বরিশালের আগৈলঝাড়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলায় স্বামী সুব্রত হালদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক সন্তানের জননী গৃহবধূ সুবর্ণা হালদার (২৪) আত্মহত্যা করেন বলে জানায় পুলিশ।

মৃত সুবর্ণা হালদার উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের বারপাইকা গ্রামের শ্যামল মন্ডলের কন্যা। আর গ্রেপ্তার সুব্রত হালদার অশোকসেন গ্রামের মধুসুদন হালদারের ছেলে।

আগৈলঝাড়া থানার এসআই মো. আলী হোসেন বলেন, যৌতুকের দাবিতে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ সুবর্ণা বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসআই আরও জানান, এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা শ্যামল মন্ডল বাদী হয়ে স্বামীসহ চার জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার অন্যতম আসামি গৃহবধূর স্বামী সুব্রতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামি গৃহবধূর শাশুড়ি উষা রানী হালদার, ননদ জোৎস্না রানী হালদারসহ ননদের ছেলে পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিহতের বাবা শ্যামল মন্ডল সাংবাদিকদের জানান, সুব্রত হালদারের সঙ্গে দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সুবর্ণার।

পেশায় কাঠ মিস্ত্রি শ্যামল মন্ডল বিয়ের সময় মেয়েজামাই সুব্রত হালদারকে কিছুই দিতে পারেননি উল্লেখ করে জানান, সুবর্ণার পায়ে চর্মরোগ ছিলো। চিকিৎসা করানোর পরেও ভালো হয়নি। বিয়ের সময় সুব্রত হালদারের বোন জোৎস্না হালদার পায়ে চর্মরোগ দেখেই পছন্দ করে ঘরে তুলে নেয়। পরে ওই চর্মরোগ ভালো না হওয়ায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে যৌতুক দাবি করেন তারা এবং তার বাবার বাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দেয়।

শ্যামল মন্ডল আরও জানান, বাড়ি থেকে ভাই-বোন বিভিন্ন সময় খাবার নিয়ে গেলেও সেগুলো তাকে না খেতে দিয়ে ফেলে দেওয়া হতো। এমনকি পিত্রালয় থেকে যাওয়া লোকজনের সঙ্গে কথাও বলতে দেওয়া হতো না।

তিনি জানান, এ ঘটনা নিয়ে একাধিবার শালিস-বৈঠক করে সমাধান করা হয়। এরইমধ্যে সুবর্ণা একটি কন্যা সন্তানের জম্ম দেয়। এর জেরে তার মেয়ের ওপর আবার নির্যাতন শুরু হয়।

এদিকে, যৌতুক দাবি ও কন্যা সন্তান হওয়ায় নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে নিহতের স্বামী সুব্রত হালদার সাংবাদিকদের বলেন, স্ত্রী সুবর্ণা অতিরিক্ত কথা বলায় মাঝেমধ্যে মারধর করা হয়। বিয়ের সময় সুবর্ণার চর্মরোগের কথা গোপন রেখে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি তার।

ভোলায় দেশীয় অস্ত্র ও টাকাসহ তিন ডাকাতকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৮)। বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে র‌্যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৮ বরিশালের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাহামুদুল হাসান।

আটকের সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি রান দাঁ, একটি রড, নগদ ৬০ হাজার টাকা, আটটি সিম কার্ড ও চারটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

আটকরা হলেন-মো. শাজাহান ওরফে সাজু মাঝি (৫০), মো. নিরব (৩৪) ও মো. আবুল বাশার (৩২)। তারা ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা।

কর্নেল মাহামুদুল হাসান বলেন, ১ ডিসেম্বর ভোলার মেঘনা নদীতে জেলেদের মাছ ধরার ট্রলারে হামলা চালায় ডাকাত দল। এসময় টাকা, মাছ, জালসহ নয় জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে তারা। পরে অপহরণ করা জেলেদের মারপিট করে ট্রলারের মালিক ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

পরে ওই জেলেদের ট্রলার মালিক ও পরিবারের সদস্যরা তাদের বাঁচাতে দুই লাখ আট হাজার টাকা ডাকাতদের মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে দেন।

পরে ৩ ডিসেম্বর অপহৃত জেলেদের তারা ভোলা সদরের তুলাতুলি এলাকায় ছেড়ে দেয়। এ ঘটনা ৫ ডিসেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে র‌্যাব-৮ ভোলা ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অপরাধীদের গতিবিধি ও অবস্থান নির্ণয় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে একটানা ৭২ ঘণ্টার বিশেষ অভিযান চালানো হয়। ভোলা সদরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।’

বছর দুয়েক আগে নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় সোয়া তিন কোটি টাকার সেতুতে ৩০ ফুট কাঠের তৈরি মই বেয়ে উঠতে হয়।

এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। বছরের পর বছর সংযোগ ছাড়া সেতুটি পড়ে থাকলেও এ বিষয়ে উদাসীন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। যদিও তারা বলছেন বরাদ্দ না থাকায় সংযোগ সড়ক নির্মাণে দেরি হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এলজিইডির আওতায় সোয়া তিন কোটি টাকা ব্যয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের হানুয়াবাজারের হানুয়া মতিজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পোড়াধন খালের ওপর এ সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেন স্থানীয় ঠিকাদার নাসির মাঝি।

২০২১ সালের শুরুর দিকে নির্মাণকাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় সেতুটি এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না।

সেতুটি দিয়ে পারাপারের জন্য স্থানীয়রা টাকা তুলে প্রায় ৩০ ফুট কাঠের দুটি মই তৈরি করে কোনোভাবে যাতায়াত করছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সংযোগ সড়ক ছাড়া সেতুটি পড়ে থাকলেও এলজিইডি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে হানুয়াবাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ সিকদার জানান, সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় খোদাবক্সকাঠী গ্রামের মানুষ তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে গাড়িতে মালামাল নিতে হয়। সেতুটি এর চেয়ে না থাকায় ভালো ছিল।

হানুয়া মতিজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সাহানা পারভীন জানান, সেতুর সংযোগ সড়ক না করায় এলাকার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। বিশেষ করে সেতুর সামনেই আমার বিদ্যালয়ে প্রায় তিনশর মতো শিক্ষার্থী আছে।

যাদের বেশিরভাগ সেতু পার হয়ে বিদ্যালয় আসা-যাওয়া করে। ছোট ছোট বাচ্চারা মই বেয়ে সেতুতে উঠতে গিয়ে অনেক সময় পড়ে দুর্ঘটনার শিকারও হয়েছে।

সেতুটির বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বাদল বলেন, এ বিষয়ে একাধিকবার উপজেলার মাসিক মিটিংয়ে বলছি, তার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এলজিইডি।

সংযোগ সড়কের বিষয়ে জানতে চাইলে বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি আবুল খায়ের মিয়া বলেন, এ সেতুর সংযোগ সড়কের জন্য নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।

সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক ব্যয় ধরা ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, সেতুর সঙ্গে সংযোগ সড়ক ব্যয় ধরা থাকলেও সংযোগ সড়কের জন্য নতুন করে ডিজাইন করা লাগবে। সংযোগ সড়কের জন্য ঠিকাদারকে কোনো বিলও দেওয়া হয়নি।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল চন্দ্র শীল জানান, সেতুর সংযোগ সড়কের বিষয়ে মাসিক মিটিংয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানও হতাশ। এলজিইডি প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

পটুয়াখালীর বাউফলে সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামীকে প্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ০২টার দিকে ঢাকা যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মোঃ জালাল ওরফে পলাশ গাজী মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী। তার পিতা মৃত চান্দু গাজী, গ্রাম নিমদি, ০৩নং ওয়ার্ড, ০৯নং নাজিরপুর তাঁতের কাঠি ইউনিয়ন । অপরদিকে আবুল বাশার ১০বছর ০৬ মাস দন্ডপ্রাপ্ত আসামী। তার পিতা আব্দুল বারেক মীর।

গ্রাম সূর্য মনি এরা বহুদিন যাবৎ পলাতক ছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৭/১২/২২ তারিখ বাউফল থানার এসআই মনির হোসেনের নেতৃতে, এএসআই মোঃ পারভেজ আনোয়ার, এএসআই মোঃ মহিউদ্দিন ফোর্সসহ র‌্যাব-৩ এর সহযোগীতায় ঢাকার যাত্রাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায়।

এতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মোঃ জালাল ওরফে পলাশ গাজী ও ১০বছর ০৬ মাস দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আবুল বাশারকে একই এলাকার পৃথক দুটি বাসা থেকে ২৮/১২/২০২২খ্রিস্টাব্দ রাত সোয়া ০২ টার দিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। এর মধ্যে পলাশ কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি হত্যা মামলার (৬নং আসামী) মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী।

(মামলা নং ১০. তারিখ ১৫/০১/১৪ খ্রিষ্টাব্দ জিআর ১০/১৪ ধারা ৩০২/৩৪ দন্ডবিধি আইন)। অপরদিকে চাদপুরের মতলব থানায় অটোগাড়ি ছিনতাই মামলায় ১০ বছর ৬মাস দন্ডপ্রাপ্ত আসামী (মামলা নং ০৪/১৪ জিআর ৬৮/১৪ তারিখ ১৯/০৭/১৪ খ্রিষ্টাব্দ, ধারা ৩৯৪ দন্ডবিধি আইন)।

