৫৫ বছর বয়সী দাদির সঙ্গে ২০ বছর বয়সী প্রতিবেশী নাতির সঙ্গে বিয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী দাদির স্বামী ৫ বছর পূর্বে মারা যাওয়ার পর একই গ্রামের প্রতিবেশী আব্দুর রশিদের পুত্র ফারুক মিয়া (২০) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

পরে বৃহস্পতিবার ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ওই মহিলার ছেলে এনামুল হক হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে এনামুল এলাকার লোকজন ডেকে বিষয়টি জানান।

পরদিন শুক্রবার ৩ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশে বসে নাতি ফারুক হোসেনের সাথে দাদি শিরিন আক্তারের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ওই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সোমবার রাতে দাদির সাথে নাতির বিয়ে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।

বড়হিত ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলাম জানান, নওপাড়া গ্রামের এনামুল হক এর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী ফারুকের সাথে তার মায়ের অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

পরে রাতের বেলায় হাতে নাতে ধরা পরার পর দুইজনের সম্মতিতে কাজীর মাধ্যমে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। নাতির সঙ্গে দাদির বিয়ের পর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়হিত ইউনিয়নের কাজী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ জানান, সোমবার সন্ধ্যায় নওপাড়া গ্রামে বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়েতে পাঁচ লক্ষ টাকার দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে।

 

ব‌রিশা‌লের আগৈলঝাড়ায় ছয়‌টি হ‌রি‌ণের চামড়াসহ ৩৭ কে‌জি মাংস জব্দ ক‌রে‌ছে পু‌লিশ। এসময় চারজন‌কে আটক করা হ‌য়ে‌ছে।

মঙ্গলবার (৭ সে‌প্টেম্বর) দিনগত রা‌ত ১১টার দি‌কে উপ‌জেলার রা‌জিহার ইউনিয়‌নে হ‌রি‌ণের খামার থে‌কে চামড়া ও মাংস জব্দ করা হয় এবং সেখান থে‌কেই চারজন‌কে আটক করা হয়।

আটকরা হ‌লেন- আগৈলঝাড়াস্থ এক‌টি হ‌রি‌ণের খামার মা‌লিক ও এন‌জিও আলো‌শিখা সমাজ উন্নয়ন কে‌ন্দ্রের নির্বাহী প‌রিচালক জেমস মৃদুল হালদার, খামা‌রের অফিস সহকা‌রী খোকন সরকার, খামা‌রের নৈশপ্রহরী সুনীল চন্দ্র হালদার ও বিপ্লব সরকার।

আটকদের ম‌ধ্যে তিনজ‌নের বা‌ড়ি অগৈলঝাড়ার বি‌ভিন্ন এলাকায় হ‌লেও বিপ্লব সরকা‌রের বা‌ড়ি মাদারীপু‌রের ডাসার থানা এলাকায়। তার মাধ‌্যমেই হ‌রি‌ণের মাংস পাচার করার প্রক্রিয়া চল‌ছি‌লো ব‌লে ধারণা পু‌লি‌শের।
বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে অগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম স‌রোয়ার ব‌লেন, গোপন সংবা‌দের ভি‌ত্তি‌তে রা‌জিহার ইউনিয়‌নের হ‌রি‌ণের খামারে অভিযান প‌রিচালনা কর‌লে সেখানে পাচার ও স্থানীয়ভা‌বে বি‌ক্রির উদ্দেশ্যে রাখা ছয়‌টি হ‌রি‌ণের চামড়া ও ৩৭ কে‌জি মাংস জব্দ করা হয়। আটক করা হয় ওই খা‌মা‌রের মা‌লিকসহ চারজন‌কে‌।

আটকদের বিরু‌দ্ধে মামলা দা‌য়ে‌র করা হয়েছে ব‌লে জানান পু‌লি‌শের এই কর্মকর্তা।

 

 

