪৬টিসহ সর্বমোট ১২৩ টি মন্দির ও পূজামন্ডপের প্রতিটিতে ৫ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: স্বৈরাচ্চার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও বরিশালের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীনের ত্রাসের রাজত্ব চলছেই। ছেলে-সন্তানসহ স্বজনদের নিয়ে গড়ে তোলা বাহিনী বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের পুরো ১০ নং ওয়ার্ড দাপিয়ে বেড়িয়েছেন, বেড়াচ্ছেন। এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলের পুরোটা সময় ধরে কেডিসিসহ আশপাশ এলাকাসমূহের ব্যবসায়ীদের জিম্মি চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, অভিযোগ থাকালেও আইনের আওতায় এসেছেন, এমন উদাহরণ কম আছে। বিস্মময়কর বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেতাকে বিএপির একটি মামলায় অভিযুক্ত করা হলেও তার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রোহিত করা যাচ্ছে না।

 

বরং অভিযোগ আছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এই চাঁদাবাজির মাত্রা আরও বাড়িয়ে তুলেছেন। তবে এবার তিনি ‘বরিশাল বিভাগীয় ট্র্যাংক লরি সংগঠনে’ চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বেকায়দায় পড়লেন। ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় সুশীল সমাজ, নির্যাতনকারী আওয়ামী লীগ নেতা জয়নালের শাস্তি চেয়ে করেছেন বিক্ষোভ, কর্মবিরতি। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সদস্যকে চাঁদার দাবিতে মারধরের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গভীর রাতে থানায় এহাজার এবং বুধবার ১৮ প্রতিবাদস্বরুপ শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে শহরের বান্দরোডে উত্তপ্ত পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে ছুটে যায় এবং চাঁদাবাজির ঘটনায় জয়নালসহ জড়িত সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার অভয় দিয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের শান্ত করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে কথিত নির্বাচনের মাধ্যমে জয়নাল কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েই বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, ওই নির্বাচনে কোটি টাকা খরচ হয়েছে এবং তা এখন তুলতে হবে- এমন হুঁশিয়ারি দিয়েও ওয়ার্ডের একাধিক ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করেন, অভিযোগ আছে। রাজনৈতিক পদধারী এই মূর্তিমান সন্ত্রাস কেডিসির অভ্যন্তরে থাকা প্রিমিয়ার সিমেন্টের গোডাউনের ম্যানেজারকে ফোন করেও চাঁদা দাবি করেছিলেন। এবং হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, কেডিসি এবং চাঁদমারী সড়ক তার ওয়ার্ডে, এই সড়ক দিয়ে সিমেন্ট পরিবহন করতে হলে দিতে হবে মাসোহারা। তখন জয়নাল এবং তার ছেলে সন্তানসহ গুন্ডাবাহিনীর সাথে কোনো রুপ দ্বন্দ্ব-সংঘাতে না গিয়ে কোম্পানিটি তাদের গোডাউন শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্ত কালিজিরায় স্থানান্তর করে।

এর আগে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্রাহ’র অনুসারীর স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতা সোহেল খানকে তার কর্মস্থল আমান গুদাম থেকে বের করে দিয়ে সেখানে জয়নালের মাদকাসক্ত ছেলে অলি নিয়ন্ত্রণ নেয়। এবং সারসহ হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার পরিবহনকারী ট্রাক থেকে নিয়মিত চাঁদা তুলছে। জানা গেছে, কেডিসি ঘাট থেকে ট্রলারে পণ্য তুললেও কাউন্সিলর জয়নালকে দিতে হয় চাঁদা, যা উত্তোলনের দায়িত্ব আছে ওই অলিসহ কজন সন্ত্রাসী। এছাড়া কেডিসি কলোনীতে মাদক বাণিজ্যে শেল্টার দেওয়াসহ নীরিহ বহু মানুষকে অহেতুক মারধর করাসহ হয়রানি করেছে জয়নাল বাহিনী।