এবিষয়ে ওসি আল মামুন বলেন, আমার সার্বিক তত্বাবধায়নে বাউফল থানার একটি টিম ঢাকায় পাঠিয়ে পৃথক স্থান থেকে দুজনকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। আসামীরা এখন বাউফল থানা হেফাজতে আছে। তাদেরকে পটুয়াখালী জেল হাজতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ।। বাকেরগঞ্জের দাঁড়িয়ালে ইয়াবা সেবন ও জুয়া খেলতে বাধা দেয়ায় ২ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে চিহ্নিত মাদককারবারিরা। গত ২৬ ডিসেম্বর (সোমবার) রাত সাড়ে ৭ টার সময় বাকেরগঞ্জের দাঁড়িয়াল ইউনিয়নে এ ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, বাকেরগঞ্জের দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা খালেক হাওলাদারের বখাটে পুত্র একাধিক মাদক মামলার আসামী শাখাওয়াত তার সহযোগী রিপন, শাকিল ও লিয়নকে সাথে নিয়ে কামারখালি বাজার সংলগ্ন স্থানে ইয়াবা সেবন ও জুয়া খেলতে ছিলো। এ সময় দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমাজ সেবক, ব্যবসায়ী শাহআলম হাওলাদার মনির তাদের ইয়াবা সেবন ও জুয়া খেলতে বাধা প্রদান করে ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের ধাওয়া করে স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য করে। এরই জেরে রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টার সময় মাদক ব্যবসায়ী শাখাওয়াত তার সহযোগী রিপন, শাকিল, লিয়নসহ অজ্ঞাত ৫/৭ জন সহযোগী নিয়ে ১নং ওয়ার্ডস্থ হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে শাহআলম হাওলাদার মনির ও শাহিন খানের ওপরে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় মনিরের মাথা ও মুখমন্ডলে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং শাহিন হাওলাদারকে বেড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করলে শাখাওয়াতসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে গেলে আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিমে ভর্তি করা হয়। আহতরা বর্তমানে শেবাচিমের ৫ম তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহত শাহআলাম হাওলাদার মনির জানান, শাখাওয়াত একাধিক মাদক মামলা ও জেল খাটা আসামী। সে তার সহযোগীদের নিয়ে দাঁড়িয়াল গ্রামে ইয়াবা বিক্রী, সেবন, জুয়া খেলাসহ ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিলো। আমি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে আসছিলাম। এছাড়াও দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও একাধিক স্থানে মাদক ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলাম। আমার এসব কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদককারবারি শাখাওয়াত তার সহযোগী রিপন, শাকিল, লিয়নসহ তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

চরফ্যাশনে উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ মজিবনগরে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ দু’জন গ্রেফতার করেছেন পুলিশ। হত্যার ২৬দিন পর বের হয়ে আসছে আসল রহস্যের উৎঘাটন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিচ্ছিন দ্বীপ শিকদার চর এলাকায় গৃহবধূ মুকুল বেগম হত্যার অভিযোগে ইউপি সদস্যসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে দুলারহাট থানা পুলিশ। শনিবার বিকাল ৩টার দিকে তাদেরকে গ্রেফতার করে রবিবার তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা আসামীরা হলেন, মুজিবনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল মালেক (৫২) ও আব্দুল মান্নান (৪৮)।

দুলারহাট থানার ওসি মোঃ আনোয়ারুল হক বলেন, মুজিবনগরের শিকদার চর নিয়ে আব্দুল মালেক ও আসলাম পেদা গ্রুপের মধ্যে র্দীঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হত্যার পরিকল্পনা নেয় আব্দুল মালেক তার সঙ্গীরা। তবে বিষয়টির তথ্য ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রাখতে ভাড়া করা হয় ঢাকার ভাড়াটিয়ে খুনি ইব্রাহিম নামক ব্যক্তিকে। হত্যার বিষয়ে তাদের সম্পূর্ণ ঘটনা উদঘাটন নিয়ে কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর মধ্যরাতে আসামিরা (মুখ বেঁধে) ধারালো অস্ত্র নিয়ে বকুল বেগমকে এলোপাথারীভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় ২ ডিসেম্বর স্থানীয় চৌকিদার জলিল বাদী হয়ে দুলারহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

রকেট নাম্বারে ভুয়া ম্যাসেজ পাঠিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা উত্তোলণ করতে এসে জনতার হাতে আটক হয়েছে বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্য আলমগীর হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর বন্দরে।

