পটুয়াখালীর দশমিনায় পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলার পৃথক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুরা হলো বাউফল কালাইয়া এলাকার বাসিন্দা জামাল গাজীর ছেলে শান্ত গাজী (৮) ও ৬ নম্বর বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের গছানী গ্রামের বড় খান বাড়ির তৌহিদ খানের ছেলে মো. তাসরিফ খান (৩)। তারা দশমিনাতে বেড়াতে এসেছিল।

নিহত তাসরিফের দাদা মো. সরোয়ার খান বরিশালটাইমসকে জানান, সকালে সবার তাসরিফ নিখোঁজ হয়। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ঘরের পাশের পুকুরে তাকে ভাসতে দেখা যায়। পরে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দশমিনা হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই শিশু দুটি মারা যায়।

 

বরিশাল সদর উপজেলায় নদীতে নিখোঁজ তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজের প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বুধবার দুপুরে বন্দর থানা এলাকার কড়ইতলা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে বন্দর থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান।

নিহত সুজন মল্লিক (১৮) উপজেলার টুঙ্গীবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিশারদ গ্রামের বাসিন্দা ইসহাক মল্লিকের ছেলে। তিনি রাজধানীর উত্তরায় একটি ওষুধের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন।

সুজনের ভাই সবুজ বলেন, “ঈদের ছুটিতে সুজন বাড়িতে এসেছিল। মঙ্গলবার দুপুরে বন্ধুদের নিয়ে নদীতে গোসল করতে নামে। সবাই সাঁতরে নদীর অপর তীরে যায়।

ফেরার সময় একটি স্পিডবোটের ঢেউয়ের তোড়ে সুজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার নজরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। পরে রাত হওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়।

বুধবার সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরিরা অভিযান শুরু করেন। দুপুর ১২টার দিকে ঘাট থেকে ৩০ ফুট দূরে লাশটি পাওয়া যায়।

 

ভোলায় সুপারিবাগান থেকে ওবায়দুল (১৭) নামের এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে উপজেলা সদরের আলীনগর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওবায়দুল ওই গ্রামের মৃত আব্দুলের ছেলে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আরমান হোসেন জানান, সুপারি বাগান থেকে এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে কিশোরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে গত চার দিনে ভোলা সদরে ৩টি খুনের ঘটনা ঘটল।

 

গত ১১ জুলাই সোমবার বরিশাল থেকে প্রকাশিত একটি অনলাইন পত্রিকায় এবং একটি ফেইসবুক পেইজে” মোবাইল চুরি বাড়লে বাড়ে হাফিজের অবৈধ মোবাইল ফ্ল্যাশ ব্যবসা”এই শিরোনাম সহ বিভিন্ন শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূন্য মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।

আমি কখনই কোন চোরাই মোবাইল ক্রয় বিক্রয় করিনি,চুরি যাওয়া মোবাইল ফ্লাশ সফটওয়্যার প্রয়োগের মাধ্যমে আইএমইআই পরিবর্তন করেনি,কোন অপরাধীর সাথে আমার কোন ধরনের সম্পর্ক নেই।
উক্ত সংবাদটিতে আরো উল্লেখ রয়েছে উজিরপুরের মা টেলিকম এর স্বত্বাধিকারী আনিচ আমার বিরুদ্ধে নানান মন্তব্য করেছে।কিন্তু আমি আনিচের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে সে জানান, আমার সাথে কোন ধরনের সাংবাদিকদের সাথে কথা হয়নি।আমার সাথে(আনিচ) কথা না বলে অনলাইন পত্রিকাটিতে আমার বক্তব্য তুলে ধরেছে।তার আমি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মূলত- সংবাদে উল্লেখিত সমস্ত ঘটনা মিথ্যা ও বানোয়াট। দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত সুনামের সহিত আমার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি।
প্রকৃত পক্ষে এক শ্রেনীর কূচক্রী মহল আমার ও আমার ব্যবসার দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করতে সাংবাদিক ভাইদেরকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে এমন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় আমি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নিবেদক-
হাফিজ
গীর্জা মহল্লা ভেনাস মার্কেট,
প্রোপাইটর মোবাইল প্লাস দোকান।