এই আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে আশরাফুল বেলসপার্ক মাঠে জনাকীর্ণ স্থানে গাঁজা সেবন করতে গিয়ে রক্তারক্তি পরিস্থিতি তৈরি করে। মাদক সেবনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে জয়নাল বাহিনীর হামলার শিকার হন খোদ ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট তৌহিদ মোর্শেদ টুটুলের স্ত্রী সিফাত জাহান মিম। সেই ভয়ানক ত্রাসের ঘটনায় কাউন্সিলরপুত্র আশরাফুল হকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলাও হয়েছিল (জিআর ৭১০/২৩)। এছাড়া পাশাপাশি সময়ে শহরের মুসলিম গোরস্থান এলাকায়ও একটি সন্ত্রাস তৈরি করেছিল জয়নাল বাহিনী, সেই ঘটনায়ও আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে এনা এবং অলিসহ অন্তত ২০ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা হয় (জিআর নং-৫৪৬/২৩)। এছাড়া সাদিকপন্থী শ্রমিকলীগ নেতা সোহেল খানও অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে কাউন্সিলর জয়নালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে অভিযোগটি তুলে নিতে বাধ্য করেন আ’লীগ নেতা জয়নাল।

সূত্রগুলো জানায়, এতসব অপকর্ম করার পরেই জয়নালের লোলুপ দৃষ্টি যায় ‘বরিশাল বিভাগীয় ট্র্যাংক লরি সংগঠনে’। আওয়ামী লীগ সরকারের শেষান্তে এই সংগঠনে পদ বাগিয়ে নেওয়াসহ ক্যাডার বাহিনী নিয়ে দখলের পায়তারা করতে থাকেন। তখন একটি গ্রুপ বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন বরিশাল সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুক এবং সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহসহ পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর কিছুদিন জয়নাল চুপচাপ থাকলেও ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে তিনি বোল পাল্টে নিজেকে সাবেক বিএনপি নেতা দাবি করছেন এবং অর্থবিত্তে লালে লাল হয়ে যেতে দখল সন্ত্রাসে মেতে উঠেছেন। কিন্তু বাধ সাধল শ্রমিক সংগঠনে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে, আর এতেই ধরাশয়ী হতে যাচ্ছেন কাউন্সিলর জয়নাল। তার শাস্তি দাবি করেছেন শ্রমিক সংগঠনটিসহ স্থানীয় সুশীল সমাজ।

শ্রমিক সংগঠনের অভিযোগটিতে আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল, তার ভাইয়ের ছেলে রাজু, জামাতা শামীম, রিপন, আনোয়ার, সাঈদ এবং ইমরানসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

আলোচিত সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল গত বছরের শেষের দিকে কাউন্সিলর হয়েই ক্যাডার বাহিনী নিয়ে ‘বরিশাল বিভাগীয় ট্র্যাংক লরি সংগঠন’ দখলের পায়তারা শুরু করেন। কিন্তু তাতে তিনি ব্যর্থ হয়ে পরিশেষে সংগঠনে ঢোকার চেষ্টা করাসহ গাড়িপ্রতি চাঁদা দাবি করেছিলেন। তৎকালীন বিষয়টি বরিশাল সদর আসনের এমপি এবং মেয়রকে অভিযোগ আকারে অবহিত করা হলে জয়নাল কিছুদিন নিশ্চুপ থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে নিজেকে সাবেক বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে উৎপাত শুরু করেন। এর প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার সংগঠনের অর্থ সম্পাদক রানা সরদার আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল বাহিনীর ত্রাসের শিকার হয়েছেন, যে ঘটনায় সেদিন গভীর রাতেই থানায় অভিযোগ করাসহ বিষয়টি সেনাবাহিনীকে অবহিত করা হয়। এবং সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদসহ হামলাকারীদের শাস্তি দাবি জানিয়ে বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করা শুরু করে শ্রমিকেরা। এতে বরিশাল থেকে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে দুর্ভোগের আশঙ্কা তৈরি হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং কোতয়ালি পুলিশ গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে আওয়ামী লীগ নেতা জয়নালসহ জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের মধ্যদিয়ে।

সেনাবাহিনীর ওই পদস্থ কর্মকর্তা আল আমিন সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শ্রমিকদের জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল আছেন। এবং জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা যাবে না, জানিয়ে সেনা কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থাগ্রহণ করবে।

