ঝালকাঠি প্রতিনিধি :: যৌবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করলেও বৃদ্ধ বয়সে দরিদ্রতা পিছু ছাড়েনি ঝালকাঠির মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মান্নান সিকদারের (৬৫)। সদর উপজেলার গাভারামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের ভাঙা ঘরেই পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন তিনি। অর্থকষ্টে ভাঙা ঘরটিও সংস্কার করতে পারছেন না। চরম দরিদ্রতার কষাঘাতে দিন পার করছেন তিনি। বৃদ্ধ বয়সে তার মাসিক সম্মাতি ভাতার ১২ হাজার টাকা দিয়ে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন। স্ত্রী, ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে তাঁর। এর মধ্যে ২ মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বড় ছেলে ঢাকায় ছোট একটি চাকরি করে নিজের খরচ বহন করে। আর ছোট ছেলে বিএম কলেজে লেখাপড়া করে।

জানা যায়, সংসার চালাতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মান্নান সিকদার। তাইতো ভাঙা ঘরে বসবাস করছেন দেশের এই শ্রেষ্ঠ সন্তান। অর্থাভাবে সংস্কার করতে পারছেন না বসতঘরটি। দুই কক্ষবিশিষ্ট জরাজীর্ণ একটি টিনশেড ঘরে বসবাস করছেন। একটু বৃষ্টি হলেই ছিদ্র টিনের চালা থেকে পানি পড়ে ঘরের আসবাবপত্র ভিজে যায়।

মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল মান্নান সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। দেশ স্বাধীনের পরে পুলিশ বিভাগে যোগদান করেছি। ২০০৪ সালে চাকরি থেকে অবসরে যাবার সময়ে কোনোমতে থাকার জন্য একটি টিনশেড ঘর করেছি। নগদ টাকা বলতে কিছুই নেই, যার কারণে ঘর মেরামত করতে পারছি না। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ঘর নির্মাণের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছি। আবাসন নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ পেলে আমার উপকার হবে, আমাকে আর ভাঙা ঘরে থাকতে হবে না।

ঝালকাঠি সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে মাত্র শতকরা ৬ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা প্রথম পর্যায়ে গৃহ নির্মাণের এ অর্থ পাবেন। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় এপর্যন্ত ১৮৬টি আবেদন পড়েছে ঘর নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার জন্য। এর মধ্য থেকে কয়েক দফায় যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত যারা অস্বচ্ছল তাদেরকেই অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে।

 

