চেয়ারম্যানের পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা মামলায় বাদীর নারাজি মঞ্জুর করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম এ আদেশ দিয়েছেন।

জানা যায়, বাদী রাশেদা বেগম ২০১৮ সালের ১৫ আগস্ট বরগুনা থানায় বরগুনা সদর ইউনিয়নের আবদুর রব মিয়ার ছেলে গোলাম আহাদ সোহাগসহ ১২ জনকে আসামি করে অভিযোগ করেন। গোলাম আহাদ সোহাগ চেয়ারম্যান থাকাকালে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বাদীর ছেলে আল আমীন দেখতে পেয়ে বাধা দেন। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে সোহাগ ও তার লোকজন নিয়ে আল আমীনকে খুন করার পরিকল্পনা করে।

পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১২ আগস্ট সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ৬টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার চালিতাতলী পাকা সড়কের দক্ষিণে হেউলিবুনিয়া ব্রিজের পাশে সোহাগ চেয়ারম্যানের নির্দেশে আল আমীনকে বাদীর বাসা থেকে চেয়ারম্যানের লোক জাহাঙ্গীর ডেকে নেয়। প্রথমে জাহাঙ্গীর আল আমীনের চোখে মরিচের গুঁড়ো দেয়।

পরে অন্যরা রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে আল আমীনের পায়ের হাড় গুঁড়ো করে দেয়। আসামি মিজান, মাসুদ, জাহাঙ্গীর, মনির, রাবেয়া ও সেলিম মুন্সি আল আমীনের দুটি চোখ ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে। আল আমীনের মা রাশেদা বেগম তার ছেলের ডাক-চিৎকার শুনে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। আল আমীনের অবস্থা গুরুতর হলে বরিশাল প্রেরণ করা হয়। পরের দিন ১৩ আগস্ট বেলা আড়াইটার সময় আল আমীন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২০ জানুয়ারি চেয়ারম্যান গোলাম আহাদ সোহাগকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাদী অভিযোগের বিরুদ্ধে নারাজি দাখিল করলে আদালত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ হোসেনের ওপর তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। জুডিশিয়াল প্রতিবেদনে গোলাম আহাদ সোহাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

বাদী জুডিশিয়াল রিপোর্টের বিরুদ্ধে আবারো নারাজি দিলে শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার নারাজি মঞ্জুর করে সোহাগের বিরুদ্ধে হত্যার অপরাধ আমলে নিয়েছেন।

বাদী রাশেদা বেগমের আইনজীবী আবদুল মোতালেব মিয়া যুগান্তরকে বলেন, ঘটনার সময় সোহাগ বরগুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এখন চেয়ারম্যান নেই। সোহাগ ইতোমধ্যে জামিনে ছিলেন। দুইবার ফাইনাল দেওয়ার পর বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম সার্বিক বিবেচনায় সোহাগের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আমলে নিয়েছেন।

সোহাগ অন্য একটি মামলায় বরগুনা কারাগারে থাকায় সাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।

দীর্ঘ ১৮ বছর পরে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত এক বছর আগে দুই বছর মেয়াদি বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ সদস্যের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ সেই কমিটিকে ৪৮৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পরিণত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। প্রতিষ্ঠার পর এটিই বরিশালে ছাত্রদলের সবচেয়ে বড় কমিটি। অছাত্র, বিবাহিত, প্রবাসী, চাকরিজীবী, নারী ও মাদক কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্তসহ সব রকম নেতারই পদায়ন হয়েছে সংগঠনটির এ কমিটিতে। যে কারনে ত্যাগী নেতারা মূল্যায়িত হয় নি এই গণকমিটিতে। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।

২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সুপারফাইভ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর পর জেলা ছাত্রদল সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ৩৩১ সদস্যের একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রে জমা দেন। আবার সুপারফাইভ কমিটির অন্য নেতারাও পৃথকভাবে আরও নামের তালিকা কেন্দ্রের কাছে জমা দেন। এসব তালিকা সমন্বয় করে কেন্দ্র থেকে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ছাত্রদলের একাধিক সূত্র।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু ৪৮৭ সদস্যের বিশাল কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এদের অনেককে তিনিও চেনেন না। এতো নেতাকর্মী কিভাবে কমিটিতে স্থান পেলো তার জানা নেই।