এবার নতুন আলোচনায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। দীর্ঘ তিন বছরের পরিশ্রমে তিনি তার রাজনৈতিক যে বলয় সৃষ্টি করেছিলেন তা ভাঙতে শুরু করেছে। তার নিয়ন্ত্রণে থাকা ৯ সিটি কাউন্সিলর ঢাকায় গিয়ে যোগ দিয়েছেন তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের ঘরনায়। ৯ কাউন্সিলর হলেন- বিসিসির ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমীর বিশ্বাস, ৪নং ওয়ার্ডের তৌহিদুল ইসলাম বাদশা, ১২নং ওয়ার্ডের জাকির হোসেন ভুলু, ২০নং ওয়ার্ডের জিয়াউর রহমান বিপ্লব, ২২নং ওয়ার্ডের আনিসুর রহমান দুলাল, ২৩ নং ওয়ার্ডের এনামুল হক বাহার, ২৪নং ওয়ার্ডের শরীফ মো. আনিসুর রহমান, ২৬নং ওয়ার্ডে হুমায়ন কবির এবং ২৯নং ওয়ার্ডে ফরিদ আহম্মেদ।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর ‘বরিশাল সদর’ নামক ই-মেইল থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বরিশাল সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা। ৫ই সেপ্টেম্বর বিকাল ৪টায় জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সদস্যদের অফিস কক্ষে তারা এই সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এ সময় উল্লিখিত ৯ কাউন্সিলরদের সঙ্গে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদও উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় কাউন্সিলররা প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বরিশালের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বলেন। সেইসঙ্গে নাগরিক সেবা নিশ্চিত কল্পে অন্য কাউন্সিলরদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন বলে জানানো হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
জানা গেছে, বরিশালে সাবেক মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন হিরণ জীবিত থাকাবস্থায় আওয়ামী লীগ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। একটি হিরণপন্থি, অপরটি সাদেক আব্দুল্লাহর পিতা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহপন্থি।
হিরণের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী জেবুন্নেছা আফরোজ এমপি হলেও হামলা, মামলায় প্রায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে হিরণপন্থিরা। এরইমধ্যে মেয়র হিসেবে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ নির্বাচিত হওয়ার পর হিরণপন্থিদের অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়ে। কাউন্সিলর হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয় তার নিজস্ব ঘরনার নেতাদের। একপর্যায়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে বরিশাল আওয়ামী লীগের পুরো নিয়ন্ত্রণই নিয়ে নেন সাদেক আব্দুল্লাহ। কিন্তু পট পরিবর্তন ঘটতে থাকে বরিশাল-৫ আসনে এমপি হিসেবে কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীম নির্বাচিত হওয়ার পর পরই। কোণঠাসা হিরণপন্থিরা আশ্রয় নেন তার ছায়া তলে। ভদ্রলোক হিসেবে পরিচিত জাহিদ ফারুক শামীম হিরণপন্থিদের নিয়ে নীরবে কাজ করতে থাকেন। কিন্তু সাদিক-শামিম বিরোধটা প্রকাশ্যে আসে বরিশালের ইউএনওর সঙ্গে সাদিকপন্থি ও বিসিসির বিরোধের সময়। ইউএনওর কার্যালয়ে সামনে থেকে রাতের বেলা জাহিদ ফারুক শামীমের ১৫ই আগস্টের ব্যানার নামিয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। আহত হন অর্ধ শতাধিক। প্রশাসনের দুটি মামলায় আসামি করা হয় মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে। উভয় মামলায় তিনি এক নম্বর আসামি।

 

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ ঝালকাঠির সদর উপজের ৯নং শেখের হাট ইউনিয়ানের সিএন্ডবি রোড এলাকায় এক ওয়ার্কসব ব্যবসায়ীর দোকান উচ্ছেদের নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুট ও মারধর করেছে সন্ত্রাসী শরীফ বাহিনী।গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫ টার দিকে শেখর হাট সিএন্ডবি বাজার রোড এলাকায় জালাল মিয়ার পরিচালিত ওয়ার্কসবে এ হামলার ঘটনা ঘটে।হামলার ঘটনায় ওয়ার্কসব ব্যবসায়ী সহ তার পরিবারের ৬ জন আহত হয়ছে।এদের মধ্যে ৪ জন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।বাকি ২ শিশু প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্হ রয়েছে।আহতরা হল,ওয়ার্কসব ব্যবসায়ী জালাল,তার মা হাসিনা বেগম(৫৫)স্ত্রী রিনা বেগম(২৫)বোন বকুল বেগম(২২)ও তার দুই শিশু সন্তান ইভা ও রেজোয়ান।আহত ব্যবসায়ী জালাল মিয়া জানান,১ সেপ্টেম্বর বিকেলে হঠাৎ করে শরীফ,মোরশেদ, রুবেল,মেহেদী,তায়েব ও রাশেদ সহ ২০/৩০ জন লোকজন নিয়ে আমার দোকান  আসে এবং অমাকে দোকান থেকে নামতে বলে আমি ১ দিনের সময় চাইলে হঠাৎ করেই সকলে আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে বাচাতে মা হাসিনা,স্ত্রী রিনা আক্তার,বোন বকুল বেগম,দুই শিশু সন্তান ইভা ও রেজোয়ান আসলে তাদের ও মারধর কুপিয়ে জখম করে।এবং দোকানের ক্যাশে থাকা ১ লক্ষ ৬৫ হাজার নগদ টাকা অামার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ডিস্কভার ১০০ সিসি গাড়িটি নিয়ে যায়।এব্যাপারে জালাল মিয়া মামলা প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান।