আটককৃত আলমগীর পটুয়াখালী জেলা সদরের বাসিন্দা। সে একটি কোম্পানীর সেলসম্যান হিসেবে গৌরনদীতে কর্মরত ছিলেন। রবিবার দুপুরে বাটাজোর বন্দরের ব্যবসায়ী উত্তম কুমার জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তার দোকানে টাকা উত্তোলণ করতে আসেন আলমগীর হোসেন নামের ওই ব্যক্তি। এসময় তার (উত্তম) রকেট নাম্বারে একটি ভুয়া ম্যাসেজ দিয়ে টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করে প্রতারক আলমগীর। পরবর্তীতে বন্দরের ব্যবসায়ীরা তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে অকপটে বিকাশ প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।
গৌরনদী মডেল থানার এসআই নুর আমীন জানান, ৯৯৯ নাম্বার থেকে ফোন পেয়ে জনতার হাত থেকে আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দশমিনা-বাউফল মহাসড়কের বাংলাবাজার এলাকায় টমটম গাড়ির ধাক্কায় খলিল ব্যাপারী নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

নিহত খলিল উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বড়গোপালদী গ্রামের মৃত আবদুল মজিদ ব্যাপারীর ছেলে।

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী নির্মাণ শ্রমিক মো. দুলাল জানান, ইউনিয়নের গছানী বাজারে আমরা একটি ভবনের কাজ শেষে করে ফিরছিলাম।

এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি শেলো মেশিন চালিত টমটম খলিলের বাইসাইকেলে ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের উপরেই পড়ে যান। অচেতন অবস্থায় তাকে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদা নাসরিন জিতু তাকে মৃত ঘোষণা করেন।এ বিষয়ে দশমিনা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মেহেদী হাসান বলেন, দুর্ঘটনার কথা জেনেছি এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বরিশালে ১০০ পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি)। রবিবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর নিউ কলেজ রো বিএম কলেজের মুসলিম হোস্টেলের পিছন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃতরা হল, নিউ কলেজ রো এলাকার মোসলেম উদ্দিনের বাসার ভাড়াটিয়া মো. সাইফুল ইসলাম (২৭), মো. মামুন কাজী (৩৩) ও একই এলাকার মো. রাজীব হাওলাদার ওরফে নলী। বিএমপি মিডিয়া সেল পাওয়া তথ্যানুযায়ী, রবিবার রাত দেড়টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর নিউ কলেজ রো বিএম কলেজের মুসলিম হোস্টেলের পিছনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি টিম।

 

এসময় ১০০ পিস ইয়াবাসহ মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মামুন কাজী ও মো. রাজীব হাওলাদার ওরফে নলীকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় মো. মাকসুদুর রহমান নান্টু গাজী (৪২) অপর মাদক ব্যবসায়ি পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভোলার দৌলতখানে দেড় বছরের ষাঁড় বাছুরসহ একটি গাভী শনিবার গভীর রাতে সংঘবদ্ধ চোরেরা কাভার্ড ভ্যানে উঠিয়ে চুরি করে নিয়ে যায়।

গাভীটির পেটে পাঁচ মাসের বাচ্চা ছিল বলে গাভীর মালিক চরপাতা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আবদুর রহিম মাতাব্বর জানান। রাতে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে গাভীটির জবাই করা কয়েক টুকরো মাথাসহ দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের রিপন
কসাইর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ গাভীটির মাথাসহ টুকরোগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।

চুরি হওয়া গরু পরিবহনে সহযোগিতার দায়ে পুলিশ ঢাকা মেট্রো-ন ১৩- ৬৩১৯ নং পিকআপ ভ্যানটি জব্দ ও চোরচক্রের বোরহানউদ্দিন উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের রুবেল ও মুন্সিগঞ্জ উপজেলার লৌহজৎ এলাকার মো: আমানকে গ্রেফতার করেছে।

চালক সবুজ ও রিপন কসাই এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। চুরি হওয়া গরুর মালিক উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের আবদুর রহিম মাতাব্বর বলেন, শনিবার গভীর রাতে কাভার্ড ভ্যানচালক সবুজ, রিপন কসাই ও আটক ব্যক্তিরা আমার একটি গাভী ও গরু ২টি চুরি করে কাভার্ড ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

গাভীটির পেটে পাঁচ মাসের বাচ্চা ছিল। অনেক খোঁজা খুজির পর রোববার ভোর চারটায় চরখলিফা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের রিপন কসাইর বাড়ি থেকে গাভীটি জবাই করে কয়েক টুকরো করা অবস্থায় উদ্ধার করি।

আমি আমার গাভীর মাথা দেখেই চিনতে পেরেছি। এ সময় নাড়ী ভুরির মধ্যে পাঁচ মাসের বাচ্চাও পাওয়া যায়। আমার গাভী চুরি করে জবাই করা হয়েছে দাবি করলে রিপন কসাই তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আমার ওপর হামলা করতে উদ্ধত হয়।

পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মাংস ও ষাঁড় বাছুরটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। অপরদিকে রোববার ভোরে কাভার্ড ভ্যানটি দলিলউদ্দিন খায়ের হাটের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বাজারের লোকজন সেটিকে আটক করে থানায় খবর দিলে পুলিশ দুই হেল্পারসহ ভ্যানটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

দৌলতখান থানার ওসি মো: জাকির হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।