সুপারফাইভের যুগ্ম সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম ইমরান বলেন, কেন্দ্রীয় নেতারা সবাইকে খুশি করতে গিয়ে বিতর্কিত অনেককে কমিটিতে পদায়ন করেছেন।ছাত্রদলের বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে, ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সহ-সভাপতি কাজী সজল সম্প্রতি নগরীতে মাদকসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সহ-সভাপতি জাহিদুল ইসলাম মনির এবং মামুন হাওলাদার প্রবাসে থাকেন। আরও দুই সহ-সভাপতি মনির নাপিত এবং আমিনুল ইসলামও নারী কেলেঙ্কারির কারণে জেলায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত। আরেক সহ-সভাপতি এইচ এম জসিম উদ্দিন রাজধানীতে মুদি ব্যবসায় যুক্ত। আরেক সহ-সভাপতি সপ্তম শ্রেণি পাস করা রুবেল খান চাকরি করেন কমলাপুর রেলস্টেশনে, মশিউর রহমান শামিম চাকরি করেন গাজীপুরে গত আট বছর ধরে। ঠিকাদারি পেশায় যুক্ত আফজাল হোসেন তপু, বাকেরগঞ্জের বিতর্কিত ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেন খান অপুও পদ পেয়েছেন এই কমিটিতে।

ঘোষিত কমিটির সহ-সভাপতি আসিফ আল মামুন অবশ্য সুপারফাইভ কমিটির নেতাদেরই এ কমিটির জন্য দায়ী করেছেন।জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ী আক্ষেপ করে বলেন, তার সহযোগী হিসেবে ৮০ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। সহ-সভাপতি ৯৩ জন। গত তিন বছরে সব মিছিলে ৫০ জন নেতাকর্মী মিছল মিটিংএ পাওয়া যায়নি।

বরিশাল জেলা ছাত্রদলের নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম রুবেল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- প্রতিষ্ঠার পর এটিই বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সবচেয়ে বড় কমিটি। এই কমিটিতে এতো নেতাকর্মীকে স্থান দেয়ায় ত্যাগী নেতারা সঠিক মূল্যায়ন পায়নি। তবুও তিনি সকলের সাথে একত্রিত হয়ে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এ বিষয়ে জানতে বরিশালে কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বরিশাল বিভাগীয় টিমপ্রধান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান বাপ্পির মুঠোফোনে একাধিকবার কল টি রিসিভি করেন নি।।

তবে বিভাগীয় টিমের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মিজান শরীফ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কমিটি গঠন না হওয়ায় যারা পদবঞ্চিত রয়েছেন, তাদেরও এ কমিটিতে পুর্ন মূল্যায়ন করা হয়েছে।

 

ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থি বিতর্কিত রাজনীতিক, লেখক ও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এরিক জেমুরের ইসলামবিদ্বেষী মন্তব্যে নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বর্ণবাদী এ রাজনীতিবিদ বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ফ্রান্সে করো নাম মোহাম্মদ রাখতে দেওয়া হবে না। মুসলিমদের কাছে প্রিয় এ নামটির ওপর তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন বলেও জানান।

সম্প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।এতে এরিক জেমুর আরও বলেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে মুসলিম অভিবাসীদের ফ্রান্সে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, ১৮০৩ সালে সেই আইন আবারও বলবৎ করবেন, যে আইনে বলা হয়েছে ফ্রান্সে কোনো শিশুর নাম মোহাম্মদ রাখা যাবে না।

এছাড়া, যেসব মুসলিম বর্তমানে ফান্সে আছেন- তাদেরকে ফ্রান্সের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি শিখানো হবে। এ দেশের ভাবধারায় তাদের অভ্যস্ত করে তুলতে হবে।

