নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতির দায়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) এর চার কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের বহিস্কার করা হয়।

বহিস্কৃত কর্মকর্তারা হলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের প্রধান বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান, প্রকৌশল শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) আবুল কালাম আজাদ, ট্রেড লাইসেন্স সুপারিনটেনডেন্ট আজিজুর রহমান শাহীন ও হাট-বাজার শাখার সুপারিনটেনডেন্ট মো. নুরুল ইসলাম।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) স্বপন কুমার দাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন, ‘পূর্বে থেকেই চাকুরিচ্যুত এই চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তারা দীর্ঘ দিন ধরে সাময়িকভাবে বরখাস্ত ছিলেন।

সবশেষ তাদের শোকজ করা হয়েছে। এতে নির্দিষ্টকরে উত্তর দিতে না পারায় মঙ্গলবার তাদের চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।

এর আগে গত মাসে মো. শাহীন নামে আরও একজন কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করেছে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। তিনি সিটি মেয়র এর ব্যক্তিগত সহকারী ছিলো।

এ নিয়ে গত দুই মাসে অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের চার কর্মকর্তা স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত হলো।

নারী সংগঠনের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, দেশে এতো এতো নারী সংগঠন। তারা আজ কোথায়? তারা কেনো এ ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতের কাছে আসলো না। সত্যিই অবাক হলাম। এতো নারী সংগঠনা থাকা সত্ত্বেও একটি নারী সংগঠনও নারী নির্যাতনের এ রোমহর্ষক ঘটনার বিচার চেয়ে আদালতে আসেনি।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে এক নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আদালতে কোনো নারী সংগঠন এগিয়ে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির সময় উপরে উল্লেখিত ওই মন্তব্য করেন।

সকালে নারী নির্যাতনের এ ঘটনা আদালতের নজরে এনে ওই ভিডিও অপসারণসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আরজি জানান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একদল পুরুষ আইনজীবী। আদালত তাদের লিখিত আবেদন নিয়ে আসতে বলেন।

দুপুরে শুনানি শেষে আদালত কয়েকটি আদেশের পাশাপাশি একটি রুল জারি করেন। পরে এডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল সাংবাদিকদের জানান, আদালত কয়েকটি নির্দেশনাসহ একটি রুল জারি করেছেন। কয়েকটি অবজারভেশনও দিয়েছেন। তবে আদালত একটি বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্না, মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, এ এম জামিউল হক ফয়সাল। শুনানিতে অংশ নেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

গত ২ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৩২ দিন পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর গত ৪ঠা অক্টোবর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এর আগে গত রোববার রাতে নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন।

 

 

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মেয়েকে উত্যক্ত করা ও ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল ৫ অক্টোবর রাতে মেয়েটির বাবা আনোয়ার আলীকে (৬৫) আলীগঞ্জ বাজারের কলোনির ভাড়া বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে একই উপজেলার পাইলগাও ইউনিয়নের গুতগাও গ্রামের আংগুর মিয়ার ছেলে শামীম ও তার লোকজন।

স্থানীয় লোকজন ও নির্যাতিতা মেয়ের বাবা আনোয়ার আলী জানান, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রাজনগর গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতো তার মেয়ে। সেখান থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় শামীম। তারপর থেকে আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। সাত বছর আগে নবীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাজ গ্রামের কবির মিয়ার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়েছিলো। গত দু’বছর হলো কবির মিয়া তার মেয়েকে তালাক দিয়েছে। এরপর থেকে ১ ছেলে নিয়ে মেয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করে। তখন থেকে মেয়েকে উত্যক্ত করতো শামীম। সোমবার সন্ধ্যায় আনোয়ার আলী শামীমের কাছে মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে শামীমের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

ঘটনাটি’র একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়ের বাবার হাতে ও পিঠে পায়ে রডের আঘাতের চিহ্ন।

নির্যাতনের কথা স্বীকার করে আনোয়ার আলী বলেন, আলীগঞ্জ এলাকার বাসা থেকে তাকে গুতগাও গ্রামের শামীম, লিটন, লিয়াকত ও আক্কাই সহ আরও দুইজন তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পিটিয়েছে।

তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। তার মেয়ে কোথায় আছে তিনি জানেন না।

পাইলগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মখলুছ মিয়া বলেন, এ ঘটনার বিষয়টি তাকে কেউ জানায়নি।

জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত মো. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

জগন্নাথপুর থানার এস আই আরিফ রেজা বলেন, শামীম ও তার লোকজনদের ধরতে রাত থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। তার বাড়ি ঘেরাও করে তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় শামীম একজন সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। সে চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। থানায় বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে তার নামে।