স্থানীয় সুশীলমহল বলছেন, আওয়ামী লীগ নেতা জয়নালের অপকর্মের শেষ নেই, তিনি ওয়ার্ডটিতে কাউন্সিলর হিসেবে যে কয়বার দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রতিবারই সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। তবে সাদিক আব্দুল্লাহ মেয়র থাকাকালীন জয়নাল তেমন একটা সুবিধা না করতে পারলেও চলতি বছরের শেষ দিকে কাউন্সিলর হয়ে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ’র সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং দেদার সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি শুরু করে দেন। সবশেষ অন্তর্বর্তী সরকারের এই সময়ে শ্রমিক সংগঠনে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে নেতৃবৃন্দকে মারধরের যে দু:সাহস দেখিয়েছেন, তাতে অনেকেই রীতিমত অবাক হয়েছেন। এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থাগ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, এই সন্ত্রাসের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে কোতয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বরিশালটাইমসকে জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে একটি অভিযোগ এসেছে, সেটি পুলিশের এসআই পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।’

 

বরিশালে ট্রাংকলরি থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি ও ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষকে মারধরের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেছে শ্রমিকরা।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় নগরীর বান্দ রোড সংলগ্ন মেঘনা পেট্রোলিয়াম বরিশাল ডিপোর সামনে কর্মবিরতির ডাক দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বরিশাল বিভাগীয় ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা।

পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে বেলা ১২ টার দিকে কর্মবিরতী প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেন ট্যাংক লড়ি শ্রমিকরা।

বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে বরিশাল বিভাগীয় ট্রাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামাল জানান, বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের কেডিসি কলোনী সংলগ্ন পদ্মা অয়েল ও মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপোতে ট্রাকে তেলে নিয়ে বের হতে হলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনসহ তার বাহিনীকে তাদের দাবিকৃত গাড়ী প্রতি ১ হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। এসময় সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয়।

তাই আজ সকাল থেকে আমার চাঁদাবাজি বন্ধ ও হামলার প্রতিবাদের কর্মবিরতির ডাক দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করি। পরে সেনাবাহিনী এসে আমাদের শ্রমিকদের কথা শুনে তারা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন ও চাঁদাবাজি বন্ধের আশ্বাস দিলে আমরা আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যাই।

এসময় শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় চাঁদাবাজদের দৌরাত্মের কারনে তারা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

এদিকে, ট্রাংকলরি শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বরিশালে সকাল থেকে কোনো তৈল আনা-নেওয়ার সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকায় বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা।

 

মোঃ শাহীন আলম
তালতলী,প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত আনোয়ার তুমপা’র বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সর্বস্তরের জনগণ।

সোমবার ( ০৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩ টার দিকে উপজেলা শহরের সদর রোডে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে ছাত্র-শিক্ষক,রাখানই সহ সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন অংশগ্রহন করেন সহস্রাধিক বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সিফাত আনোয়ার তুমপা এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে আসার পর সর্বস্তরের জনগণের সম্মানে মানুষের সেবায় কাজ করেছেন। দিন-রাত নিজেকে সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত রেখে কাজ করেছেন । তিনি ভূমিহীন, অসহায়,হতদরিদ্রদের পাশে সরকারি অর্থ ও নিজস্ব অর্থ দিয়ে সাধ্য মতো সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছেন মানুষদের । তাই হঠাৎ করেই তার বদলির আদেশ শুনেই ফুসে উঠেছে উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ।

বক্তারা আরও বলেন, অসাধারণ গুণের অধিকারী ইউএনও সিফাত আনোয়ার তুম্পাকে এ উপজেলায় রাখতে হবে। বদলির আদেশ বাতিল করতে হবে। এ ব্যাপারে বর্তমান সরকারের সুদৃষ্টি আশা করছেন তাঁরা। যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বদলির আদেশ প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলন করার হুশিয়ারি দেয় বক্তারা।

এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা,ইউপি চেয়ারম্যান ফরাজী মোঃ ইউনুচ,ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক খান,জামায়েত নেতা জালাল পিয়াদা,ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির,রাখাইন নেতা মংচিন থান,শিক্ষক জসিম উদ্দিন মিঠুসহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বক্তব্য দেয়।