তার লেখা নতুন বই ‘ফ্রান্স হ্যাজ নট ইয়েট সেইড ইটস লাস্ট ওয়ার্ড’ এর মোড়ক উন্মোচণ উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব ধর্মবিদ্বেষী মন্তব্য করেন।

এরিক জেমুরের বর্ণবাদী বক্তব্যের প্রতিবাদে একটি রেডিও স্টেশনে ফোন করে নিন্দা জানিয়েছেন মালি বংশোদ্ভূত আব্দুল্লায়ে কান্তে নামে ফ্রান্সের এক পুলিশ কর্মকর্তা।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক|| বরিশাল নদী বন্দরের বিভিন্ন অংশে প্রায় ৪ হাজার অবৈধ স্থাপনার মধ্যে মাত্র ৬০টি উচ্ছেদ করা হলেও অবশিষ্ট বিশাল এলাকা কবে জঞ্জালমূক্ত হবে তা এখনো অনিশ্চিত। প্রায় সব নদী বন্দরে গত কয়েক বছর ধরে অবৈধ স্থাপনা অপসারনের কাজ চললেও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্বম বরিশালে নদী বন্দরে তা ছিল অনুপস্থিত। অথচ এ নদী বন্দরের বিপুল পরিমান জমিতে গত কয়েক দশক ধরে পাকা-আধাপাকা অবৈধ স্থাপনা অনেকটা স্থায়ী রূপ লাভ করেছে।
১৯৫৮ সালে তৎকাললীন পূর্ব পাকিস্তান অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কতৃপক্ষ গঠনের সময় ব্রিটিশ ও ভারত যুগের আইজিএন ও আরএসএন কোম্পানী ছাড়াও পরবর্তিতে গঠিত পাকিস্তান রিভার স্টিমার্স-এর বিশাল স্থাবর সম্পদ নিয়ে বরিশাল নদী বন্দর গঠিত হলেও ক্রমে তা বেদখল হতে শুরু করে। মাঝেমধ্যে এসব সম্পদ উদ্ধারে তৎপড়তা শুরুর হলেও পরে তা স্তিমিত হয়ে যায়। এমনকি বরিশাল নদী বন্দরের জমি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সাথেও দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে।
এমনকি ২০০৭ সালে ১/১১ সরকার ক্ষমতা গ্রহনের পরে কয়েকদিন এ বন্দরের কিছু এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে ঢালাওভাবে বিভিন্ন স্থাপনা অপসারন করা হলেও দিন কয়েকের মধ্যে স্থিমিত হয়ে যায়। এরপর থেকে অনেকবার বন্দরের অবৈধ স্থাপনা অপসারনের কথা শোনা গেলেও তা খুব একটা বাস্তবরূপ লাভ করেনি।
তবে অতি সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদী বন্দরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সিমিত একটি অভিযান পরিচালনা করে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশের সহয়তায় এ অভিযানে ৬০টির মত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে বন্দর কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে এখনো এ বন্দরে প্রায় ৪ হাজার অবৈধ স্থ্পনা রয়েছে স্বীকার করে তিনি এলক্ষে জেলা প্রশসনের সহায়তায় জরিপ পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানান। জরিপ সম্পন্ন হলে উর্ধতন কতৃপক্ষে অনুমোদন নিয়ে পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করার কথাও জানান। এলক্ষে বাজেট বরাদ্বের বিষয়টিও উল্লেখ করে তিনি বলেন, কতৃপক্ষ অবৈধ স্থাপনার ব্যাপারে কোন ধরনের আপোষ করছেন না। বরিশাল নদী বন্দরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করে বন্দর কর্মকর্তা বলেন, প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় বন্দরকে অবৈধ দখলমূক্ত করতে প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হচ্ছে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেব অনুযায়ী বিভাগে ১৫৪ জন রোগী এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে ১২১ জনকে। যদিও হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৯৭ জনকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ চিকিৎসায় তারা সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া বাড়িতে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হলেও সে তথ্য এখনও চুড়ান্তভাবে আসেনি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে।