নিজস্ব প্রতিবেদক : গৌরনদীতে কলেজের ছাত্রী শারমিনের মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গৌরনদী মডেল থানার এসআই সাধন কুমার মন্ডল মুঠোফোনে জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে আমরা জানতে পেরেছি ওই মেয়ের সাথে এক যুবকের প্রেম ছিল। কিন্তু সেই সর্ম্পক অসম হওয়ায় শারমিনের পরিবার মেনে নেয়নি। এ নিয়ে শারমিন ও তার মায়ের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আত্মহত্যা করেন শারমিন।

সাধন কুমার মন্ডল বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ময়নাতদন্ত শেষ হয়। তবে এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ বা কেউ আটক নেই বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ওই ছাত্রীর সাথে যে যুবকের প্রেম ছিল আমরা তাকে খুঁজচ্ছি।

আত্মহত্যার পর শারমিনের কক্ষ থেকে ক্রুশ, বেনসন সিগারেটের প্যাকেট, র‌্যাপিড প্রেগনেন্সি টেস্টের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কারও সাথে অসম প্রেমে জড়িয়ে শারীরীক সর্ম্পক স্থাপন করেছিলেন শারমিন।

পুলিশ জানিয়েছে, শারমিনের লাশ উদ্ধারের পর তার পিতা-মাতা গৌরনদী থেকে গোপনে লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া গ্রামে নিয়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল (৪ অক্টোবর) লাশ উদ্ধার করে আজ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

মৃত শারমিনের পিতা গৌরনদীর টরকী বন্দরের কাঠ ব্যবসায়ী খোকন সরদার জানান, তার মেয়ে (শারমিন আক্তার) গৌরনদী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার স্ত্রী শনিবার রাতে শারমিনকে গালিগালাজ করেন। এতে অভিমান করে রোববার দুপুরে নিজ বাসার শয়ন কক্ষের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে শারমিন আত্মহত্যা করে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: দেশে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এর প্রভাবে বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আজ বরিশালসহ দেশের ১৮টি অঞ্চলে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 

সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টালের প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড আবদুস সালামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল। সোমবার রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের বিশেষ পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ঢাবি কর্তৃপক্ষের করা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সন্ধান পায় সাইবার পুলিশ সেন্টার। ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত এস এম সানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় সাইবার পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি জানায়, সানোয়ারের তথ্যের সূত্র ধরে চলতি বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় মেডিকেল প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন ভূঁইয়াসহ জাকির হোসেন দিপু এবং পারভেজ খানকে। এ সময় জসিমের কাছ থেকে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক, দুই কোটি ২৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়। এসব টাকা মেডিকেল ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করে সিআইডির সাইবার পুলিশ। এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপ্রত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও সাতজনকে গ্রেপ্তার করে সাইবার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরেক মাস্টারমাইন্ড স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আবদুস সালামের নাম।

সংবাদ সম্মেলনে এস এম আশরাফুল আলম বলেন, মামলার খবর পেয়ে গা-ঢাকা দেন আবদুস সালাম। সোমবার রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকার জি ব্লকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে একটি হত্যা মামলারও আসামি আবদুস সালাম। ওই মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের জসিম ও সালামসহ অন্য সদস্যদের অবৈধভাবে আয় করা সম্পদের খোঁজ শুরু করেছে সিআইডির সাইবার পুলিশ। ইতোমধ্যে জসিম উদ্দিনের ৩৮টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব অ্যাকাউন্টে ২১ কোটি ২৭ লাখ টাকা জমা রয়েছে।

অন্যদিকে জসিমের স্ত্রী জেসমিন আরা শিল্পীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকার সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। এ বিষয়ে আরও অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান শেষ হলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করবে সিআইডির সাইবার পুলিশ।

এদিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত পাঁচ থেকে ছয়জন চিকিৎসক এবং তিনটি কোচিং সেন্টারের সম্পৃক্ততা পেয়েছে সিআইডি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে গত কয়েক বছরে সাইবার পুলিশ টানা অভিযান এবং আসামি গ্রেপ্তারের ফলে এটা অনেকাংশে বন্ধ হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে যেসব শিক্ষার্থী সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল পরীক্ষায় ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন তাদেরকে শনাক্ত করে চক্রের অন্য সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবে সিআইডির সাইবার পুলিশ।

কুমিল্লার মুরাদনগরে আবু তাহের নামে একজনকে হত্যার দায়ে করা মামলায় তার স্ত্রী জোলেখা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর গলায় দা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর এই রায় ঘোষণা করা হলো।