লিটন বাইজিদঃ বরিশালের বাবুগঞ্জ থানার মাদপপাশা ইউনিয়নের বাড়ইখালি এলাকায় মামা কর্তৃক ভাগ্নের ২ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় মাধবপাশা ইউনিয়নের বারইখালি এলাকায় গত ৬ অক্টোবর আনুমানিক বেলা ১ টার দিকে ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা আটকিয়ে মামুন মিরা নামক এক ব্যাক্তির কাছ থেকে তার আপন মামা জলিল হাওলাদার, তার পূত্র শুভ হাওলাদার এবং মোস্তফা হাওলাদার নামের তিনজন ছুড়ি দেখিয়ে টাকা নিতে চাইলে মামুন টাকা দিতে দেড়ি করলে এক পর্যায়ে তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে এবং টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মামুনের সাথে তার ছোট ভাই রাহাত মিরা, নিরব নামে আরো ২ জন সাথে ছিলো। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী টিনের দোকানদার রাজু নামের এক ব্যক্তি। প্রসঙ্গত মামুনের সাথে তার মামা জলিল হাওলাদারের পারিবারিকভাবে শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। পরে ভুক্তভোগী মামুন বিমানবন্দর থানায় মামার বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন। । বর্তমানে ভুক্তভোগী মামুন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জলিল হাওলাদারের কাছে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি। বিমানবন্দর থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেন আমরা অভিযোগ পেয়েছি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ফারজানা নাদিরা||
ঝালকাঠির কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় এক পরিবারের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে পাশে দাড়িয়েছেন শহরের আলোকিত সেই যুবক সবির হোসেন। কর্মহীন শ্বশুর ও জামাতাকে কিনে দেয়া হয়েছে সবজি বোঝাইি ভ্যানগাড়ি। আর তা ঘুরে ঘুরে বিক্রি করে এখন থেকে চলবে অসহায় পরিবাটির জীবন-জীবিকা।
ঝালকাঠির উপজেলার বাসন্ডা ও নথুল্লাবাদ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত গ্রাম বাড়ইগাতি। এ গ্রামের ৭০ উর্ধ্বো বৃদ্ধ মোবাক্ষের মীরের দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে বিয়ে দিয়ে বৃদ্ধ স্ত্রীকে নিয়ে সীমাহীন দারিদ্রতার সাথে দিন কাটছিল। মাঝেমধ্যে এক মেয়ে-জামাতা তাকে আর্থিক সাহায্য করতেন। কিন্তু খুলনার জুটমিলের চাকরী চলে যাওয়ায় পর সেই মেয়ে-জামাতাও উঠেছেন শ্বশুর বাড়িতে। এ যেন মরার উপর খড়ার ঘা। বৃদ্ধের অপর দুই ছেলে-মেয়েরও আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের কাছ থেকে কোন সাহায্য জোটেনা। ফলে চরম অনাটনে দিশেহারা হয়ে পড়ে এ পরিবারটি। আর তখনই অসহায় পরিবারটির পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন ঝালকাঠির সমাজ সেবক ও যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন। শ্বশুর ও জামাতার জন্য সবজি ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেন। সাজানো ভ্যানে করে এখন থেকে সবজি বিক্রি করে চলবে এ অসহায় পরিবারটির জীবিকা। বুধবার সকালে শহরের পূর্বচাঁদকাঠি বাজার এলাকায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে একটি তরকারী বোঝাই ভ্যান কিনে তা বৃদ্ধের হাতে তুলে দিয়েছেন সমাজের এই আলোকিত ছবির হোসেন। জীবিকায় কর্মসংস্থানের নতুন ঠিকানা পেয়ে অসহায় বৃদ্ধ দারুণ খুশি। আর সমাজ সেবক যুবলীগ নেতা ছবির হোসেন বলেন, এক মাসের চাল ডাল কিনে দিলে অভাব দূর হত না। তাই স্থায়ী ভাবে অসহায় পরিবারটির দারিদ্রতা দূর করার জন্য সবজি ব্যবসার ব্যবস্থা করেছি। সমাজের বিত্তবানদের এমন কাজে এগিয়ে আসতে তিনি আহ্বান আলোকিত এই ব্যক্তি।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির এই সমাজ সেবক এর আগেও গৃহহীন পরিবারকে ঘর তুলে দেয়া, ফুটপাতের নারী মুচিকে দোকান ঘর জুতা স্যান্ডেলের ব্যবসার ব্যবস্থা করে দেয়াসহ করোনায় কর্মহীন হয়ে ঝালকাঠির শহরের পরিবারকে সহযোগিতার করে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

আহমেদ জালাল>> নতুন প্রজন্ম হোক সমতার লড়াইয়ের সারথি। সভ্যতা ও সমাজে নারীর প্রতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে যে হাজার বছরের লড়াই ও সংগ্রাম-তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব অনেকাংশে নতুন প্রজন্মের ওপর। নারীর প্রতি বৈষম্য নিরসনে সামাজিক সংস্কার একটি বড় বাধা। নারী-পুরুষ সমতার লড়াই অনিঃশেষ; কিন্তু নারী ও পুরুষ যদি নিজ নিজ পরিসরে সচেতন হয়, সংবেদনশীল হয়; তাহলে সেই পথে এগিয়ে যাওয়া নিশ্চয়ই সহজতর হয়। আবহমানকাল থেকে এ দেশের নারীরা যে সংগ্রাম, সাহস ও সক্ষমতা দেখিয়ে আসছে,তাতে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে নতুনতর প্রজন্ম।
আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত পেশায় নারীর অংশগ্রহণ দীর্ঘকাল এ দেশে নানা মাত্রায় নিরুৎসাহিত ছিল। সেই অর্গলও ক্রমে ভেঙে চলছে নতুন প্রজন্মের নারীরা। আমলাতন্ত্রের সর্বোচ্চ পদ সচিব হিসেবে নারীর দৃপ্ত পদচারণায় উদ্দীপ্ত করে। মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনেও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী।

নারীর নানা ক্ষেত্রে ‘অগ্রগতি’ সত্ত্বেও প্রশ্ন হচ্ছে-নারীর অবদান পরিবারে,সমাজে ও রাষ্ট্রে কতটা স্বীকৃতি পাচ্ছে? সমাজের বহু ক্ষেত্রে পশ্চাৎপদ ও পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো নারীর অগ্রগতির পথে পথে যে কাঁটা বিছিয়ে রেখেছে,তা আমরা কতটা অপসারণ করতে পেরেছি?