এর বাহিরে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কানুদাসকাঠী গ্রামে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাওলানা আবদুর রাজ্জাক জিহাদী (৫৩) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর তথ্য মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যিনি ঢাকা থেকে সম্প্রতি বাড়িতে ফিরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং পরীক্ষায় তা নিশ্চিত হওয়ার পর পুনরায় চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাওয়ার পথে গত ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে মৃত্যুবরণ করেন।

আর সবমিলিয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের কোন তথ্যই ছিলো না স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে। হিসেব অনুযায়ী ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আগে এসব রোগীরা কোন না কোনভাবে ঢাকায় গিয়েছিলেন। আর সেখান থেকে আসার পরই শরীরে ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ দেখা দেয় তাদের।

তবে সম্প্রতি পটুয়াখালীর ১২ জন এবং বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের ১ জনসহ মোট ১৩ জন রোগীর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য ভাবিয়ে তুলেছে স্বাস্থ্য বিভাগকে।

স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, রোগীদের সঙ্গে কথা বলে এখন পর্যন্ত তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। যেখানে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আগে ঢাকা বা অন্য কোথাও ছিলেন তারা। তাই এগুলোকে প্রাথমিকভাবে স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বলেই ধরে নেয়া হয়েছে। যদিও তথ্য আরও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ডা: শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, বিষয়টি কেন্দ্রীয়ভাবেও সকলের নজরে এসেছে। বৃহস্পতিবার আইডিসিআর থেকে টিম আসছে। তাদের সাথে আমাদের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের একটি টিমও পটুয়াখালীতে যাবে। সেখান থেকে বিভিন্ন ধরণের নমুনা সংগ্রহ করবে। যার ফলাফল অনুযায়ী পরবর্তী করনীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হবে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগকে।

এদিকে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে একজন রোগীর স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার স্বজনদের সাথে কথা বলে আরও ভালোভাবে তথ্য যাচাই-বাছাই করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে সেখানে গিয়েও স্বাস্থ্য বিভাগের টিম কাজ করবে।

তিনি বলেন, আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু ও ডায়রিয়ার সংক্রমনরোধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছি। প্রয়োজন নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলের সচেতন হওয়া। টবসহ পানি জমে থাকে এমন জায়গাগুলোকে পরিষ্কার রাখাসহ বাড়ির আশপাশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে সকলকে। যাতে এডিসসহ কোন মশারই বংশ বিস্তার না হতে পারে।

বরিশাল নগরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো সংস্কার ও পুন:নির্মাণের মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচলের উপযোগী করা হলেও বর্ধিত অঞ্চলের অবস্থা বেহাল। সেই সঙ্গে মূল শহরের পার্শ্ববর্তী ছোট-বড় অনেক সড়কেই খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

বর্ষার কারণে এসব সড়ক ভোগান্তির মাত্রা আরও বেড়েছে নাগরিকদের।

 

এদিকে বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) বলছে গুণগত মান নিশ্চিত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন রাস্তার সংস্কার কাজ করা হয়েছে। কিছু সড়কের সংস্কার চলমান রয়েছে, আর বাকিগুলোর কাজও দ্রুত শুরু করা হবে।

এছাড়া প্রকৌশল বিভাগ বলছে, দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে বর্ষার সময় পানি জমে অনেক সড়কই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হচ্ছে। তাই বর্তমান মেয়রের নির্দেশে নতুন ব্যবস্থাপনায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার করে সড়ক নির্মাণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। যদিও এতে সড়কের স্থায়ীত্ব দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে দাবি তাদের।

 

বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও নগরবাসীকে এমন আশ্বাসই দিয়েছেন। তিনি বার বার বলেছেন, নিজস্ব সম্পদ আর আয় দিয়েই সিটি করপোরেশনকে চালিয়ে নিতে হচ্ছে তাকে। এজন্য একসঙ্গে সব রাস্তার কাজ শুরু করতে পারেননি, পর্যায়ক্রমে সব রাস্তার কাজই শেষ করবেন। যে টুকু কাজ করা হয়েছে তাতে গুণগত মান ও স্থায়িত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। বরিশালে প্রথম তার আমলেই ৫ বছরের গ্যারান্টিতে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যা এখন দেশব্যাপী দৃষ্টান্ত।

এদিকে নগরবাসীও বলছেন, বর্তমান পরিষদের মেয়াদে গত কয়েক বছরে বরিশাল শহরে যেটুকু রাস্তার কাজ হয়েছে তার মান ভালো হয়েছে। বিশেষ করে নগরের আমতলার মোড় থেকে জিলাস্কুল মোড় হয়ে কাকলীর মোড়, আবার কাকলীর মোড় থেকে জেলখানার মোড় হয়ে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের পর গত কয়েক বছরে কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি নগরবাসীকে। তবে সম্প্রতি কাজের ধীরগতি ও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের ছোঁয়া না পাওয়ায় অনেক সড়ক নিয়ে হতাশাও রয়েছে নগরবাসীর।

নবগ্রাম রোড এলাকার বাসিন্দা মাসুদ হোসেন বলেন, সি অ্যান্ড বি ১ নম্বর পুল থেকে টিয়াখালি হয়ে নবগ্রাম রোড পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে। শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুর পর এ সড়ক সংস্কারে আর কেউ উদ্যোগ নেয়নি। আবার জিয়া সড়ক, শের-ই-বাংলা সড়কসহ ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট-বড় বেশকিছু সড়কেরও বেহাল দশা।

নগরের মতাশার এলাকার বাসিন্দা জুয়েল জানান, আদি শ্মশান থেকে মতাশার বাজারের আধা কিলোমিটর (যে জায়গা থেকে সদর উপজেলার শুরু) আগ পর্যন্ত গোটা সড়কটি সিটি করপোরেশনের। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে পুরো সড়কেই খানাখন্দে ভরে গেছে। পিচ-পাথর উঠে গিয়ে ইটের লালচে রঙ দেখা যাচ্ছে খানাখন্দে। সেই সঙ্গে আশপাশের ছোট ছোট সড়কগুলোরও পিচ-পাথর উঠে গেছে। এতে এ সড়কগুলো দিয়ে চলাচলরত মানুষের ভোগান্তি চরমে।

রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা সবুজ মিয়া বলেন, পোর্টরোড ব্রিজের ঢাল থেকে পলাশপুর ব্রিজের ঢাল পর্যন্ত গোটা সড়কটিই বড় বড় গর্তে ভরে গেছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায় রাস্তাটি। এ রাস্তা দিয়ে শুধু ব্যবসায়ীরাই নয়, সদর উপজেলার চরমোনাই, চরআবদানি, শহরের বেলতলা, পলাশপুর, রসুলপুর, কলাপট্টি এলাকার মানুষজন চলাচল করেন। অনুরোধ থাকবে সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয়।

 বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে মিষ্টির দোকান মালিক আবদার রহমানের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে আবদারের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত হোটেল মালিক আবদার রহমান (৫০)লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উপজেলার পূর্ব সিন্দুর্নার মৃত আব্দুস সোবাহনের ছেলে। এ ছাড়া তিনি উপজেলার দইখাওয়া মোড়ের বনফুল মিষ্টি ভান্ডারের মালিক।

জানা গেছে, দুই বছর ধরে আবদার রহমানের হোটেলে কাজ করে আসছে ভুক্তভোগী ওই নারী। আবদার রহমানের সংসারে কোনো সন্তান নেই। সেই সুবাদে আবদার রহমান প্রায় ওই নারীকে সন্তানের আশায় বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে ওই নারী রাজি হননি। ১৫ মার্চ রাতে আবদার তার দোকানে ওই নারীকে একা পেয়ে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘটনাটি কাউ বলতে নিষেধ করেন। এক পার্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভুলে ভ্রুণ নষ্ট করতে বলেন আবদার।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর সঠিক বিচার চাই ও আমি আমার সন্তানের পরিচয় চাই।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আবদার রহমান বলেন, ‘সে আমার দোকানে কাজ করতো, বেতন নিতো। তার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। তার পেটে কার সন্তান আমি জানি না।’

হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

বরগুনার আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের সেকান্দারখালী গ্রামে ছুরিকাঘাতে নূরুল ইসলাম (৫০) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এলাকাবাসী ও পুলিশের সূত্রে জানা যায়, আলেয়া বেগম (৬০) এক বছর পূর্বে নিহত নূরুল ইসলামের স্ত্রী রাণী বেগমের কাছ থেকে ১০ কেজি চাল ধার নেয়। একাধিকার চাল ফেরত চাইলেও আলেয়া বেগম চাল ফেরত দেয়নি। আজ সকাল ১০টার দিকে আলেয়া বেগম নুরুল ইসলামের বাড়ী মামলার কাগজ নিতে এলে নুরল ইসলামের স্ত্রী রাণী বেগম ধার নেয়া চাল ফেরত চায়।

এতে আলেয়া বেগম অপমানবোধ করে বাড়ি গিয়ে ছেলে, জামাই ও নাতিদের জানান। আলমগীর ওরফে আলীনুর, সাগর মুন্সী,খলিল, খালেদাসহ ৬/৭ জনকে নিয়ে আলেয়া বেগম নুরুল ইসলামের বাড়ি আসে। এসময় আবার উভয়পক্ষের মধ্য বাক-বিতন্ডা শুরু হলে নুরুল ইসলামের চাচাতো ভাই সাগর মুন্সী তার পিঠে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। আমতলী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

ভোলার মনপুরায় নিজ বাড়ির পুকুরের পানিতে ডুবে মো. তামিম নামে আড়াই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চরজ্ঞান গ্রামে ঘটে এই ঘটনা।

তামিম উপজেলার হাজীরহাট ইউনিয়নের চরজ্ঞানের বাসিন্দা মো. মোতাহারের ছেলে।

পুকুরের পানিতে তামিমকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেলে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাইমুল হাসনাত তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এই ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নাইমুল হাসনাত জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই পানিতে ডুবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বুধবার গভীর রাতে গুলশান থানায় এ মামলা করেছেন আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক।

মো. রাসেল ও শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন তিনি।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে,  গত ২৯ মে থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় ইভ্যালির পণ্যের মূল্য বাবদ ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা অনলাইন ব্যাংকিং ও একটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে পরিশোধ করেন গ্রাহক আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা। পণ্য ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে ব্যর্থ হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরতের অঙ্গীকার করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ ৫ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির গ্রাহকসেবা শাখায় (কাস্টম কেয়ার সেন্টার) যোগাযোগ করে পণ্য পেতে ব্যর্থ হন আরিফ।

মামলার বাদী আরিফ বাকের তার অভিযোগে বলেন, ইভ্যালির কাছে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার পণ্যের অর্ডার দেন তিনি। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তাকে কোনো পণ্য সরবরাহ করা হয়নি। পরে গত ৯ সেপ্টেম্বর  দুই বন্ধুকে নিয়ে আরিফ ধানমন্ডির ১৪ নম্বর রোডে ইভ্যালির অফিসে যান। কিন্তু ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাননি। একপর্যায়ে অফিসের ভেতর থেকে রাসেল তাদের টাকা দিতে অস্বীকার করেন ও তাদের ‘প্রাণনাশের হুমকি’  দেন।

এর আগে যতবার যোগাযোগ করা হয়, ততবারই ইভ্যালি টাকা ফেরত দেব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে বলে অভিযোগ গ্রাহক আরিফ বাকেরের।

ইভ্যালিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রাসেল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদেও আছেন।

মামলার বিষয়ে কথা বলতে তাকে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।