মঙ্গলবার কুমিল্লার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল-মামুন এই রায় ঘোষণা করেন। সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০০৯ সালের ৪ মার্চ রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের আবু তাহেরকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী জোলেখা বেগম। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর আগে দিনের বেলায় পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরবর্তীতে রাত ৯/১০টার দিকে স্বামী-স্ত্রী একই বিছানায় ঘুমাতে যায়। এরপর আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী আবু তাহেরকে ঘুমে রেখে গলায় দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী জোলেখা। পরবর্তীতে স্বামীর মরদেহ ঘরে রেখে অন্য পার্শ্ববর্তী বাড়ির পাশে ঝোপের ভেতর লুকিয়ে থাকে। জোলেখা আদালতে বিচারকের সামনে ১৬৪ ধারায় এভাবে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

আরও জানা যায়, হত্যাকাণ্ডের পরদিন পুলিশ আবু তাহেরের মরদেহ উদ্ধার করে এবং স্ত্রী জোলেখাকে ঝোপের ভেতর থেকে আটক করে। এ ঘটনায় তাহেরের ভাই ওয়াহেদ আলী বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।

হত্যাকাণ্ডের দুই মাস পর একই বছরের ৫ মে মামলার চার্জশিট জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক আজ রায় ঘোষণা করেন।

 

শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় সেখান থেকে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৭ দালালকে আটক করেছেন তারা।

 

 

আজ সোমবার (৫ই অক্টোবর) সকালে দুই ঘন্টাব্যাপি অভিযান চালিয়ে ডিবির এসআই হেলালুজ্জামান এর নেতৃত্বে হাসপাতালের বহিঃর্বিভাগে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

 

 

আটককৃত দালালরা হলো- নাদিম (৪০), তানজিলা (১৮), সনিয়া (২৪), আসমা (৩২), মনিরুল ইমলাম (৩০), জহিরুল ইসলাম (৩০) ও বাবুল (৪০)।

 

 

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলালুজ্জামান জানিয়েছেন, শের-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ঘিড়ে এসকল দালাল চক্র গড়ে উঠে বিভিন্ন সময়ে গ্রাম-গঞ্জের অসহায় সাধারন মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্ন ডায়েগস্টিক সেন্টারে নিয়ে তাদের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

 

আটককৃত দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে স্বামীকে বেঁধে রেখে গৃহবধূকে নিজ ঘরে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার ৩৩ দিন পর নয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। রোববার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নির্যাতিতা গৃহবধূ (৩৫) বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই দফায় অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক আসামিকে রোববার বিকেল ৪টায় এবং অপর আসামিকে রাত ১১টায় একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তারা হলেন- একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহ (৪১)।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হারুন উর রশীদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, পুলিশের ৫টি ইউনিট ৭ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

অপরদিকে, ঘটনার পর ভয়ে বাড়িছাড়া নির্যাতিতা গৃহবধূকে সদর উপজেলার মাস্টার পাড়ার তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।

ওসি মো. হারুন উর রশীদ জানান, পুলিশ অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। গ্রেফতার আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর বাবা জানান, আমি নিরীহ লোক। সন্ত্রাসীদের ভয়ে কোনো কথা বলার সাহস পাই না। আমি শুধু আল্লাহর কাছে বিচার চাই।

এ জঘন্য ঘটনার সাথে জড়িতদের রাতের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানান একলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম ভুঁইয়া।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এবং নির্যাতিতা পরিবারকে আইনি সহযোগিতা দিতে জেলা পুলিশের ৫টি ইউনিট মাঠে কাজ করছে।

সাতক্ষীরার কা‌লিগ‌ঞ্জে সড়কের পাশ থেকে গাছে ঝোলানো বাজারের ব্যাগ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টার দি‌কে উপ‌জেলার গোলখালী শ্মশানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা নবজাতককে সার্জিক্যাল ক্লি‌নি‌কে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘের মালিক ইসরাইল গাজী, আবদুস সাত্তার ও পঞ্চানন মণ্ডল জানান, গোলখালী বিলে তাদের মাছের ঘের রয়েছে। বিকেলে তারা মৎস্য ঘেরে যাচ্ছিলেন। শ্মশানঘাট থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে পৌঁছলে সড়কের পাশে গাছে বাজারের ব্যাগ ঝুলতে দেখেন। কৌতূহলবশত ভেতরে কী আছে, স্থানীয়দের সেটি দেখতে বলেন। এ সময় তারা বাজারের ব্যাগ খুলে দেখতে পায় সদ্যভূমিষ্ঠ হওয়া এক নবজাতক ছেলেশিশু। এ সময় তারা তড়িঘড়ি করে নবজাতক শিশুকে সদরের সার্জিক্যাল ক্লিনিকে ভর্তি করেন।ওই ক্লিনিকের ডাক্তার শেখ মাসুদুর রহমান জানান, বর্তমানে শিশুটি সুস্থ র‌য়ে‌ছে। আমরা সব ধরনের চিকিৎসা দিয়েছি।

খবর পেয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন ক্লিনিকে উপস্থিত হয়ে নবজাতক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তিনি ব‌লেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।