 

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ ষড়িশার মধ্যে যদি ভূত থাকে তা হলে ভূত ছাড়াবে কোন ওঝা।এমনিই বির্তকিত কর্মকান্ডে ঘটাচ্ছে বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।গত ২৬ অাগষ্ট নগরীর ৯ ওয়ার্ড রসূলপুর কলোনীতে একটি মাদক বিরুদ্ধে অভিযানকে কেন্দ্র করে এ প্রশ্ন বৃদ্ধ হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।অভিযানের সময় অাসামীর কাছ থেকে ১ কেজি ৫শ গ্রাম গাজা উদ্ধার করলেও ৫০ হাজার টাকা ঘুষ বানিজ্যে মাধ্যেমে দেড় কেজি ১শ গ্রামে রুপ নিল।এবং ঘটনার ওই দিনই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মোঃ কায়সার উদ্দিন বাদী হয়ে মোঃ হাফিজুল ইসলামকে অাসামী করে মাদক অাইনের ৩৬(১)এর১৯(ক) ধারায় মামলা করে অাদালতে চালান দেয়া।কিন্ত প্রশ্ন থেকেই যায় বাকি ১৪শ গ্রাম গাজাঁ গেল কই?গত ২৯ অাগষ্ট অাসামীর স্ত্রী রোজীনা ক্ষোভের বলেন অামার স্বামী মাদক বিক্রেতা তার কাছ থেকে দেড় কেজি গাজাঁ উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে এ,এস,অাই ফারুক,সদস্য অাজিজ সহ ৯ জনের একটি টিম।কিন্ত ১শ গ্রাম গাজাঁ দিয়ে অাদালতে চালান দেয়।এবং অামাকে মারধর ও ৫০ হাজার টাকা নেয় অামার কাছ থেকে।যেখানে অাইনের লোকেরা অামার স্বামীকে সুপথে ফিরিয়ে অানবে কিন্ত এ দেখি ষরিসার মধ্যে ভূত।অভিযোগের বিষয় জানতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ.এস.অাই ফারুকের মোবাইল ফোন দেয়া হলে সংযোগ পাওয়া যায় নি।