এখনও যেভাবে নির্যাতিত নারীরা অব্যাহত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, কখনো কখনো বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ যা খুবই বেদনার। এখনও যেভাবে ফতোয়া বা কথিত সালিশের শিকার নারীই হয়; তা যথেষ্ট হতাশা ও উদ্বেগের। এত পরিকল্পনা, কর্মসূচি সত্ত্বেও এখনও সারাদেশের গ্রামে শহরে ধর্ষণ বা অ্যাসিড নিক্ষেপের মতো অপরাধ কেন নির্মূল করা সম্ভব হয়নি। বরংচ ক্রমেই যেনো পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে নারীর প্রতি সহিংসতা।
নারী-পুরুষের সমতার জন্য পুরুষদের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে। এটা স্বাভাবিক যে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের এ দৃষ্টিভঙ্গি থাকবেই। সমাজের কাঠামো বদল না হওয়া পর্যন্ত এ সমস্যা চলতেই থাকবে। আদিম সমাজ থেকে কৃষিভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলো, তখনো কৃষিতে নারী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখল। পরবর্তীতে পুঁজিবাদ সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হলো। এখনো অনেক ক্ষেত্রেই নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপনের প্রয়াস চলছে। নারীর ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠার জন্য নারীকেই অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাকে এগিয়ে আসতে হবে, অন্যদের সম্পৃক্ত করতে হবে। নারীর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর ক্ষেত্রেও নারীকে এগিয়ে আসতে হবে। নারীরা অনেক সময় ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে থাকলেও নিজে ক্ষমতাকে ব্যবহার করতে পারে না। সেখানেও সে পুরুষ দ্বারা চালিত হয়। নারী-পুরুষের সমতার লড়াই কিন্তু নারীর একার নয়। এটা সমাজের লড়াই, দৃষ্টিভঙ্গির লড়াই। নিছক অঙ্গীকার নয়; নিজের জীবন, পরিবার ও সমাজে নিজের সামর্থ্যের মধ্য দিয়ে পুরুষ প্রজন্ম নারী প্রজন্মের পাশে দাঁড়াবে। নারী ও পুরুষ প্রজন্ম মিলেই গঠন করবে নারীবান্ধব ও বৈষম্যহীন এমন সমাজ।
————————————–
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা প্রধান, রণাঙ্গণের মুখপত্র ‘দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশ’।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশালের বাকেরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ মোছাঃ পাখি আক্তার(২৭) নামের এক নারী মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে র্যাপিট এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব-৮)।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২ টার দিকে উপজেলার মধ্যম মহেশপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। যা রাতে এক মেইল বার্তায় নিশ্চিত করেছে বরিশাল র‌্যাব সদর দপ্তর।

আটক মোছাঃ পাখি আক্তার উপজেলার মধ্যম মহেশপুর এলাকার মোঃ মামুন মোল্লার স্ত্রী।

র‌্যাব জানায়- মঙ্গলবার দুপুর ২ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মধ্যম মহেশপুর এলাকায় মাদকদ্রব্য কেনাবেচা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ঘেরাও করে মোছাঃ পাখি আক্তারকে আটক করে র‌্যাব সদস্যরা। এসময় তার কাছ থেকে ৮৭০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

এঘটনায় র‌্যাব-৮, বরিশাল সিপিএসসি’র ডিএডি মোঃ আব্বাস উদ্দিন বাদী হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক : বরিশালে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষধর্ষণেরধর্ষণেরঅভিযোগ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তের বিচার দাবী করেছেন নির্যাতিতার স্বজনরা। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবার) দুপুরে সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের চরপত্তনিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নির্যাতিতার মা জানান, তাকে ধর্ম মা ডেকে তার বাসায় যাতায়াত করতো আটককৃত যুবক জীবন। মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি প্রতিবেশীরা জানতে পেরে জীবনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

নির্যাতিতা (১৪) স্থানীয় সাহেবেরহাট ফাজিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।

আটক জীবন হাওলাদার (২৯) খুলনার রূপসা ব্রিজ সংলগ্ন বৌবাজার এলাকার আলতাফ হাওলাদারের ছেলে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন বন্দর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, আটক জীবনের বিরুদ্ধে নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনলাইন ডেস্ক :: জয়পুরহাট সদর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করার দায়ে বাদী মুন্নুজান বিবিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত মুন্নুজান বিবি উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি বিষ্ণপুর গ্রামের মারুফসহ চারজন যুবক অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে মাদরাসায় যাওয়ার সময় তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় পরদিন ওই ছাত্রীর মা মুন্নুজান বিবি বাদী হয়ে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

আদালতে আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি যুক্তিতর্ক এবং বাদী ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করা হয়েছে।

ধর্ষণের এমন মিথ্যা মামলা করায় বাদী মুন্নুজান বিবিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও মারুফ হোসেনসহ আসামিদের এ মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন।

 

মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার মাদরাসা সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের।

মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আব্দুল কাদেরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (প্রথম) আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন। জবানবন্দিতে ছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন মাদরাসা সুপার। আদালত ও পুলিশ সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুল কাদের কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদরাসার সুপার।