উল্লেখ্য যে, গত ৮ সেপ্টেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রংপুরে বিভাগে বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল নগরীর নবগ্রাম রোড এলাকায় মাদক নিরাময় মাইন্ড কেয়ারে এক নারী রোগীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে পাওয়া গেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,গত মঙ্গলবার (৩সেপ্টেম্বর) ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা মোঃ সালাম মিয়া তার মেয়ে মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে মাইন্ড কেয়ার ও হলি কেয়ার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করেন।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা মোঃ সালাম মিয়ার মেয়ে তার পরিবারের কাছে অভিযোগ করে বলেন, মাদক নিরাময় কেন্দ্রতে কোনো চিকিৎসা নেই।

ওখানে মারধর করেই আতঙ্কগ্রস্ত করা হয়। আতঙ্কে অনেক মাদকাসক্ত ব্যক্তি অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন এছাড়াও এখানে কোনো নারী নার্স নেই। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক নিজেই চিকিৎসা দিয়ে থাকেন, তিনি আমাকে চিকিৎসা করা অবস্থায় শরীরের বিভিন্ন অংশে হাত দিয়ে থাকেন।

এঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানার এস আই মোঃ মাজেদ হোসেন রোগীকে দ্রুত উদ্ধার করেন। অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান (সুমনের) হলি কেয়ার, মাইন্ড কেয়ার। স্বপ্নের মালিকানাও এই মোস্তাফিজুর রহমানের। তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রোগী মৃত্যু ও নির্যাতনের অভিযোগও সবচেয়ে বেশি।

মাইন্ড কেয়ার থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হওয়া এক রোগীর স্বজন বলেন, ২২ দিনে ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় দেখিয়েছে। কিন্ত আমার মা সুস্থ হননি। তিনি সিজোফ্রোনিয়ায় আক্রান্ত। ভর্তির সময়ে মাইন্ড কেয়ারের লোকজন বলেছিল ৮ হাজার টাকা। ভর্তির পর বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা, ওষুধ, ডাক্তারের ভিজিট দেখিয়ে ৪৫ হাজার টাকা বিল করেছে।

স্থানীয়রা জানান, নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড বাংলা বাজার এলাকার জব্বার মিয়া গলির বাসিন্দা মজিবুর রহমানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (সুমন) একজন প্রভাবশালী আ’লীগ নেতা ও তার বিরুদ্ধে বরিশালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপির অফিস ভাংচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া মামলার আসামী।

অভিযোগ উঠেছে বরিশালে মোস্তাফিজুর রহমান (সুমনের) আ’লীগেরর আমলে নিজস্ব প্রভাব খাটিয়ে সরকারি আইন উপেক্ষা করে নিজস্ব শক্তি বলয়ে নিজস্ব আইনে পরিচালিত করে আসছে মাদকাসক্ত মাইন্ড কেয়ার ও হলি কেয়ার।

মাইন্ড কেয়ার ও হলি কেয়ার মাদক নিরাময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তার ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্স নেই এমনকি মহিলা রোগী রাখার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুমতি নেই।ভূক্তভূগি পরিবারের কে মামলা বা অভিযোগ না করার জন্য নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে ভূক্তভুগীর বাবা আঃ সালাম মিয়া জানান আমরা মেয়েকে মাদকাসক্তি মাইন্ড কেয়ার ও হলি কেয়ার থেকে নিয়ে আসছি।এখন অন্যত্র চিকিৎসা করাচ্ছি।আমাদেরকে মোস্তাফিজুর রহমান (সুমন) নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখাছে।