 

বরিশার নগরীর পলাশপুর থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে মহানগরীর কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল নিশ্চিত করেছেন।ওই গৃহবধু হলেন তানিয়া বেগম (১৮)। তিনি পলাশপুর এলাকার দিনমজুর সাগর সিকদারের স্ত্রী।

ঘটনাস্থলে থাকা কাউনিয়া থানার এসআই তানজীল আলম জানান, স্বামী-স্ত্রী দুপুরে একসঙ্গে ঘুমিয়েছিলো। বিকেলে স্বামী সাগর ঘুম থেকে জেগে স্ত্রী তানিয়ার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছে।

এসআই আরও জানান, ঘরের আড়ার সঙ্গে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে স্বামীর পরিবার দাবী করেছে।

তানিয়ার মরদেহ বরিশাল শের-ই বাংলা মে‌ডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে জানিয়ে এসআই তানজীল বলেন, ময়না তদন্ত প্রতিবেদন না পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না।

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রহমান জানান, হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মেয়রের চাচা আলী হোসেন জানান, ৭নং পলাশপুর এলাকার খলিলুর রহমানের কন্যা তানিয়া। চার বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেশায় দিন মজুর জামাতা সাগর মাদকাসক্ত। ঠিকমতো আয় রোজগার করে না। তাই যৌতুকের জন্য প্রায়ই ভাতিজীকে মারধর করে।

চাচার অভিযোগ, এটা আত্মহত্যা নয়। হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

তানিয়ার মা জানান, সকালে কন্যা বাসা থেকে ৫০০ টাকা ও কবুতরের বাচ্চা নিয়ে স্বামীর বাসায় গেছে। তখন সে স্বাভাবিক ছিলো। তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না বলে দাবি মায়ের। গলায় কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই দাবি করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

বরিশাল নগরে নিয়ন্ত্রণহীন একটি মিনি ট্রাক রাস্তার পাশে গাছে আছড়ে পড়ে চালকের সহকারী নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন চালক। মঙ্গলবার সকালে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কে রুপালী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাসেল হোসেন হাওলাদার (২২) বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুরের বাবুল হাওলাদারের ছেলে। আহত চালক আলী হোসেন একই এলাকার মো. মোসলেম হোসেনের ছেলে।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই মো. মারুফ চিকিৎসাধীন চালকের বরাতে জানান, সোমবার রাতে ডিম নিয়ে পটুয়াখালী যান তিনি। সেখানে পণ্য খালাস করে বানারীপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

“বরিশাল নগরীর রুপাতলী কাঠালতলা এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক। এতে মিনি ট্রাকটি রাস্তার পাশে গাছের ওপর আছড়ে পড়ে।”

তিনি জানান, আহত চালক ও সহকারীকে উদ্ধার কওে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাসেলের মৃত্যু হয়েছে। তার লাশ মর্গে রয়েছে।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম জানান, এ ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ভোলার বোরহানউদ্দিনে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ অন্তর কর্মকার (২২) নামক এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ।

আটককৃত অন্তর কর্মকার উপজেলার টবগী ইউনিয়নের (মুলাইপত্তন) ৯নং ওয়ার্ডের প্রফুল্ল কর্মকার ও সমিতি রানী দে’র ছেলে৷

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২১ জুন) সকালে বোরহানউদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ এর সার্বিক তত্বাবধায়নে এসআই (নিঃ) মো. মহিউদ্দিন জুয়েল সঙ্গীয় অফিসার বগী ইউনিয়নে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ০৯নং ওয়ার্ডস্থ মুলাইপত্তন এলাকার প্রসন্ন বাইনের বাড়ীর সামনে কাঁচা রাস্তার উপর থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিং এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোরহানউদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শাহীন ফকির। তিনি বলেন, আটককৃতর বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি মাদক মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।

সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কমিউনিটি সেন্টারের মালিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ জুন) অভিযান চালিয়ে তাকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি/তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, মামলার ভিত্তিতে শাহিন হোসেন মল্লিক মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।

এর আগে শনিবার সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তরিকুল ইসলাম চন্দ্রদ্বীপ টাওয়ারে নিজের ফ্লাট থেকে নিচতলায় নেমে বাইরে বের হওয়ার সময়ে একই ভবনে থাকা মুমীতু কমিউনিটি সেন্টারের মালিক শাহিন হোসেন মল্লিক মামুন হামলা চালায়।

ওই শিক্ষক প্রথম দফায় মার খেয়ে রিকশাযোগে চলে গেলে মুন্সীর গ্যারেজ নামক স্থানে মামুনের সহযোগীরা রিকশা থেকে নামিয়ে তাকে আবারও মারধর করে। আহত চিকিৎসক শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। এবং গতকাল রোববার কোতয়ালি মডেল থানায় মামুনসহ ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

সেই মামলায় একদিনের মাথায় মামুনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।’

বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় সর্পদংশনে মিরাজ সিকদার (২৪) নামের এক ইজিবাইকচালকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণ শোলক গ্রামের এই বাসিন্দা সোমবার দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে মাছ শিকারে গেলে তাকে বিষাক্ত একটি সাপ কামড় দেয়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু এর আগেই তার মৃত্যু ঘটে।

নিহত মিরাজ ওই গ্রামের কুদ্দুস সিকদারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- সোমবার দিবাগত রাতে মিরাজ বাড়ির পাশের ধানক্ষেতে মাছ শিকার করছিলেন। এমন সময় তাকে একটি বিষাক্ত সাপ কামড় দেয়। এতে মিরাজ অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হলেও শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি না ঘটায় পরবর্তীতে শেবাচিমে নিয়ে আসা হয়।

মিরাজের বাবা জানান, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম মুঠোফোনে এই তথ্য বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করেন।’

নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও সরকারি অর্থআত্মসাতের অভিযোগে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ৭ নম্বর পোনাবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল বাশার খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে গত ১৬ জুন এ বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। তবে প্রজ্ঞাপনের চিঠি সোমবার (২০ জুন) ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌঁছে।

সাময়িক বরখাস্তের আদেশের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত তিন বছরের ইউনিয়ন পরিষদের ট্যাক্সের টাকা মাসিক সভায় আলোচনা বা রেজুলেশন না করে আত্মসাৎ, করোনাকালীন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ত্রাণের চাল আত্মসাৎ, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে অসহায় মানুষের মাঝে দেওয়া ২ হাজার ৫০০ টাকার অর্থ বিতরণে অনিয়ম, এলজিএসপি-৩ এর প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে তথ্য সেবা কেন্দ্রের মালামাল না কিনে করে অর্থআত্মসাত, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ফটোকপি মেশিন ক্রয় বাবদ ৯০ হাজার টাকা আত্মসাৎ, ইউনিয়নভিত্তিক করোনা টিকা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের আপ্যায়নের ৩৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ, ট্রেড লাইসেন্স ফি, ওয়ারিশ ফি, ওয়ারিশ সনদ ফি, অটোরিকশা লাইসেন্স ফি’র তিন লাখ টাকা আত্মসাৎ, সাবেক ইউপি সচিব দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশনসহ সব কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া ২০ সেট রিং স্লাপ ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে বিতরণে চেয়ারম্যান আবুল বাশার খানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

এর আগে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক এই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছিলেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ও স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. কামাল হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সোমবার আমরা আবুল বাশার খানের সাময়িক বরখাস্ত আদেশের চিঠি হাতে পেয়েছি। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে ওই চিঠি আবুল বাশার খানকে পৌঁছে দেওয়া।’