নিজস্ব প্রতিবেদক ||একের পর এক বিতর্কর জড়াচ্ছেন বরিশাল মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সদস্যরা।বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাদের।
বরিশাল মাদকদ্রব্যন নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিমের এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, মহিলাকে মারধর ও মাদক যা পেয়েছে তা রেখে দিয়ে অল্প পরিমাণ সাথে দিয়ে চালান দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে নগরীর রসূলপুর কলোনিতে। এ ব্যাপারে মাদক ব্যবসায়ী হাফিজুল শেখ এর স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩০) জানান, গত ২৬ শে আগস্ট বৃহস্পতিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচাল এনায়েত হোসেনের নেতৃত্ব এ এস অাই ফারুক ও আজিজ সহ তাদের টিমের সদস্যরা ভোর ৪ টায় রোজীনার ভাড়াটিয়া বাসায় অভিযান চালান।এই সময় আমার স্বামীর কাছ থেকে দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন তারা। আমার স্বামী অপরাধী হলেও আমি তো আর অপরাধী নই। কিন্তু মাদ্কদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ,এস অাই ফারুক ও সদস্য আজিজ আমার চুলের মুঠি ধরে বেধড়ক মারধর করে তখন। আমাকে তাদের সাথে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাহেঁচড়া করেন ঘরে বসে।তখন আশেপাশের ভাড়াটিয়া ঘরের লোকজন আমাদের এই দৃশ্য দেখতে থাকে।আমাকে ও আমার স্বামীকে ছেড়ে দেবার জন্য আমাদের কাছে তখন ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন ফারুক আজিজ ও তাদের টিমের সদস্যরা।ওই সময় আমি আমার প্রতিবেশী লোকজনের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে তাদের দেই।যা প্রতিবেশী প্রতিটি সদস্যই সাক্ষী রয়েছে।আমাকে ওই সময় ছেড়ে দিলেও আমার স্বামীকে ছেড়ে দেবে পরে এই বলে তারা চলে যান। আমাকে বলে যান আমার স্বামী কে দেড় কেজি গাঁজা বাদ দিয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে চালান দিবে।ততপর আমার স্বামীকে ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ তারা চালান দেন।এ ব্যাপারে মাদ্কদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ এস অাই ফারুকের কাছে অভিযান সর্ম্পকে জানতে চাইলে ব্যস্ত অাছেন বলে ফোন কেটে দেন।সে আরো জানান,আমার স্বামী অপরাধী তা আমি স্বীকার করি। তারাও তো অপরাধী (সমস্ত কথার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে)।
পেয়ারা ব্যবসায়ী জসিমের স্ত্রী মুক্তা বেগম জানান,যারা মাদক ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালান তা আমরা চাই। বিনা কারণে ওই দুই জন ও তাদের টিমের সদস্যরা সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।ঐদিন মাদক ব্যবসায়ী হাফিজুল শেখ এর বাসায় অভিযান চালিয়েছে তারা।তার সাথে সাথে সাধারণ মানুষের ভাষা ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে তারা। আমার স্বামী পেয়ারা ব্যবসা করে কিন্তু ঐদিন ভোর রাতে আমার বাসা ভাঙচুর করে আমাকেও আমার স্বামীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।শুধু আমার বাসাই নয়, সবার বাসাই তারা ভাঙচুর চালান ঐদিন।এ বিষয় মাদ্কদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃস্টি দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।সূত্রঃ দৈনিক আলোকিত বরিশাল

মোঃ রিয়াদ মৃর্ধা (২১) পটুয়াখালী করিম মৃধা কলেজের এবার দ্বাদশ উর্ত্তীন্ন এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ শিক্ষার্থীর সন্ধান করেছে তার পরিবার।ওই শিক্ষার্থী পটুয়াখালী জেলার

পূর্ব চর জৈনকাঠী গ্রামের মোঃ সালেক মৃধা ছেলে।

নিখোঁজ রিয়াদ পরিবারের এক সদস্য জানান,রিয়াদের একটু মানসিক সমস্যা রয়েছে। কিছুদিন আগে বরিশাল ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাক্তার দেখিয়েছি।এরপরে কিছুটা সুস্থ হয়ে গেছে সে।গত শনিবার (২৮আগস্ট ) নিখোঁজ হন রিয়াদ মৃর্ধা।মাকে বলে যায় বাহির থেকে ঘুরে আসি। এই বলে বাসা থেকে বের হয় দুপুরের খাবারের পর। কিন্তু আসরের পর সে বাসায় ফিরে না আসলে তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। তবে দীর্ঘ সময় পার হলেও সন্ধান মেলেনি তার। যদি কোন সহৃদয়বান
ব্যক্তি সন্ধান পেয়ে থাকেন। বা কোন যায়গায় দেখে থাকেন দয়া করে নিচে দেওয়া নম্বর এ যোগাযোগ করেন।
ফোন নম্বর : মোঃ ছালেক মৃধা 01716699279
ফোন নম্বর : মোঃ সাইফুল মৃধা 01749438120

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: “চারা রোপণ করুন, বৃক্ষে পরিনত করুন” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশ ব‍্যাপী FGRF এর অধিনে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি শুরু করেছ অরাজনৈতিক দ্বীনি সংগঠন দা’ওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। দা’ওয়াতে ইসলামীর বরিশাল বিভাগীও নেতা মোহাম্মদ তাজ উদ্দীন আত্তারীর সভাপতিত্বে, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন আত্তারী এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। শুক্রবার (২৭ আগস্ট সি এন্ড বি রোড ২৩ নং ওয়াডে অবস্থিত “মাদ্রাসাতুল মদিনা ” প্রাঙ্গণে সংগঠনটির সমাজকল‍্যান বিভাগ (FGRF) এর অধিনে এই কর্মসূচি শুরু করে। তাজ উদ্দীন আত্তারী বলেন, সবুজ পৃথিবী বিনির্মানে দা’ওয়াতে ইসলামী বিশ্বব‍্যাপী বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। চারা রোপন করে চারাকে পরিচর্যার মাধ্যমে বৃক্ষে পরিনত করার চেস্টা করে যাচ্ছে। বৃক্ষরোপণের অগনিত দুনিয়া ও আখিরাতের কল‍‍্যান রয়েছে, রাসূলে কারীম “সাল্লাল্লাহু আলাইহী ওয়াসাল্লাম” এরশাদ করেন, যে ব‍্যক্তি গাছ রোপন করে অথবা বীজ বপন করে অতঃপর সেখান থেকে মানুষ, পাখি বা প্রানী আহার করে তবে তা ( রোপন কারীর ) জন্য সদকা স্বরুপ।