এছাড়াও মাদকাসক্তি কেন্দ্রের গুণগতমান সেখানে রক্ষা করা হয় না। রোগীদের খাবার সহ চিকিৎসা সেবা সঠিকভাবে দেওয়া হয় না। এখানে মালিক সিন্ডিকেট একই নামে তিন-চারটা লাইসেন্স করে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের (আওয়ামী লীগ) প্রভাব তৈরি করে ব্যবসা পরিচালনা করে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও সুমনের প্রতারনা এখনো বহাল । এলাকাবাসীর দাবি প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে যেন আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন জানান মাইন্ড কেয়ার ও হলি কেয়ার মাদক প্রথম দিকে লাইসেন্স নিয়ে পরিচালনা করলেও দীর্ঘদিন ধরে নবায়ন করেনি।এখন তারা অবৈধভাবে পরিচালনা করে আসছে।আর নারী মাধকাসক্তদের রাখতে হলে সরকারি কিছু নিয়ম মেনে রাখতে পারবে।তারা করেনি আমরা দ্রুত উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে মাইন্ড কেয়ার ও হলি কেয়ার মাদক নিরাময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

 

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে উজিরপুরের গুঠিয়ার জাকির নামে এক রোগী মারাযান হলি কেয়ারে। ২০১৫ সালে একই প্রতিষ্ঠানে মারা যান নগরীর কাঠপট্টি এলাকার বাসিন্দা পুলক। ২০২১ সালে হলি কেয়ারের বাথরুম থেকে চন্দন সরকারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় কয়েকটি মৃত্যুর বিষয়ে পরিবার থেকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এসব ঘটনায় থানায় মামলা ও অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ গ্রেপ্তারও হন। পরবর্তীতে মামলা ধামাচাপা পড়ে যায়।

এবিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এধরণের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই, যদি এধরণের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

মোঃ শাহীন আলম
তালতলী,প্রতিনিধি// বরগুনার তালতলীতে ইউপি সদস্যকে বিবস্ত্র করে মারধরের সংবাদ প্রকাশের জেরে স্থানীয় ৫ সাংবাদিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ছে বিভিন্ন সাংবাদিক সমাজ।

বৃহস্পতিবার(০৫ সেপ্টম্বর) দুপুরে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন শাহদাত হোসেন। আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মিথ্যা মামলার আসামিরা হলেন তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. খাইরুল ইসলাম,দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সাংবাদিক মোস্তাফিজ,এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মো জলিল, আজকের দর্পণ পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান,মানজমিন পত্রিকার সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান ও বিবস্ত্র করে মারধরের শিকার ইউপি সদস্য জামাল খান এবং তার চাচাতো ভাই ফেরদাউস। হামলাকারী শাহদাতের কাছ থেকে একটি মোবাইল ও মারধর করে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করার অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা যায়, গত শনিবার ৩১ আগস্ট উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জামাল খানের বাড়ির সামনে নিদ্রা স্লুইজঘাট খালে একটি চোরাই ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি ট্রলার নোঙর করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি স্থানীয়রা ইউপি সদস্য জামাল খানকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। পরে ইঞ্জিন চালিত স্টিলবডি ট্রলারটি ইউপি সদস্যের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। এ খবর পেয়ে আবুল কালাম,মিজানুর রহমান, বশির, সাংবাদিক নাইম ও শাহাদাত সহ তারা রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে চোরাই ট্রলারটি অনৈতিকভাবে নেওয়ার জন্য টাকার প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ইউপি সদস্য বাধা দিলে আবুল কালাম, মিজানুর রহমান, বশির, সাংবাদিক নাইম ও শাহাদাতসহ ২৫-৩০ লোক এলোপাতাড়ি মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন জামাল খানকে। মারধরের একপর্যায়ে ইউপি সদস্যকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করা হয়। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায় হামলাকারীরা। এতে জীবনের ভয়ে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে থাকলে পরের দিন দুপুরের দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা ইউপি সদস্য জামাল খানকে উদ্ধার করে হাসপাতাল পাঠায়। এ ঘটনায় ঐ ইউপি সদস্য বাদি হয়ে ১২ জন হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলা করেন।

এদিকে মারধরের খবর পেয়ে পরের দিন ১ আগষ্ট দুপুর ১২ টার দিকে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহ করতে যায় তালতলী প্রেসক্লাবের সদস্যরা। পরে মারধরের সংবাদ প্রকাশ ও হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধনের নিউজ প্রকাশ উপজেলার একাধিক সাংবাদিকরা। পরর্বতীতে মামলার নিউজ প্রকাশ করার জের ধরে মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে ৫ স্থানীয় সাংবাদিকসহ ঐ ইউপি সদস্যকে আমাসীকে ৭ জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মারধরের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন শাহদাত হোসেন নামের এক হামলাকারী।