পুলিশ জানায়, নির্যাতিতা ওই মাদরাসার আবাসিক ছাত্রী। সপ্তাহের ছয়দিন ওই মাদরাসায় থাকে ছাত্রী। প্রতি শুক্রবার সকালে তার বাবা তাকে বাড়ি নিয়ে যান, শনিবার সকালে পৌঁছে দেন মাদরাসায়।

শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা তাকে মাদরাসায় পৌঁছে দেন। পরদিন ভোরে ফজরের নামাজের সময় মাদরাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এরপর রাত ৮টার দিকে ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করেন তিনি। ঘটনার পর মাদরাসার সুপার আব্দুল কাদের বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ছাত্রীকে শাসিয়ে দেন।

সোমবার সকালে এক সহপাঠীকে বিষয়টি জানায় ছাত্রী। ওই সহপাঠী ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীরা মাদরাসা ঘেরাও করে আব্দুল কাদেরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেন। বিষয়টি জানার পর ছাত্রীর বাবা এ ঘটনায় আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় মামলা করেন।

সোমবার রাতে আব্দুল কাদেরকে পোড়াদহ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এরপর ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আব্দুল কাদের।

আদালত সূত্র জানায়, আব্দুল কাদের জবানবন্দিতে ছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, অভিযুক্ত মাদরাসার সুপার আব্দুল কাদের ওই ছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করেছেন বলে আদালতে স্বীকার করেছেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি আবুল কালাম বলেন, মাদরাসাছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিকেল টেস্টের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান এর পিতা, সাতলা ইউনিয়ন আ’লীগের দুর্দিনের আশ্রয়স্থল আঃ মালেক মাষ্টার আজ ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ৩: ৩০ মিনিটে নিজ বাড়িতে বাদ্ধাত্ব জনিত কারনে শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন। জানা যায় তিনি বেশ কিছু দিন অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় সয্যাসায়ী ছিলেন।

মরহুম আঃ মালেক মাষ্টার একাধিক বার গুনিজন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি চার পূত্র সন্তান রেখে গেছেন, যারা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী ছাত্র, ১. নজরুল ইসলাম (প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী) ২. সামসুল ইসলাম মিঠু( রাষ্ট্রপতি পদক প্রাপ্ত ও রেসিডেন্সিয়াল কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক) ৩. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম(প্রিন্সিপাল অফিসার) ৪. আবিদ আল হাসান ( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি)।

এসংবাদে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমোবেদনা জানাতে ছুটে আসেন বরিশাল ২ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহে আলম। তিনি বলেন সাতলাবাসী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ দুর্দিনের আশ্রয়স্থল এবং একজন সৎ মুজিব প্রেমী মানুষকে হারালো। যিনি সব সময় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে চেষ্টা করেছেন। এছাড়াও মাননীয় সাংসদ সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম আঃ মালেক মাষ্টার’এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস. এম. জামাল হোসেন, উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ সিকদার বাচ্চু, আগৈলঝারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল রইচ সেরনিয়াবাত, উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারি, উজিরপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বাবু অশোক কুমার হালদার, উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল আহসান, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম আহবায়ক শিপন মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাতলা উপ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ খায়রুল বাশার লিটন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহিন হাওলাদার, সাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বালী, সাংবাদিক নিকুঞ্জ বালা পলাশ, সাতলা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ হাওলাদার, ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি রুহুল বালী, ছাত্রলীগ নেতা তাজিন শরীফ’ সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেত্রীবৃন্দ এবং সাতলা ইউনিয়নের সর্বস্থরের জনগন।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ফিজিশিয়ান স্যাম্পল বিক্রি করার অপরাধে ৭টি ফার্মেসিকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের সামনের ফার্মেসিগুলোতে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা আদায় করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে কাজী মেডিসিন হাউজকে ২০ হাজার টাকা, আহসান ব্রাদার্সকে ১৫ হাজার টাকা, তুহিন মেডিকেলকে ১০ হাজার টাকা, ওষুধ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা, লিমন মেডিকেলকে ৪০ হাজার টাকা, শাহীন মেডিকেলকে ২৫ হাজার টাকা এবং খাঁন মেডিকেল হাউজকে ৩০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ১ লাখ ৫৫ হজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।

অভিযান ও অর্থদণ্ডের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট নিরুপম মজুমদার জানান, বরিশালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে ৭টি ফার্মেসিকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।

অভিযানে প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে সহযোগিতা করেন ওষুধ প্রশাসন, বরিশালের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক অদিতি স্বর্ণা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করেন র‍্যাব-৮ এর একটি টিম।