 

বরিশালে একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র থেকে চন্দন সরকার (২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের দাবি শারীরিক নির্যাতনের পর চন্দনকে হত্যা করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

 

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে নগরীর নবগ্রাম রোডের ‘হলি কেয়ার’ নামে একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টার দিকে চন্দনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

চন্দন সরকার বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামের চিত্তরঞ্জন সরকারের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানান, বছর দেড়েক আগে চন্দন মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। ২০ দিন আগে তাকে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে পুলিশ তাদের ফোন করে জানায় চন্দন আত্মহত্যা করেছে। মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এরপর পরিবারের সদস্যরা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে চন্দনের মৃতদেহ দেখতে পান।

স্বজনদের অভিযোগ, চন্দন আত্মহত্যা করেনি। নির্যাতনের কারণে চন্দনের মৃত্যু হয়েছে। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজাতে মৃতদেহ বাথরুমের ভেন্টিলেটরের গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন হলি কেয়ারের ব্যবস্থাপক মাইনুল হক। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে চন্দন বাথরুমে যান। এরপর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি বের হচ্ছিলেন না। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে চন্দনকে বাথরুমে ভেন্টিলেটরের গ্রিলের সঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখা যায়। পরে থানায় খবর দেয়া হয়।

কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, গলায় দাগ ছাড়া চন্দনের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্ত ছাড়া নিশ্চিত করে বলা সম্ভব ন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।।

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ সময় বিকেল ৪টা। প্রতিদিনের ন্যায় ‘আখিঁ ফ্যাশন হাউজ’ এর প্রোপাইটার শামিমা নাসরিন পুতুল তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। নগরীর ৫নং ওয়ার্ড আলহাজ দলিল উদ্দিন স্কুলের পূর্ব পাশে অবস্থিত ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। অনান্য দিনের মতই গতকাল বিকেলে ক্রেতা সেজে এক সাথে ৩ জন যুবক প্রবেশ করে। তারা ১টি ওড়না ও ১টি ব্রাশ ক্রয় করে। যাবার সময় দোকান মালিক শামিমা নাসরিন পুতুল’র ব্যবহৃত ভিভো y২০ নং মডেলের মোবাইলটি নিয়ে যায়। ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ছিল ০১৭৭২-০৪৪০৯৩। ক্রেতা ৩ জন যাবার কিছুক্ষণ পর পুতুল তার মোবাইলটি খুঁজে পায় না। অন্য ক্রেতাও দোকানে আসেনি। এ সময় দোকানে থাকা পুতুল’র ভাই শুভ ইসলাম মোবাইলটি খুঁজতে ওই নম্বরে ভিডিও কল দেয়। কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে অজ্ঞাত এক যুবক কলটি রিসিভ করে। সাথে সাথে শুভ ওই যুবকের ছবি স্কিনসর্ট দিয়ে তুলে রাখে। এরফলে চোর শনাক্ত করা গেলেও অপরিচিত হওয়ায় পরিচয় চিহ্নিত করা যায়নি। উপায়ন্ত না পেয়ে দোকান মালিক শামিমা নাসরিন পুতুল বরিশাল কাউনিয়া মডেল থানায় ২৫/০৮/২০২১ই তারিখে একটি সাধারণ ডাইরী দায়ের করে। যার নং ৯৭৭। ছবি দেখে এই অজ্ঞত চোরকে বা তার ঠিকানা জানতে পারলে তথ্য দিতে নগরবাসীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন দোকান মালিক শামিমা নাসরিন পুতুল। বর্তমানে তার ব্যবহৃত এই মেবাইল নম্বরে ০১৮৭৮-৫৫৪২৬৬ ও ০১৭১২-৪৩৫৮৯৬ যোগাযোগ করতে পারবেন। অথবা কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে চোরের তথ্য দিতে পারেন।