তালতলী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তরের সাংবাদিক মু আ. মোতালিব বলেন, এই মারধরের ঘটনায় আমিও সংবাদ সংগ্রহে গিয়েছিলাম ও সংবাদ প্রকাশ করেছি। এখানে সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন শুধু। তাছাড়া তারা ঘটনাস্থলেই ছিলো না। তাঁদের নামে মারধরের ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে। এটা দুঃখজনক, অভিলম্বে তিনি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এ বিষয় বরগুনা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.বশির আলম বলেন, এখনো মামলার আদেশ আমরা হাতে পাইনি। আদেশ হাতে পেলে সঠিকভাবে তদন্ত করে সুষ্ঠু প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হবে।

 

তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি// বরগুনার তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি খাইরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করে সামাজিকভাবে মানহানি করার প্রতিবাদে মানবন্ধন করেছে বাশবাড়িয়া মসজিদের মুসুল্লীরা।

শুক্রবার(৩০ আগষ্ট) জুমার নামাজ শেষে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউসুফ মুন্সী জামে মসজিদ মাঠে এ মানববন্ধন করা হয়।

জানা যায়, উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউসুফ মুন্সী জামে মসজিদে মিলাদ-মাহফিলের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জিআর চাল বরাদ্ধের আবেদন করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ঐ মসজিদের মুসুল্লী খাইরুল ইসলাম । পরে জুনের শেষ দিকে মসজিদের মিলাদ-মাহফিলের জন্য ১ টন চাল বরাদ্দ হয়। ঐ সময়ই মসজিদ কমিটির সভাপতি আবুল ফরাজীকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি ঢাকায় থাকার কারণে চাল ছাড়াতে বিলম্ব হয়। পরে ২৫ আগষ্টের দিকে আবুল ফরাজির অনুরোধে প্রেসক্লাবের সভাপতি চাল উত্তোলন করে তার টাকা মুসুল্লীদের সামনে মসজিদ কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন। তবে প্রেসক্লাবের সভাপতির পরিবারের সাথে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের ধরে একটি কুচক্রী মহল চাল আত্মসাতের অভিযোগে এনে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন। সেই নিউজে সভাপতি দাবি করে যে ব্যক্তি বক্তব্য দিয়েছেন তিনি মসজিদ কমিটির সভাপতি নয়। প্রেসক্লাবের সভাপতি’র বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে মানহানি করার প্রতিবাদে মসজিদ কমিটি ও স্থানীয় মুসুল্লীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এ মানববন্ধনে শতাধিক মুসুল্লীরা উপস্থিত ছিলেন ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের জন্য ক্ষোভ জানান।

মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান ককন বলেন, স্থানীয়দের সাথে কাথা বলে জেনেছি চাল বরাদ্দের শুরুতেই মসজিদ কমিটির সভাপতিসহ একাধিক মুসুল্লীরা বিষয়টি জানেন। এখানে প্রেসক্লাবের সভাপতির বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগে এনে যে নিউজটি করা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এর তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই।

মসজিদের ঈমাম ও খতিব জহিরুল হক বলেন, আমরা মসজিদের মিলাদ মাহফিলের ১ টন চাল বুঝে পেয়েছি আগেই। তাহলে কি ভাবে আত্মসাতের অভিযোগে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করলো।

মসজিদ কমিটির সভাপতি আবুল ফরাজী বলেন, আমি বরাদ্দের শুরু থেকেই জানি। আমি প্রেসক্লাবের সভাপতিকে বলেছি চাল উত্তোলন করতে। সেজন্য তিনি চাল উত্তোলন করে আমাদের কাছে টাকা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন প্রেসক্লাবের সভাপতির পরিবারের সাথে বিভিন্ন সময় নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে তাকে বির্তকিত করার জন্য মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এই নিউজ করেছেন। সেখানে যে ব্যক্তি সভাপতি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন তিনি সভাপতি নন। আমরা এই মিথ্যা নিউজের তীব্র নিন্দ্রা ও প্রতিবাদ জানাই।